Banner Advertiser

Saturday, February 22, 2020

[ALOCHONA] রাজশাহীতে দেশের প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয়



রাজশাহীতে দেশের প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয়

W: †gv: gnwmb Avjx

(msM…হীZ)

 

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী ভাষা আন্দোলন কালে ঢাকা-য় ছাত্র হত্যাকাণ্ডের পরপরই রাজশাহী কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ভাষা আন্দোলন- যুক্ত হয় এবং ভাষা আন্দোলনকে উৎসর্গ করে শহীদদের স্মরণে একটি শহীদ মিনার নির্মান করেন যাকে সম্ভবত দেশের প্রথম শহীদ মিনার মনে করা হয় ঢাকায় মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদদের স্মৃতি রক্ষার জন্য নির্মিত প্রথম স্মৃতি স্তম্ভ ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাজশাহী কলেজ মুসলিম হোস্টেলের এফ ব্লকের সামনে নির্মিত এই স্মৃতিস্তম্ভটি ২২ ফেব্রুয়ারি পুলিশ প্রশাসন দ্বারা ভেঙে ফেলা হয়। প্রথম শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ যেটি ১৯৫২ সালের তৈরি করা হয়েছিল কিন্তু পাকিস্তান পুলিশ আর্মি সেটা ভেঙে ফেলে

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাজশাহী কলেজের মুসলিম হোস্টেলের একটি কক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভা থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে শহীদদের স্মরণে হোস্টেল প্রাঙ্গণে একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হবে। বৈঠকে রাজশাহী মেডিক্যাল স্কুলের এস.এম. গাফ্ফারকে সভাপতি এবং রাজশাহী কলেজের হাবিবুর রহমান গোলাম আরিফ টিপুকে যুগ্ম-সম্পাদক করে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। পরিষদের সিদ্ধান্তে ওই রাতেই ছাত্ররা রাজশাহী কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গনে ইট, কাঁদামাটি বাঁশ দিয়ে 'শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ' তৈরী করে। রাজশাহী কলেজ হোস্টেলের জনাদশেকের সঙ্গে আরও জনাদশেক মিলে রাত সাড়ে ৯টায় শুরু হলো শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজ। অদক্ষ হাতে রাত ১২টায় নির্মাণ হলো দেশের প্রথম শহীদ মিনার। এর গায়ে লেখা হলো 'শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ' পরদিন ২২ ফেব্রয়ারি সকালে ফুলের শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে ওই শহীদ স্মৃতি স্তম্ভের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। অবশ্য কয়েক ঘণ্টা পরই তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের পুলিশ সেটি ভেঙ্গে দেয়।

১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে রাজশাহী কলেজে স্থাপিত হয়েছিল দেশের প্রথম শহীদ মিনার। কিন্তু ভাষা আন্দোলনের ছয় দশক পরও প্রথম শহীদ মিনারের স্বীকৃতি পায়নি রাজশাহীবাসী। মহান ভাষা আন্দোলনের অংশ নেয়ায় পুলিশের তালিকায় ৩১ নম্বর আসামি কাজী জিয়ারত হোসেনের মুখ থেকে জানা গেল কথা। হুলিয়া মাথায় নিয়ে তিনি চলে গিয়েছিলেন ভারতে। '৫২- ২১শে ফেব্রুয়ারি রাতে রাজশাহী কলেজ মেইন হোস্টেলের সামনে দেশের প্রথম শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের ছবিটিও তুলেছিলেন তিনি। মহান ভাষা আন্দোলনের সক্রিয় অংশগ্রহণ করলেও সেভাবে কোন পরিচিতি পাননি কাজী জিয়ারত হোসেন এই নিয়ে তার মাঝে কোন ক্ষোভ নেই। তবে তার একটিই দাবি তাহলো দেশের প্রথম শহীদ মিনারের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি।
ভাষাসৈনিক কাজী জিয়ারত হোসেন বলেন, '৫২- ভাষা আন্দোলনের সময় তিনি ম্যাট্রিক পরীক্ষার্থী ছিলেন। পড়তেন রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে। ভাষা আন্দোলনের সময় পরীক্ষা লাটে উঠেছিল। '৫২- ২১শে ফেব্রুয়ারি রাতে রাজশাহী কলেজ হোস্টেলের গেটের কাছে যে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছিল ইট আর কাদা দিয়ে সেই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের সময় তিনিও ছিলেন। তৎকালীন হোস্টেল সুপার মল্লিক সাহেবের বাসায় গলির মধ্যে ওই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করা হয়েছিল। শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের সময় চারদিক থেকে পুলিশ ঘিরে নিয়েছিল। সকালের দিকে পুলিশ সেটা ভেঙেও দিয়েছিল। এই ঘটনার পর কাজী জিয়ারত হোসেন সেখানে থেকে সরে পড়লেও অনেককেই পুলিশ সেই দিন গ্রেপ্তার করে। স্মৃতিচারণে তিনি বলেন, ওই সময় অনেকের নামে ওয়ারেন্ট জারি হয়েছিল। একজন পুলিশ তার বাবা কাজী মোহাম্মদ হোসেনকে (প্রয়াত) বলেছিলেন, 'আপনার ছেলের স্মৃতিস্তম্ভটি সরিয়ে দেন।' এরপর তার বাবা তাকে ভারতে পাঠিয়ে দেন। মাসখানেক তিনি ভারতে ছিলেন। ওই সময় পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল। ভারত থেকে ফিরে এসে তিনি পরীক্ষা দেন এবং পাস করেন। তিনি বলেন, রাজশাহী কলেজ হোস্টেলে যে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছিলসেই স্মৃতিস্তম্ভের ছবিটিও তিনি তুলেছিলেন। এসময় তিনি ক্যামেরা নিয়ে ঘুরতেন। ছবিটি মোতাহার হোসেনের স্টার স্টুডিও থেকে ওয়াস করা হয়েছিল এবং সেটা পরে এডভোটেক মহসীন প্রামাণিকের কাছে সংরক্ষিত ছিল। স্মৃতিচারণে তিনি বলেন, শুধু ভাষা আন্দোলনে নয়, মুক্তিযুদ্ধসহ প্রগতিশীল সকল আন্দোলনে তিনি যুক্ত ছিলেন। আইয়ুব খানকে জুতা মারার কারণে তার বাড়ি আক্রান্ত হয়েছিল ওই ঘটনার পর অনেক নেতাকর্মী তার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেইসব স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ৭৭ বছর বয়সী ভাষাসৈনিকের চোখেমুখে তারুণ্য ঠিকরে পড়ছিল। তিনি ছেলে মেয়র জনক। তিনি বলেন, একুশের চেতনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। তবে মহান একুশ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হওয়ায় মর্যাদা বেড়েছে। অন্যদিকে দুঃখজনক হলেও অদ্যবধি রাষ্ট্র দেশের প্রথম শহীদ মিনারটির স্বীকৃতি প্রদান করতে পারেনি। শেষ বয়সে এসে তার একটিই দাবি রাজশাহী কলেজে দেশের প্রথম শহীদ মিনারের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। ভাষা আন্দোলনের ছয় দশকেও রাজশাহীবাসী পায়নি প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণের স্বীকৃতি। নিয়ে অনেকবার আন্দোলনও হয়েছে।

 




__._,_.___

Posted by: "Dr. M. Mohsin Ali" <drmohsinali@yahoo.com>


[Disclaimer: ALOCHONA Management is not liable for information contained in this message. The author takes full responsibility.]
To unsubscribe/subscribe, send request to alochona-owner@egroups.com





__,_._,___