৩০ হাজারের বেশি পূজামন্ডপ সারাদেশে
কাল মহাঅষ্টমী : রামকৃষ্ণ মিশনে অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা
দুর্গা দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ স্থাপন সপ্তম্যাদি কল্পারম্ভের মধ্য দিয়ে আজ শেষ হয়েছে সপ্তমী পূজা। আগামীকাল মহাঅষ্টমী।
আজ সকাল ৯টা ৫৮ মিনিট পূর্বে নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন , সপ্তয্যাদি কল্পারম্ভ এর মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে মহাসপ্তমী। এ উপলক্ষে বিভিন্ন মন্ডপে
আজ দুস্থদের মধ্যে বস্ত্র ও খাদ্য বিতরন করা হয়। সকাল থেকেই পূণ্যার্থীরা বিভিন্ন মন্ডপে অঞ্জলী নেয়ার জন্য ভীড় করতে থাকেন। রাতে সাংস্কৃতিক
অনুষ্ঠান ও আরতি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
আগামীকাল মহাঅষ্টমীর দিন সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটের মধ্যে দুর্গাদেবীর মহাষ্টম্যাদি বিহিত পূজা ও মহা অষ্টমীর ব্রতোবাস।
মধ্যাহ্নে মহাপ্রসাদ বিতরন এবং সিন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৬ মিনিটের মধ্যে সন্ধিপূজা সমাপন। মহাঅষ্টমীর মূল আকর্ষণ কুমারী পূজা।
ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনসহ কয়েকটি স্থানে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের স্থিরাত্মানন্দ মহারাজ (নিরঞ্জন মহারাজ) জানান, মহাষ্টমীর দিন সকাল ১১টায় কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, যে জগতমাতাকে (দেবী দুর্গা) আমরা আরাধনা করি তিনি সকল নারীর মধ্যে মাতৃরূপে আছেন। এ উপলব্ধি সকলের মধ্যে জাগ্রত
করার জন্যই কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। দুর্গা মাতৃভাবের প্রতীক আর কুমারী নারীর প্রতীক। কুমারীর মধ্যে মাতৃভাব প্রতিষ্ঠাই এ পূজার মূল লক্ষ্য।
কুমারী পূজার আনুষ্ঠানিকতা সম্পর্কে মহারাজ বলেন, দেবী দুর্গার সামনে বসিয়ে ঠিক যেভাবে তার (দুর্গার) আরাধনা করা হয়, একইভাবে কুমারীকে সে
সম্মান প্রদান করা হয়। শুধু মাটির প্রতিমা নয়, নারীর মধ্যেও মাতৃভাব আনা হয়।
বিশুদ্ধ স্বভাবের গুণাবলী দেখে একজন নারীকে কুমারী হিসাবে নির্বাচিত করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পূজার আগ পর্যন্ত কুমারীর পরিচয়
গোপন রাখা হয়। এছাড়াও নির্বাচিত কুমারী পরবর্তী সময়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন আচার-অনুষ্ঠান করতে পারে বলে তিনি জানান।
সারাদেশে এবার পূজার সংখ্যা ৩০ হাজার ৭৭টি। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২৯ হাজার ৩৯৫ টি। গতবারের চেয়েও বেশি ৬৮২টি মন্ডপে
পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রাজধানী ঢাকায় এবার পুজো হচ্ছে ২৩১টি, গত বছর এই সংখ্যা ছিল ২২৯। এ বছর দুটি বেড়েছে। সবচাইতে বেশি
পূজা হচ্ছে চট্টগ্রামে, ১হাজার ৭শ ৬৭টি। এর পরে দিনাজপুরে ১হাজার ২শ ৪২। গোপালগঞ্জে পূজা হচ্ছে ১ হাজার ১শ ৭৫টি।
http://www.kalerkantho.com/onl
রামলীলা বাঁধা থাকে সম্প্রীতির সুরে
ইতিহাস বলে, আগরা থেকে দিল্লিতে রাজধানী সরিয়ে আনার পরে মোগল সম্রাট শাহজাহান সব রকম উৎসব পালনেই তাঁর সেনাবাহিনীকে উৎসাহ দিতেন। ধর্মের বাছবিচার ছিল না। তখন লাল কেল্লার খুব কাছ দিয়েই বইত যমুনা। কেল্লার পিছনে নদীর ধারেই ধুমধাম করে উদ্যাপন হতো দশেরা।
দিল্লিতে প্রথম রামলীলা কমিটি তৈরি করেছিলেন শেষ মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর। এখনও লাল কেল্লার সামনের মাঠে হয় সেই রামলীলা। এ বছর তাতে নতুন চমক। বিজেপির একগুচ্ছ নেতা-নেত্রী রামলীলায় অভিনয় করছেন। কেউ সাজছেন অঙ্গদ, কেউ অহল্যা।
গেরুয়া শিবিরের রাজনীতিকদের পাশেই এই রামলীলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন মুসলমান অভিনেতা ও কারিগরেরা। মোগল জমানার ঐতিহ্য মেনেই জাত-ধর্মের কোনও বেড়া নেই। 'রামনাম' এখানে সম্প্রীতির সুরে বাঁধা।
বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি থাকুক চিরঅটুট
বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সব ধর্মের মধ্যে যে সম্প্রীতি তা কি আজ ফিকে হয়ে আসছে? আমরা কি আবারো পারি না ভালোবাসা দিয়ে একে অপরকে সম্প্রীতির বাঁধনে বাঁধতে! মোরা একই বৃন্তে দু'টি কুসুম, হিন্দু মুসলমান .........
__._,_.___