Banner Advertiser

Tuesday, March 12, 2013

[mukto-mona] হরতালে সাড়া মেলেনি, যান চলাচল ও অফিস স্বাভাবিক



বুধবার, ১৩ মার্চ ২০১৩, ২৯ ফাল্গুন ১৪১৯
হরতালে সাড়া মেলেনি, যান চলাচল ও অফিস স্বাভাবিক
তবে রাজধানীতে যথারীতি কিছু ঝটিকা মিছিল- ককটেল ভাংচুর আগুন ॥ বিএনপির এক নেতা আটক, দলের দাবি সারাদেশে ১০৬
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালে সাড়া দেয়নি দেশের মানুষ। মঙ্গলবার রাজধানীসহ সারাদেশেই যানবাহন চলাচল, শিল্প-কারখানা, অফিস-আদালত ও ব্যাংক-বীমায় স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে। র‌্যাব-পুলিশের কড়া প্রহরা উপেক্ষা করে হরতালকারীরা রাজপথে নামার সাহস দেখায়নি। তবে পিকেটাররা বিচ্ছিন্নভাবে ছোট ছোট ঝটিকা মিছিল বের করে ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগসহ নাশকতা সৃষ্টি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। তাদের মোকাবেলা করতে কোথাও কোথাও পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। হরতাল চলাকালে সারাদেশে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে দলের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদারকে আটক করা হয়। তবে বিএনপি দাবি করেছে হরতাল চলাকালে সারাদেশে পুলিশ ১০৬ জনকে আটক করেছে।
সোমবার বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশস্থলে ককটেল বিস্ফোরণ ও কেন্দ্রীয় নেতাদের আটকের প্রতিবাদে ১৮ দলীয় জোট হরতালের ডাক দেয়। কিন্তু মঙ্গলবার রাজধানীতে হরতালের সমর্থনে পিকেটারদের মাঠে নামতে দেখা না গেলেও নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সরকারী দলের নেতাকর্মীদের হরতালবিরোধী মিছিল করতে দেখা গেছে। বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড থেকে হরতালবিরোধী মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে সমবেত হয়। 
হরতাল চলাকালে রাজধানীজুড়ে র‌্যাব ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। সংখ্যায় কম হলেও ভোর থেকেই রাজধানীর সড়কগুলোতে রিকশা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করেছে। বেলা যত বেড়েছে যানবাহন চলাচল ততই বেড়েছে। কোথাও কোথাও যানজটও লক্ষ্য করা গেছে। তবে হরতাল চলাকালে দূরপাল্লার কোন বাস রাজধানী থেকে ছেড়ে না গেলেও ট্রেন, লঞ্চ ও বিমান চলাচল ছিল স্বাভাবিক। রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। তবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন সরকারের বাধা সত্ত্বেও সারাদেশে সফলভাবে হরতাল পালিত হয়েছে। 
হরতাল শুরুর আগেই ভোর সাড়ে ৫টায় গাবতলী-আমিনবাজার এলাকায় জামায়াত-শিবির রাস্তায় ইটপাটকেল ফেলে যান চলাচলে প্রতিবন্ধতার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে শিবিরকর্মীরা পালিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর মিরপুর রূপনগর আবাসিক এলাকায় মোড়ে একটি প্রাইভেটকারে (ঢাকা মেট্রো-গ-৯৮৭৩) আগুন ধরিয়ে দিয়ে পিকেটাররা পালিয়ে যায়। গাড়িটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। সকাল ৬টায় হরতালের শুরুতেই মিরপুর এক নম্বর গোলচত্বর ওভারব্রিজের নিচে পর পর কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে গাড়ি ভাংচুরও করে পিকেটাররা। এখান থেকে পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে। একই সময় মিরপুরে পাইকপাড়া, যাত্রাবাড়ী, সেগুনবাগিচা ও গাবতলীতে গাড়ি ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ করে হরতালকারীরা। সকাল ৭টায় মাদারটেক মোড়ে একটি ঝটিকা মিছিল থেকে ৫টি ককটেল বিস্ফোরণ করে হরতাল সমর্থকরা। সকাল পৌনে ৭টায় আসাদগেট এলাকায় দুটি ককটেল ফাটায় পিকেটাররা। সকাল সোয়া ৭টায় পুরান ঢাকার ওয়াইজঘাট এলাকায় একটি ঝটিকা মিছিল বের করে শিবির। এ সময় কোতোয়ালি থানা পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে মিছিলকারীরা আশপাশের অলিগলিতে পালিয়ে যায়। এ সময় একজনকে আটক করে পুলিশ। সাড়ে ৭টার দিকে মিরপুর বাংলা কলেজের সামনে জামায়াত-শিবিরের একটি ঝটিকা মিছিল থেকেও কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
সকাল সাড়ে ৭টায় শিশু একাডেমীসংলগ্ন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনের রাস্তা থেকে পুলিশ দুইটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছে। এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল জলিল জানান, ককটেল দুইটি উদ্ধারের পর তা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এখানে ককটেল ফেলে গেছে তা শনাক্ত করা যায়নি। মূলত আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই ককটেল দুইটি ফেলা হয়েছে। 
সকাল ৮টায় আরামবাগ পেট্রোল পাম্পের সামনে থেকে ছাত্রদল দক্ষিণের নেতাকর্মীরা একটি ঝটিকা মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে ৪টি ককটেল বিস্ফোরণ ও কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়। একই সময়ে শনিরআখড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার ব্যানারে মিছিল বের করে ছাত্রশিবির। ১০ থেকে ১৫ মিনিট স্থায়ী এ মিছিলে অংশ নেয় শতাধিক নেতাকর্মী। মিছিল শেষ করে দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। একই সময় মিরপুর এক নম্বরে বিএনপিকর্মীরা একটি ট্রাক ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ করে। সকাল পৌনে ১০টায় সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ঢাকা-গাইবান্ধা রুটে চলাচলকারী নাপু এন্টারপ্রাইজের (ঢাকা মেট্রো জ- ১১-১০৪০) একটি দূরপাল্লার বাস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে হরতাল সমর্থকরা। বাসটি এ সময় সায়েদাবাদ পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দাঁড়ানো ছিল। গাড়িটির ভেতর দুইজন পরিবহন শ্রমিক ঘুমিয়ে ছিলেন। তবে আগুন দেখে দ্রুত বাস থেকে নেমে পড়েন তাঁরা। বেলা সোয়া ১১টায় মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে পরপর কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরিত হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় সরকার সমর্থকরা কয়েকজন সন্দেহভাজনকে মারধর করে। পুলিশ পরে কয়েকজনকে আটক করে। দুপুর দেড়টায় রাজধানীর খিলক্ষেতে পল্লীবিদ্যুত ভবনের সামনে দুটি স্টাফবাসে আগুন দিয়েছে হরতাল সমর্থনকারীরা। এর মধ্যে একটি বাস সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
হরতাল চলাকালে অন্যান্য দিনের মতো নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের গেটে কাউকে দেখা যায়নি। ভোর সাড়ে ৪টায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমেদ দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। আর বেলা সোয়া ১১টায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার কায়সার কামালকে নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। বেলা সাড়ে ১১টায় বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টাকালে বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদারকে আটক করে পুলিশ। তবে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিএনপি কার্যালয়ের গেটে ভেতর থেকে তালা লাগিয়ে রাখা হয়। সাংবাদিকদের অনুরোধে মাঝে-মধ্যে তারা ভেতর থেকেই কথা বলেন। আগের দিন সন্ধ্যায় পুলিশের হাতে আটক হওয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী ছাড়া পেয়ে দুপুর ১টায় দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশের পর থেকে গেট খোলা রাখা হয়। দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেই মির্জা ফখরুল বিভিন্ন তলা পরিদর্শন করে তৃতীয় তলার সম্মেলন কক্ষে আসেন। দুপুর সোয়া ১টায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য শুরুর সঙ্গে সঙ্গে দলীয় কার্যালয়ের বাইরে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। 
সকাল সাড়ে ৬টায় মিরপুর ১ নম্বর চাইনিজ গলিতে শিবির একটি মিছিল বের করে। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এলে হরতাল সমর্থকরা মুহূর্তের মধ্যে হাওয়া হয়ে যায়। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মিরপুর ১ নম্বর সেকশনের প্রাইম ইউনিভার্সিটির সামনে হরতাল সমর্থকরা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে যানবাহনে ভাংচুর চালায়। সকাল ৯টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরে সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা বেশ কয়েকটি মিছিল বের করে। পরে গোলচত্বরে হরতালবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে সমাবেশ করে। বেলা পৌনে ১১টায় একই স্থানে ঢাকা মহানগর যুবলীগ (উঃ) হরতালবিরোধী এক বিশাল মিছিল নিয়ে পল্লবীর দিকে যায়। 
ধনিয়া এলকায় সকাল ৭টায় একটি ঝটিকা মিছিল বের করে শিবির। এ সময় তারা ২টি ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। একই সময় কাজলাতে একটি মিনিবাস ভাংচুর করে জামায়াত-শিবির। এ ছাড়া ভোর ছয়টায় দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীতে হরতালের সমর্থনে একটি মিছিল বের হয়। সেখান থেকে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায় মিছিলকারীরা। পুরনো ঢাকার ওয়াইজঘাট এলাকায় সকাল ৭টায় ১০/১২ জনের একটি ঝটিকা মিছল বের করে শিবির। মিছিলটি বের করার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ধাওয়া দিলে পালিয়ে যায় মিছিলকারীরা। পরে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরিফুল ইসলাম নামের এক শিবিরকর্মীকে আটক করে। রায়সাহেববাজার মোড়ে সোয়া সাতটায় একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় হরতাল সমর্থকারীরা। ১১টায় জজকোর্টের ভেতের হরতাল সমর্থনকারী আইনজীবীরা একটি মিছিল বের করে। বেলা পৌনে ১১টায় গুলশান এ্যাভিনিউয়ের সামনে কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে হরতাল সমর্থকরা। এ সময় পুলিশ মিছিলকারীদের ধাওয়া দিয়ে ছাত্রভঙ্গ করে দেয়। এর কিছুক্ষণ পরে তিনটি শক্তিশালী ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
হরতাল চলাকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সিএনজিচালিত একটি অটোরিক্সা ভাংচুর করেছে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জামায়াত-শিবিরের ১০-১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল হরতালের সমর্থনে ঝটিকা মিছিল বের করে। ওই সময় পাশে থাকা একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ভাংচুর করে তারা। সকাল ৯টার দিকে সেগুনবাগিচার আকরাম টাওয়ারের সামনে থেকে হরতাল সমর্থকরা একটি মিছিল বের করার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশী বাধায় সেটি ব্যর্থ হয়ে যায়। এ সময় নাশকতা ঘটাতে পারে এমন আশঙ্কায় পুলিশ এখান থেকে সন্দেহজনক ৪ জনকে আটক করে।
হরতাল চলাকালে দিনভরই মগবাজার-মৌচাক, মালিবাগ, নয়াপল্টন ও ফকিরাপুল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বরত সদস্যরা ছিল সদা তৎপর। যে কোনও ধরনের নাশকতা এড়াতে এসব রাস্তার একাধিক পয়েন্টে গাড়ি, সিএনজি ও মোটরসাইকেল আরোহীদের নামিয়ে এসব যানবাহন ও দেহতল্লাশি চালানো হয়। এছাড়া ব্যাগবাহিত সন্দেহভাজন পথচারীদের দেহেও তল্লাশি চালানো হয়। মগবাজার মোড়ে দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আমাদের কাছে খবর আছে দুর্বৃত্তরা ককটেল ও বোমা ফাটিয়ে জনমনে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করবে। এ ধরনের বিস্ফোরকও বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ হতে পারে। তাই আমরা সন্দেহজনক যে কাউকেই তল্লাশি করছি। 
মতিঝিলের ব্যাংকপাড়া এলাকায় হরতালে কোন ধরনের প্রভাব পড়েনি। ব্যাংক, বীমা, সরকারী-বেসরকারী অফিস ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রাখা হয়েছে। কর্মীদের উপস্থিতিও ছিল সন্তোষজনক। তবে অন্যান্য হরতালের তুলনায় মঙ্গলবার এ এলাকায় যানবাহনের চলাচল ছিল কিছুটা কম।

বুধবার, ১৩ মার্চ ২০১৩, ২৯ ফাল্গুন ১৪১৯




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___