ধর্মান্ধ মৌলবাদী শক্তি রুখতে নারী সমাজের শপথ
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, চাঁদপুর
নারীর অগ্রযাত্রাকে রুখতেই একটি মহল গত ২২ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নূরজাহান বেগমের ওপর হামলা করেছে। নূরজাহানের মতো সব নির্যাতিত ও সহিংসতার শিকার নারী সমাজের পাশে শক্তি হিসেবে থেকে ধর্মান্ধ ও মৌলবাদী শক্তির বিরুদ্ধে স্বাধীনতার চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার শপথ নিয়েছেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও নারী সংগঠনের নারী নেত্রীরা। এ সময় তারা হামলার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানান।
গতকাল শহীদ মিনারে ইউপি সদস্যের ওপর হামলা ও হিন্দু নারী ধর্ষণ ঘটনার প্রতিবাদে 'ঐক্যবদ্ধ নারী সমাজ' আয়োজিত এক সমাবেশে শপথ নিয়ে এ দাবি জানান নেত্রীরা। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব্য ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ তারানা হালিমের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম, মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী আশরাফুন্নেসা মোশাররফ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তি ড. এনামুল হক ও লাকী ইনাম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, সংসদীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মমতাজ বেগম এবং আওয়ামী লীগ নেতা শাহ্ আলম মুরাদ ও বলরাম পোদ্দার। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংসদ ফরিদা আক্তার হীরা ও মাহফুজা ম-ল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বিলকিস ফাতেমা এবং নারী নেত্রী সৈয়দা রাজিয়া মোস্তফা।
আয়েশা খানম বলেন, বর্তমানে তৃণমূল থেকে উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত নারীরা রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারিভাবে দায়িত্ব পালন করছে। কল-কারখানায় কাজ করে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখছে। কিন্তু একটি মহল ধর্মের অপব্যবহার করে নারীর এই অগ্রযাত্রাকে রুখতে চায়। প্রকাশ্যে দিবালোকে বাস থেকে নামিয়ে ইউপি সদস্য নূরজাহানের ওপর হামলায় তা স্পষ্টতই বুঝা যায়। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে কুচক্রি ও হামলাকারী মহলের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান। তারানা হালিম বলেন, নূরজাহানের ওপর হামলা করছে ছাত্রদল কর্মীরা আর অন্য দিকে হিন্দু নারীদের ধর্ষণ করছে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। হামলাকারীরা এতটাই নরপশু যে রগের পাশাপাশি শরীরের অন্যান্য স্পর্শকাতর অঙ্গও কর্তন করেছে। এসব হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি। এছাড়া নারী সমাজকে প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় থাকার আহ্বানও জানান তারানা হালিম।
ড. এনামুল হক বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধকে ও স্বাধীনতাকে শ্রদ্ধা করে না তারাই নারী সমাজের ওপর হামলা করছে। এই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিটি ঘরে ঘরে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
সমাবেশ শেষে সব নারী নেত্রীরা তারানা হালিমের কণ্ঠে এক সঙ্গে শপথ নেন। এছাড়া আইন ও সালিশ কেন্দ্র, মহিলা আওয়ামী লীগ, অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশাল ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশ বুক ক্লাব, নারী প্রগতি সংঘ এবং স্বাধীনতা শিক্ষক ফোরামও সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে। - See more at: http://www.thedailysangbad.com/index.php?ref=MjBfMDJfMDJfMTRfMV8xNF8xXzE1NDUxNg==#sthash.YVujsFWe.dpuf
__._,_.___