সাঈদ তারেক
লোকে বলে নোবেল না পাওয়ায় মাননীয় শেখ হাসিনার মনে নাকি ভীষণ জ্বালা। তার এটর্ণী জেনারেল একবার মুখ ফষ্কে বলেও ফেলেছিলেন নোবেল কমিটির উচিত ছিল ড: ইউনুসকে পদকটা না দিয়ে শেখ হাসিনাকে দেয়া। কারন শেখ হাসিনা পার্বত্য এলাকায় শান্তিচুক্তি করে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রদূতের ভূমিকা পালন করেছেন। দুষ্টু লোকে বলে নোবেল কমিটি তা না করে ড: ইউনুসকে পদক দেয়ায়ই নাকি ক্ষিপ্ত হাসিনা ইউনুসকে গ্রামীন ব্যাংক থেকে তাড়িয়েছেন, শেষমেস ব্যাংকটাই অধিকার করে নিয়েছেন। আশা করি এইবার মাননীয় শেখ হাসিনা এবং তার এটর্ণী জেনারেলদের মনোবাঞ্ছা পুরণ হবে। বিশ্বে বিনা ভোট বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচন জয়ের রেকর্ড সৃস্টির জন্য এবার নিশ্চয়ই তিনি নোবেলের জন্য মনোনীত হবেন এবং পুরষ্কারটা পেয়েই যাবেন। কারন এই ক্যাটাগরিতে তার আর কোন প্রতিদ্বন্ধিই নাই!
আড্ডা আলোচনায় এখন একটাই বিষয় কি হচ্ছে কি চলছে। এক ভদ্রলোক সেদিন একটা দৃশ্যকল্প বলছিলেন, মনে করেন এক বদ্ধ উন্মাদের হাতে খোলা তলোয়ার। রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে সমানে আন্ধাপাথালী তলোয়ার ঘুড়িয়ে চলেছে। কেউ সামনে এলেই কতল হয়ে যাচ্ছে। থামাতে গেলে কারও হাত কাটা যাচ্ছে মাথা কাটা যাচ্ছে। কোন হুঁশ নাই পাগলের। তাকে কেউ থামাতে পারছে না। তারওপর এই বদ্ধ উন্মাদটা যদি হয় অন্ধ আর বয়রা, কারও কথা শোনেনা বা শুনতে পায়না, সাদাকালো কিছুই দেখতে পায়না! কল্পনা করেন তো এমন একটা দৃশ্য! ভদ্রলোকের মতে, দেশটা পড়ে গেছে এইরকম এক বদ্ধ উন্মাদের হাতে! রাজনীতিক বুদ্ধিজীবি সুশীল সমাজ তথা গোটা দেশবাসী এই উন্মাদ থেকে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে শুধু অসহায় চোখে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে। আর আশংকায় প্রহর গুনছে কখন এই উন্মাদ নিজেই নিজের তলোয়ারের তলে পড়ে যায়!
তারানকো মিশন ফেল মারবে সে আশংকা আমার গোড়া থেকেই ছিল। গত সপ্তাহে এই কলামে লিখেওছি কেন এই মিশন সফল হবার নয়। বেচারা সহকারি মহাসচিবকে অত্যন্ত অপমানজনকভাবে এ দেশ থেকে চলে যেতে হয়েছে। আমাদের নির্বাচনকালীন রুটীনওয়ার্কের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার সাথে শেষ বৈঠকটাও বাতিল করে দিয়েছেন। মহাসচিব ফোন করেছিলেন জন কেরি ফোন করেছিলেন। নব্য আওয়ামী লীগার রাশেদ খান মেনন জানিয়েছেন জন কেরি ফোন করে নাকি কাদের মোল্লাকে ফাঁসি না দিতে অনুরোধ করেছিলেন। কাদের মোল্লাকে হত্যা না করতে অনুরোধ করেছিলেন তুরষ্কের প্রেসিডেন্টসহ আরও অনেকে। প্রধানমন্ত্রী তাদের কারও অনুরোধ রাখেন নাই। নিন্দুকেরা বলে ওবামা যদি ফোন করে বসে এই চিন্তা থেকে নাকি ফাঁসির সময় এক ঘন্টা এগিয়ে এনে রকেট গতিতে কাদের মোল্লাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। এইসব বিশ্বনেতাদের অনুরোধ তো রাখেনই নাই সেদিন দম্ভোক্তি করেছেন, যাকে দিয়েই ফোন করান লাভ হবেনা!
বিবেকবান মানুষ যাদের কিছুটা বুদ্ধিসুদ্ধি আছে, থ' মেরে গেছে। ভদ্রমহিলা বললেন কি! বান কি মুন বা জন কেরি আসলেই কাদের মোল্লার প্রানরক্ষার অনুরোধ করেছিলেন কিনা জানিনা তবে গোটা পশ্চিমা দুনিয়া ইউরোপ আমেরিকা চীন রাশিয়া উন্নয়ন সহযোগী মানবাধিকার সংস্থা- সকলেই যে বাংলাদেশে একটা গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের জন্য শেখ হাসিনাকে বলে আসছিলো তা সবাই জানে। তারানকো ছয় দিন ঢাকায় কাটিয়ে সেই চেষ্টাই করে গেছেন। শেখ হাসিনা কারও কথাই শোনেন নাই। শুনেছেন কার কথা! একমাত্র ভারতের কথা। কথায় আছে ছাগল কুদে খুঁটির জোড়ে। লোকে বলে মাননীয় শেখ হাসিনার আজ যে এই দম্ভ বা শক্তি তার উৎস বাংলাদেশ বা বাংলাদেশের জনগন নয়- ভারত। তার অর্থ ভারতই তাকে পরিচালিত করছে। একথা একটা দুগ্ধপোষ্য শিশুও বোঝে বিশ্ব সম্প্রদায়কে অবজ্ঞা করা উপেক্ষা করা কারও কথা না শোনার অর্থ হচ্ছে সারা দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া। শেখ হাসিনার সেদিনের সেই দম্ভোক্তির এটাই সরল অর্থ- ভারত চাইছে বাংলাদেশকে গোটা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে। শুধুমাত্র তাদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে!
এইযে বিশ্ব সম্প্রদায়ের অনুরোধ উপেক্ষা কারও কথায় কান না দেয়া, সকলের মতামতের বাইরে গিয়ে একটা প্রহসনের নির্বাচন-, এর প্রতিক্রিয়াটা কি দাঁড়াবে শেষ পর্যন্ত! ভদ্রসন্তান সভ্য ভব্য বা নিদেনপক্ষে যার মান সম্মান আছে কেউ পারতপক্ষে কোন বিষয়ে শেখ হাসিনাকে আর ফোন করবেন না। কোন অনুরোধ করবেন না। আমরা একঘরে হয়ে যাবো। ভারতের ওপর নির্ভরশীল থাকতে থাকতে এক সময় ভারতেরই অংশ হয়ে যাবো! ভারত যে সকল সুশীলসমাজ মিডিয়া সাংবাদিক রাজনীতিজীবি বুদ্ধিজীবি সংষ্কৃতিজীবি পুষছে তারাই এক সময় আওয়াজ তুলবে আর কেন আলাদা থাকা, অভিন্ন ইতিহাস ঐতিহ্য সংষ্কৃতি আমাদের, আসুন আমরা সকলে মিলে মহাভারত গড়ে তুলে গান্ধীজীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করি! ভারত কি তাই চাচ্ছে!
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব যে কোন পর্যায়ে আছে ভারতের স্বরাষ্ট্রসচিবের সাম্প্রতিক ঢাকা সফরের সময়ই তা খোলাশা হয়ে গেছে। সেটা আরও পরিষ্কার জানা গেল কলকাতার প্রভাবশালী পত্রিকা আনন্দবাজারের এক রিপোর্টে। ১৪ ডিসেম্বর 'বাংলাদেশ নিয়ে আমেরিকাকে চাপ ভারতের' শীর্ষক প্রতিবেদনে লিখেছে 'বাংলাদেশ নিয়ে হোয়াইট হাউসের অবস্থানে হতাশ সাউথ ব্লক। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে, কোনো আড়াল না রেখেই সেই হতাশার কথা আমেরিকাকে জানানো হয়েছে। .... ভারতের পররাষ্ট্রসচিব সুজাতা সিংহ তার সদ্যসমাপ্ত মার্কিন সফরে সে দেশের পররাষ্ট্রসচিব ওয়েন্ডি শেরম্যানের সঙ্গে ঢাকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। আনন্দবাজারের ভাষায়, জামায়াতের হিংসাত্মক কাজের জন্য দেশের পরিস্থিতি যে ক্রমশই হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, সে কথাই আলোচনার মাধ্যমে আমেরিকাকে বোঝানোর চেষ্টা করছে নয়া দিল্লি।'
এই হলো বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের সর্বশেষ মর্যাদা। সুজাতা সিং ঢাকা থেকে ফিরেই ওয়াশিংটন গেলেন বাংলাদেশ প্রশ্নে আমেরিকাকে সাথে পেতে! অর্থাৎ বাংলাদেশের জনগন নয় এ দেশের ভাগ্য নির্দ্ধারণ করে দেবে ভারত। দিলোও তাই। নির্বাচনের নামে প্রহসনটা তো মঞ্চস্থ করিয়েই ছাড়লো। কে ঠেকাতে পারলো তা! টিভি চ্যানেলের টক শো'গুলোয় দেখি পন্ডিতকূল গড়ম কফির মগে আয়েশী চুমুক দিয়ে বলছেন এই নির্বাচন গ্রহযোগ্যতা পাবেনা। মনে মনে হাসি, কার কাছে গ্রহযোগ্যতা! নির্বাচন করালো ইন্ডিয়া। তারাই চেয়েছিল বিএনপি যাতে নির্বাচনে না আসে, বিএনপি আসতে পারে নাই। ভারতই চেয়েছে শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করুক। শেখ হাসিনা তাই করতে যাচ্ছেন। এই তামাশাকে ভারত যদি নির্বাচন বলে গ্রহন করে তাহলেই তো হয়ে গেল। বাদবাকি দুনিয়া কে কি বললো তাতে মাননীয় শেখ হাসিনার কি আসে যায় বা ভারতেরই কি আসে যায়!
একদলীয় নির্বাচন হলেও বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় ১৫৪ জন-, এতটা বোধহয় ভারতের আশা ছিলনা। প্লান প্রগ্রাম ঠিকই ছিল, আশার গুড়ে ছাই ফেলে দিয়েছেন বেরসিক হুসেইন মো: এরশাদ। তিনি যদি সদলবলে নির্বাচনে থাকতেন অন্তত: ব্যপারটা এমন হাসাহাসির পর্যায়ে চলে যেতোনা। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত ভোট ডাকাতির নির্বাচনেও মাত্র ১১জন বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়ে আসার মেকানিজন করতে পেরেছিলেন। '৮৮-এর নির্বাচনে এসেছিল ১৮ জন। '৯৬-এ ৪৯জন। সেদিক থেকে এই ফলাফল শুধু বাংলাদেশের নির্বাচনী ইতিহাসে নয় বিশ্ব নির্বাচনের ইতিহাসেও একটা রেকর্ড! দূর্নীতিতে পরপর পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের খেতাব অর্জন করেছিলাম। এখন নির্বাচন নামের জালিয়াতিতেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের খেতাব পেয়ে গেলাম!
কি হবে এরপর! বিদগ্ধকূল নিজ নিজ মনকে প্রবোধ দেয়া চেষ্টা করছেন এই নির্বাচন গ্রহনযোগ্যতা পাবেনা। না পাক। এই নির্বাচন কেউ মেনে নেবেনা। না মানুক। ইন্ডিয়া কি কারও মানা না মানার আশায় এই প্রহসনটা মঞ্চস্থ করালো? তাদের দরকার শেখ হাসিনাকে দিয়ে নতুন করে সরকার বসানো। ৫ তারিখের পর শেখ হাসিনা সদর্পে তৃতীয়বারের মত প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাবেন। এতদিন একটা জ্বালা ছিল, কথায় কথায় বেগম জিয়াকে বলা হতো 'তিনবারের প্রধানমন্ত্রী'। এবার মাননীয় শেখ হাসিনাও সে কাতারে এসে যেতে পারবেন! তিনিও বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খেতাবে ভূষিত হবেন! কেউ প্রশ্ন করতে পারেন কতদিন টিকবে সেই ভূয়া সংসদ বা গায়ের জোরের সরকার। সহজ উত্তর- যতদিন ইন্ডিয়া চাইবে।
খুব করুণা হয় বিএনপি নামের দলটির জন্য। এমন অপদার্থ বিরোধী দল এর আগে কখনও দেখেছি মনে পড়েনা। গোটা দেশের মানুষের সমর্থন এই দলটির প্রতি, অথচ তারা সে সমর্থন কোন কাজে লাগাতে পারলো না! শুধু অপেক্ষাই করে গেল 'দেখি চোরায় কি করে!' 'চোরায়' এখন কম্ম সাবাড় করে সরকার গঠন করে পাঁচ বছরের জন্য বসে যাচ্ছে তারপরও বসে আছে সংলাপের ডাকের জন্য, কখন সৈয়দ আশরাফ একটা ফোন করে। হরতাল ডেকে কেউ মাঠে থাকেনা অবরোধ ডেকে নেতারা নিজেরাই ঘরে অবরুদ্ধ হয়ে থাকে। কোন দিকনির্দেশনা নাই। কর্মসূচী চলাকালে যে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিং করতে হয় কর্মীদের মনোবল ধরে রাখতে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে হয় আহত নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানাতে তাদের খোঁজখবর নিতে হয় গ্রেপ্তারকৃতদের জন্য আইনী সাহায্য দিতে হয়-, কোন কিছুই নাই। নেত্রী নিজেই আবির্ভূত হন কালেভদ্রে! বাংলাদেশের ৪২ বছরের ইতিহাসে বর্তমানের আওয়ামী লীগ সরকারের মত এতটা অজনপ্রিয় সরকার আর কখনও দেখা যায় নাই। বঙ্গবন্ধুর সরকারের প্রতি মানুষের সমর্থন এক পর্যায়ে তলানীতে চলে এসেছিল কিন্তু সে সরকার অতটা গননিন্দিত ছিলনা। আজকের আওয়ামী লীগ সরকার শুধু গননিন্দিতই নয় এক কথায় গনধিকৃত। আবার আজকের বিরোধী দলের মত এতটা জনসমর্থনও আর কোন বিরোধীদল ইতিপূর্বে পায় নাই। কিন্তু অকর্মন্যতা অযোগ্যতা অপদার্থতা ভীতি এবং এক শ্রেণীর নেতার সম্পদ রক্ষার চেষ্টার কারনে এরা কিছুই করতে পারলোনা। শেখ হাসিনাকে সর্বনাশা পথ থেকে ফেরাতে পারলোনা। এখনও বসে আছে সরকার সমঝোতার পথে আসবে! শেখ হাসিনা বর্তমান তফশীল বাতিল করে নির্দলীয় তত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন দেবেন। নির্বাচনের নামে এই তামাশা মঞ্চস্থ হয়ে যাবার পরও আপ্তবাক্য আউড়াচ্ছে এই নির্বাচন গ্রহনযোগ্যতা পাবেনা। আশায় বসে আছে আন্তর্জাতিক মহল চাপ সৃস্টি করে এই নির্বাচন বাতিল করাবে। বলছে ৫ তারিখের পর শেখ হাসিনা যদি সরকার গঠন করেও ফেলেন সেটা হবে স্বল্পকালীন সময়ের জন্য! সেই যে সেই গল্পের মত, চাকরি পেলেও বেতন পাবেনা, বেতন পেলেও সেই টাকা বাজারে চলবেনা!
মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ষ্পষ্ট বলে দিয়েছেন বিএনপি নির্বাচনী ট্রেন মিস করেছে। আমি দেখছি শুধু মিস নয় বিএনপির সামনে আর কোন ট্রেনই নাই। বিএনপির বড় ভুল শেখ হাসিনাকে বুঝতে না পারা ইন্ডিয়াকে আন্ডারমাইন করা অতিমাত্রায় পশ্চিমাদের ওপর নির্ভরশীলতা এবং গনমানুষের আকাংখার সাথে তাল মেলাতে না পারা। প্রথম থেকেই উচিত ছিল তত্বাবধায়কের দাবীতে গোঁ ধরে বসে না থেকে শেখ হাসিনাকে দিয়ে এমন একটা নির্বাচনের আয়োজন করানো যাতে শেখ হাসিনার ধারনা থাকতো তিনিই জিতবেন। দ্বিতীয়ত: যখন বোঝা গেল ইন্ডিয়া চাইছেনা বিএনপি নির্বাচনে আসুক তখনই যে কোন উপায়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত থাকা। সরকার ভোট ডাকাতি বা মেকানিজমের মাধ্যমে জেতার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে সে সময় আন্দোলন গড়ে তুলতে পারতো। সে আন্দোলনে ব্যপক জনগনের অংশগ্রহন হয়ে উঠতো যৌক্তিক এবং সে আন্দোলন ঠেকানো সরকারের পক্ষে খুব সহজ হতো না।
শুধু বিএনপি নয় সরকারের বিরোধী যারাই-, সামনে সবার জন্য খুব খারাপ সময়। যার এক কান কাটা সে রাস্তার এক পাশ দিয়ে হাঁটে। আর যার দুই কানই কাটা সে রাস্তার মাঝখান দিয়ে চলে। তামাশার নির্বাচন করিয়ে এদের দুই কানই কাটা গেছে। যারা এই প্রহসনের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি হয়েছে তারা এক কাঠি সরস। মনুষ্যজনমের কোন প্রাণী হলে লজ্জায় মরে যেতো। কিন্তু এরা নির্বিকার। রাশেদ খান মেননের মত লোক দাঁত বের করে হাসেন। কাজেই এদের পক্ষে যে কোন কিছুই করা সম্ভব। মাননীয় শেখ হাসিনা তার পিতার সব স্বপ্নই পুরন করেছেন। একটা বাকি আছে। বাকশাল। বঙ্গবন্ধু বাকশাল কায়েম করেও তার বাস্তবায়ন দেখে যেতে পারেন নাই। ধারনা করছি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরী কন্যা শেখ হাসিনা এবার বঙ্গবন্ধুর সেই অসমাপ্ত স্বপ্নকে পুরন করবেন ইনশাল্লাহ। ইতিমধ্যে আলামত যা- দেশ দ্রুতবেগে ধাবিত হয়ে চলেছে সেই পথে। বঙ্গবন্ধু ইনু ভাই মেনন ভাইদের গনবাহিনী বিপ্লবী বাহিনীর সাথে কুলাতে না পেরে শেষমেস সব দল ব্যান্ড করে দিয়ে বিরোধী দলের নেতাদেরকে জেলে নিয়ে কর্মীদেরকে আন্ডারগ্রাউন্ডে পাঠিয়ে একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা কায়েম করেছিলেন। আজকে শেখ হাসিনা যে পরিস্থিতি সৃস্টি করেছেন তাতে তাকেও সে পথই ধরতে হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সাথে সেদিন স্যাঙাৎ হয়েছিলো মনি সিংহের সিপিবি অধ্যাপক মোজাফ্ফরের ন্যাপ এবং সুরঞ্জিত বাবুদের একতা পার্টি। ইতিহাসের কি নির্মম পরিহাস আজ শেখ হাসিনার নব্য বাকশালে পোঁ ধরেছেন ইনু মেননরা!
দেশ দেশের মানুষ সর্বোপরি মাননীয় শেখ হাসিনাকে ধ্বংশের হাত রক্ষা করবে কে! কোন উপায় কি আছে!
১৬ ডিসেম্বর, '১৩
__._,_.___