On Tuesday, October 22, 2013 4:12 PM, Mohiuddin Anwar <mohiuddin@netzero.net> wrote:
সেদিন এরশাদসহ জাপা নেতাদের একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী
22 Oct, 2013
: রোববার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির বৈঠকের আলোচনা নিয়ে কৌতূহল বিরাজ করছে সারা দেশে। রোববার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এরশাদের নৈশভোজ শেষে গণভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ বলেছিলেন, "জাতীয় পার্টি মহাজোটেই আছে। বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে, তাহলে জাতীয় পার্টি এককভাব, আর বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে জাতীয় পার্টি মহাজোটের সঙ্গে থেকে নির্বাচনে অংশ নেবে। "
কিন্তু পরদিন সোমবার সকালে বনানীতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন এরশাদ সংবাদ সম্মেলনে আশরাফের বক্তেব্যের প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, "সৈয়দ আশরাফের বক্তব্য শুনে আমি স্তম্ভিত। তার বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এমন বক্তব্যে আমাকে ও জাতীয় পার্টিকে জাতির সামনে হেয় করা হয়েছে।"
দুই নেতার পরস্পরবিরোধী বক্তব্য সবার মধ্যে কৌতূহলের জন্ম দেয়, সেদিন আসলে কী ঘটেছিল গণভবনে। ওই দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির এমন একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে পাওয়া সেদিনের বৈঠকের কিছু সংলাপ এখানে তুলে ধরা হলো।
রোববার সন্ধ্যা সাতটা ৩০ মিনিটে ১৫টি গাড়ির বহর নিয়ে গণভবনে প্রবেশ করেন জাপার চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এরপর জাপার নেতারা যান গণভবনের বৈঠক রুমে। সেখানে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রী সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করে আসন নেন।
এরপর এরশাদ বলেন, "এত দিন পর কী মনে করে আমাদের ডাকলেন। আমরা তো মহাজোট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।"
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "কই! সবকিছুই তো পাচ্ছেন। সুযোগ-সুবিধা তো কম নিচ্ছেন না । ব্যাংক নিয়েছেন, চ্যানেল নিয়েছেন- সবই তো পেয়েছেন। খোঁজ-খবর তো নিই।"
এ কথা শুনে এরশাদ বলেন, "আপনার দলের জনপ্রিয়তা নেই। যা ছিল, তা তলানিতে ঠেকেছে। আমরা মহাজোটে না থাকলে আপনাদের ভরাডুবি হবে। আগের দিন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন, পরের দিন সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন। আপনার উপদেষ্টা কারা, কারা আপনাকে পরামর্শ দেন!"
উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমি বাইরে সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি। ঘরের ভেতরে করিনি। বাইরের সভা-সমাবেশে নাশকতার আশঙ্কা থাকতে পারে।"
এরপর এরশাদ বলেন, "আমরা মহাজোটে থাকব না। আমরা এককভাবে নির্বাচন করব।"
এ কথার উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "এককভাবে নির্বাচন করলে সিট কয়টা পাবেন। রংপুরেও তো একটা সিট পাবেন না।"
জাপার জ্যেষ্ঠ প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমেদকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আপনি তো অস্ট্রেলিয়া থেকে মহাজোট ভাঙার মিশন নিয়ে এসেছিলেন। বয়স তো অনেক হয়েছে। এবার এসব বাদ দেন। এ বয়সেও তো আপনাকে বম্বের হিরোদের মতো লাগে।"প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, "আপনি আমাদের সঙ্গেই থাকেন। এমপি না দিলেও আপনাকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী করা হবে।"
পাশের সিটে বসা জাপার মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "মহাসচিব তো দুই নৌকায় পা দেন। দুই নৌকায় পা দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য তো ভালোই করছেন।"
প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আপনি তো সবদিকেই আছেন।"
এভাবে সবার সঙ্গে কথা বলে এরশাদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর রূপসী বাংলা থেকে আনা খাবার দিয়ে নৈশভোজ সারেন দুই দলের শীর্ষ নেতারা।
নৈশভোজ শেষে রাত ১০টার দিকে গণভবন ত্যাগ করেন এরশাদ। পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন সৈয়দ আশরাফ ও জাপার মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্রের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এরশাদের আলোচনার সারবস্তু তুলে ধরেছিলেন সৈয়দ আশরাফ। কিন্তু তা সবার সামনে না হওয়ায় দলের ভাবমূর্তি ধরে রাখতে ১২ ঘণ্টার মধ্যে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেন এরশাদ। আওয়ামী লীগের সূত্রমতে, এরশাদ কোনোদিনই মহাজোট ছাড়বেন না।
জাপার সূত্র জানায়, রোববার রাতে সৈয়দ আশরাফের ব্রিফিংয়ের মেসেজ এরশাদ গাড়িতে শুনেই বিব্রত হন। ওই সময় এরশাদের পাশের সিটে ছিলেন কাজী জাফর আহমেদ। সামনের সিটে ছিলেন জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।
এরপর রাতেই বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে বসে এরশাদ সকালে সংবাদ সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নেন।
কিন্তু পরদিন সোমবার সকালে বনানীতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন এরশাদ সংবাদ সম্মেলনে আশরাফের বক্তেব্যের প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, "সৈয়দ আশরাফের বক্তব্য শুনে আমি স্তম্ভিত। তার বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এমন বক্তব্যে আমাকে ও জাতীয় পার্টিকে জাতির সামনে হেয় করা হয়েছে।"
দুই নেতার পরস্পরবিরোধী বক্তব্য সবার মধ্যে কৌতূহলের জন্ম দেয়, সেদিন আসলে কী ঘটেছিল গণভবনে। ওই দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির এমন একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে পাওয়া সেদিনের বৈঠকের কিছু সংলাপ এখানে তুলে ধরা হলো।
রোববার সন্ধ্যা সাতটা ৩০ মিনিটে ১৫টি গাড়ির বহর নিয়ে গণভবনে প্রবেশ করেন জাপার চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এরপর জাপার নেতারা যান গণভবনের বৈঠক রুমে। সেখানে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রী সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করে আসন নেন।
এরপর এরশাদ বলেন, "এত দিন পর কী মনে করে আমাদের ডাকলেন। আমরা তো মহাজোট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।"
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "কই! সবকিছুই তো পাচ্ছেন। সুযোগ-সুবিধা তো কম নিচ্ছেন না । ব্যাংক নিয়েছেন, চ্যানেল নিয়েছেন- সবই তো পেয়েছেন। খোঁজ-খবর তো নিই।"
এ কথা শুনে এরশাদ বলেন, "আপনার দলের জনপ্রিয়তা নেই। যা ছিল, তা তলানিতে ঠেকেছে। আমরা মহাজোটে না থাকলে আপনাদের ভরাডুবি হবে। আগের দিন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন, পরের দিন সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন। আপনার উপদেষ্টা কারা, কারা আপনাকে পরামর্শ দেন!"
উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমি বাইরে সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি। ঘরের ভেতরে করিনি। বাইরের সভা-সমাবেশে নাশকতার আশঙ্কা থাকতে পারে।"
এরপর এরশাদ বলেন, "আমরা মহাজোটে থাকব না। আমরা এককভাবে নির্বাচন করব।"
এ কথার উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "এককভাবে নির্বাচন করলে সিট কয়টা পাবেন। রংপুরেও তো একটা সিট পাবেন না।"
জাপার জ্যেষ্ঠ প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমেদকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আপনি তো অস্ট্রেলিয়া থেকে মহাজোট ভাঙার মিশন নিয়ে এসেছিলেন। বয়স তো অনেক হয়েছে। এবার এসব বাদ দেন। এ বয়সেও তো আপনাকে বম্বের হিরোদের মতো লাগে।"প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, "আপনি আমাদের সঙ্গেই থাকেন। এমপি না দিলেও আপনাকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী করা হবে।"
পাশের সিটে বসা জাপার মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "মহাসচিব তো দুই নৌকায় পা দেন। দুই নৌকায় পা দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য তো ভালোই করছেন।"
প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আপনি তো সবদিকেই আছেন।"
এভাবে সবার সঙ্গে কথা বলে এরশাদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর রূপসী বাংলা থেকে আনা খাবার দিয়ে নৈশভোজ সারেন দুই দলের শীর্ষ নেতারা।
নৈশভোজ শেষে রাত ১০টার দিকে গণভবন ত্যাগ করেন এরশাদ। পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন সৈয়দ আশরাফ ও জাপার মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্রের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এরশাদের আলোচনার সারবস্তু তুলে ধরেছিলেন সৈয়দ আশরাফ। কিন্তু তা সবার সামনে না হওয়ায় দলের ভাবমূর্তি ধরে রাখতে ১২ ঘণ্টার মধ্যে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেন এরশাদ। আওয়ামী লীগের সূত্রমতে, এরশাদ কোনোদিনই মহাজোট ছাড়বেন না।
জাপার সূত্র জানায়, রোববার রাতে সৈয়দ আশরাফের ব্রিফিংয়ের মেসেজ এরশাদ গাড়িতে শুনেই বিব্রত হন। ওই সময় এরশাদের পাশের সিটে ছিলেন কাজী জাফর আহমেদ। সামনের সিটে ছিলেন জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।
এরপর রাতেই বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে বসে এরশাদ সকালে সংবাদ সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নেন।
উৎসঃ নতুন বার্তা
____________________________________________________________
Do THIS before eating carbs (every time)
1 EASY tip to increase fat-burning, lower blood sugar & decrease fat storage
info.fixyourbloodsugar.com
__._,_.___