Banner Advertiser

Tuesday, April 21, 2015

[mukto-mona] জয়কে ফাঁসাতে গিয়ে রাজাকার পুত্র সীজার নিজেই ফেঁসে কারাবন্দি হলেন



জয়কে ফাঁসাতে গিয়ে রাজাকার পুত্র সীজার নিজেই ফেঁসে কারাবন্দি হলেন

নিউইয়র্ক  : এফবিআইকে ঘুষের বিনিময়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র এবং জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের দায়ে বিএনপি কর্মী রিজভী আহমেদ ওরফে সীজার (৩৬) ২০ এপ্রিল সোমবার স্থানীয় সময় বেলা ২টায় কানেকটিকাটের একটি কারাগারে প্রবেশ করেছেন। ৪২ মাস তথা সাড়ে ৩ বছর তাকে এই কারাগারে থাকতে হবে। এরপর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেও আরো দু'বছর তাকে কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারিতে অতিবাহিত করতে হবে। একই মামলায় অভিযুক্ত রিজভীর সহকর্মী মার্কিন সিটিজেন যোহানেস থেলার (৫২)কে ৩০ মাসের দন্ড প্রদান করা হয়েছে। তিনিও কারাগারে প্রবেশ করেছেন। এ মামলার মূল আসামী এফবিআইয়ের সাবেক স্পেশাল এজেন্ট রবার্ট লাস্টিক (৫২)ও দোষ স্বীকার করেছেন। তাকে জেল-জরিমানা জানানো হবে একই আদালতে আসছে ৩০ এপ্রিল। তিনি ১৭ বছরের দন্ডের ঝুঁকিতে রয়েছেন। ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব নিউইয়র্কের ইউএস এটর্নী প্রিত ভ্যারারার মুখপাত্রী জেনিফার কুয়েলিজ এনআরবি নিউজকে এ তথ্য জানান।এনআরবি নিউজ

04212015_01_RIZVI_AHMED_CESER

রিজভী আহমেদ সীজার হচ্ছেন জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনের পুত্র। তারা কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের ডেনবারীতে বসবাস করেন। নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নূরনবী ১৯ এপ্রিল মহানগর আওয়ামী লীগের এক সমাবেশে বলেছেন, নোয়াখালীর দাগনভূয়া উপজেলার রামপুর গ্রামের এই মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। উল্লেখ্য, কমান্ডার নূরনবীও একই এলাকার অধিবাসী এবং একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের পর ফেনীর কারাগারে দেখেছেন রাজাকার মামুনকে। তিনি এই রাজাকারের বিরুদ্ধে অবিলম্বে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দায়েরের আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের ঐ সভায়। 'পচাঁত্তরের ১৫ আগস্টে যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, একই গোষ্ঠির লোকজন এখনও দেশ এবং বিদেশে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের ক্ষতির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে-জয়ের বিরুদ্ধে সীজারের তৎপরতায় তারই বহি:প্রকাশ ঘটলো' বলে অভিযোগ করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের এই সভাপতি। এ সমাবেশে নিউইয়র্ক অঞ্চলে বসবাসরত আল-বদর, রাজাকারদের সমন্বয়ে গঠিত একটি সিন্ডিকেট কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর পরিবার, মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনকারীদের বিরুদ্ধে বহুমুখী ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে আওয়ামী পরিবারকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টা এন আমিন, উপদেষ্টা আব্দুল হাই জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের মিয়া, যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা যুবকমান্ডের সেক্রেটারি শাহীন ইবনে দিলওয়ার, আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম বাবুল, এ বি সিদ্দিক, মাসুদ হোসেন সিরাজি, মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, ইসমত হক খোকন, শিবলী সাদিক শিবলু প্রমুখ। প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য যে, গত ৪ মার্চ নিউইয়র্কের হোয়াইট প্লেইন্সে অবস্থিত ফেডারেল কোর্টের জজ ভিনসেন্ট এল ব্রিসেটি সীজারের বিরুদ্ধে ঐ রায় প্রদান করেন।

এ মামলায় 'গভর্ণমেন্ট সেনটেন্সিং মেমরেন্ডামে' দেখা যায়, জয়ের ব্যক্তিগত গোপন সকল তথ্য হাতিয়ে নিয়ে তাকে (জয়) এবং তার ঘনিষ্ঠদের ক্ষতি করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন সীজার। নথিতে আরো দেখা গেছে, ভার্জিনিয়াস্থ জয়ের বাসার ঠিকানা, জন্ম তারিখ, সোস্যাল সিকিউরিটি নম্বর, ব্যাংক একাউন্ট নম্বরসহ লেন-দেনের বিবরণী, টেলিফোন নম্বর, উচ্চতা, ওজন, বর্ণসহ জীবন-যাপনের সবকিছু সংগ্রহের জন্যে এফবিআইয়ের ঐ এজেন্টকে ঘুষ দেন সীজার। মামলার রায় প্রদানের সময় গভর্নমেন্ট'স সেনটেন্সিং মেমরেন্ডামে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, রিজভী আহমেদ সীজার জয়ের ব্যক্তিগত গোপন তথ্য সংগ্রহের পর জয়ের ক্ষতি করতে চেয়েছিলেন এবং শুধু তাই নয়, জয়ের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে তাদেরকেও ক্ষতিগ্রস্ত করার মতলবে ছিলেন। সীজারের পরিকল্পনা ছিল ভার্জিনিয়ায় স্ত্রী ও শিশু সন্তানসহ বসবাসরত জয়কে অপহরণ করে শারীরিকভাবে আঘাত করার। দ্বিতীয়ত: গোপন তথ্যগুলো মিডিয়ায় প্রকাশ করে জয়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যতই শুধু নয়, আওয়ামী লীগের ইমেজকেও বিপন্ন করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন এই সীজার। জয়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নষ্ট অথবা প্রশ্নবিদ্ধ করার অভিপ্রায়ে এফবিআইয়ের ঐ ঘুষখোর স্পেশাল এজেন্টের কাছে থেকে প্রাপ্ত সকিছু তথ্য বাংলাদেশের এক সাংবাদিকের কাছে সরবরাহ করেছেন সীজার। এর বিনিময়ে ঐ সাংবাদিকের কাছে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার নিয়েছেন বলেও মামলার নথিতে উল্লেখ রয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষার্ধে এফবিআইয়ের স্পেশাল এজেন্ট রবার্ট লাস্টিক এফবিআইয়ের হোয়াইট প্লেইন্স আবাসিক এলাকার অফিস কম্প্যুটার থেকে জয়ের গোপন তথ্যগুলো সংগ্রহ করেন। ব্যক্তিগত তথ্য যা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাজে ব্যবহৃত হয়-সেগুলো সীজার চেয়েছেন। বিনিময়ে মোটা অর্থ প্রদানে সম্মত হন সীজার। এরপর একই বছরের ডিসেম্বর মাসের দিকে লাস্টিক ও থেলার রিজভীর প্রস্তাবে সম্মত হন অর্থাৎ জয়ের বিরুদ্ধে যেসব তথ্য রিজভী চেয়েছেন তা সরবরাহে রাজি হন। বিনিময়ে মোটা অর্থ দাবি করেন তারা। দাবি অনুযায়ী মোটা অর্থ প্রদানের সম্মত হন সীজার। তবে তা লাস্ট্কিকে সরাসরি দেবেন না। বন্ধু থেলারের মাধ্যমে দিতে চান। এ সময় সীজার উল্লেখ করেন যে, জয়ের সন্দেহজনক গতিবিধির গোপন তথ্যগুলো পাবার জন্যে আরো অনেকেই উদগ্রিব। তাই টাকার কোন সমস্যা হবে না।

২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর থেলার এবং সীজার কানেকটিকাটের ডেনবারীর একটি মলে (মার্কেট) মিলিত হন। এ সময় থেলারকে এক হাজার ডলার প্রদান করেন সীজার। সে সময়ে আরো কিছু কাজের ব্যাপারে কথা হয়। সে জন্যে আরো অর্থ প্রদানের অঙ্গিকার করেন সীজার। এদিনই থেলারের সাথে লাস্টিকের টেক্সট মেসেজ লেন-দেন হয়, যেখানে জয়ের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত ডক্যুমেন্টগুলো নিয়ে সীজারের এক সহযোগী বাংলাদেশে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ ছিল। বাংলাদেশে গিয়ে তাদের জন্যে আরো অর্থ সংগ্রহের ইঙ্গিত রয়েছে ঐ মেসেজে। ২০১২ সালের প্রথম দিকে আবারো থেলারের সাথে লাস্টিকের মেসেজ চালাচালিতে সীজারের কাছে অর্থ পাবার বিষয়গুলো স্থান পায়। জয়ের বিরুদ্ধে আরো কিছু তথ্য প্রদান এবং সীজারের দলীয় এক নেতাকে (তারেক রহমান) মামলা/অভিযোগ মুক্ত করার জন্যে কতটা এগুচ্ছে তা নিয়ে তারা কথা বলেন। সবসময়েই লাস্টিক জানতে চান যে অঙ্গিকার অনুযায়ী সীজারের কাছে থেকে ডলার আসছে কিনা। মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সম্পাদিত চুক্তিতে সীজার এবং তার সহযোগী (বিএনপি নেতা)রা লাস্টিক ও থেলারকে এককালিন ৪০ হাজার ডলার এবং প্রতি মাসে ৩০ হাজার ডলার করে দেয়ার কথা।
'বিভিন্ন তথ্য ঠিকমত পেলে আমি বিএনপিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতায় পরিণত হবো। আই উইল বি দ্য হিরো টু মাই পার্টি'-থেলারকে টেক্সট করে জানিয়েছেন সীজার। জবাবে থেলার লিখেছেন, 'উই কেন মেইক দ্যাট হ্যাপেন।' সে সময় সীজারের অনুরোধ উল্লেখ করে থেলার লাস্টিককে জানান যে, 'বাংলাদেশে তার রাজনৈতিক দলের নেতা (তারেক রহমান)'র বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ক্রিমিনাল মামলা দ্রুত খারিজ অথবা ড্রপ করতে হবে।'
২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি সীজারের বাসায় লাস্টিক এবং থেলার যান। সেখানে সীজারের সাথে ছিলেন আরো ৩ জন। এরা যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা। সে সময় আরো কিছু গোপনীয় বিষয় সম্পর্কে কথা হয়-যেগুলো লাস্টিকের পক্ষে বের করা সম্ভব। তবে এ জন্যে অতিরিক্ত অর্থ প্রদানের কথা বলেন লাস্টিক।

বেশ কিছু ডক্যুমেন্ট সরবরাহের পরও সীজার প্রতিশ্রুত অর্থ প্রদানে গড়িমসি করায় লাস্টিক এবং থেলার ভেতরে ভেতরে ক্ষেপে উঠেন সীজারের প্রতি। এক পর্যায়ে ২০১২ সালের জানুয়ারির শেষের দিকে লাস্টিক এবং থেলার যৌথভাবে সীজারকে অবিলম্বে ঘুষের অর্থ প্রদানের জন্যে চাপ দেন। ডলার যথাযথভাবে প্রদান না করা পর্যন্ত প্রত্যাশিত তথ্য প্রদান থেকে বিরত থাকার কথা জানান রিজভীকে।

২০১২ সালের ৩০ জানুয়ারি লাস্টিক এবং থেলারের মধ্যে টেক্সট মেসেজে উল্লেখ ছিল যে, তাদেরকে পাশ কাটিয়ে অন্য আরেকজনের কাছে থেকে সীজার একই তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে। সীজারের সহযোগী বিএনপির অন্য ৩ জন এফবিআইয়ের আরেক কর্মকর্তার শরনাপন্ন হয়েছে বলেও টেক্সট মেসেজে উল্লেখ করা হয়। এটি জেনে প্রচন্ডভাবে রেগে যান লাস্টিক। বলেন, 'এফবিআইয়ের সাবেক এজেন্ট এটি কীভাবে করবে? আমি ব্যাপারটি দেখে নেব?' 'আমি এতকিছু করলাম, আর এখন অন্য লোকে ভাগ নেবে?' এক পর্যায়ে লাস্টিক তার মেসেজে উল্লেখ করেন, 'আমি সীজারকে খুন করবো। আমি সমস্ত তথ্য সীজারের প্রতিপক্ষকে জানিয়ে দেব।'

এর দুদিন পর অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি থেলারের কাছে সীজার মেসেজ পাঠান যে, ফেডারেল প্রশাসন তথা বিচার বিভাগ থেকে প্রাপ্ত গোপন তথ্যগুলো সরবরাহের বিনিময়ে ১০ হাজার ডলার দেয়া হবে। জবাবে থেলার জানান, 'তোমার যা দরকার সবকিছু আমরা করতে পারি। তবে শুধু কথার ওপর ভর করে কিছুই করা সম্ভব নয়। কিছু ডলার দিলেই তুমি সবকিছু পাবে।' মার্চের ১২ তারিখে সীজার মেসেজ পাঠান থেলারের কাছে। অতিরিক্ত তথ্যসহ তার বাসায় গেলে চুক্তির অর্থ প্রদানের কথা বলেন। ঐ মেসেজে ডলারের একটি বান্ডেলের ছবিও দেয়া হয়। একইমাসে লাস্টিক এবং থেলার সীজারের কাছে প্রদত্ত সকল তথ্য এবং ডক্যুমেন্ট কেড়ে নেন। ঘুষের অর্থ না পাওয়ায় তারা এ আচরণ করেন সীজারের সাথে। এছাড়া, তারেক রহমানকে মামলা মুক্ত করার ব্যাপারে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল সেটিও প্রত্যাহার করে নেয়া হয় বলে মামলার নথিতে উল্লেখ রয়েছে। এ অবস্থায় সীজার প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর নিয়োগ করেন ঐসব তথ্য সংগ্রহের জন্যে। জয়ের বিরুদ্ধে আরো কিছু তথ্য ও ডক্যুমেন্টের জন্যে মরিয়া হয়ে উঠেন সীজার। সে সময় বিচার বিভাগের একজন তদন্ত কর্মকর্তার কাছে সীকার স্বীকার করেন যে, প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটরকে তিনি ৪ হাজার ডলার দিয়েছেন। এজন্যে তিনি প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটরের সহায়তা চেয়েছেন জয়কে ভীতি প্রদর্শন, অপহরণ এবং জয়ের ক্ষতি করার জন্যে।

মামলার নথিতে আরো দেখা গেছে যে, জয়ের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত যাবতীয় তথ্য বাংলাদেশের একজন সাংবাদিক, বিএনপির একজন নেতা এবং একজন প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটরকে প্রদান করেছেন সীজার। এর বিনিময়ে সীজার পেয়েছেন ৩০ হাজার ডলার। ২০১৩ সালের ২ আগস্ট রিজভী আহমেদ সীজারকে গ্রেফতার করা হয়। সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব নিউইয়র্কের ইউএস এটর্নী প্রিত ভ্যারারার অফিস থেকে আরো জানানো হয়, গত বছরের ১৭ অক্টোবর থেলার ও রিজভী দোষ স্বীকার করেন। এর আগে লাস্টিকসহ এ দু'জনকে গ্রেফতার করা হয় ২০১৩ সালের আগস্টে।

সীজারের দম্ভ
এদিকে, ফেডারেল ক্রিমিনাল হিসেবে কারাগারে ঢুকার দুদিন আগে অর্থাৎ গত ১৮ এপ্রিল শনিবার ডেনবারীর নিজ বাসায় নিউইয়র্কে তার পছন্দের সংবাদদাতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তাদেরকে তিনি বলেছেন যে, বিএনপির স্বার্থে তিনি কাজ করেছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন। এমন কাজে কারাগারে যাচ্ছেন বলে তিনি মোটেই লজ্জিত নন। বরং নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন বলেও উল্লেখ করেন। কারণ, এর রেজাল্ট একদিন তিনি বিএনপি থেকে পাবেন বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন। সীজার আরো হুমকি দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কয়েক নেতার দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত বিপুল অর্থের তথ্যও পেয়েছেন তিনি। সেগুলোও সময় মত প্রকাশ করা হবে। প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য যে, এর আগে নিউইয়র্কে সংবাদ সম্মেলনের চেষ্টা করেছিলেন সীজার। সাথে তার বাবা মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন (রাজাকার মামুন)ও ছিলেন। কিন্তু সেটি ভন্ডুল হয়েছে ড. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের হামলায়। 'ফেডারেল ক্রিমিনাল হিসেবে চিহ্নিত কোন ব্যক্তির সংবাদ সম্মেলন করার অধিকার নেই' বলে উল্লেখ করেন ড. সিদ্দিক।

http://khabor.com/archives/51785

---------- Forwarded message ----------
From: Mohiuddin Anwar <mohiuddin@netzero.net>
Date: 2015-04-07 16:35 GMT-04:00

যুক্তরাষ্ট্রে জয়ের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষনা দিলেন সিজার
 
অনলাইন ডেস্ক
Published : Tuesday, 7 April, 2015 at 6:41 PM, Update: 07.04.2015 6:49:44 PM
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরন ও হত্যা করার ষড়যন্ত্রের সংবাদ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। একই সঙ্গে ওই ঘটনায় রিজভী আহমেদ সিজারকে জড়িয়ে প্রচারনা চালানোর জন্য সজিব ওয়াজেদসহ প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটানের যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবি প্রতিষ্ঠান মার্শাল আর ইসাকসের সহযোগিতায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভি আহমেদ সিজার ও তার আইনজীবি মি. রস এল শিলার এই ঘোষনা দেন। গত ৫ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যায় ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এফবিআইকে ঘুষ প্রদান করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা আইনের আওতায় মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত হয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরন ও তাঁর দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রকাশিত মুখরোচক সংবাদে মানুষ শুধু বিভ্রান্ত হয়েছেন তা নয়, বরং প্রকৃত ও সত্য ঘটনা জানার অধিকার থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের প্রতিবাদের মুখে এর আগে দু'টি সংবাদ সম্মেলন পন্ড করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের গোপনীয় তথ্য উৎঘাটনে তিনি সঠিক পন্থা অবলম্বন না করলেও তার উৎঘাটিত তথ্যাবলী শতকরা ১০০ভাগ সঠিক এবং একদিন তা প্রমানিত হবেই। পাচার হওয়া অর্থের পরিমান ৩'শ মিলিয়ন নাকি ৩ হাজার মিলিয়ন সময় হলে সঠিক তথ্য প্রকাশ করবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।


____________________________________________________________
Want to place your ad here?
Advertise on United Online
www.adsonar.com



__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___