'নিজামীকে মন্ত্রী বানানো শহীদদের গালে চড় মারার শামিল'
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজামী মনপ্রাণ দিয়ে শুধু বাংলাদেশের বিরোধিতাই করেননি, তিনি পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরী, আজহারুল হক ও হুমায়ুন কবিরের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা সাক্ষ্যের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে। অথচ এই নিজামীকেই বাংলাদেশের মন্ত্রী করা হয়েছিল, যা ছিল বড় ধরনের ভুল এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের গালে কষে চড় মারার শামিল। একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, উসকানি ও সহায়তা, পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বের তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গতকাল বুধবার নিজামীর উপস্থিতিতে জনাকীর্ণ আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণার সময় উপরোক্ত পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করেন।
আলবদর বাহিনী সম্পর্কে ট্রাইব্যুনাল বলেন, নিজামী শুধু আলবদর বাহিনীর প্রধানই ছিলেন না, এটি গঠনের ক্ষেত্রেও মূল হোতা ছিলেন। এ ছাড়া ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি নিখিল পাকিস্তান ছাত্রসংঘের সভাপতি ছিলেন, যা বর্তমানে ছাত্রশিবির নামে পরিচিত। আলবদর বাহিনী ছিল ছাত্রসংঘের 'অ্যাকশন সেকশন'। স্পষ্টতই ছাত্রসংঘ ও আলবদরের ওপরে নিজামীর দৃঢ় নিয়ন্ত্রণ ছিল।
রায় ঘোষণার সময় আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, বর্তমান জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী আলবদর বাহিনীর প্রধান হিসেবে ১৯৭১ সালে হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, অপরাধ সংঘটনে উসকানি ও সহায়তা, পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।
নিজামীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনীত অভিযোগ নম্বর ১-এ বলা হয়েছে একাত্তরের ৩ আগস্ট নিজামী চট্টগ্রাম মুসলিম
ইনস্টিটিউট হলে শহর ছাত্রসংঘের এক সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন। তিনি সেখানে পাকিস্তান রক্ষার পক্ষে কথা বলেন। ওই সভায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রসংঘের সভাপতি আবু তাহের হিন্দু সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করার আদেশ দেন। নিজামী ওই সভায় উপস্থিত থেকেও আবু তাহেরের বক্তব্যের বিরোধিতা না করে মৌন সম্মতি দেন। ট্রাইব্যুনাল তার পর্যবেক্ষণে এই আলবদরকে শুধু অপরাধী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করেননি বরং আলবদরকে একটি সাম্প্রদায়িক সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, '৭১-এর আলবদর প্রধান স্বাধীনতাবিরোধী নিজামী পরবর্তী সময়ে সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক শীর্ষ ব্যক্তিত্ব হলেও তার জন্য আইন একই হবে বলে পর্যবেক্ষণে মন্তব্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
একাত্তরের ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতি মতিউর রহমান নিজামী নিজেকে ইসলামিস্ট কলার হিসেবে দাবি করলেও একাত্তরে তিনি এবং তার গঠিত আলবদর বাহিনী ইসলাম ধর্মের অপব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। ইসলামের বিধিবিধান না মেনে হত্যা গণহত্যায় অংশগ্রহণ ও সহায়তা করেছেন। তৎকালীন তরুণ প্রজন্মকে বিপথগামী আলবদর বাহিনীতে যোগদানে উৎসাহিত করেছেন নিজামী। নিজামী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে দুষ্কৃতকারী, ভারতের অনুচর, অনুপ্রবেশকারী আখ্যা দিয়ে এবং তাদেরকে সমূলে নির্মূল করার প্রত্যয়ে হত্যা করেছে আলবদর বাহিনী। একই সঙ্গে হিন্দুদের পাকিস্তানের দুশমন ও ইসলামের শত্রু আখ্যা দিয়ে সমূলে নির্মূল করার চেষ্টা করে আলবদর। নিজামী সারাদেশের আলবদর বাহিনীকে পরিচালিত করার মাধ্যমে সুপ্রিম সুপিরিয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন।
- See more at: http://www.manobkantha.com/2014/10/30/197120.html#sthash.rbGAd9Ha.dpufনিজামী মনপ্রাণ দিয়ে শুধু বাংলাদেশের বিরোধিতাই করেননি, তিনি পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরী, আজহারুল হক ও হুমায়ুন কবিরের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা সাক্ষ্যের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে। অথচ এই নিজামীকেই বাংলাদেশের মন্ত্রী করা হয়েছিল, যা ছিল বড় ধরনের ভুল এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের গালে কষে চড় মারার শামিল। একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, উসকানি ও সহায়তা, পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বের তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গতকাল বুধবার নিজামীর উপস্থিতিতে জনাকীর্ণ আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণার সময় উপরোক্ত পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করেন।
আলবদর বাহিনী সম্পর্কে ট্রাইব্যুনাল বলেন, নিজামী শুধু আলবদর বাহিনীর প্রধানই ছিলেন না, এটি গঠনের ক্ষেত্রেও মূল হোতা ছিলেন। এ ছাড়া ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি নিখিল পাকিস্তান ছাত্রসংঘের সভাপতি ছিলেন, যা বর্তমানে ছাত্রশিবির নামে পরিচিত। আলবদর বাহিনী ছিল ছাত্রসংঘের 'অ্যাকশন সেকশন'। স্পষ্টতই ছাত্রসংঘ ও আলবদরের ওপরে নিজামীর দৃঢ় নিয়ন্ত্রণ ছিল।
রায় ঘোষণার সময় আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, বর্তমান জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী আলবদর বাহিনীর প্রধান হিসেবে ১৯৭১ সালে হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, অপরাধ সংঘটনে উসকানি ও সহায়তা, পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।
নিজামীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনীত অভিযোগ নম্বর ১-এ বলা হয়েছে একাত্তরের ৩ আগস্ট নিজামী চট্টগ্রাম মুসলিম
ইনস্টিটিউট হলে শহর ছাত্রসংঘের এক সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন। তিনি সেখানে পাকিস্তান রক্ষার পক্ষে কথা বলেন। ওই সভায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রসংঘের সভাপতি আবু তাহের হিন্দু সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করার আদেশ দেন। নিজামী ওই সভায় উপস্থিত থেকেও আবু তাহেরের বক্তব্যের বিরোধিতা না করে মৌন সম্মতি দেন। ট্রাইব্যুনাল তার পর্যবেক্ষণে এই আলবদরকে শুধু অপরাধী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করেননি বরং আলবদরকে একটি সাম্প্রদায়িক সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, '৭১-এর আলবদর প্রধান স্বাধীনতাবিরোধী নিজামী পরবর্তী সময়ে সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক শীর্ষ ব্যক্তিত্ব হলেও তার জন্য আইন একই হবে বলে পর্যবেক্ষণে মন্তব্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
একাত্তরের ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতি মতিউর রহমান নিজামী নিজেকে ইসলামিস্ট কলার হিসেবে দাবি করলেও একাত্তরে তিনি এবং তার গঠিত আলবদর বাহিনী ইসলাম ধর্মের অপব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। ইসলামের বিধিবিধান না মেনে হত্যা গণহত্যায় অংশগ্রহণ ও সহায়তা করেছেন। তৎকালীন তরুণ প্রজন্মকে বিপথগামী আলবদর বাহিনীতে যোগদানে উৎসাহিত করেছেন নিজামী। নিজামী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে দুষ্কৃতকারী, ভারতের অনুচর, অনুপ্রবেশকারী আখ্যা দিয়ে এবং তাদেরকে সমূলে নির্মূল করার প্রত্যয়ে হত্যা করেছে আলবদর বাহিনী। একই সঙ্গে হিন্দুদের পাকিস্তানের দুশমন ও ইসলামের শত্রু আখ্যা দিয়ে সমূলে নির্মূল করার চেষ্টা করে আলবদর। নিজামী সারাদেশের আলবদর বাহিনীকে পরিচালিত করার মাধ্যমে সুপ্রিম সুপিরিয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন।
ইসলামের অপব্যবহার করেছেন নিজামী
http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article873406.bdnews
৭১-এর যুদ্ধাপরাধ ও জামায়াতে ইসলামী
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৪৬
৭১ জামায়াতে ইসলামীর বর্বরতার আরেকটি নৃশংস উদ্যোগ হচ্ছে হিটলারের গেস্টাপো বাহিনীর কায়দায় আলবদর, আলশামস বাহিনী গঠন, বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশা প্রণয়ন এবং জামায়াতের ঘাতকদের দ্বারা সুপরিকল্পিতভাবে বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের হত্যা
__._,_.___