Banner Advertiser

Monday, June 4, 2012

[mukto-mona] Fw: খালেদা জিয়ার কণ্ঠে এখনও এত প্রলাপোক্তি কেন?


----- Forwarded Message -----
From: SyedAslam <syed.aslam3@gmail.com>
To: Khobor <khabor@yahoogroups.com>
Sent: Sunday, June 3, 2012 7:00 PM
Subject: খালেদা জিয়ার কণ্ঠে এখনও এত প্রলাপোক্তি কেন?

খালেদা জিয়ার কণ্ঠে এখনও এত প্রলাপোক্তি কেন?
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, লন্ডন (মঙ্গলবার ১৫ মে ২০১২, ১ জৈষ্ঠ্য ১৪১৯, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৩৩):- মানুষ কখন প্রলাপ করতে শুরু করে সাধারণত বার্ধক্য, মতিভ্রম, গভীর শোক ও হতাশা থেকেও মানুষ অনেক সময় প্রলাপ বকে। মনোচিকিৎসকেরা বলেন, গভীর হতাশা ও শোক যুক্ত হলে মানুষ যেকোন বয়সে, যে কোন অবস্থায় প্রলাপ বকা শুরু করতে পারে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সাম্প্রতিক কথাবার্তা শুনে মনে হয় তাঁর অধিকাংশই প্রলাপোক্তি ছাড়া আর কিছু নয়। কিন্তু তিনি কেন প্রলাপ করেন? এখনও এত তাঁর তেমন বয়স হয়নি। বার্ধক্যের জরা তাঁকে তেমন স্পর্শ করেনি। তিনি এখনও 'সাজুগুজু বেগম।' এই অবস্থায় তাঁর মুখে এখন অনবরত প্রলাপোক্তি কেন?
অবশ্য বেচাল ও বাচাল কথা তিনি আগেও বলেছেন। যেমন 'পাগল ও শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ হয় না।' কিংবা 'আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয়ী হলে মসজিদে উলুধ্বনি শোনা যাবে' ইত্যাদি। তিনি 'স্বশিক্ষিত।' ফলে তার শিক্ষিত পরামর্শদাতাদের শেখানো বুলি আওড়াতে গিয়ে তিনি যে রাজনৈতিক অপরিপক্বতার পরিচয় দিয়েছেন, তাকে অনেকে প্রলাপের পর্যায়ে টানতে চাননি। হালে এই মহিলা যেসব কথা বলতে শুরু করেছেন, তা যে একেবারেই প্রলাপোক্তি, তা বুঝতে একজন বালকেরও কষ্ট হয় না।
খালেদা জিয়া তো বাংলাদেশে ক্ষমতা দখলকারী সেনাপতির স্ত্রী হওয়ার সুবাদে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা রাজনৈতিক নেত্রী। কিন্তু বিশ্বের যারা সেরা এবং প্রকৃত রাজনীতিবিদ, তারাও অতিবৃদ্ধ বয়সে প্রলাপ বকেছেন। যেমন ব্রিটেনের চার্চিল এবং আমেরিকার রিগান। চার্চিল শেষ বয়সে শেষবারের মতো ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে বসে এমন একটি দায়িত্বহীন কথা বলেছিলেন, যাকে প্রলাপোক্তি আখ্যা দিয়ে টোরি পার্টি তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে এন্থনি হডেনকে সেই পদে বসাতে বাধ্য হয়েছিল। রিগান-উপাখ্যান আরও লজ্জাকর। 'ইরা-গেট' কেলেঙ্কারির পর থেকে বার্ধক্যজনিত রোগ যুক্ত হয়ে তিনি প্রলাপ বকতে শুরু করেন। লেখাটি দীর্ঘ হয়ে যাবে এই ভয়ে সে কাহিনী এখানে টানছি না।
বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার বয়স এখনও তেমন হয়নি। তিনি কোন জটিল রোগেও আক্রান্ত নন। দলে তাঁর নেতৃত্বকে এই মুহূর্তে চ্যালেঞ্জ জানানোরও কোন হিম্মতওয়ালা পুরুষ নেই। ব্যারিস্টার মওদুদ থেকে শুরু করে চোখা মিয়া পুত্র মির্জা ফখরুল সকলে অষ্টপ্রহর তাঁর সামনে আভূমি নত হয়ে থাকেন। তাহলে ইদানীং তার এই প্রলাপ বকা শুরু করা কেন? সম্প্রতি আমি যখন ঢাকায় কয়েকদিনের জন্য অবস্থান করছিলাম, তখন বিএনপির এক নেতা আমাকে বলেছেন, 'খালেদা জিয়া এখন বাইরে যতোই তর্জন-গর্জন করুন, ভেতরে ভেতরে তিনি একেবারেই ভেঙে পড়া একজন হতাশ মানুষ। ক্যান্টনমেন্টের এত প্রিয় বাড়িটি তাঁর হাতছাড়া হয়ে যাবে, এটা কোনদিন তিনি ভাবেননি। তার পর তাঁর 'নয়নের মণি' তারেক, কোকো ও নাতিনাতনিদের দীর্ঘ অদর্শন ও বিদেশে অনির্দিষ্টকালের স্বেচ্ছা নির্বাসন তাকে অধীর ও পাগল করে তুলেছে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের দ্রুত জনপ্রিয়তা হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও আগামী সাধারণ নির্বাচনে জিতে তিনি আবার ক্ষমতায় যাবেন, মুখে যা-ই বলুন, মনে মনে সেই আশা তিনি পোষণ করছেন না। তিনি হতাশার গভীরে ডুবে আছেন।
হতে পারে তিনি হতাশা সাগরে নিমজ্জিত। তাই তাঁর কণ্ঠের আগের বেচাল কথাগুলো এখন প্রলাপে পরিণত হয়েছে। প্রশ্ন হলো, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সাম্প্রতিক ঢাকা সফরের সময় তাঁর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণের বৈঠক এবং ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির তাঁকে আশ্বাস দিয়ে বলা বাংলাদেশের কোন দলের বন্ধু ভারত নয়,' অর্থাৎ তারা বিএনপির বন্ধু, এসবও কি খালেদা জিয়ার মনের পুঞ্জীভূত হতাশা দূর করতে টনিকের কাজ করেনি? নাকি তার শক্তি ও সমর্থনের আসল উৎস ক্যান্টনমেন্টে তাঁর অবস্থান দুর্বল হওয়ায় এবং পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ক্রমশ দুর্বল হতে থাকায় হিলারি-প্রণবের সঞ্জীবনী সুধাও তাঁর হতাশা দূর করতে টনিকের কাজ করছে না? ইলিয়াস আলীর অপহরণের মতো ঘটনা থেকেও তিনি কি অশনি সঙ্কেত পেয়েছেন, তিনিই তা জানেন।
সম্প্রতি ঢাকার অদূরে গাজীপুরে বেগম খালেদা জিয়া তাঁর বক্তৃতায় যে কথা বলেছেন, তাঁকে প্রলাপোক্তি বললে কম করে বলা হয়। তিনি বলেছেন, 'আগামী ৪২ বছরেও আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় আসবে না। তাদের পথে পথে ঘুরতে হবে।' এ ধরনের কথা তিনি আগেও বলেছেন, তবে বছর উল্লেখ করে এত স্পেসিফিকলি বলেননি। তা এত প্রলাপোক্তির মতো শোনায়নি। ক্ষমতায় বসে বহুবার তিনি বলেছেন, 'আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় আসবে না।' এটা ছিল একটা বাতকে বাত্। কেউ তেমন গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি। কথাটা গুরুত্বও পায়নি। কারণ, তারপর আওয়ামী লীগ বিরাট সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নির্বাচনে জিতেছে এবং ক্ষমতায় এসেছে। তাছাড়া আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় আসবে না, তিনি তার রাজনৈতিক অপরিপক্বতা থেকে একথা বললেও জনগণ তা বিশ্বাস করেনি। কারণ, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রক্রিয়াই হলো, জনগণের ইচ্ছানুযায়ী ক্ষমতার হাত বদল। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে, কাল থাকবে না। বিএনপি আসবে। আবার জনগণের ইচ্ছানুযায়ী বিএনপি চলে যাবে, আওয়ামী লীগ আসবে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের চাকা এভাবেই চলতে থাকে। খালেদা জিয়া না চাইলেও সেটা এভাবেই ঘুরতে থাকবে এবং ঘুরছে।
কিন্তু এখন খালেদা জিয়া একেবারে সন তারিখ দিয়ে যে কথাটা বলছেন, এটা প্রলাপোক্তি হলেও এর ভেতর দিয়ে তাঁর মনের ইচ্ছাটা প্রকাশ পাচ্ছে। ৪২ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আর আসতে পারবে না। অর্থাৎ আসতে দেয়া হবে না। তাহলে ক্ষমতায় থাকবে কে? বিএনপি এবং খালেদা জিয়া? তাহলে তো বাংলাদেশে একদলীয় শাসন চালু হবে। খালেদা জিয়া কি সেটাই চান? তাহলে আর বাকশালপন্থীদের উঠতে-বসতে গালি দেয়া কেন? গণতন্ত্রের জন্য এত মায়াকান্না কেন? মুখ ফুটে তিনি সে কথাটা বললেই পারেন! তাহলে দেখা যেত তাঁর এই প্রলাপোক্তির প্রতিক্রিয়া দেশের মানুষের মধ্যে কী ঘটে?
গাজীপুরে দেয়া খালেদা জিয়ার বক্তব্য শুনে আমার মনে প্রশ্ন জেগেছে, চিরকালের জন্য আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসা বন্ধ না করে তিনি ৪২ বছর সময়সীমা নির্ধারণ করে কেন দিলেন? নাকি এটা গাণিতিক হিসাবের ভুল। শুনেছি, 'স্বশিক্ষিত' বেগম জিয়া স্কুলে গণিত পরীক্ষায় পাস করতেন না। ফলে গাণিতিক হিসাবে তাঁর ভুল হতে পারে। নিজের বর্তমান বয়স হিসাব করলে তিনি দেখতেন, তাঁর বর্তমান বয়স ষাট হলে ৪২ বছর পর তাঁর বয়স দাঁড়াবে একশ' দুই। এদ্দিন তিনি ডিক্টেটরি শাসন চালাবার জন্য বেঁচে কি থাকবেন? মিসরের মোবারক এবং লিবিয়ার গাদ্দাফির ডিক্টেটরি শাসনও ৪০ বছর অতিক্রম করতে পারেনি। ক্ষমতার উত্তরাধিকারী হিসাবে তারা যে সন্তানদের মনোনীত করেছিলেন, তাদের কেউ আজ মৃত, কেউ পলাতক।
খালেদা জিয়া কি আশা করেন, আগামী নির্বাচনে জিতে তিনি ৪২ বছরের জন্য ক্ষমতাসীন হবেন এবং এই ফাঁকে তারেক রহমানকে এক্সিকিউটিভ ক্ষমতার বলে দুর্নীতি সন্ত্রাসের সকল মামলা মোকদ্দমা ও দ- থেকে মুক্ত করে দেশে এনে বাতিস্তার পুত্রের মতো ক্ষমতায় বসাবেন এবং নিজে তাঁর মাথার ওপর ছাতার মতো থাকবেন? ধন্য আশো কুহকিনী! এই ৪২ বছর সময়ে বর্তমানে যৌবনের শেষ প্রান্তে উন্নীত তারেকের বয়স দাঁড়াবে কতো? তারেকের অবস্থা এখনই ব্রিটেনের যুবরাজ প্রিন্স চার্লসের মতো। রানীর দীর্ঘ জীবন লাভের ফলে চার্লসের নয়, তাঁর পুত্র উইলিয়ামের সিংহাসনে বসার সম্ভাবনা বাড়ছে।
বাংলাদেশে খালেদা জিয়া 'সোনার পুত্র' তারেককে সিংহাসন ছেড়ে দিতে চাইলে, তাতে বসা কি তাঁর জন্য নিষ্কণ্টক হবে? সামনে নির্বাচন আছে না! তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে বিএনপি যদি নির্বাচনে না যায়, তাহলে ৪২ বছরের মেয়াদটি শুরু হবে কবে? আর নির্বাচনে যোগ দিয়ে জয়ী হয়ে যদি ক্ষমতাতেও যায়, তাহলেও তারেককে সিংহাসনে বসানো কি সহজ হবে? আগের সেই বিএনপি এখন নেই। ইলিয়াস-অপহরণ কী সঙ্কেত দিচ্ছে? অবশ্যই তারেককে সিংহাসনে বসানো সহজ হবে না। তারেকের দুই শক্তিশালী বাহু (লন্ডনের কমরুদ্দীন মৃত, ইলিয়াস আলী অপহৃত) এখন অনুপস্থিত। তারেক এখন দেশে ফিরতে চাইলে কোথায় যাবেন আগে, কারাগারে, না ক্ষমতার সিঁড়িতে? দলীয় ঐক্য তখন কি আর বর্তমানের বাইরের ঠাঁট বজায় রাখতে পারবে? মুসলিম লীগের কাউন্সিল ও কনভেনশন এই দুই ভাগের তো দু'ভাগ হয়ে যেতে পারে। এমন কি আগামী নির্বাচনের আগেই।
তারেকের জন্য তো বড় সমস্যা ক্যান্টনমেন্ট। দেশে থাকাকালে ক্যান্টনমেন্টে বাস করে তারেক যেভাবে সেনা অফিসারদের মাথায় ছড়ি ঘুরিয়েছে, তাদের নিয়োগ বদলি নিয়ে যথেচ্ছার করেছে, তাতে সেনা অফিসারদের বৃহত্তর অংশে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা আর আছে কি? তাকে তো আওয়ামী লীগ সরকার দেশছাড়া করেনি। করেছে সেনা সমর্থিত এক এগারোর সরকার। আওয়ামী লীগ বাধা না দিলেও তারেক রহমান এখন দেশে ফিরতে পারবেন কি? সে সাহস তার কোথায়? আর এখনই দেশে না ফিরলে মায়ের স্নেহ সম্বল করে কি রাজনীতিতে টিকে থাকা যাবে? এখনই শোনা যাচ্ছে, তারেকের ওপর আশা হারিয়ে জামায়াত ও আইএসআই নতুন নেতা খুঁজছে। ইলিয়াস আলীর অপহরণের সঙ্গে এই খোঁজাখুঁজির কোন সম্পর্ক আছে কি না, সে প্রশ্নও কোন কোন মহলে দেখা দিয়েছে।
আর বাংলাদেশে আরও ৪২ বছর ডিক্টেটরি শাসন চালানোর জন্য বিএনপি টিকে থাকবে এটা যারা আশা করে, তারা আহাম্মকের বেহেস্তে বাস করছে। পাকিস্তান অর্জন করেছে যে মুসলিম লীগ, সে দলটি পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ১০ বছর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারেনি। আর বাংলাদেশে পারবে সেই দলের ঔরসে জন্ম নেয়া বিএনপি? শুধু টিকে থাকার জন্যই কোন রাজনৈতিক দলের ভারতের কংগ্রেসের মতো যে জনসম্পৃক্ততা ও গণভিত্তি থাকা দরকার, তা বিএনপির কোথায়? সেনা ছাউনিতে এক ক্ষমতালোলুপ সেনাপতির স্বার্থে যে দলের জন্ম, সেনা ছাউনির সমর্থন যত কমছে, ততই তার আয়ু কমে আসছে। কোন নীতি ও আদর্শ ছাড়া এলিট শ্রেণীর কিছু সুযোগসন্ধানী রাজনীতিক এবং সাবেক কিছুসংখ্যক সিভিল ও মিলিটারি অফিসার নিয়ে গঠিত দল টিকে থাকতে পারে না। বিএনপি যে এখনও টিকে আছে তার কারণ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ঘোলাটে পরিস্থিতিতে টিকে থাকার সুযোগ গ্রহণ এবং ষড়যন্ত্র, ক্যু রাজনৈতিক হত্যা প্রভৃতির দ্বারা এবং পরবর্তীকালে গণতন্ত্রের ছদ্মবেশে ক্ষমতায় বসার সুযোগ পাওয়া। মার্কিন দুর্বুদ্ধিতে বিশ্বময় যে সন্ত্রাসী মৌলবাদের অভ্যুত্থান ঘটেছে, তারও সুযোগ নিয়েছে বিএনপি।
কিন্তু বিশ্ব পরিস্থিতি এখন দ্রুত বদলাচ্ছে। উপমহাদেশের আইএসআইয়ের শক্তি দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। বাংলাদেশে মৌলবাদী সন্ত্রাস এবং জামায়াত কোণঠাসা। বিএনপির আঁচলে জামায়াত এখন আশ্রিত। তাতে জামায়াত বাঁচবে না এবং বিএনপিও আওয়ামী লীগ সরকারের অদক্ষতা ও ভুলভ্রান্তির দরুন সাময়িক নির্বাচনী সাফল্য অর্জন করতে থাকলেও দীর্ঘ মেয়াদে তার অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। সামরিক ক্যু ঘটানোর পরিবেশ ও পরিস্থিতি এখন নেই। সিভিল এলিট ক্লাসের সুযোগসন্ধানী অংশ এবং বিদেশী পৃষ্ঠপোষিত বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার একাংশকে নিয়ে (যেমন ড. ইউনূস এবং ব্র্যাকের স্যার আবেদ) গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বিকল্প অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তোলার চক্রান্ত চলছে। তাতে আওয়ামী লীগের ক্ষতি হতে পারে, বিএনপির লাভ হবে না। ৪২ বছর যাবত আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় যাওয়া ঠেকিয়ে রাখা যাবে, এটা বিএনপির দিবাস্বপ্ন ছাড়া আর কিছু নয়।
প্রলাপোক্তি দ্বারা মনের হতাশা গভীর হতাশা দূর করার চেষ্টা করা চলে, কিন্তু মনের গোপন অথবা প্রকাশ্য কোন আশাই পূর্ণ করা যায় না। গাজীপুরে দেয়া খালেদা জিয়ার বক্তব্যও তাই প্রলাপোক্তি ছাড়া আর কিছু নয়। এই প্রলাপোক্তির মধ্যে স্বৈরাচারী গোপন ইচ্ছার প্রকাশটাই প্রবল, গণতন্ত্রের সঠিক পথে অবস্থানের ইচ্ছাটা নয়। আসলেই বেগম জিয়া গণতান্ত্রিক চরিত্রের কোন নেতা কী?
http://www.khabor.com/2012/05/15/25129813.htm
Related:




মোড়ক উন্মোচন