সাবাশ কামরূল ভাই। জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আমার ডিপার্টমেন্টের(ভূগোল) সিনিয়র ভাই যাঁকে আমরা সবাই কমান্ডার কামরূল ভিই বলে ডাকতাম।কারণ তানি ৭ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।আমিও ২নং সেক্টরে মহান মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধ করেছি। একজন সহযোদ্ধা হিসবে কামরূল ভাই এর প্রতা আমার একটা অতিরিক্ত শ্রদ্ধাবোধ কাজ করতো, কামরূ ভাই ও আমাকে খুব স্নেহ করেন। আমরা একি হলে থাকতাম, একি ছাত্র সংঘটন (জাসদ ছাত্রলীগ) করতাম।বিশ্ববিদ্য।লয় ক্যামপাসে সবুজ বিপ্লবের প্রোগ্রামে কলিম উল্লাহ্ স্যারের নেতৃত্ব ওনেক গা লাগানো থেকে শুরূ করে শাক সব্জির চাষ ও বাগান করেছি সবাই মিলে।কামরূল অস্ট্রেলিয়া যাবার সময় বিদায় নিয়ে গিয়েছিলেন। আমার কথা ছিল লন্ডনে যাব ডক্টরেট করতে। কিন্তু লন্ডনে যাওয়া হয়নি দেশেই ইউএনডিপি তে ভাল চাকুরী পেয় যাওয়ায় দেশেই থেকে যাই। সাথে সাথে ছোট বেলা থেকেই সমাজ পরিবর্তনের জন্য নামে, ছদ্যনামে লেখালেখি করতাম।যুদ্ধাপরাধীদের বিারের জন্য বিভিন্ন মিডিয়ায় লেখালেখ, সংঘটন তৈরী এবং ঘুমন্ত মানুষকে জাগিয়ে তোলার জন্য কাজ করতে থাকি। এক সময়ে দেশে থাকা অনিরাপদ হয়ে পড়। গোপনে হত্যার হুমকি আশে ৭১ পরাজি ঘাতক ও ধর্মীয় মৌলবাদি গোষ্ঠির কাছ থেকে।তাই ইউরোপে চলে আসি।দীর্ঘ ২২ বছর যাবত সে্বচ্ছা নির্বাসনে। প্রতিজ্ঞা করেছি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না হলে দেশে ফিরব না। বাচ্চু রাজাকারে বিচারের রায় শুনে ভরসা পাচ্ছি যে মনে হয় গোলাম আযম সহ সকল রাজাকারদের বিচার হবে এবং আমি আমার মাতৃভূমী বাংলাদেশে যে দেশটি আমি যুদ্ধ করে স্বাধীন করেছি সেই দেশে ফিরে যেতে পারব।কামরূল ভাইয়ে উপ লেখাটা পড়ে অনেক স্রীতি মনে পড়ে গেলো।
__._,_.___