উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ সরকারকে চাপে রাখা
হিলারিকে পাঠানো ইউনূসের ইমেইল ফাঁস
Published : Wednesday, 2 September, 2015 at 12:00 AM
সরকারকে চাপে রাখতে ও গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকতে পুরনো বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি রডহ্যাম ক্লিনটনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে হিলারিও আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন যেন নির্ধারিত বয়স পেরিয়ে গেলেও ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকতে পারেন। কিন্তু তার সর্বাত্মক সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের যে সাত হাজার ইমেইল প্রকাশ করেছে, তাতেই এ বিষয়গুলো উঠে এসেছে। এর আগে যখন গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে অস্থিরতা চলছিল তখন গুঞ্জন উঠেছিল, ব্যাংকটির পরিচালক থাকতে হিলারিকে ব্যবহারের চেষ্টা করছেন ড. ইউনূস। অবশেষে তা-ই প্রমাণ হলো।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত হিলারির ইমেইলগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি ড. ইউনূস ও বাংলাদেশ সংক্রান্ত। তবে স্পর্শকাতর হওয়ায় হিলারির লেখা বিভিন্ন মেইলের কিছু অংশ মুছে ফেলা হয়েছে। এগুলো ক্ল্যাসিফায়েড নথি হিসেবে বিবেচ্য। যুক্তরাষ্ট্রের নিয়মানুযায়ী ২০২৫ সালের আগে এসব মেইল জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না। তাই মেইলগুলোতে কী লেখা আছেÑ তা জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে সেই সময় পর্যন্ত।
জানা যায়, হিলারি ক্লিনটনের প্রকাশিত সাত হাজার মেইলের মধ্যে ৩১৭টি মেইলে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ এসেছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটিতেই আছে গ্রামীণ ব্যাংকের কথা। গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে মেইল চালাচালি শুরু হয় ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর। ইউনূসের পক্ষ থেকে কিছু মেইল সরাসরি হিলারি ক্লিনটনকে না পাঠিয়ে মেলানি নামে এক কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়। তিনি পরে সেগুলো হিলারির উদ্দেশে ফরোয়ার্ড করেন।
ড. ইউনূসের মেইলের সঙ্গে সম্পর্কিত মেলানির নাম প্রকাশ করা হলেও এক বা একাধিক ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি যারা ইউনূসের বার্তা হিলারির কাছে পৌঁছে দিয়েছেন অথবা ইউনূসের জন্য হিলারির কাছ থেকে বার্তা পেয়েছেন।
একটি মেইলে দেখা যায়, 'ইউনূস এখনো তার গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে খুব বেশি আগ্রহী' উল্লেখ করে হিলারি ক্লিনটনকে একটি বার্তা ফরোয়ার্ড করেন মেলানি। মূল মেইলে প্রেরকের ঠিকানার অংশটি সাদা করে দেওয়া হলেও পাশেই লেখা 'ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হয়ে এই ইমেইল পাঠানো'। মেইলটি এরকম : 'প্রিয় মেলানি, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা। জাতিসংঘের অ্যাসেম্বলি মিটিংয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ওয়াজেদের আমেরিকা ভ্রমণের ব্যাপারে বিস্তারিত কথা বলতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিজ দীপু মনি সেক্রেটারি ক্লিনটনকে ফোন করবেন ১৬ সেপ্টেম্বর। সেখানেই যদি সম্ভব হয় তাহলে গ্রামীণ ব্যাংকর বিষয়টা বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে তুলবেন। দয়া করে চেষ্টা করবেন গ্রামীণ ব্যাংকের বিষয়টা নিয়ে একটু কথা বলতে। আমরা বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পরামর্শে আমাদের সমস্যাগুলো জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটা বৈঠকের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু প্রায় ছয় মাস হতে চলল, সেখান থেকে কোনো জবাব পাইনি। দেশের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি আমাকে প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম পাওয়ার জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এখনো একটি শব্দও বলেননি। আপনি নিশ্চয়ই সমস্যার গভীরতা টের পাচ্ছেন। আমি আশা করি আপনাকে বিস্তারিত বোঝাতে পেরেছি। আর কী করা উচিত হবে সেটাও বোঝাতে পেরেছি। ধন্যবাদ সহযোগিতার জন্য। এইচকে (হিলারি ক্লিনটন)-কে আমার শ্রদ্ধা জানাবেন। সিজিআই এবং হিলটন নিয়ে দ্রুতই দেখা হবে। Ñ ইউনূস। ২০০৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মেলানিকে পাঠানো আরেকটি মেইল রয়েছে সেখানে। তাতে ওইদিনই বাংলাদেশের ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে প্রকাশিত 'চৎরসব গরহরংঃবৎ ঐধংরহধ ডধৎহং' শিরোনামের একটি প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে হিলারির উদ্দেশে ইউনূস লেখেন : 'বাংলাদেশের দৈনিকটিতে প্রকাশিত খবরটি দেখবেন। পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী কী বলেছেন সেটা নিয়েই খবরটি। হাইলাইট করা অংশটিতে প্রধানমন্ত্রী মূলত আমাকেই বুঝিয়েছেন, সরাসরি নামে নয়, বর্ণনায়। যদি পারেন আমার সম্পর্কে তার ভয়াবহ মনোভাব দূর করার একটি পথ খুঁজে বের করুন। আপনাকে শান্তির দূত হবার আহ্বান জানাচ্ছি। তা না হলে কোনো কারণ ছাড়াই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে। প্রধানমন্ত্রী জেনারেল অ্যাসেম্বলি মিটিংয়ের জন্য নিউইয়র্ক যাবেন। সেখানেই হয়তো সেক্রেটারি হিলারির সঙ্গে দেখা হবে।' মেইলটি মেলানি হিলারিকে ফরোয়ার্ড করেন, 'হাসিনা ও ইউনূসের চলমান কাহিনি' লিখে। সেখানে মেলানি যোগ করেন, 'ইউনূসের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সবকিছুই কঠিন করে তুলছেন। ইউনূসের আশা এমন কোনো পথ নিশ্চয়ই আছে যেটা দিয়ে তাকে নিশ্চিত করানো যাবে যে, ইউনূস রাজনীতিতে আগ্রহী নন মোটেও এবং দেশকে একটি আদর্শ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার কাজে প্রধানমন্ত্রী ইউনূসকে ব্যবহার করতে পারেন। কিছু ব্যক্তিগত বিরোধও আছে যেটার গভীরতা ইউনূস পরিমাপ করতে পারছেন না। অগ্রগতি খুবই খারাপ।' জবাবে ২০ সেপ্টেম্বর ২০১০-এ হিলারি লেখেন : 'আগামীকাল ইউনূসের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। দুজনেই হিলটন ফাউন্ডেশন নিয়ে কথা বলতে চাই। সেখানেও আরও বেশি কিছু জানতে পারব।' ২০১০ সালের ৬ ডিসেম্বর আরেকটি মেইল পাঠানো হয় মেলানিকে। এতেও প্রেরকের অংশটি সাদা রাখা ও বেশ কিছু অংশ মুছে প্রকাশ করা হয়। ইমেইলটির একেবারে নিচে যোগ করা একটি নোটে লেখা : 'প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, নোবেল বিজয়ী ইউনূসের বিরুদ্ধে বিদেশি সাহায্য গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অন্য কোম্পানিতে পাঠানোর যে অভিযোগ সেসব পুনরায় তদন্ত করা হবে।' শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে মেইলে বলা হয়, 'বাংলাদেশের মানুষ গিনিপিগ হয়েছে, আমি কখনো এটা সমর্থন করিনি আর এখন প্রতিবাদ করছি।' মেইলে বাংলাদেশের একটি দৈনিকের সম্পাদকের ভাষ্যে বলা হয়, 'আগে গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের অংশ ছিল ৬০ শতাংশ, এখন সেটা মাত্র ২৫ শতাংশ। মনে হয় মি. ইউনূস সরকারের তহবিল সম্ভব হলে পুরোই খালি করে দিতে চান। কিন্তু সরকার সেটা হতে দিতে চায় না।' এ ছাড়া নরওয়ের ন্যাশনাল টিভি এনআরকে ২০১০ সালের ৩০ নভেম্বর 'কট ইন মাইক্রোক্রেডিট' নামে যে প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করে এবং এর ভিত্তিতে বাংলাদেশের একটি অনলাইন কাগজ যে খবর প্রচার করে তাও উঠে এসেছে হিলারির মেইল চালাচালিতে।
আর একটি মেইলে দেখা যায়, ৭ ডিসেম্বর ২০১০ সালে নরওয়েন এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনের দেওয়া একটি বিবৃতি সেখানে তুলে ধরা হয়েছে। সেই বিবৃতিতেও গ্রামীণ ব্যাংকের টাকা ১৯৯৬ সালে গ্রামীণ কল্যাণে ট্রান্সফারের সমালোচনা করা হয়। এটাকে দুর্নীতিপ্রবণ কর্মকা- হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এই মেইলটিতেও প্রেরকের অংশটি সাদা রাখা হয়েছে। তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট।
- See more at: http://www.dainikamadershomoy.com/2015/09/02/46098.php#sthash.bfl408JP.dpufমার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত হিলারির ইমেইলগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি ড. ইউনূস ও বাংলাদেশ সংক্রান্ত। তবে স্পর্শকাতর হওয়ায় হিলারির লেখা বিভিন্ন মেইলের কিছু অংশ মুছে ফেলা হয়েছে। এগুলো ক্ল্যাসিফায়েড নথি হিসেবে বিবেচ্য। যুক্তরাষ্ট্রের নিয়মানুযায়ী ২০২৫ সালের আগে এসব মেইল জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না। তাই মেইলগুলোতে কী লেখা আছেÑ তা জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে সেই সময় পর্যন্ত।
জানা যায়, হিলারি ক্লিনটনের প্রকাশিত সাত হাজার মেইলের মধ্যে ৩১৭টি মেইলে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ এসেছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটিতেই আছে গ্রামীণ ব্যাংকের কথা। গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে মেইল চালাচালি শুরু হয় ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর। ইউনূসের পক্ষ থেকে কিছু মেইল সরাসরি হিলারি ক্লিনটনকে না পাঠিয়ে মেলানি নামে এক কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়। তিনি পরে সেগুলো হিলারির উদ্দেশে ফরোয়ার্ড করেন।
ড. ইউনূসের মেইলের সঙ্গে সম্পর্কিত মেলানির নাম প্রকাশ করা হলেও এক বা একাধিক ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি যারা ইউনূসের বার্তা হিলারির কাছে পৌঁছে দিয়েছেন অথবা ইউনূসের জন্য হিলারির কাছ থেকে বার্তা পেয়েছেন।
একটি মেইলে দেখা যায়, 'ইউনূস এখনো তার গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে খুব বেশি আগ্রহী' উল্লেখ করে হিলারি ক্লিনটনকে একটি বার্তা ফরোয়ার্ড করেন মেলানি। মূল মেইলে প্রেরকের ঠিকানার অংশটি সাদা করে দেওয়া হলেও পাশেই লেখা 'ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হয়ে এই ইমেইল পাঠানো'। মেইলটি এরকম : 'প্রিয় মেলানি, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা। জাতিসংঘের অ্যাসেম্বলি মিটিংয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ওয়াজেদের আমেরিকা ভ্রমণের ব্যাপারে বিস্তারিত কথা বলতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিজ দীপু মনি সেক্রেটারি ক্লিনটনকে ফোন করবেন ১৬ সেপ্টেম্বর। সেখানেই যদি সম্ভব হয় তাহলে গ্রামীণ ব্যাংকর বিষয়টা বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে তুলবেন। দয়া করে চেষ্টা করবেন গ্রামীণ ব্যাংকের বিষয়টা নিয়ে একটু কথা বলতে। আমরা বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পরামর্শে আমাদের সমস্যাগুলো জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটা বৈঠকের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু প্রায় ছয় মাস হতে চলল, সেখান থেকে কোনো জবাব পাইনি। দেশের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি আমাকে প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম পাওয়ার জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এখনো একটি শব্দও বলেননি। আপনি নিশ্চয়ই সমস্যার গভীরতা টের পাচ্ছেন। আমি আশা করি আপনাকে বিস্তারিত বোঝাতে পেরেছি। আর কী করা উচিত হবে সেটাও বোঝাতে পেরেছি। ধন্যবাদ সহযোগিতার জন্য। এইচকে (হিলারি ক্লিনটন)-কে আমার শ্রদ্ধা জানাবেন। সিজিআই এবং হিলটন নিয়ে দ্রুতই দেখা হবে। Ñ ইউনূস। ২০০৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মেলানিকে পাঠানো আরেকটি মেইল রয়েছে সেখানে। তাতে ওইদিনই বাংলাদেশের ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে প্রকাশিত 'চৎরসব গরহরংঃবৎ ঐধংরহধ ডধৎহং' শিরোনামের একটি প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে হিলারির উদ্দেশে ইউনূস লেখেন : 'বাংলাদেশের দৈনিকটিতে প্রকাশিত খবরটি দেখবেন। পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী কী বলেছেন সেটা নিয়েই খবরটি। হাইলাইট করা অংশটিতে প্রধানমন্ত্রী মূলত আমাকেই বুঝিয়েছেন, সরাসরি নামে নয়, বর্ণনায়। যদি পারেন আমার সম্পর্কে তার ভয়াবহ মনোভাব দূর করার একটি পথ খুঁজে বের করুন। আপনাকে শান্তির দূত হবার আহ্বান জানাচ্ছি। তা না হলে কোনো কারণ ছাড়াই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে। প্রধানমন্ত্রী জেনারেল অ্যাসেম্বলি মিটিংয়ের জন্য নিউইয়র্ক যাবেন। সেখানেই হয়তো সেক্রেটারি হিলারির সঙ্গে দেখা হবে।' মেইলটি মেলানি হিলারিকে ফরোয়ার্ড করেন, 'হাসিনা ও ইউনূসের চলমান কাহিনি' লিখে। সেখানে মেলানি যোগ করেন, 'ইউনূসের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সবকিছুই কঠিন করে তুলছেন। ইউনূসের আশা এমন কোনো পথ নিশ্চয়ই আছে যেটা দিয়ে তাকে নিশ্চিত করানো যাবে যে, ইউনূস রাজনীতিতে আগ্রহী নন মোটেও এবং দেশকে একটি আদর্শ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার কাজে প্রধানমন্ত্রী ইউনূসকে ব্যবহার করতে পারেন। কিছু ব্যক্তিগত বিরোধও আছে যেটার গভীরতা ইউনূস পরিমাপ করতে পারছেন না। অগ্রগতি খুবই খারাপ।' জবাবে ২০ সেপ্টেম্বর ২০১০-এ হিলারি লেখেন : 'আগামীকাল ইউনূসের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। দুজনেই হিলটন ফাউন্ডেশন নিয়ে কথা বলতে চাই। সেখানেও আরও বেশি কিছু জানতে পারব।' ২০১০ সালের ৬ ডিসেম্বর আরেকটি মেইল পাঠানো হয় মেলানিকে। এতেও প্রেরকের অংশটি সাদা রাখা ও বেশ কিছু অংশ মুছে প্রকাশ করা হয়। ইমেইলটির একেবারে নিচে যোগ করা একটি নোটে লেখা : 'প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, নোবেল বিজয়ী ইউনূসের বিরুদ্ধে বিদেশি সাহায্য গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অন্য কোম্পানিতে পাঠানোর যে অভিযোগ সেসব পুনরায় তদন্ত করা হবে।' শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে মেইলে বলা হয়, 'বাংলাদেশের মানুষ গিনিপিগ হয়েছে, আমি কখনো এটা সমর্থন করিনি আর এখন প্রতিবাদ করছি।' মেইলে বাংলাদেশের একটি দৈনিকের সম্পাদকের ভাষ্যে বলা হয়, 'আগে গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের অংশ ছিল ৬০ শতাংশ, এখন সেটা মাত্র ২৫ শতাংশ। মনে হয় মি. ইউনূস সরকারের তহবিল সম্ভব হলে পুরোই খালি করে দিতে চান। কিন্তু সরকার সেটা হতে দিতে চায় না।' এ ছাড়া নরওয়ের ন্যাশনাল টিভি এনআরকে ২০১০ সালের ৩০ নভেম্বর 'কট ইন মাইক্রোক্রেডিট' নামে যে প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করে এবং এর ভিত্তিতে বাংলাদেশের একটি অনলাইন কাগজ যে খবর প্রচার করে তাও উঠে এসেছে হিলারির মেইল চালাচালিতে।
আর একটি মেইলে দেখা যায়, ৭ ডিসেম্বর ২০১০ সালে নরওয়েন এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনের দেওয়া একটি বিবৃতি সেখানে তুলে ধরা হয়েছে। সেই বিবৃতিতেও গ্রামীণ ব্যাংকের টাকা ১৯৯৬ সালে গ্রামীণ কল্যাণে ট্রান্সফারের সমালোচনা করা হয়। এটাকে দুর্নীতিপ্রবণ কর্মকা- হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এই মেইলটিতেও প্রেরকের অংশটি সাদা রাখা হয়েছে। তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট।
সরকারের বিরুদ্ধে ড.ইউনূসের গোপন ই-মেইল ফাঁস
miKvi‡K Pvc w`‡Z wnjvwii Kv‡Q BDb~‡mi B-†gBj duvm
Av‡bvqvi"j Kwig : MÖvgxYe¨vsK‡K wb‡Ri Avq‡Ë ivL‡Z W. gynv¤§` BDb~m hy³iv‡óªi ZrKvjxb ciivóªgš¿x wnjvwi wK¬bUb‡K e¨envi Ki‡Z †P‡qwQ‡jbÑ Ggb K_v bvbvfv‡e Rvbv †M‡jI GB cÖ_g Ggb GKwU AKvU¨ cÖgvY cvIqv †M‡Q| duvm n‡q hvIqv wnjvwi wK¬bU‡bi nvRvi nvRvi B-†gB‡ji ga¨ †_‡K Ggb mvZwU B-†gBj cvIqv †M‡Q| more at:
__._,_.___