Banner Advertiser

Monday, December 9, 2013

[mukto-mona] এক ধরনের গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে, প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে - ৩



মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৩, ২৬ অগ্রহায়ন ১৪২০
এক ধরনের গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে, প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে
মুনতাসীর মামুন
(পূর্ব প্রকাশের পর)
তাঁরা ভায়োলেন্সের মাধ্যমে রাজনীতিতে এসেছেন, ভায়োলেন্সে তাঁরা শুধু অভ্যস্তই নয়, এক ধরনের মানসিক তৃপ্তিও পান। যে সাংবাদিকরা এ সব করছেন তাঁরা এদের পক্ষ নিয়েই কাজ করছেন জেনেশুনেই। কিন্তু এই আন্দোলনের খবর ফাঁস হয়ে যাওয়াতে সাংবাদিকদের একাংশ সাধারণের শ্রদ্ধা-ভক্তি হারিয়েছেন।
সাংবাদিকরা পক্ষ নিচ্ছেন এ মন্তব্যে আপনাদের আপত্তি থাকতে পারে কিন্তু গত এক বছরের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন উপায়ে মিডিয়া বিশেষ করে টিভি এ কাজটি করেছেন। বিশ্বজিৎ হত্যার ছবিটি দুই সপ্তাহ ধরে প্রতিনিয়ত দেখানো হয়েছে। কিন্তু কখনও বলা হয়নি যারা হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে এবং এখন তা রায়ের অপেক্ষায়। হেফাজতীদের কোরান পোড়ানো কখনও দেখানো হয়নি। খোকা বা ফখরুলের হুমকি প্রদানের বিষয়টি একবারের বেশি টিভির পর্দায় আসেনি। জামায়াতীরা দা নিয়ে কাউকে কোপাচ্ছে সেটিও পর্দায় আসে না।
লক্ষ্য করেছেন কিনা জানি না- যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছে তাদের দুর্বৃত্ত কখনও বা অবরোধকারী বলা হচ্ছে। কখনও বলা হয় না বিএনপি বা জামায়াত ক্যাডার। কিন্তু এখনও ছাত্রলীগের কোন দুর্বৃত্ত এ ধরনের ঘটনা ঘটালে বার বার নির্দিষ্ট করে ছাত্রলীগের নাম বলা হয়।
জামায়াত-বিএনপির মানুষ পোড়ানো কর্মসূচীকে একটু নমিত করার জন্য এখন বলা হচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত আন্দোলন আউট সোর্সিং করা হচ্ছে। অর্থাৎ এর জন্য খালেদা-জামায়াত দায়ী নয়। আউট সোর্সিং যদি করেই থাকে তা হলে তো এই 'আন্দোলন' আর জামায়াত-বিএনপি নয়। কিন্তু বিএনপি তো এই কথা বলেনিÑ যেই বোমা মারুক বা রগ কাটায় অংশ নিক সে যার হয়ে কাজটি করছে দায়দায়িত্ব তারই।
এবার মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কথা বলা যাক। প্রতিদিন মানুষ পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। কোন একটি মানবাধিকার সংস্থাকে কিছু বলতে শুনেছেন। কিন্তু হেফাজত এখন ঢাকা আক্রমণ করল এবং ঢাকা বাঁচাতে গিয়ে দুইপক্ষের মানুষ হত হলো তখন কিন্তু সব মানবাধিকার সংস্থা হেজাবিদের জন্য কান্নাকাটি করতে করতে অস্থির। আর এখন প্রতিদিন পুড়িয়ে মানুষ মারা হচ্ছে, কুপিয়ে মানুষ মারা হচ্ছে এখন তারা নিশ্চুপ। এতেই বোঝা যায়, এ সব মানবাধিকার সংস্থা মতলববাজ, জামায়াত-বিএনপির ফ্রন্ট মাত্র। এমনকি হিউম্যান রাইট নামক সংস্থা যারা যুদ্ধাপরাধীদেরও মানবাধিকার আছে বলে মনে করে তারা এতদিন পর কারও নাম উল্লেখ না করে বলছে, সন্ত্রাস ভাল নয়। আর হত্যা, সরকারের বলপ্রয়োগ বাঞ্ছনীয় নয়।
উপরের আলোচনায় একটি বিষয় পরিষ্কার করতে পারছি কিনা জানি না, তাহলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার মূল ইস্যু নয়। মূল ইস্যু পাকিস্তান মানসের প্রতিনিধি ও বাঙালী মানস বা মুক্তিযুদ্ধ মানসের প্রতিনিধিদের দ্বন্দ্ব। এ জন্যই দাবি করা হচ্ছে, শেখ হাসিনাই প্রধান প্রতিবন্ধকতা। তিনি সরে গেলে ভাল, আরও ভাল রাজীতিতে না থাকলে। সবচেয়ে ভাল ইহলোক ত্যাগ করলে। যিনি নির্বাচিত এবং ভালভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধি তাঁকে চলে যেতে হবে, থাকবেন অনির্বাচিতরা। যারা 'আন্দোলন' করছে তাদের এ ধারণা হলো কেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষজন তা মেনে নেবেন? দেশটা তো জামায়াত-বিএনপির শুধু নয়, জামায়াতের তো নয়-ই। 
অন্য আরেকটি বিষয় কারও ভাবনায় আছে বলে মনে হয় না। সুশীল বাটপাড়, তাদের সঙ্গী রাজনীতিবিদ এবং মিডিয়া অনবরত প্রচারে জনমনে এ ধারণার সৃষ্টি করছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এলে সব সমস্যার সমাধান হবে। সবাই হাসি-খুশিভাবে নির্বাচন করবে। তাদের ভাষায় 'সর্বদলীয়' নির্বাচন হবে। এ দৃষ্টিভঙ্গির সৃষ্টি হয়েছে ১৯৭৫ সালের পর থেকে। কারণ, তখন থেকে বন্দুক এবং ভায়োলেন্সের মাধ্যমে সবাইকে সব শুনতে বাধ্য করা হয়েছে। সুতরাং তাদের ক্রোধের কারণ, তারা যা বলছে সবাই তা মানবে না কেন? যে কোন সরকার আসুক এবং নির্বাচনের শেষ না আসুক ৪২% ভোট যারা পেয়েছে তারা যদি নির্বাচনে না যায় এবং একই কাজ করে (বা না করে) তাহলে নির্বাচন হবে? দেখা যাক হয় কিনা?
একদিক থেকে বিচার করলে, বিএনপি-জামায়াতের নেতা খালেদা জিয়া সফল হয়েছেন। পাকিস্তানী জঙ্গীরা তাদের দেশের যে অবস্থা করেছে তিনিও সেই অবস্থা করতে পেরেছেন। তালেবানদের মতো ভিডিও বার্তায় তাদের অনুচরদের নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। অনুমান করা হচ্ছে, বিভিন্ন দেশে যেসব জঙ্গীরা প্রশিক্ষণ নিয়েছে তাদের এখন জড়ো করা হচ্ছে একটি তালেবানী রাষ্ট্র গঠনে। খালেদার সাফল্য, দেশের একটা বড় অংশকে তিনি পাকিস্তানী মানসে দীক্ষিত করতে পেরেছেন। জামায়াত নির্বাচনে না এলে তারা মনে করেন গণতন্ত্র সম্পূর্ণ হলো না। যুদ্ধাপরাধ থেকে গণতন্ত্র যেন গুরুত্বপূর্ণ। যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থকরা লড়াই শুরু করে। মানুষ পোড়ালে তাদের মনে হয়, আওয়ামী লীগ বা ১৪ দল বা শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করছেন। 
আমি কখনও পত্রিকা-টিভির কোন প্রতিবেদন বা টকশোতে শুনিনি এ কথা বলতে যে, যারা ৪২% ভোট পেয়েছেন, ম্যান্ডেট পেয়েছেন, তাদের জিম্মি থাকতে হবে যারা ৩২% ভোট পেয়েছেন তাদের হাতে! পৃথিবীর কোন দেশে তা হয়নি। কিন্তু এখানে তা হতে হবে।
১৯৭১ সালে যারা সংখ্যালঘিষ্ঠ ছিল তারাও সংখ্যাগরিষ্ঠের সঙ্গে একই আচরণ করেছিল। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠকে নিজের অধিকার রক্ষায় যুদ্ধে নামতে হয়েছিল। সংখ্যালঘিষ্ঠও কিন্তু এখন এক ধরনের গৃহযুদ্ধ শুরু করেছে। অন্তিমে সংখ্যাগরিষ্ঠদেরও কিন্তু এ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হবে। 
বিএনপি-জামায়াত না এলে নির্বাচন হবে না বলে যাদের হাহাকার, এমনকি ড. কামাল হোসেনদের তাদের জিজ্ঞাস্য হেজাবিদের জন্য তাদের এই আকুলতা কেন? কোথায় তাদের আটকাচ্ছে এ কথা বলতে যে, জামায়াত দেশবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গিবাদী ধর্মবিরোধী দল। তাদের নির্বাচনে কেন, রাজনীতি করতে দেয়াই উচিত নয়। বিএনপিকেও রাজনীতি করতে দেয়া তখনই উচিত, যখন তারা যুদ্ধাপরাধের বিচার সমর্থন করবে এবং জঙ্গিবাদী ধর্মবিরোধী দেশবিরোধী জামায়াতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। সম্পূর্ণ বিষয়টিকে এভাবে দেখা যাবে না কেন?
বর্তমানে এরশাদ নিয়ে যে নাটক চলছে, তা ক্ষমতাসীনদের অদূরদর্শী রাজনীতির ফল। স্বল্পমেয়াদী লাভের জন্য দীর্ঘমেয়াদী লাভ করা ত্যাগ করেছেন। এরশাদ আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন, সেটি করলে বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য তা সুফল বয়ে আনত। এরশাদ নাটকের অবসান বাঞ্ছনীয়। যার ভোট ছিল ৭ ভাগ, এখন হবে ৫ ভাগ তাকে নিয়ে নাচানাচির অর্থ নেই। 
নির্বাচন হলেও এ দেশের বিএনপি-জামায়াত ভক্তরা সব সময় একদলীয় নির্বাচন বলেই আখ্যায়িত করবে। আবার তাদের সন্ত্রাসের মুখে সবকিছু বাতিল করলে এ ধারণাই জন্মাবে এ দেশে যে, আইন আদালত সংবিধান বড় কথা নয়, পেশীশক্তিই বড়। এ দেশে তাহলে আর কখনও শান্তি ফিরবে না। ড. কামাল হোসেন এখন পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে কথা বলছেন। বঙ্গবন্ধুর দাক্ষিণ্যে একবার মাত্র তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন, এখনও যে সম্মান পান তা বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যের কারণেই। পঞ্চদশ সংশোধনীর অন্তর্গত সংবিধানের চারটি উপাদান, যা জেনারেল জিয়া বাতিল করেছিলেন। তিনি নিজেই এ উপাদান অনেকবার ফিরিয়ে আনার কথা বলছেন। পঞ্চদশ সংশোধনীতে আরও অনেক কিছু আছে। এটি একটি প্যাকেজ। ব্রিজোত্তম কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে রাজনীতি করতে করতে তারও কি ভিমরতি ধরল? তাঁকে অনুরোধ, তাঁকে আমরা এখনও সম্মান করি। তাঁর এখন সময় হয়েছে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর। তিনি ব্রিজোত্তম কাদের সিদ্দিকী বা মির্জা ফখরুলের মতো যত কথা বলবেন, তত অসম্মানিত হবে না। আমরা চাই না তিনি জীবনের শেষপ্রান্তে এসে অসম্মানিত হন। ১৯৭২ সালের সংবিধান রচয়িতাদের তিনি একজন। এ সম্মান নিয়েই যেন তিনি বাঁচতে পারেন, সে চেষ্টা করাটাই বাঞ্ছনীয়।
বর্তমানে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানো ও সংবিধান ও মানবতাবিরোধী যে আন্দোলন চলছে, তা সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে দমানো সম্ভব নয়। জনপ্রতিরোধ না হলে এ দাঙ্গা থামানো যাবে না। আওয়ামী শীর্ষ নেতৃত্ব গত পাঁচ বছরে দলটির সাংগঠনিক অবস্থা নাজুক করে ফেলেছে। ঢাকা শহরের পাঁচটি আসনে যাদের দল মনোনয়ন দিয়েছে তারা যদি দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মাঠে থাকতেন, তাহলেও ঢাকায় এ দাঙ্গা প্রতিরোধ করা যেত। খালি বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউতে তা সীমাবদ্ধ থাকত না। বোঝা যাচ্ছে দলের নেত্রী তাদের সঞ্চারিত করতে পারেননি। ১৪ দলের সহযোগী সংগঠন ও সমর্থক যা আছে তাদের নিয়ে মাঠে থাকলে আজ বিএনপি-জামায়াতের এ দুঃসাহস হতো না। কিন্তু গত পাঁচ বছরের আয়েস তাদের দেহ এত স্থূল করে ফেলেছে যে, সৌগত আর কাটছে না। 
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের আরও অনেক শক্তি ছিল। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সহকর্মীরা সেগুলোকে অচল করে দিয়েছেন বা রেখেছেন। গণজাগরণ মঞ্চের মতো সারাদেশে তরুণদের এ ধরনের মঞ্চে থাকা বাঞ্ছনীয় ছিল। কিন্তু সে মঞ্চ শুধু গান আর বক্তৃতায় নয়, মাঠে দৌড়াদৌড়ি করতে পারবে। তার দরকার ছিল, যেমন ছিল '৬৯-এ বা '৯০-এ। মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠনটিকে বর্তমান সরকার অকেজো করে দিয়েছে। কেন তার উত্তর জানা নেই। এদের কমান্ড কাউন্সিল বলে পরিচিতরা এখনি লাভালাভ ছাড়া আর কিছু বোঝেন কিনা। ছিল সিভিল সমাজ। বর্তমান সরকার বা দলের অদূরদর্শিতার জন্য তারা এসব হারিয়েছে। তারা তাদের চারপাশে যাদের জড়ো করেছে, তারা তাদের অপকার কতটুকু করেছেন জানি না, উপকার যে করেননি বা করতে পারবেন না তা তো এখনই বোঝ যাচ্ছে। জনগণকে সম্পৃক্ত না করে ১৪ দল বা সরকার অন্তিম এ লড়াইয়ে জিততে পারবেন না। 
নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে আরও নাটক হবে, অনেক দুঃখজনক ঘটনা ঘটবে, বিপর্যয় হবে। সে জন্য আমাদের মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা বাঞ্ছনীয়। দুই নেত্রীর বিদায়ও এ সমস্যার সমাধান করবে না। সুশীল বাটপাড়রা যেমন শেখ হাসিনার অবসর চান, অপরপক্ষও তেমনি খালেদার অবসর চাইবেন। এ বিষয়ে শফিকুর রহমান দুই দিন আগে লিখেছেন- এতদিনে মিডিয়া ও সুশীল বাটপাড়রা খালি হাসিনার বিদায় কামনা করেছেন এবং সেটিই সাধারণ মানুষের চিন্তায় আধিপত্য বিস্তার করেছিল। এখন সব সময় খালেদার অবসরের কথা বলতে হবে বার বার। কিন্তু এগুলো কথার কথা। সমস্যা সমাধানে মূলে যেতে হবে। এ দেশে কারা আধিপত্য বিস্তার করবে? কারা শাসন করবে? দেশ সংবিধানবিরোধী ও ভায়োলেন্সে বিশ্বাসীদের রাজনীতি করতে দেয়া হবে কিনা, তা সমাধান করতে হবে। একমাত্র সমাধান এ দেশে যারা রাজনীতি করবে, তাদের অবশ্যই বাংলাদেশপক্ষীয় হতে হবে এবং এ ধরনের ১০০টি দল আওয়ামী লীগ বিরোধী হলেও কারও কিছু বলার থাকবে না।
দুঃখজনক যে, বিজয়ের মাসে এ প্রবন্ধ লিখতে হচ্ছে এবং বলতে হচ্ছে যে, বাংলাদেশে এক ধরনের গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে। যে দেশে স্বাধীনতার পক্ষের এবং স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি থাকে, সে দেশে এ ধরনের যুদ্ধ এক সময় অনিবার্য হয়ে ওঠে। এতদিন এটি ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল কিন্তু যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হওয়ায় তা প্রকাশ্য হয়ে উঠেছে। এটি আদর্শের লড়াই। 
আমরা মনে করি, বাংলাদেশে যারা রাজনীতি করবেন তাদের অবশ্যই বাংলাদেশকে অর্থাৎ ১৯৭১ সালকে অর্থাৎ যুদ্ধাপরাধের বিচার সমর্থন করে রাজনীতি করতে হবে। একই দেশে পরস্পরবিরোধী দুটি সত্তা একসঙ্গে থাকতে পারে না। হয় তাদের অধীনস্থ থাকতে হবে বাংলাদেশের মানুষদের অথবা বাংলাদেশপক্ষীয়দের থাকতে হবে পাকিস্তানী মানসধারীদের অধীনে। 
এ পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান বিজয়ের মাস গুরুত্বপূর্ণ। এ লড়াই শুধু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারের লড়াই-ই নয়। এ লড়াই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষদের। তাই সরকারের হাতে সব দায়িত্ব দিয়ে বসে থাকলে চলবে না। আমাদেরও প্রতিরোধে শামিল হতে হবে, যা অসংগঠিত এবং তা সংগঠিত করার দায়িত্ব মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক নেতাদের। তারা যদি তাতে ব্যর্থ হন তাহলে ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন। যথাযথ নেতৃত্ব দিয়ে তাদের এই সেøাগান তুলতে হবেÑ পরাজিত হওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হইনি। বলতে হবেÑ জয়বাংলা এগিয়ে চলো। ১৯৭১ আবার ফিরে এসেছে। (সমাপ্ত)
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2013-12-10&ni=157171
RbKÉ, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৩, ২৬ অগ্রহায়ন ১৪২০

GK ai‡bi M…nhy× ïi" n‡q‡Q, cÖwZ‡iv‡a GwM‡q Avm‡Z n‡e- 1

 রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৩, ২৪ অগ্রহায়ন ১৪২

 

¯'vbxq mgq : 0319 NÈv, 7  wW‡m¤^i 2013

http://www.amadershomoi.com/content/2013/12/08/middle0732.htm

http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2013-12-08&ni=156963


সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০১৩, ২৫ অগ্রহায়ন ১৪২
এক ধরনের গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে, প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে - 2
মুনতাসীর মামুন
(পূর্ব প্রকাশের পর)
RbKÉ- সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০১৩, ২৫ অগ্রহায়ন ১৪২




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___