Sun, 26 January , 2014
জাফরের চিনিতে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাবে বিএনপি!
শামস্ সয়ূজ
'ন্যাড়া নাকি একবারই বেলতলায় যায়'। আমাদের সমাজে বহুলপ্রচলিত একটি বাক্য। ন্যাড়ার বেলতলায় যাবার কারণ সন্ধানে মাথা ঘামান না কেউ। তবে তর্কে পারদর্শী কেউ কেউ আবার এককাঠি সরেস। পাকা বেলের আঘাতে মাথা থ্যাঁতলানোর দুঃখ ভুলে যাবার জন্য না হলেও সেই বেল তুলে আনার জন্য নাকি ন্যাড়ার পুনরায় বেলতলায় যাওয়া উচিৎ। কাজী জাফরের জন্য একবার দুবার নয় নিয়মিতই বেলতলায় গমনই যেন ভবিতব্য। তা সে মাথায় বেল-ই পড়–ক কিংবা পাকা কাঁঠাল ।
দেশের রাজনীতির বর্তমান 'বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেড়ো' অবস্থায় হাসফাঁস করতে থাকা জনগণের জন্য বারবার 'কমিক রিলিফ' হয়ে এসেছেন হু মু এরশাদ এবং অভিমানি কাজী জাফর। হাজারো কষ্টের মাঝেও তারা দুজনে আমাদের বিনোদনের যে ব্যবস্থা করেছেন এর জন্য কিছুটা হলেও ধন্যবাদ তাদের প্রাপ্য ।
নানা নাটক আর টালবাহানা শেষে, অনেক জল ঘোলা করে এরশাদ গেলেন আওয়ামী লীগের সাথে। তার দল এখন বিরোধী এবং সরকার দুপক্ষেই। এরশাদকে না পেয়ে বিএনপি কাছে টেনে নিল তার একসময়কার প্রিয় শিষ্য কাজী জাফরকে। অনেক না পাওয়া কিংবা হারানোর বেদনায় জাফরও খন্ড-বিখ- দলের ঝা-া হাতে শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ১৮ দলীয় জোটের সম্প্রসারণ ঘটালেন ।
প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় দুটো বহুল চর্চিত ঘটনা বলা যেতে পারে এরশাদের মায়ের মৃত্যুর পর সবাই দেখতে পেলো এরশাদের চেয়ে বেশি কাঁদছেন কাজী জাফর! তখন একটা রিপোর্ট খুব আলোচিত হয়েছিল! রিপোর্টটি ছিল, এরশাদ তার মায়ের মৃত্যুতে কাজী জাফরের ক্রন্দন দেখে তাকে স্বান্তনা দিয়ে বলছেন, 'কান্দিস না জাফর, সবারই মা মারা যায়'!
আরেকটি ঘটনা, বিটিভির 'নতুন কুঁড়ি'র একটি দৃশ্য যেখানে শিশু শিল্পী ঈশিতা একটি গরীব নারীর ভূমিকায় অভিনয় করছিলেন। এরশাদ সেই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তার মন্ত্রীদের নিয়ে। এরশাদের পাশেই ছিলেন কাজী জাফর। ঈশিতার অভিনয় দেখে এরশাদ মুগ্ধ, কেঁদে ফেললেন তিনি। ক্যামেরা সেই দৃশ্য ধারণ করে বারবার দেখাচ্ছিল। উৎফুল্ল জাফর হঠাৎ এরশাদের দিকে তাকিয়ে দেখলেনÑ এরশাদ কাঁদছেন! আর যায় কোথায়, জাফরের উৎফুল্ল মুখটি হঠাৎই করুণ হয়ে গেল। শুরু করে দিলেন কান্না। সে কী কান্না! রুমাল দিয়ে বারবার চোখ মোছেন, কিন্তু কান্না আর থামাতে পারছিলেন না তিনি। যাকে বলে আউট অব কন্ট্রোল। ঈশিতার অভিনয়ের চেয়ে সেদিন ঐ অনুষ্ঠানটি তাদের অভিনয়ে মুখরিত হয়ে উঠেছিল পুরো দর্শক মঞ্চে।
এক সময় ইউপিপি নেতা কাজী জাফরের 'নয়াযুগ' নামের একটি পত্রিকা ছিল। পত্রিকার মাস্টহেডের নিচে লেখা থাকত, 'টঙ্গির শ্রমিকদের অর্থে প্রতিষ্ঠিত'। বামপন্থী কাজী জাফর তখন টঙ্গির শ্রমিকনেতা হিসেবে পরিচিত।
সেই কাজী জাফর প্রথম চরিত্র হারান জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনের পক্ষে গিয়ে! জিয়া তাকে শিক্ষামন্ত্রী করেন। আবার ব্যবহার করা টয়লেট পেপারের মতো পরে ছুঁড়ে ফেলেও দেন! এরপর এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হলে ইউপিপির ব্যানার নিয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সাতদলীয় জোটে যোগ দেন মি. জাফর। আবার সুযোগমতো খালেদা জিয়াকে ফেলে এরশাদের কোলে চলে যান! এরপর অনেক কান্ড-কারখানার পর খেতাব পান 'চিনি জাফর!
'এরশাদ ও জাফরের রাজনীতির মধ্যে চমৎকার মিল হচ্ছে, দুজনেই নির্লজ্জ, বেহায়া, ভয়ানক মিথ্যেবাদী। এমন কোনো বিষয় নেই, যে বিষয়ে তারা মিথ্যে বলতে পারেন না। কোনো বিষয়েই তাদের কোনো লজ্জা নেই। তাদের পক্ষে সব সম্ভব। স্বৈরশাসক এরশাদ যখন রাষ্ট্রপতি, তখন তার সরকারে সেজন্যই প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জাফর।' মন্তব্যটি জাতীয় পার্টির শীর্ষ এক নেতার ।
সেই জাফর এখন বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের আনুষ্ঠানিক অংশীদার। এরশাদ গেছেন যে পথে তার একসময়ের প্রিয় বান্দা জাফর হাঁটলেন ঠিক উল্টো পথে। বাংলাদেশের রাজনীতির দুই জোকার যেখানে দুই শিবিরে আসন পাতলেন তখন দেখার বিষয় একটাই, মুক্তিযোদ্ধা জাফরকে পাশে টেনে বিএনপি 'জামায়াত-কলংক' কতটা ফিকে করতে পারে!
এ সংশ্লিষ্ট আরো খবর :-
- See more at: http://www.bengalinews24.com/opinion-bangla/2014/01/26/40273#sthash.fEvDXr2e.dpuf
¯'vbxq mgq : 0547 NÈv , 26 Rvbyqvwi 2014
http://www.bengalinews24.com/opinion-bangla/2014/01/26/40273
-
জাফরের চিনিতে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাবে বিএনপি! - bengalinews24.com
15 hours ago - আবার ব্যবহার করা টয়লেট পেপারের মতো পরে ছুঁড়ে ফেলেও দেন! এরপর এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হলে ইউপিপির ব্যানার নিয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সাতদলীয় জোটে যোগ দেন মি. জাফর। আবার সুযোগমতো খালেদা জিয়াকে ফেলে এরশাদের কোলে চলে যান! এরপর অনেক কান্ড-কারখানার পর খেতাব পান 'চিনি জাফর! 'এরশাদ ও জাফরের রাজনীতির ...
Memory Lane:
__._,_.___