জিয়ার কবরে ফুল দিতে গিয়ে রক্তক্ষয়ী হানাহানি, ৬১ জন নিহত
নিজস্ব মতিবেদক
একাত্তরের রেম্ব, সাবেক স্বৈরাচার রাস্ট্রপতি ও বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার প্রতিষ্ঠাতা আমীর জেনারেল জিয়ার চন্দৃমা উদ্যানস্থ কবরে ফুল দিতে গিয়ে রক্তক্ষয়ী হানাহানিতে জড়িয়ে পড়েছে বিএনপি শাখার নেতা কর্মী বৃন্দ।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ হানাহানিতে ৬১ জন নিহত হয়েছে।
বিএনপি শাখার পল্লবী থানা পাতিশাখার বিএনপি মুজাহিদদের দুই পক্ষের মধ্যে এ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়।
আজ বিএনপি শাখার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকি উপলক্ষে মহানগরের অলি গলি হতে বিএনপি শাখার সমর্থকরা মিছিল করে চন্দৃমা উদ্যানে একাত্তরের রেম্বর কবরে উপস্থিত হন। এ সময় অগনিত ভক্তের পদভারে চন্দৃমা উদ্যান কেপে উঠে। কবরে ফুল দিতে উপস্থিত মুজাহিদদের অনেককে এ সময় 'জিয়া জ্বলে জাঁ জ্বলে' গানে মুখরিত হতে দেখা যায়।
মিছিলের এক পর্যায়ে পল্লবী থানা বিএনপি পাতিশাখার জনৈক কেডার 'জিয়া জিয়া রে জিয়া রে' গান গাওয়া শুরু করলে 'জিয়া জ্বলে জাঁ জ্বলে' গান গাওয়া পল্লবী থানা পাতিশাখার অপর এক মুজাহিদ তাকে ধাক্কা দিয়ে 'জিয়া জ্বলে জাঁ জ্বলে' গাওয়ার আদেশ দেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পল্লবী থানা পাতিশাখার কেডাররা পকেট হতে বাশের লাঠি বের করে পরস্পরের উপর হামলা শুরু করলে মুহুর্তের মধ্যে চন্দৃমা উদ্যান রনক্ষেত্রে পরিনত হয়।
জিয়া জ্বলে জাঁ জ্বলে
এ সময় পুলিশকে অসহায় দর্শকের ভুমিকায় দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
দাংগায় নিহত ও আহতদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার এক ঘণ্টা পর ভোর দুইটার দিকে বিএনপি শাখার মহিলা আমীর ও জাতীয়তাবাদী শক্তির মালিক আপোষহীন দেশনেত্রী মাদারে গনতন্ত্র বেগম খালেদা জিয়া জেএসসি জিয়ার কবরে পুস্প স্তবক অর্পন করতে আসেন।
এ সময় বিএনপি শাখার ঢাকা মহানগর উপশাখার আমীর বংগ মলটভ মির্জা আব্বাসের কাছে কবর দাংগায় হতাহতদের সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিএনপি শাখায় বহু মতের মানুষ আছে। সমাজে বহু মতের মানুষ থাকলে একটু আধটু খুনাখুনি হইতেই পারে।
মির্জা আব্বাস মেডামের জন্মদিনে কেক খাওয়া নিয়ে হানাহানি, ঈদের সিজনে সালামী নিয়ে হানাহানি ও কিছু কাল পুর্বে জিয়ার কবরে পুস্প দিতে গিয়ে চুলাচুলির কথা স্মরন করিয়ে দিয়ে বলেন, গনতন্ত্রের চর্চা করতে গেলে কিছু তেগ স্বিকার করতে হয়। আজকের দাংগায় হতাহতরা তেগের আদর্শ নিয়া চলে। এতে খারাপ কিছু নাই।
জিয়ার কবরে ফুল দিতে উপস্থিত বিএনপি শাখার মানবাধিকার উপশাখার আমীর আদিলুর রহমান শুভ্র ওরফে কানাবাবা শুভ্র মতিকণ্ঠকে বলেন, আজ কবর দাংগায় ৬১ জন নিহত হইছে।
কিভাবে তিনি এ সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হলেন, এমন প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে কানাবাবা শুভ্র বলেন, মতিঝিলে ৬১ জনের মৃত্যু রাসায়নিক অস্ত্রে?।
__._,_.___