মানবতার ডাকে অসহায় রোহিঙ্গার পাশে বৌদ্ধ ভিক্ষু জ্যোতিসেন
সম্প্রতি বার্মার সহিংসতায় অাক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে অাসা অসহায় রোহিঙ্গাদের পাশে খাদ্য বস্তু নিয়ে অাজ ৬ সেপ্টম্বর, ২০১৭ বিকালবেলা উখিয়া ঘুমধুম ও কুতুপালং গ্রামে অবস্থানরত ৬ শতাধিক মুসলিম হিন্দু রোহিঙ্গাকে অাপেল, মালটা, শশা, ডালিম ও কেকসহ বিভিন্ন শুকনা খাদ্য বস্তু বিতরন করলেন বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার অান্তর্জাতিক সচিব ও রামু ঐতিহাসিক রাংকুট বনাশ্রম মহাতীর্থ বৌদ্ধ বিহারের পরিচালক কে. শ্রী জ্যোতিসেন ভিক্ষু। তিনি ৪ শত মুসলিম রোহিঙ্গা ও ২ শতাধিক হিন্দু শরনার্থীকে উক্ত খাদ্য দ্রব্য বিতরন করেছেন। তিনি বলেন কে হিন্দু কে মুসলিম অার কে বৌদ্ধ সেটা অামার বিবেচ্য বিষয় নয়, মানুষই অাসল পরিচয় এবং দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো মানুষের নৈতিক দায়িত্ব।
Sent: Thursday, September 7, 2017 6:39 AM
To: pfc-friends@googlegroups.com; nabdc@googlegroups.com; Bangladeshi Americans; Bangladesh Environment Network; BANE BANE; Muazzam Kazi' via BDPANA
Subject: Re: {PFC-Friends} রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত কেন মিয়ানমারের পাশে?
Also, please try to understand, why Modi, Israel & all other enemies of Islam are forming an alliance in favor of this continuous genocide.
--From: Zoglul Husain (zoglul@hotmail.co.uk)
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত কেন মিয়ানমারের পাশে?
[ভূ-রাজনৈতিক ও ভূ-রণনৈতিক কারণে চীন, আমেরিকা, ইজরাইল, ভারত প্রভৃতি দেশগুলি মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজিয়ে রাখে। পাকিস্তান মিয়ানমারের কাছে দুই ডজন যুদ্ধবিমান বিক্রি এবং চীন-পাকিস্তান কারিগরীতে তৈরি এ যুদ্ধবিমান মিয়ানমারে তৈরি করার ব্যবস্থায় এগিয়ে গেছে। অবশ্য তুরস্ক, ইরান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, ইত্যাদি রোহিঙ্গাদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার নির্লজ্জ ও কলঙ্কিত পদক্ষেপে দ্বিতীয় বারের মত 'সন্ত্রাসী'দের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানের প্রস্তাব মিয়ানমারকে দিয়েছে, যা অবশ্য মিয়ানমার আবারও প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রয়োজন ছিল জাতিসঙ্ঘের শান্তিরক্ষী অথবা কতকগুলি দেশের যৌথ শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণ, কিন্তু উপরোক্ত আন্তর্জাতিক কারণে পরিস্থিতি খুবই জটিল। বিবিসি বাংলা একটি রিপোর্টে প্রকাশ করেছে ভারত কেন মিয়ানমারের পাশে। নীচে দেখুন রিপোর্টটিঃ]
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত কেন মিয়ানমারের পাশে?
বিবিসি বাংলা, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭
(ছবির জন্য নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন)
নতুন করে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের মাঝে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ (মঙ্গলবার) থেকে মিয়ানমার সফর করছেন।
তার সফরের সময় যত এগিয়েছে, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা বিরোধী কথাবার্তাও শোনা গেছে।
২৫শে আগস্ট রাখাইন রাজ্যের বেশ কটি পুলিশ ফাঁড়িতে সন্দেহভাজন রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, "সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভারত সবসময় মিয়ানমারের পাশে থাকবে।"
তারও আগে ভারতের বিজেপি সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজুজু ঘোষণা করেন, ভারতে বসবাসরত ৪০হাজার রোহিঙ্গার সবাইকে বহিষ্কার করা হবে। যদিও ভারতে রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১৬০০০ জাতিসংঘ নিবন্ধিত শরণার্থী, তবুও মি রিজুজু বলেন, "জাতিসংঘের নিবন্ধনের কোনো অর্থ নেই। আমাদের কাছে ওরা সবাই অবৈধ।"
কলকাতায় বিবিসির সাবেক সাংবাদিক সুবীর ভৌমিক, যিনি বর্তমানে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে রয়েছেন, বলছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর সফরের ঠিক আগে দিল্লির পক্ষ থেকে এসব বক্তব্য বিবৃতির মূল্য উদ্দেশ্য বৌদ্ধ অধ্যুষিত মিয়ানমারের সাথে অধিকতর ঘনিষ্ঠতা।
সংখ্যাগরিষ্ঠ বার্মিজদের রোহিঙ্গা বিরোধী কট্টর মনোভাবের সাথে একাত্ম হতে চাইছে ভারত। মি ভৌমিক বলছেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে চীনের মৌনতার সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি সরকার।
আরও শুনুন: রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে সুচিকে এরদোয়ানের ফোন
ভারতের মনিপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মিয়ানমার স্টাডি সেন্টারের অধ্যাপক জিতেন নংথাওবামকে উদ্ধৃত করে সুবীর ভৌমিক বলছেন - "মুসলিমদের প্রশ্নে বার্মিজ জাতীয়তাবাদী এবং কট্টর বৌদ্ধরা মি মোদি এবং তার দল বিজেপির সাথে একাত্ম বোধ করে।"
ভারত যে সম্প্রতি বিশেষ অভিযানের জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলেছেন, সেটাকেও দেখা হচ্ছে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনা অভিযানের প্রতি দিল্লির সমর্থন হিসাবে।
মি ভৌমিক বলছেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সাথে ভারত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরিতে উন্মুখ কারণ, ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে বিদ্রোহী তৎপরতায় লিপ্ত যোদ্ধাদের অনেকেই মিয়ানমারের জঙ্গলে গিয়ে আশ্রয় নেয়। ফলে তাদের শায়েস্তা করতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সহযোগিতা ভারতের প্রয়োজন।
মিয়ানমারে ভারত এখন কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্পের সাথে যুক্ত। রাখাইন রাজ্যেই ভারত একটি বন্দর এবং নদীপথ প্রকল্পে জড়িত। ভারতের মিজোরাম এবং রাখাইন রাজ্যের মধ্যে একটি সড়ক নির্মাণেও ভারত জড়িত।
সুবীর ভৌমিক বলছেন, ভারতের মূল উদ্দেশ্য মিয়ানমারে চীনের প্রভাব বলয়ে ফাটল ধরানো।
রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদে কলকাতার মুসলিমদের বিক্ষোভছবিররোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদে কলকাতার মুসলিমদের বিক্ষোভ (ফাইল ফটো)(ছবির জন্য নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন)
তার মিয়ানমার সফরে নরেন্দ্র মোদি বাগান এলাকায় ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত একটি প্যাগোডা দেখতে যাবেন। এই প্যাগোডাটি ভারত সংস্কার করে দিচ্ছে। স্থানীয় স্টেডিয়ামে তিনি একটি জনসভাতেও ভাষণ দেবন।
সম্ভাব্য উদ্দেশ্য - ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক ভাবাবেগ ব্যবহার করে বার্মিজ জাতীয়তাবাদীদের সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা।
http://www.bbc.com/bengali/new
s-41162687
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com .
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout .
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.
__._,_.___