Banner Advertiser

Sunday, August 20, 2017

[mukto-mona] সেই জজ মিয়া



মানহানির মামলা করতে চান সেই জজ মিয়া

  ইউসুফ সোহেল

 ২১ আগস্ট ২০১৭, ০০:০০ | আপডেট : ২১ আগস্ট ২০১৭, ০০:৩০ | প্রিন্ট সংস্করণ






২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার পর হতাহত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি প্রতিবছরই ঘুরেফিরে আসে আরও একটি নামÑ মো. জজ মিয়া। গ্রেনেড হামলার মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে 'জজ মিয়া নাটক' সাজানো হয়। সরকারের সহায়তা পেলে তার করুণ পরিণতির জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে মানহানি আর ক্ষতিপূরণ মামলা করতে চান জজ মিয়া।

ক্রসফায়ারের হুমকি ছাড়াও বিদেশ পাঠানো, চাকরির আশ্বাসসহ নানা প্রলোভনে ওই মামলার প্রধান আসামি করে মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করা হয় তার কাছ থেকে। এরপর ৪ বছর ২৬ দিন কারাগারের অন্ধ কুঠরিতে কাটে জজ মিয়ার। অবশেষে ২০০৬ সালে সিআইডির প্রধান কার্যালয় থেকে খোরপোষ আনতে গিয়ে জজ মিয়ার নাটক ফাঁস করে দেন তার মা-বোন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলীয় রাজনৈতিক নেতারাও স্বীকার করেন, ষড়যন্ত্রের শিকার জজ মিয়া। অবশেষে মামলা থেকে অব্যাহতি মেলে জজ মিয়ার। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ওই বছরের ২৬ জুলাই জেল থেকে মুক্তি পান জজ মিয়া।
                             
এদিকে নানা চড়াই-উতরাই পার হয়ে কারাগার থেকে মুক্তি মিললেও দুর্বিষহ জীবন পিছু ছাড়েনি জজ মিয়ার। তাকে দেওয়া কথা রাখেনি কেউই। ভিটেমাটি হারিয়ে বহুবার তিনি গিয়েছেন আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতার কাছে। সবাই বলেছেন 'পরে আস'।

এদিকে বহুল আলোচিত এই মামলায় জড়িয়ে যাওয়ায় তার জীবনসঙ্গী হওয়ার ঝুঁকি নিতে চাননি কোনো নারী। পরে পরিচয় গোপন রেখে বিয়ে করলেও, জানাজানি হয়ে গেলে তাকে ছেড়ে গেছেন স্ত্রী। অর্থের অভাবে এখন পর্যন্ত বিয়ে দিতে পারেননি উপযুক্ত বোনকেও। উপরন্তু মুমূর্ষু মায়ের চিকিৎসাব্যয় মেটাতে হিমশিম অবস্থা তার। বর্তমানে মা, বোন আর ভাইকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় ছোট্ট দুটি ঘরে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে জজ মিয়া ও তার পরিবারের। ভাঙাচুরা প্রাইভেট কার চালিয়ে এখন কোনো রকম সচল রেখেছেন সংসারের চাকা।

সরকারের সহায়তা পেলে তার এই করুণ পরিণতির জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে মানহানি আর ক্ষতিপূরণ মামলা করতে চান জজ মিয়া। গতকাল আমাদের সময়ের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।

জজ মিয়া বলেন, গুলিস্তানে একটি ফলের দোকান ও ছবি বাঁধাইয়ের দোকান ছিল আমার। এ দিয়েই কোনো রকম চলছিল সংসার। ২০০৪ সালে ওই গ্রেনেড হামলার ঘটনায় ২০০৫ সালের ৯ জুন গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ এলাকায় একটি চায়ের দোকান থেকে আমাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর সিআইডির রুহল আমিন স্যারসহ তিন কর্মকর্তা বলেন, তোকে গ্রেনেড মামলার রাজসাক্ষী বানাব। যেসব কথা শিখিয়ে দেব, আদালতে সেসবই বলবি। যাদের নাম বলতে বলব তারা বড় সন্ত্রাসী। জেল থেকে বের হলে তারা তোকে মেরে ফেলতে পারে। তাই জেল থেকে বের হওয়ার পর তোকে সপরিবারে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেব। সেখানে তুই আরাম-আয়েশে থাকবি। আমাদের কথা না শুনলে ক্রসফায়ারে পড়বি। তা ছাড়া বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকেও আমাকে অনেক আশ্বাস দেওয়া হয়; কিন্তু কেউই কথা রাখেনি।

তিনি আরও বলেন, আমাকে গ্রেপ্তারের পর প্রতিমাসে আমার মাকে সিআইডি কর্মকর্তারা ৪-৫ হাজার করে টাকা দিতেন। মা ও বোন ঘটনা ফাঁস করে দেওয়ার পর সিআইডির তিন কর্মকর্তা জেলখানায় গিয়ে আমার সঙ্গে দেখা করেন। তারা বলেন, আমরা তোমাকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম। তোমার মা ও বোন আসল কথা বলে দিয়েছে। এখন দেখি তোমাকে বাঁচায় কে?

জজ মিয়া বলেন, হাতে-পায়ে বেড়ি পরে কনডেম সেলে চার বছর কাটিয়েছি। কত নির্যাতন সহ্য করেছি। মামলার খরচ চালাতে অনেক আগেই গ্রামের ভিটেমাটি বিক্রি করে দিয়েছেন মা। আমার মায়ের এখন দুটি কিডনিই নষ্ট। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তাকে বাসায় এনেছি। তার পেছনে সপ্তাহে ৫-৭ হাজার টাকা করে খরচ করতে হিমশিম অবস্থা।

জজ মিয়া বলেন, সিদ্বিরগঞ্জে আসার আগে প্রায় ৫ বছর রাজধানীর কদমতলী থানার রায়েরবাগে থাকতাম। কয়েক বছর আগে ঋণ করে ও কিস্তিতে সাড়ে তিন লাখ টাকায় একটি প্রাইভেটকার কিনি। এ প্রাইভেট কারের অবস্থাও এখন খুব খারাপ। সাহায্যের জন্য ২ মাস আগেও আওয়ামী লীগের বড় এক নেতার (বর্তমানে মন্ত্রী) কাছে গিয়েছিলাম। কথা বলা দূরে থাক, পরিচয় জানার পর কর্মীরা আমাকে অফিসে ঢুকতেই দেননি। এর আগেও বহুবার বর্তমান সরকারের একাধিক মন্ত্রীর কাছে গিয়েছি, তারাও বলেছেন- এখন ব্যস্ত আছি, পরে আস। কেউই আমার কথা শোনেন না। কেউ কেউ আশ্বাস দিলেও কোনো কিছুই বাস্তবায়ন করেন না। আর সত্য কথা প্রকাশ হয়ে যাওয়ার কারণে তৎকালীন পুলিশ কর্মকর্তাদের দেওয়া আশ্বাসও বাস্তবায়ন হয়নি।

তিনি বলেন, আমার এই দুর্বিসহ জীবনের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলা করতে চাই; কিন্তু আমার কাছে টাকা নেই। আমার বিশ্বাস, সরকার সাহায্য করলে এই বিচার আমি পাবই। আমার অসহায় পরিবারটিকে বাঁচাতে সরকারের কাছে একটি চাকরি, নয়ত ভালো একটি গাড়ির আবেদন করছি।


আরও পড়ুন: 


বিভীষিকার ২১ আগস্ট

আর্জেস গ্রেনেড দিয়ে মানুষ হত্যার নজির বিশ্বে নেই

শেখ হাসিনার ওপর প্রথম হামলা, শেষ হামলা

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার শেষ পর্যায়ে

২১ আগস্টের কর্মসূচি





                     


                                         

                           


__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___