প্রকাশ : ২১ জুলাই, ২০১৪ ২১:৪৫:৪১আপডেট : ২১ জুলাই, ২০১৪ ২১:৪৫:৩৯ |
রাজধানীর রামপুরায় রোগী দেখার সময় ভুয়া এমবিবিএস চিকিৎসকসহ তার সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের দুই বছরের কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
তারা হলেন- ভুয়া চিকিৎসক এইচ আব্দুল কাইয়ুম (৩০) ও তার সহযোগী মো. মোখলেছুর রহমান (৪৫)। কাইয়ুম রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানার মৃত আ. জলিলের ছেলে। মোখলেছুর রহমান নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার মৃত সিরাজুল হকের ছেলে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় ৩৩৪/৩, উলন রোড, পশ্চিম রামপুরার হিরোসাকি ফার্মেসিতে র্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এইচ.এম আনোয়ার পাশা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ডা. স্বপন কুমার তপাদারের সমন্বয়ে মোবাইল কোর্ট অভিযান চালায়। অভিযানে রোগী দেখার সময় ভুয়া এমবিবিএস চিকিৎসক আব্দুল কাইয়ুমকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত জানায়, দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল কাইয়ুম দুই বছর ধরে উলন রোডের হিরোসাকি ফার্মেসিতে এমবিবিএস চিকিৎসক সেজে চিকিৎসা প্রদান করে আসছিলেন। অভিযানের সময় এক নারীর ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছিলেন তিনি।
ভুয়া চিকিৎসক আব্দুল কাইয়ুম জানান, তিনি প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি থেকে পাঁচ বছর মেয়াদী এমবিবিএস কোর্স করে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল থেকে এক বছরের ইন্টার্নি করেন।
তবে তিনি জিজ্ঞাসাবাদে তার সার্টিফিকেট ভুয়া বলে স্বীকার করেন। তিনি জানান, পাঁচ বছরের এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হলেও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে কোন ক্লাস হয় না। পড়াশুনা ছাড়াই সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। তিনি পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে সেখান থেকে ভুয়া সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেছেন।
তিনি আরও জানান, তার মতো আরও প্রায় দুই শতাধিক ব্যক্তি এভাবে এমবিবিএস সার্টিফিকেট ক্রয় করে সারাদেশে চিকিৎসা প্রদান করছেন। তারা নিজেরাই ভুয়া কাউন্সিল গঠন করে নিজেদের রেজিস্ট্রেশন প্রদান করে দেশের প্রচলিত আইন অমান্য করে চিকিৎসা প্রদান করছেন।
র্যাবের অভিযানে সহযোগীসহ ভুয়া চিকিৎসক আটক:
এবার স্বর্ণসহ ইমাম আটক
__._,_.___