On Tuesday, October 22, 2013 2:35 PM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:
SHAME ! SHAME !! SHAME !!!
ওই নারী সাংবাদিককে চিনিই না!স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম | ||
ঢাকা: 'ওই ফ্রিল্যান্স নারী সাংবাদিককে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনিই না। তার সঙ্গে আমার কখনো সাক্ষাৎ, এমনকী ফোনালাপও হয়নি'- কথাগুলো বাংলানিউজকে বলছিলেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। তার বিরুদ্ধে জনৈক ফ্রিল্যান্স নারী সাংবাদিকের শ্লীলতাহানির অভিযোগের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। মঙ্গলবার বিকেলে বাংলানিউজ অফিসে ফারুক অভিযোগকারীর মামলায় নিজেকে নির্দোষ করেন। জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, 'এই অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে তোলা হচ্ছে।' পুলিশের উচ্চপদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তা এ ষড়যন্ত্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনায় মঙ্গলবার ফারুকের মেয়ে তামান্না ফারুক থীমা গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (ডাইরি) করেছেন। এর একটি লিখিত কপি ফারুক বাংলানিউজকে দেন। ডায়েরিতে থীমা দাবি করেন, মামলাকারী ফ্রিল্যান্স নারী সাংবাদিককে তার বাবা ফারুক ব্যক্তিগতভাবে চেনেন না। কখনো তার সঙ্গে দেখা হয়নি কিংবা ফোনালাপও হয়নি। ডায়েরিতে থীমা অভিযোগ করে বলেছেন, 'আমার বাবাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় করতে এ ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।' মামলাটি যে ভিত্তিহীন সে বিষয়ে বাদীর নিজের মুখে স্বীকার করা অডিও রেকর্ডও থীমার কাছে রয়েছে বলেও ডায়েরিতে উল্লেখ করেন তিনি। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান থীমা। থীমা উল্লেখ করেছেন, গত ২৮ সেপ্টেম্বর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এই দিন তার বাবা জয়নুল আবদিন ফারুক সকাল ৯টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। বক্তব্য রাখেন। যার খবর পরদিন বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিতও হয়েছে। থীমা আরো বলেছেন, ওইদিন প্রেসক্লাবের অনুষ্ঠান শেষে ফারুক বেলা ২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট নির্বাচনে ভোট দিতে যান। ভোটদান শেষে উত্তরায় একটি ঘরোয়া সভায় যোগ দিয়ে রাত ১২টায় বাসায় ফেরেন। ন্যাম ভবনের বাসায় আপত্তিকর ঘটনাটি ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে থীমার দাবি, ২২ সেপ্টেম্বর ফারুক ন্যাম ভবনের বাসায় যাননি। ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, 'আমরা রাজনীতি করি। প্রতিপক্ষ নানা কারণে, নানা স্বার্থে হয়রানির চেষ্টা করে। কিন্তু জনগণ সচেতন। তারা সব কিছুই বোঝেন।' উল্লেখ্য, নারী সাংবাদিকের দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে- গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে বাদী বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের সংসদ ভবন সংলগ্ন ন্যাম ফ্ল্যাটে সাক্ষাৎকার নিতে যান। আসামি ফারুক তাকে ড্রয়িং রুমে বসতে বলেন। কিছুক্ষণ বসার পর ফারুক তাকে তার শয়নকক্ষে নিয়ে যান। এরপর তাকে জোর করে নিপীড়ন করেন। এ সময় বাদী চিৎকার করে ফারুকের শয়ন কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন এবং বাইরে উপস্থিত মানুষকে ঘটনা জানান। ফারুক এ সময় তাকে ধমক দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এদিকে, মামলাটি দায়েরের পর ট্রাইব্যুনালের বিচারক আরিফুর রহমান অভিযোগকারীর জবানবন্দি রেকর্ড করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে শ্লীলতাহানির ঘটনার তদন্ত করে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম অথবা তার অধীনস্থ একজন মহানগর হাকিমকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ঘটনার সত্যতা প্রমাণের জন্য মামলায় পাঁচজনকে সাক্ষী করেছেন বাদী। মামলায় বাদী নিজেকে অবিবাহিত বলে উল্লেখ করেছেন। তার গ্রামের বাড়ি খুলনার খালিশপুর থানা এলাকায়। বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৩ এসকেএস/এবি | ||
__._,_.___