| | | Enter your message here. আলটিমেটামের মাজেজা ধরা পড়ে গেছে: হাসিনা | | | Sat, Jan 28th, 2012 3:15 pm BdST | | | | | | ঢাকা, জানুয়ারি ২৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে বিরোধী দলের সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে আবার ইঙ্গিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, বিরোধীদলীয় নেতা ডিসেম্বরে সরকার পতনের যে আলটিমেটাম দিয়েছিলেন, তার 'মাজেজা' এখন ধরা পড়েছে।
গত ১৯ জানুয়ারি সেনাবাহিনী জানায়, সরকার উৎখাতে ধর্মান্ধ কতিপয় সেনা কর্মকর্তার চক্রান্ত তারা ব্যর্থ করে দিয়েছে, যা ডিসেম্বর মাসে চালানো হয়।
গণভবনে শনিবার লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, "ডিসেম্বরের পর সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না বলে বিএনপি নেত্রী আলটিমেটাম দিয়েছিলেন। ডিসেম্বরের মাজেজাটা কী ছিলো, তা ধরা পড়ে গেছে। মাত্র কিছুদিন আগে ষড়যন্ত্রটা ধরা পড়ে গেল।"
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিভিন্ন সময় সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছিল বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময়ের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, "১৯৮৬ সালে সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর পর একটা সমাবেশে খালেদা জিয়া সিপাহীদের সেনানিবাস থেকে বেরিয়ে এসে সিপাহী-জনতার বিপ্লব ঘটানোর কথা বলেছিলেন।
"এই কথা বলেই তিনি নিরুদ্দেশ হয়ে গেলেন। তারপর তিনদিন পর ঢাকা কোর্টে হাজির হয়ে তিনি বললেন, তাকে অ্যারেস্ট করা হয়েছিল। ওই তিনদিন সিপাহী-জনতার বিপ্লবও হয়নি। আর, উনাকে (খালেদা) ক্ষমতায়ও বসায়নি।"
একই প্রসঙ্গ ধরে শেখ হাসিনা আরো বলেন, "তারপর, উনি আবার নিরুদ্দেশ হয়ে গেলেন। এরপর, দেখা গেল- জেনারেল এরশাদ তাকে পূর্বাণী হোটেল থেকে বের করে আনলেন।"
বিডিআর বিদ্রোহের সময়ও বিএনপি চেয়ারপারসনের 'নিরুদ্দেশ' থাকার বিষয়টি তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, "উনি কালো কাচের গাড়ি করে কোথায় চলে গেলেন? তিনদিন কোথায় ছিলেন তিনি? কী রহস্য, কী লিংক আছে?
"আমরা যখন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন করে যাচ্ছি, তখন ওনাদের চিন্তা- কীভাবে সেনাবাহিনীতে অঘটন ঘটানো যায়। তাদের রাজনীতি হচ্ছে ধ্বংসাত্মক। তাদের জন্মই হয়েছে হত্যা-ক্যু'র মাধ্যমে।"
আওয়ামী লীগ সরকার দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ব্যক্তিগতভাবে কী পেলাম, তা না ভেবে, দেশের মানুষকে কী দিতে পারলাম- সেটাই আমাদের রাজনীতি।"
২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে প্রণীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করতে আওয়ামী লীগর নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালে বিএনপির দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, "২০০৭ সালের ১ জুলাই খালেদা জিয়া বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে যা হচ্ছে, একদিন জনগণ এর বিলুপ্তি চাইবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা গণতন্ত্র হত্যাকারী।"
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের মুখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা যোগ হয়েছিল সংবিধানে, যা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিলুপ্ত করে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ওই সময় উঠেছিল।
"তখন মানুষ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছিল। আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করেছিলাম।"
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তার বক্তব্যের শুরুতেই লক্ষ্মীপুরবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, "লক্ষ্মীপুরের অলক্ষ্মী যদিও দূর করতে পারলাম না, তবুও সেখানে সংগঠন মজবুত। লক্ষ্মীপুরের অলক্ষ্মী দূর করতে হবে।"
সংসদে লক্ষ্মীপুরের চারটি আসনের প্রতিটিতেই সংসদ সদস্য বিএনপির।
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মহীউদ্দীন খান আলমগীর, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন প্রমুখ।
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এবং উপজেলা, থানা, পৌর, ইউনিয়ন শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এই সভায় ছিলেন।
শুরুতে শেখ হাসিনার প্রারম্ভিক বক্তব্য দেন। এরপর তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসইউএম/এমআই/১৫১৪ ঘ.
| |
| | | | | | | |