মার্কিন রাজনীতিবোদ্ধাদের মতে, 'মার্কিন রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র এখন সময়ের দাবি।'
পরিবারতন্ত্রের জালে আটকা পড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি
উত্তরাধিকারভিত্তিক রাজনীতি দিনকে দিন দখল করছে মার্কিন রাজনীতির মাঠ। তাই, যুক্তরাষ্ট্রে কেবল পিতা-মাতা ও দাদার পরিচয়েই রাজনীতিতে আসছে অনেকে। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোকে পশ্চিমারা প্রায়শ পরিবারতন্ত্র হিসেবে সমালোচনা করে। কিন্তু শুধু বাংলাদেশ নয় আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রেও রয়েছে পরিবারতন্ত্র।
যুক্তরাষ্ট্রে পিতার বদলে পুত্র, স্বামীর জায়গায় স্ত্রীর মনোনয়ন অতি স্বাভাবিক নিয়ম। কেনেডি, বুশ ও ক্লিনটন পরিবারের সদস্যরা এভাবেই রাজনীতিতে এসেছেন। এবার পুত্র, ভাই ও স্ত্রীদের দলে যোগ দিয়েছে কন্যারা।আর তাই,আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি এখন পুরোপুরি পরিবারতন্ত্রে রূপ নিয়েছে।
এবার কন্যাদের পালা:
পুত্র, ভাই ও স্ত্রীরা পরিবারের সদস্যদের হাত ধরে ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত। তবে যুক্তরাষ্ট্রে এবার কন্যাদের রাজনীতিতে প্রবেশের পালা। পিতার রাজনৈতিক পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে কন্যারাও হতে চলেছেন সিনেটর। আসন্ন মার্কিন সিনেট নির্বাচনে বেশ কয়েকজন সাবেক সিনেটরের কন্যা পিতার বা মাতার আসনে নির্বাচন করবে।
আসন্ন সিনেট নির্বাচনে মাইকেল নান রিপাবলিকান দলের পক্ষ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মাইকেল নান, পিতা শ্যাম নানের আসনে নির্বাচন করবেন। ৪৬ বছর বয়সী নান জর্জিয়া থেকে নির্বাচন করবে। মাইকেলের সরাসরি রাজনীতিতে অভিজ্ঞতা না থাকলেও পিতার নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের অভিজ্ঞতা আছে।
মাইকেল নানের মতই রাজনীতিতে নামছে ডিক চেনির কন্যা লিজ চেনি। সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট চেনির কন্যা লিজ রিপাবলিকানদের প্রাথমিক নমিনেশন প্রতিযোগিতায় সেন ও মাইক ইনজির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
২০১৪ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচন উত্তরাধিকারের নির্বাচন। এমনকি ২০১৬ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন হিলারী ক্লিনটন। হিলারী ক্লিনটন ও বিল ক্লিনটনের মেয়ে শেরিল ক্লিনটনও রাজনীতিতে আসছেন। উত্তর ফ্লোরিডার সিনেটর বব গ্রাহামের কন্যা গুইন গ্রাহাম বাবার দেখানো পথে রাজনীতি করছে। এছাড়াও সাবেক কংগ্রেস সদস্য জেমস বিলবারীর কন্যা ইরিন বিলবারীও রাজনীতিতে নামার ঘোষণা দিয়েছেন।
তবে মেয়েদের সাথে ছেলেরাও পিতার দেখানো পথে রাজনীতিতে নামছে। সাবেক আইন-প্রণেতা ম্যাক কলিন্সের ছেলে মাইক কলিন্স রাজনীতিতে আসছে।
তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর মত আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতেও উত্তরাধিকার সূত্র অনেকদিন ধরেই প্রচলিত। তাই,এবার মার্কিন রাজনীতিতে উত্তরাধিকারী হিসেবে পুত্র ও কন্যাদের আগমন রাজনীতিক পরিস্থিতে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে গ্রহীত হচ্ছে।
তবে মার্কিন মেয়েদের পারিবারিকভাবে রাজনীতিতে আসা নতুন কিছু নয়। পারিবারিকভাবে রাজনীতিতে আসা কন্যাদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী ন্যান্সি পলেন্সি। তিনি বাল্টিমোরের মেয়র ও কংগ্রেস সদস্য টমি ডি অ্যালেনসান্ডার কন্যা। পলেন্সি পিতার নিকট থেকে রাজনীতি শিখেছেন। এছাড়া তিনি পিতার নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের কাজ করতেন। ন্যান্সি এখন মার্কিন সিনেটরের স্পিকারের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া ম্যারি ল্যানডিও, লুইস মউনাস্কি পারিবারিকভাবে রাজনীতিতে এসেছেন।
তবে কেবল ছেলে-মেয়েরাই বাবা-মার দেখানো পথে রাজনীতিতে আসেননি। এসেছেন নাতি-নাতনিরা। সাবেক কংগ্রেস সদস্য এন্ড্রু ক্যারসনের নাতি জুলিয়া ক্যারসন সফলভাবেই সিনেট সদস্য হয়েছেন। জুলিয়া,সাবেক কংগ্রেস সদস্য মা-এর সন্তান হিসেবেও পরিচিত।
--
দেশে বিদেশে বাঙ্গালীরা এবং বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ গুনুমুগ্ধ ভক্ত গন
সুখে থাকুন, ভালো থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু
শুভেচ্ছান্তে
Engr. Shafiqur Rahman Anu
__._,_.___