Banner Advertiser

Friday, May 2, 2008

[ALOCHONA] Resign Mr. Hasan Masud Chowdhury as you can not work freely

গ্যাটকো মামলায় চার্জশিট দেওয়া নিয়ে গ্যাঁড়াকলে দুদক

শুধু খালেদা কোকোই নয়, ফেঁসে যাবেন বিএনপির অর্ধ ডজন সংস্কারপন্থী নেতা


গ্যাটকো মামলায় চার্জশিট দেওয়া নিয়ে গ্যাঁড়াকলে দুদক
শংকর মৈত্র : গ্যাটকো দুর্নীতির মামলা নিয়ে গ্যাঁড়াকলে পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই মামলায় চার্জশিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও কাকে রেখে কাকে বাদ দেওয়া হবে এ নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে দুদক। আর এই সিদ্ধান্তহীনতার কারণে ৭ মাসেও মামলার চার্জশিট দাখিল করা সম্ভব হয়নি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বির"দ্ধে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর এই মামলা দায়েরের পর ১৭ সেপ্টেম্বর দুদকের সভায় মামলাটি জর"রি ক্ষমতা বিধিমালা ২০০৭-এ অনুমোদন দেওয়া হয়। জর"রি ক্ষমতা বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করায় বিধিমালার ১৫গ ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৬০ দিনের মধ্যে মামলার তদন্ত শেষ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর চার্জশিট দাখিলের পর জর"রি বিধিমালার ১৯ক(১)ও (২) বিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৬০ দিনের মধ্যে বিচার কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। কিন্ত মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খালেদা জিয়া ও তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও তারপর ৭ মাসেও মামলার চার্জশিট দাখিল করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। যদিও মামলা দায়েরের ৩ সপ্তাহের মধ্যেই তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক তদন্ত শেষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ ৩১ জনের বির"দ্ধে চার্জশিট দেওয়ার সুপারিশ করে কমিশনের কাছে রিপার্ট প্রদান করেছিলেন, কিš' তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করে চার্জশিট প্রদানের সুপারিশ করলেও চার্জশিট দাখিল করা হবে কি না এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার কথা কমিশনের। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে কমিশনের সভায় তদন্তকারী কর্মকর্তার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে চার্জশিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও কাদেরকে আসামি করা হবে এ নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতার কারণে চার্জশিট দাখিল করা সম্ভব হচ্ছে না। সূত্রটি জানিয়েছে, গ্যাটকো মামলায় চার্জশিট দাখিল নিয়ে সরকারের প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে দুদকের ঠাণ্ডা লড়াই চলছে।
জর"রি বিধিমালায় মামলা তদন্তের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, বিচারের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সব কিছু দ্র"ততার সঙ্গে করার কথা বললেও গ্যাটকো মামলায় দুদক গ্যাঁড়াকলে আটকে আছে। আইন বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, মামলা দায়ের এবং আসামি গ্রেপ্তারের পর ৭ মাসেও মামলার তদন্ত রিপোর্ট দাখিল না করায় 'আসামিদের বিনা বিচারে আটক রাখা হয়েছে' এ গ্রাউন্ডে তারা উচ্চ আদালতে বিচার চাইতে পারেন। খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ একজন আইনজীবী এ ধরনের আভাস দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার টার্মিনাল ও ঢাকার কমলাপুর অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ডিপো পরিচালনার জন্য গ্যাটকো নামক একটি অদক্ষ প্রতিষ্ঠানকে লিজ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বির"দ্ধে মামলা দায়ের করে। এই মামলায় ৩ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া ও কোকোকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদকের দায়ের করা মামলাটি পরবর্তী সময়ে জর"রি ক্ষমতা বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
গ্যাটকো দুর্নীতির মামলাটি তদন্তের জন্য দুদক উপপরিচালক মোঃ জহুর"ল হুদাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ ছাড়া দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় টাস্কফোর্সের একটি টিমও তদন্ত করে। তদন্তকারী কর্মকর্তার নেতৃত্বে একজন সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তার সমন্বয়ে তদন্ত টিম তাদের তদন্তের অংশ হিসেবে গ্যাটকোকে কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও সচিব কমিটির যে সব সদস্য দায়িত্ব পালন করেছিলেন তাদেরকে তলব করে এবং জবানবন্দি গ্রহণ করে। খালেদা জিয়ার মন্ত্রিপরিষদের ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্য সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আব্দুল মান্নান ভূইয়া, সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, সাবেক কৃষিমন্ত্রী এমকে আনোয়ার ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী জামাতের আমির মতিউর রহমান নিজামী ২৫ সেপ্টেম্বর দুদকে হাজির হয়ে তদন্তকারী টিমের কাছে তাদের জবানবন্দি দাখিল করেন। কারাগারে আটক খালেদা জিয়ার মন্ত্রিপরিষদের ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও এ কে এম মোশাররফ হোসেনকেও ৩ অক্টোবর জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী টিম। এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর দুদকে তলব করা হয় সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও বর্তমানে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ড. সা'দত হোসেইন, সাবেক সচিব ও বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মানিক লাল সমাদ্দারসহ ৬ সচিব ও কর্মরত একজন অতিরিক্ত সচিবকে। এই সচিবরা ক্রয়সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে ছিলেন। তদন্তকারী সূত্রগুলো জানিয়েছে, অত্যন্ত দ্র"ত ও দক্ষতার সঙ্গে তদন্তকারী টিম গ্যাটকো মামলার তদন্ত এগিয়ে নেয়। তদন্তটিম চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকেও তলব করে তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করে।
তদন্ত চলা অবস্থায় ৩০ সেপ্টেম্বর গ্যাটকো মামলাটি জর"রি ক্ষমতা বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং জামিন চেয়ে হাইকোর্টে পৃথক রিট করেন খালেদা জিয়া ও তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো। হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করলেও কোকোর জামিন মঞ্জুর করেনি। তবে মামলাটি জর"রি ক্ষমতা বিধিমালায় নেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এর কারণ দর্শানোর জন্য র"ল জারি করে এবং মামলার তদন্ত রিপোর্ট না দেওয়া পর্যন্ত মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়। হাইকোর্টের এই আদেশের বির"দ্ধে দুদক আপিল করে । ৪ অক্টোবর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি শেষে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দেওয়া হয়। ফলে মামলার তদন্ত আবার শুর" হয়।
দুদক সূত্রে জানা গেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জহুর"ল হুদা তদন্ত শেষে ৪ নভেম্বর কমিশনের কাছে রিপোর্ট দাখিল করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে রিপোর্টে তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার টার্মিনাল ও ঢাকার কমলাপুর অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার জন্য গ্যাটকো নামক প্রতিষ্ঠানকে লিজ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম হওয়ার তথ্যপ্রমাণ পান। দরপত্র দাখিলের পর ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি অনভিজ্ঞতা ও শর্তপূরণ না করার কারণে গ্যাটকোকে অযোগ্য ঘোষণা করেন। কিš' পরবর্তী সময়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অনুরোধে ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি পুনর্বার সভা করে দুটি কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার জন্য গ্যাটকোকে কাজ দেওয়া হয়। সূত্রটি জানিয়েছে, প্রথম দফায় অযোগ্য ঘোষণার পর দ্বিতীয়বার কি কারণে গ্যাটকোকে টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হলো তার রহস্যই তদন্তে উদঘাটন করা হয়। আর এতে বের হয়ে আসে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো গ্যাটকোকে কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করেন। গ্যাটকোর মালিক খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভার সদস্য নৌপরিবহনমন্ত্রী প্রয়াত কর্নেল (অব) আকবর হোসেনের পরিবার। মন্ত্রী থাকা অবস্থায় তিনি নিজেই খালেদা জিয়া ও তার ছোট ছেলের ওপর প্রভাব বিস্তার করে নিজের প্রতিষ্ঠানকে দুটি কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার কাজ পেতে ভূমিকা রাখেন। প্রাথমিক তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা গ্যাটকোকে অবৈধভাবে কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার জন্য কাজ দেওয়ার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো, সাবেক মন্ত্রীদের মধ্যে আব্দুল মান্নান ভূইয়া, এম সাইফুর রহমান, এম শামসুল ইসলাম, এমকে আনোয়ার, মতিউর রহমান নিজামী, ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এ কে এম মোশাররফ হোসেন, আমির খসর" মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও বর্তমানে পিএসসির চেয়ারম্যান ড.সা'দত হোসেইন, সাবেক সচিব মানিক লাল সমদ্দার, মির্জা তাসাদ্দুক হোসেন বেগ, নজর"ল ইসলাম, জাকির আহমেদ খান, জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, নুর"ল ইসলাম, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এ এম এম শাহাদাত হোসেন, কমডোর (অব.) জুলফিকার আলী, সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী আকবর হোসেনের স্ত্রী জাহানারা আনসার, ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন, গ্যাটকোর পরিচালক এ কে এম মুসা কাজল , সৈয়দ গালিব আহমদসহ ৩১ জনের বির"দ্ধে চার্জশিট দাখিলের সুপারিশ করে তার রিপোর্ট দাখিল করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা তার রিপোর্টে আসামিদের বির"দ্ধে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ ধারার অভিযোগ এনে চার্জশিট দাখিলের অনুমতি প্রার্থনা করেন।
সূত্রটি জানিয়েছে, দুদক আইন অনুযায়ী কমিশনের কাছে তদন্তকারী কর্মকর্তার রিপোর্ট দাখিলের পর কমিশনের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আদালতে মামলার চার্জশিট দাখিল করা হবে না চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কমিশন প্যানেলভুক্ত আইনজীবীদের পরামর্শ গ্রহণ করে। এই মামলায় দুদক তার আইন বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করলে আইন বিশেষজ্ঞরাও তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে একমত পোষণ করে চার্জশিট দাখিলের পক্ষে মত দিয়েছেন। দুদক পরামর্শ নিয়েছে এমন একজন আইনজীবীও এর সত্যতা স্বীকার করেছেন। সূত্রটি জানিয়েছে দুদক এ পর্যন্ত যে সব মামলার চার্জশিট দাখিল করেছে সে গুলোর ক্ষেত্রে কমিশন দ্র"ত সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়েছে। কিš' গোল বেধেছে গ্যাটকো মামলা নিয়ে। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ৩ সপ্তাহের মধ্যেই চার্জশিট দাখিলের সুপারিশ করলেও কমিশন কেন পরবর্তী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না তা বেশ রহস্যজনক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের সূত্রগুলো জানিয়েছে এই মামলার চার্জশিট দিলে শুধু খালেদা জিয়া কিংবা তার ছোট ছেলেই ফেঁসে যাচ্ছেন না, তাদের সঙ্গে ফেঁসে যাবেন বিএনপির সংস্কারপন্থী অর্ধডজন সাবেক মন্ত্রী। এ ছাড়া পিএসসির চেয়ারম্যান প্রভাবশালী সাবেক আমলা ড.সা'দত হোসেইনসহ আরো প্রভাবশালী সাবেক কয়েকজন আমলাও আসামির তালিকায় পড়বেন। যা নিয়ে এক বিব্রতকর অবস্থায় পড়বে সংস্কারপন্থী বিএনপির রাজনীতিকরা এবং প্রভাবশালী সাবেক আমলারা।

দুদকের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রগুলো জানিয়েছে গ্যাটকো মামলাটি দুদকের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ। এই মামলার চার্জশিট প্রদানের ওপর নির্ভর করছে দুদকের প্রভাবমুক্ত হয়ে কাজ করার চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ দুদক সামলাতে পারবে কি না এটাই এখন দেখার বিষয়।

http://bhorerkagoj.net/online/news.php?id=45322&sys=1


হে আল্লাহ, অত্যাচারী,প্রতিক্রিয়শীল মঈনের অদক্ষ আর তাবেদার
উপদেষ্টাদের হাত থেকে বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষকে মুক্ত কর


Be a better friend, newshound, and know-it-all with Yahoo! Mobile. Try it now. __._,_.___

[Disclaimer: ALOCHONA Management is not liable for information contained in this message. The author takes full responsibility.]
To unsubscribe/subscribe, send request to alochona-owner@egroups.com




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___