মাওলানা ওয়াহিদউদ্দীন খান বলেন: ইসলামে চরমপন্থার অনুমোদন নেই
খবর দক্ষিণ এশিয়ার সাথে একটি অনন্য সাক্ষাতকারে বিশ্বখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ ও শান্তিকর্মী মাওলানা ওয়াহিদউদ্দীন খান বলেন, ইসলামে কারোরই জীবন হরণ করার অনুমতি নেই।
নয়া দিল্লি থেকে খবর দক্ষিণ এশিয়ার জন্য লিখেছেন আলতাফ আহমেদ
মে 01, 2013
আধুনিক ইসলাম, অহিংসা, ও আন্তধর্মীয় সম্প্রীতির ক্ষেত্রে শিক্ষা বিস্তারের জন্য ভারতের মাওলানা ওয়াহিদউদ্দীন খান সারা বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। তিনি ২০০ এরও বেশি বই লিখেছেন, যার মধ্যে রয়েছে অতি সম্প্রতি প্রকাশিত "শান্তির নবী" এবং "ইসলামে জিহাদ, শান্তি ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যকার সম্পর্ক"। ধর্মীয় বিষয়ের একজন বিশেষজ্ঞ, খান কয়েকটি জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলে বক্তৃতা দিয়ে থাকেন।
সংশ্লিষ্ট আর্টিকেলসমূহ
তিনি ১৯২৫ সালে উত্তর প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন, তিনি অসংখ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন যার মধ্যে রয়েছে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মভূষণ, জাতীয় অখণ্ডতা পুরস্কার, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পুরস্কার, ও জাতীয় নাগরিক পুরস্কার, এবং তিনি আরো অনেক পুরস্কার পেয়েছেন।
খবর: আপনি বর্তমান বিশ্বে ইসলাম ও মুসলমানদেরকে কিভাবে দেখেন?
খান: ইসলাম সমতা, শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের কথা বলে, কিন্তু সমসাময়িক কালে, বিদেশিদের প্রতি অহেতুক ভয় মুসলমান সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করেছে। ইসলাম মুসলমানদেরকে শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধের দূত হওয়ার জন্য আহ্বান জানায়, কিন্তু এর বিপরীতে মুসলমানদের একটা অংশ চরমপন্থা ও কুসংস্কারের সাথে জড়িত রয়েছে। ইসলামে অসহিষ্ণুতা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য, এবং মুসলমানদের উচিত সহিষ্ণুতা দেখানো এবং সবরকম পরিস্থিতিতে শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখা।
খবর: মুসলমান আলেমরা কি ইসলামের প্রকৃত মূল্যবোধের বিস্তারে তাদের ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে? নবী মোহাম্মদ বলেছেন, "যখন নেতা ও আলেমরা সঠিক পথে থাকবে, তখন জনসাধারণও সেই একই পথে থাকবে"৷
খান: মুসলমান আলেমরা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে অজ্ঞ থাকার প্রবণতা রয়েছে এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা দাওয়ার (ইসলামের আসল মূল্যবোধকে যথাযথভাবে তুলে ধরা, উপলব্ধি ও মূল্যায়ন করা) মহৎ দায়িত্ব থেকে দূরে থেকেছেন। আমার মতে, তারা এই ধর্ম সম্পর্কে ভুল ধারণা দূর করতে ব্যর্থ হয়েছেন, এবং মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপক নৈতিক অধঃপতন ডেকে আনতে ভূমিকা রেখেছেন।
ইসলাম ন্যায়বিচার, শান্তি ও সম্প্রীতির পক্ষে৷ ইসলামে চরমপন্থা অনুমোদনযোগ্য নয়। আলেমদের ভূমিকা সম্পর্কে নবী মোহাম্মদ বলেন, "ওলামা (আলেম) হলেন তিনি যিনি যুগ সম্পর্কে এবং তিনি যে সব জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন তাদের সম্পর্কে জানেন"৷ যখন আলেমরা বিশ্বের ঘটনাবলী সম্পর্কে অসচেতন বা অমনোযোগী হন, তখন তাদের অন্তর্দৃষ্টি ও প্রজ্ঞার অভাব হতে বাধ্য।
খবর: ইসলামে জিহাদের ভূমিকা নিয়ে প্রচুর বিভ্রান্তি রয়েছে। জিহাদ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আসলে কি বলা হয়েছে?
খান: জিহাদ অর্থ হলো দাওয়া। মানুষ জিহাদের ধারণাকে ভুল বুঝেছে। ইসলাম সুস্পষ্টভাবেই চরমপন্থা অবলম্বনের অনুমতি দেয় না, কিছু বিবেকহীন লোক জিহাদের ভুল ব্যাখ্যা করেছে।
যারা যে কোনো কারণে মানুষ হত্যা করে তারা সন্ত্রাসী ও অপরাধী। তারা কোনোভাবেই ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করে না বরং তাদের নিজেদের এজেন্ডা ও লালসার প্রতিনিধিত্ব করে। কোনো মানুষের জীবন কেড়ে নেয়ার অধিকার কারো নেই। মানবজাতি সর্বশক্তিমান আল্লাহর মালিকানাধীন, তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ এবং জীবন হরণের একমাত্র কর্তৃত্ব [অধিকার] তারই। কোরআন মুসলমানদেরকে "মধ্যপন্থী সম্প্রদায়" হিসেবে বর্ণনা করে এবং তাদেরকে অন্য সম্প্রদায়গুলোর লোকজনের প্রতিও ক্ষমাশীল, দয়ালু ও সহিষ্ণু হওয়ার জন্য সনির্বন্ধভাবে আহ্বান জানায়।
খবর: আপনি বিশ্বের বিভিন্ন অংশে বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতাকে কিভাবে দেখেন? এই ধরনের অমানবিক কাজের জন্য কারা দায়ী বলে আপনি মনে করেন?
খান: অপরাধী ও সন্ত্রাসীরা এই ধরনের অমানবিক কাজ করে থাকে। এই ধরনের চরমপন্থীদের কোনো ধর্ম নেই। তাদের নিজেদের কায়েমী স্বার্থের জন্য করা এই সব অমানবিক কাজগুলোর জন্য আমাদের নিন্দা জানানো উচিত।
খবর: কি পরিস্থিতিতে এবং কোন অপরাধগুলোর জন্য ইসলামে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদিত?
খান: সর্বশক্তিমান আল্লাহ মানুষকে সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। মানুষের জীবন হরণ করা বা মানুষকে হত্যা করার জন্য কারো অনুমতি নেই। কাউকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করা হলে ইসলামে মৃত্যুদণ্ডের অনুমতি রয়েছে।
খবর: ইসলামে ব্লাসফেমি সম্পর্কে কী আইন রয়েছে? ব্লাসফেমি মোকাবেলা করার জন্য কি মৃত্যুদণ্ডই একমাত্র উপায়?
খান: ব্লাসফেমি সম্পর্কে ইসলামে কোনো সুনির্দিষ্ট আইন নেই। মুসলমানদের সহিষ্ণুতা দেখানো ও প্রজ্ঞা প্রদর্শন করা উচিত। ইসলাম-বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গির জন্য ডেনিশ কার্টুনিস্ট (কুর্ট ওয়েস্টারগার্ড) ও সালমান রুশদির বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভ ছিল শক্তির অপচয়। যদি কেউ নবী মোহাম্মদের বিরুদ্ধে লেখে, তার মিথ্যা প্রচারণাকে উৎখাত করা এবং তাকে ভুল প্রমাণ করার জন্য আমাদের প্রকৃত জ্ঞান থাকা উচিত। যে সব বিবেকহীন ব্যক্তি ইসলাম সম্পর্কে বিভ্রান্তি তৈরি করতে চায় তাদের মোকাবেলা করার জন্য আমাদেরকে যুক্তি ও কারণ নিয়ে সুসজ্জিত থাকতে হবে।
প্রথমদিকে যারা ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন তারা নবী মোহাম্মদের বিরোধী ছিলেন। নবী মোহাম্মদ কখনোই তাদের বিরুদ্ধে রাগ দেখাননি বা তাদেরকে কোনো প্রকার শাস্তি দেননি। উচ্চ মূল্যবোধ ও চারিত্রিক বিশুদ্ধতা দেখিয়ে নবী মোহাম্মদ তার শত্রুদেরকে অনুগামী ও বিশ্বস্ত বন্ধুতে পরিণত করেছিলেন।
খবর: ইসলামে হিজাব (পর্দা)-এর তাৎপর্য কী? স্কুলে ও কলেজে মেয়েদের মাথা ঢেকে রাখা কি বাধ্যতামূলক? বেশিরভাগ পশ্চিমা কলেজে পর্দা করার অনুমতি নেই।
খান: বর্তমানকালে নারীরা ও মেয়েরা যা পরছে তা হিজাব নয়। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব নিয়ম-কানুন রয়েছে। ছাত্রীদের উচিত সেই সব নিয়ম-কানুনগুলো অনুসরণ করা ও মেনে চলা। ইসলাম কোনো পরিস্থিতিতেই কোনো প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকে সমর্থন করে না। যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের কিছু নিয়ম-কানুন আপনার পছন্দ না হয়, তার অর্থ এই নয় যে আপনি আপনার নিজস্ব নিয়ম-কানুন বাস্তবায়নের মাধ্যমে অন্যদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করবেন।
ইসলাম আপনাকে সৎ ও সম্মানিত নাগরিক হতে সনির্বন্ধভাবে আহ্বান জানায়। সবার উচিত তার নিজের দেশের প্রতি অনুগত থাকা এবং একইভাবে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনাকারী আইন-কানুনগুলো মেনে চলা। আপনি আপনার দেশের একজন ভালো নাগরিক না হলে আপনি কখনোই একজন ভালো মুসলমান হতে পারবেন না।
খবর: শান্তি ও শিক্ষার মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে আপনি মাদ্রাসাগুলোর কী ভূমিকা দেখতে পান?
খান: মাদ্রাসাগুলোর ভূমিকা সীমিত এবং তারা এর বাইরে যেতে পারবে না। মাদ্রাসাগুলো নোবেল বিজয়ী, বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও সংস্কারবাদী তৈরি করবে বলে আপনি আশা করতে পারেন না। মাদ্রাসাগুলো আপনাকে নামাজ ও হজ্জ (প্রার্থনা ও তীর্থযাত্রা) করা সম্পর্কে শিক্ষা দেয়। বিজ্ঞান, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রকৌশলের ক্ষেত্রে বিখ্যাত ব্যক্তি তৈরি করার জন্য জাগতিক জ্ঞান অবশ্যই প্রয়োজনীয়, এবং ইসলাম এর বিরোধী নয়।
http://khabarsouthasia.com/bn/articles/apwi/articles/features/2013/05/01/feature-01
বিশ্বখ্যাত মুসলিম মনীষীদের দৃষ্টিতে তাবলিগ জামাত - বাঁধ ভাঙার আওয়াজ
তিনি ১৯২৫ সালে উত্তর প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন, তিনি অসংখ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন যার মধ্যে রয়েছে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মভূষণ, জাতীয় অখণ্ডতা পুরস্কার, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পুরস্কার, ও জাতীয় নাগরিক পুরস্কার, এবং তিনি আরো অনেক পুরস্কার পেয়েছেন।
খবর: আপনি বর্তমান বিশ্বে ইসলাম ও মুসলমানদেরকে কিভাবে দেখেন?
খান: ইসলাম সমতা, শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের কথা বলে, কিন্তু সমসাময়িক কালে, বিদেশিদের প্রতি অহেতুক ভয় মুসলমান সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করেছে। ইসলাম মুসলমানদেরকে শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধের দূত হওয়ার জন্য আহ্বান জানায়, কিন্তু এর বিপরীতে মুসলমানদের একটা অংশ চরমপন্থা ও কুসংস্কারের সাথে জড়িত রয়েছে। ইসলামে অসহিষ্ণুতা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য, এবং মুসলমানদের উচিত সহিষ্ণুতা দেখানো এবং সবরকম পরিস্থিতিতে শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখা।
খবর: মুসলমান আলেমরা কি ইসলামের প্রকৃত মূল্যবোধের বিস্তারে তাদের ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে? নবী মোহাম্মদ বলেছেন, "যখন নেতা ও আলেমরা সঠিক পথে থাকবে, তখন জনসাধারণও সেই একই পথে থাকবে"৷
খান: মুসলমান আলেমরা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে অজ্ঞ থাকার প্রবণতা রয়েছে এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা দাওয়ার (ইসলামের আসল মূল্যবোধকে যথাযথভাবে তুলে ধরা, উপলব্ধি ও মূল্যায়ন করা) মহৎ দায়িত্ব থেকে দূরে থেকেছেন। আমার মতে, তারা এই ধর্ম সম্পর্কে ভুল ধারণা দূর করতে ব্যর্থ হয়েছেন, এবং মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপক নৈতিক অধঃপতন ডেকে আনতে ভূমিকা রেখেছেন।
ইসলাম ন্যায়বিচার, শান্তি ও সম্প্রীতির পক্ষে৷ ইসলামে চরমপন্থা অনুমোদনযোগ্য নয়। আলেমদের ভূমিকা সম্পর্কে নবী মোহাম্মদ বলেন, "ওলামা (আলেম) হলেন তিনি যিনি যুগ সম্পর্কে এবং তিনি যে সব জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন তাদের সম্পর্কে জানেন"৷ যখন আলেমরা বিশ্বের ঘটনাবলী সম্পর্কে অসচেতন বা অমনোযোগী হন, তখন তাদের অন্তর্দৃষ্টি ও প্রজ্ঞার অভাব হতে বাধ্য।
খবর: ইসলামে জিহাদের ভূমিকা নিয়ে প্রচুর বিভ্রান্তি রয়েছে। জিহাদ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আসলে কি বলা হয়েছে?
খান: জিহাদ অর্থ হলো দাওয়া। মানুষ জিহাদের ধারণাকে ভুল বুঝেছে। ইসলাম সুস্পষ্টভাবেই চরমপন্থা অবলম্বনের অনুমতি দেয় না, কিছু বিবেকহীন লোক জিহাদের ভুল ব্যাখ্যা করেছে।
যারা যে কোনো কারণে মানুষ হত্যা করে তারা সন্ত্রাসী ও অপরাধী। তারা কোনোভাবেই ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করে না বরং তাদের নিজেদের এজেন্ডা ও লালসার প্রতিনিধিত্ব করে। কোনো মানুষের জীবন কেড়ে নেয়ার অধিকার কারো নেই। মানবজাতি সর্বশক্তিমান আল্লাহর মালিকানাধীন, তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ এবং জীবন হরণের একমাত্র কর্তৃত্ব [অধিকার] তারই। কোরআন মুসলমানদেরকে "মধ্যপন্থী সম্প্রদায়" হিসেবে বর্ণনা করে এবং তাদেরকে অন্য সম্প্রদায়গুলোর লোকজনের প্রতিও ক্ষমাশীল, দয়ালু ও সহিষ্ণু হওয়ার জন্য সনির্বন্ধভাবে আহ্বান জানায়।
খবর: আপনি বিশ্বের বিভিন্ন অংশে বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতাকে কিভাবে দেখেন? এই ধরনের অমানবিক কাজের জন্য কারা দায়ী বলে আপনি মনে করেন?
খান: অপরাধী ও সন্ত্রাসীরা এই ধরনের অমানবিক কাজ করে থাকে। এই ধরনের চরমপন্থীদের কোনো ধর্ম নেই। তাদের নিজেদের কায়েমী স্বার্থের জন্য করা এই সব অমানবিক কাজগুলোর জন্য আমাদের নিন্দা জানানো উচিত।
খবর: কি পরিস্থিতিতে এবং কোন অপরাধগুলোর জন্য ইসলামে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদিত?
খান: সর্বশক্তিমান আল্লাহ মানুষকে সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। মানুষের জীবন হরণ করা বা মানুষকে হত্যা করার জন্য কারো অনুমতি নেই। কাউকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করা হলে ইসলামে মৃত্যুদণ্ডের অনুমতি রয়েছে।
খবর: ইসলামে ব্লাসফেমি সম্পর্কে কী আইন রয়েছে? ব্লাসফেমি মোকাবেলা করার জন্য কি মৃত্যুদণ্ডই একমাত্র উপায়?
খান: ব্লাসফেমি সম্পর্কে ইসলামে কোনো সুনির্দিষ্ট আইন নেই। মুসলমানদের সহিষ্ণুতা দেখানো ও প্রজ্ঞা প্রদর্শন করা উচিত। ইসলাম-বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গির জন্য ডেনিশ কার্টুনিস্ট (কুর্ট ওয়েস্টারগার্ড) ও সালমান রুশদির বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভ ছিল শক্তির অপচয়। যদি কেউ নবী মোহাম্মদের বিরুদ্ধে লেখে, তার মিথ্যা প্রচারণাকে উৎখাত করা এবং তাকে ভুল প্রমাণ করার জন্য আমাদের প্রকৃত জ্ঞান থাকা উচিত। যে সব বিবেকহীন ব্যক্তি ইসলাম সম্পর্কে বিভ্রান্তি তৈরি করতে চায় তাদের মোকাবেলা করার জন্য আমাদেরকে যুক্তি ও কারণ নিয়ে সুসজ্জিত থাকতে হবে।
প্রথমদিকে যারা ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন তারা নবী মোহাম্মদের বিরোধী ছিলেন। নবী মোহাম্মদ কখনোই তাদের বিরুদ্ধে রাগ দেখাননি বা তাদেরকে কোনো প্রকার শাস্তি দেননি। উচ্চ মূল্যবোধ ও চারিত্রিক বিশুদ্ধতা দেখিয়ে নবী মোহাম্মদ তার শত্রুদেরকে অনুগামী ও বিশ্বস্ত বন্ধুতে পরিণত করেছিলেন।
খবর: ইসলামে হিজাব (পর্দা)-এর তাৎপর্য কী? স্কুলে ও কলেজে মেয়েদের মাথা ঢেকে রাখা কি বাধ্যতামূলক? বেশিরভাগ পশ্চিমা কলেজে পর্দা করার অনুমতি নেই।
খান: বর্তমানকালে নারীরা ও মেয়েরা যা পরছে তা হিজাব নয়। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব নিয়ম-কানুন রয়েছে। ছাত্রীদের উচিত সেই সব নিয়ম-কানুনগুলো অনুসরণ করা ও মেনে চলা। ইসলাম কোনো পরিস্থিতিতেই কোনো প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকে সমর্থন করে না। যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের কিছু নিয়ম-কানুন আপনার পছন্দ না হয়, তার অর্থ এই নয় যে আপনি আপনার নিজস্ব নিয়ম-কানুন বাস্তবায়নের মাধ্যমে অন্যদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করবেন।
ইসলাম আপনাকে সৎ ও সম্মানিত নাগরিক হতে সনির্বন্ধভাবে আহ্বান জানায়। সবার উচিত তার নিজের দেশের প্রতি অনুগত থাকা এবং একইভাবে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনাকারী আইন-কানুনগুলো মেনে চলা। আপনি আপনার দেশের একজন ভালো নাগরিক না হলে আপনি কখনোই একজন ভালো মুসলমান হতে পারবেন না।
খবর: শান্তি ও শিক্ষার মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে আপনি মাদ্রাসাগুলোর কী ভূমিকা দেখতে পান?
খান: মাদ্রাসাগুলোর ভূমিকা সীমিত এবং তারা এর বাইরে যেতে পারবে না। মাদ্রাসাগুলো নোবেল বিজয়ী, বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও সংস্কারবাদী তৈরি করবে বলে আপনি আশা করতে পারেন না। মাদ্রাসাগুলো আপনাকে নামাজ ও হজ্জ (প্রার্থনা ও তীর্থযাত্রা) করা সম্পর্কে শিক্ষা দেয়। বিজ্ঞান, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রকৌশলের ক্ষেত্রে বিখ্যাত ব্যক্তি তৈরি করার জন্য জাগতিক জ্ঞান অবশ্যই প্রয়োজনীয়, এবং ইসলাম এর বিরোধী নয়।
http://khabarsouthasia.com/bn/articles/apwi/articles/features/2013/05/01/feature-01
বিশ্বখ্যাত মুসলিম মনীষীদের দৃষ্টিতে তাবলিগ জামাত - বাঁধ ভাঙার আওয়াজ
- এছাড়াও শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ দুজন মনীষী লেখক তো তাবলিগ জামাতের ওপর স্বতন্ত্র গ্রন্থ রচনা করেছেন। একজন হলেন সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী। তাঁর রচিত বই 'হযরত মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস আওর উনকী দীনী দাওয়াত'। আরেকজন মাওলানা ওয়াহিদউদ্দীন খান। তার বইয়ের নাম 'তাবলিগী তাহরীক' উভয়টি উর্দু ভাষায় লেখা। তবে বাংলা অনুবাদও এখন বাজারে।
- এছাড়াও শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ দুজন মনীষী লেখক তো তাবলিগ জামাতের ওপর স্বতন্ত্র গ্রন্থ রচনা করেছেন। একজন হলেন সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী। তাঁর রচিত বই 'হযরত মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস আওর উনকী দীনী দাওয়াত'। আরেকজন মাওলানা ওয়াহিদউদ্দীন খান। তার বইয়ের নাম 'তাবলিগী তাহরীক' উভয়টি উর্দু ভাষায় লেখা। তবে বাংলা অনুবাদও এখন বাজারে।
নাস্তিকদের বিরুদ্বে আন্দোলনকারী "শাহ আহমদ সফি "কতটুকু আস্তিক ?
নাস্তিকদের বিরুদ্বে আন্দোলনকারী "শাহ আহমদ সফি "কতটুকু আস্তিক ...
-
- https://www.facebook.com/pages/...শাহ...-/140775916096621?group...
যাদের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত তারা হলেন- লালবাগ শাহী মসজিদের খতিব মাওলানা এমরান হাজারী, কাফরুল থানা হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান এবং মিরপুর ..... সাজ্জাদানশীন হযরত মাওলানা সৈয়দ ফয়জে মুহাম্মদী, ফরাযীকান্দি ওয়েছিয়া দরবার শরীফের সাজ্জাদনশীন হযরত সৈয়দওয়াহিদউদ্দীন ইছাম বোরহানী, আজিমপুর বায়তুল করিম ..... বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খানআলমগীরের সঙ্গে ফোনে কথা বলে মামলা ও গ্রেপ্তার থেকে তিনি এবং তার ছেলে আনাছ মাদানীকে বাঁচানোর অনুরোধ জানিয়েছেন ...
- https://www.facebook.com/pages/...শাহ...-/140775916096621?group...
__._,_.___