এক মাস হতে চলল শাহবাগে ঝড় তুলেছে বাংলাদেশের প্রগতিশীল প্রজন্ম। গত এক বছর ধরে চলছে যুদ্ধপরাধী দের বিচার। ভিয়েতনাম, প্যালেস্তাইন, কিউবা, ইরাক, আফগানিস্তান নিয়ে মাতামাতি করা কলকাতার রাজনইতিক দল ও বুদ্ধিজীবীরা চোখে ঠুলি, কানে তুলো দিয়ে বসে রয়েছেন। কলকাতা বইমেলায় আফজল গুরু নিয়ে মিছিল হয়ে গেল কিন্তু রুশদি বা শাহবাগ নিয়ে নয়। পত্রপত্রিকায় কোন লেখা জোকা নেই একাত্তরের গণহত্যা ও তার বিচার নিয়ে। অথচ ইরাক সংখ্যা, গুজরাত সংখ্যা,আবুঘারিব সংখ্যার ছড়াছড়ি। মৌলবাদীরা অবশ্য বসে নেই। বুদ্ধ-বিমান-মমতা-প্রনবের যৌথ উদ্যোগে গত দুই দশক ধরে গড়ে ওঠা মাদ্রাসা শিক্ষায় আলোকিত বান্দারা গত ২১শে ফেব্রুয়ারী ভাষা দিবসে জামায়েতের সমর্থনে কলকাতার বাংলাদেশ হাইকমিশন ঘেরাও করে মধ্য কলকাতা অচল করে দেন। কোন দল বা ব্যক্তি পবিত্র ভাষা দিবসে এই জামায়েতি ইতরামির প্রতিবাদ করেন নি।
সামান্য আশার কথা- শঙ্খ ঘোষের নেতৃত্বে আগামি ২৭শে ফেব্রুয়ারি আকাদেমি চত্তরে সভা হবে। তবে সরাসরি শাহবাগের সমরথনে নয়। 'পশিচম বাংলা ও বাংলাদেশে মৌলবাদের বিরুদ্ধে"। মনে হচ্ছে সরাসরি যুদ্ধপরাধী দের কঠিন শাস্তি দাবি না করে, পশ্চিম বাংলায় জামায়েত ও রাজাকার প্রেমিদের বিরুদ্ধে আওয়াজ না তুলে, হিন্দু ও মুস্লিম মৌলবাদকে একত্রে নিন্দা করে একটা 'ব্যালান্সিং ফেস' রাখা হবে। তবু শঙ্খ বাবুকে ধন্যবাদ, কিছু একটা করছেন, বুদ্ধ ভট্টাচার্যের মতন জামায়েতের সমরথনে মুখে কলুপ এঁটে রাখেন নি।
__._,_.___