It is great drama because she refused to sing the Jamati song? Women' rights is rather an obscene subject for our die-hard Jamati Talibans?
2013/10/11 Shahadat Hussaini <shahadathussaini@hotmail.com>
--মালালার ঘটনা পুরোটাই নাটক!
11 Oct, 2013নারীশিক্ষার পক্ষে কলাম ধরায় পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় গত বছর ৯ অক্টোবর মালালা ইউসুফজাইর ওপর হামলা চালায় তালেবান। গুলি লাগে মুখ আর মাথায়। আহত হন সঙ্গে থাকা আরো তিনজন। এরপর গণমাধ্যমের 'কল্যাণে' স্কুলপড়ুয়া মালালা মুহূর্তের ব্যবধানে হয়ে যান বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি।
প্রথমে পাকিস্তান এবং পরে ইংল্যান্ডে কয়েক মাসের চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। এত কিছুর পরও ১৫ বছরের মালালা নারীশিক্ষার পক্ষে অনড় থাকার ঘোষণা দেন। জানিয়ে দেন, হাজার বাধা টপকাতে রাজি।
জঙ্গি হামলার ভয়ে মালালা ব্রিটেনেই থাকছেন। এবার নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য তাঁর নামটাই ছিল প্রত্যাশার শীর্ষে। পুরস্কার না পাওয়ার আলোচনা শেষ হতে না হতেই 'বোমা' ফাটিয়েছে পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র ডনের ব্লগ।
ডনের ব্লগ দাবি করেছে, তারা তুলে এনেছে অজানা অধ্যায়। তাদের ব্লগে নাদিম ফারুক পারাচা দাবি করছেন, কাহিনী লেখা ছিল আগেই, মালালা সে অনুযায়ী অভিনয় করেছে মাত্র। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও পশ্চিমা বিশ্ব এ নাটক সাজিয়েছে।
ফারুক ডন পত্রিকা ও অনলাইনের জ্যেষ্ঠ কলামিস্ট।
দ্য ডনের ব্লগে ১০ অক্টোবর পাকিস্তান সময় বিকাল ৪টা ৪৭ মিনিটে আপডেটসহ প্রকাশ করা হয়। পরে ১১ অক্টোবর শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ১১ মিনিটে আপডেট দিয়ে জানানো হয়, ব্লগের লেখাটি ব্যঙ্গাত্মক ও কল্পকাহিনী। কিন্তু এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে সারা বিশ্বে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হয়।
ব্লগে বলা হয়েছে, মালালার ঘটনা সারা বিশ্ব যা জেনেছে তা একপেশে। আসল ঘটনা একেবারে বিপরীত।
ফারুক বলছেনে, মালালার বিষয়টি নিয়ে এ বছরের এপ্রিল মাসে ডনের একটি দক্ষ প্রতিবেদক দল সোয়াত এলাকায় গভীর অনুসন্ধান চালায়। পাঁচ মাসের অনুসন্ধানে তারা বিশ্বকে চমকে দেওয়ার মত তথ্য প্রমাণ পেয়েছেন।
ব্লগে বলা হয়েছে-
মালালা সোয়াতে জন্মগ্রহণ করেনি, এমনকি সে পশতুনও না। সোয়াতের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ইমতিয়াজ আলী খানজাই ডনের প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, তার কাছে ডিএনএ পরীক্ষার ফল আছে যা প্রমাণ করে মালালা পশতুন না।
একটি রিপোর্ট দেখিয়ে তিনি জানান, তিনি মালালার ডিএনএ সংগ্রহ করেছেন। সে সময় মালালা শিশু ছিল। তখন কানের সমস্যা নিয়ে তার কাছে এসেছিল।
ডাক্তার ডিএনএ পরীক্ষায় দখেতে পান, মালালা আসলে ককেশীয় এবং সম্ভবত পোল্যান্ড থেকে এসেছে। এরপর তিনি মালালার বাবাকে ডেকে পাঠান এবং বলেন, আমি মালালার আসল পরিচয় জানি। এ কথা শুনে মালালার বাবা জিয়াউদ্দিন ইউসুফজাই ঘাবড়ে যান। তিনি বলেন, এ কথা আমি যেন জনসম্মুখে না বলি। আমি তাকে বলি, আপনি যদি সত্য ঘটনা খুলে বলেন তবে কাউকে বলব না।
মালালার বাবা ডাক্তারকে বলেন, মালালার প্রকৃত নাম জেইন। ১৯৯৭ সালে সে হাঙ্গেরিতে জন্ম গ্রহন করেছে। তার প্রকৃত বাবা-মা খ্রিষ্টান মিশনারি ছিল যারা ২০০২ সালে সোয়াতে বেড়াতে এসেছিল এবং মালালাকে উপহার হিসেবে তার কাছে রেখে যায়। ওই সময় তারা গোপনে খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ করেন।
এ সময় ডনের প্রতিবেদক ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করেন, কেন তিনি মালালার আসল পরিচয় এখন প্রকাশ করছেন, তখন ডাক্তার বলেন, "তিনি মনে করেন মালালাকে পাকিস্তানের বিপক্ষে দাঁড়াতে পরিকল্পিতভাবে পাঠানো হয়েছিল।"
গুলিবর্ষণকারীর ডিএনএ পরীক্ষা করে ডাক্তার আবিষ্কার করেন, সে ইতালি থেকে এসেছে। ডাক্তার বলেন, আমি ২০১২ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে এ বিষয়গুলো জানিয়ে ইমেইল করি।
এর কয়েক দিন পর তার ক্লিনিকে পুলিশ অভিযান চালায়। তার কয়েকজন কর্মচারী সে সময় পুলিশের মাধ্যমে নির্যাতিত হয়েছিল।
তিনি জানান, এ বছরের জুন মাসে ডাক্তার আইএসআইয়ের একজন তরুণ অফিসারের কাছে যান। ওই অফিসার অভিযানের জন্য তার কাছে ক্ষমা চান।
অফিসার ডাক্তারকে বলেন, আইএসআই মালালার আসল পরিচয়ের ব্যাপারে সতর্ক আছে। অনেক অনুরোধের পর ডাক্তার ওই আইএসআই অফিসারের মোবাইল ফোনের নাম্বার দিয়ে দেন।
এরপর সেই ডাক্তার আইএসআই অফিসারের নম্বর দেন ডনের প্রতিবেদককে। ডনের প্রতিবেদকের সাথে অফিসার দেখা করেন সোয়াতের একটি পরিত্যক্ত স্কুলে।
আইএসআইর সেই অফিসার ডনের প্রতিবেদককে জানান, মালালার ওপর হামলার ঘটনা পাতানো হয়েছিল গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে। উত্তর ওয়াজিরিস্তানে আক্রমণে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পথ পরিষ্কার করতে পুরো ঘটনাটি পাকিস্তান ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে সাজানো হয়েছিল।
অফিসার জানান, "এটা একটা নাটক। পাকিস্তান সেনাবাহিনী উত্তর ওয়াজিরিস্তান আক্রমণের একটি অজুহাত দাঁড় করাতে এটি মঞ্চস্থ হয়েছিল।"
তার দেওয়া তথ্য-
১ অক্টোবর ১৯৯৭ : হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে হাঙ্গেরিয়ান বাবা-মায়ের ঘরে মালালার জন্ম । তার নাম রাখা হয় জেইন।
৪ অক্টোবর, ২০০২: তার বাবা-মা সিআইয়ের সাথে যুক্ত হন। তাদের একটি সংক্ষিপ্ত সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
৭ অক্টোবর, ২০০৩: তারা পাকিস্তানে ঢোকেন এবং সোয়াতে একটি এনজিওতে কাজ শুরু করেন। সে সময় তারা আইএসআইয়ের একজন লো-লেভেল এজেন্টদের সাথে যোগাযোগ করেন। তিনি পুরো পরিবারকে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষীত করেন। তারা জেইনকে তার কাছে রেখে যান। পরবর্তীতে ওই এজেন্ট জেইনের নাম পরিবর্তন করে রাখেন মালালা।
৩০ অক্টোবর, ২০০৭ : মালালা ব্লগে লেখা শুরু করেন এবং সেখানে তিনি সোয়াতের জঙ্গদিরে অস্ত্রবাজি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়।
২১ অক্টোবর, ২০১১: জঙ্গিরা তাকে আনুরোধ করে এ ধরনের ব্লগ না লিখতে।
১ অক্টোবর, ২০১২ : সিআইএ নিউইয়র্কে বসবাসকারী ইতালিয় বংশোদ্ভুত রবার্ট নামের এক ব্যক্তিকে নিয়োগ করে। তাকে গুলি চালানোর ওপর স্বল্পমেয়াদে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
৭ অক্টোবর, ২০১২: সিআইএ মালালার ওপর মিথ্যা গুলিবর্ষণের জন্য আইএসআইয়ের সাথে পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করে এবং বিষয়টি মালালা ও তার পরিবারকে জানানো হয়।
১১ অক্টোবর, ২০১২ : রর্বটট সোয়াতে প্রবেশ করে উজবেক পরিচয় দিয়ে।
১২ অক্টোবর, ২০১২: রবার্ট নামের ওই ব্যক্তিকে একটি বন্দুক সরবারহ করা হয় যার মধ্যে গুলি ছিল না। বন্দুকধারী মালালার ওপর মিছেমিছি গুলি চালায়। এ সময় মালালা নিজেকে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার ভান করে। মালালার কাছে আগে থেকে টমেটোর সস রাখা ছিলো যা সে শরীর ও মুখে মেখে নেয়। পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে একটি অ্যাম্বুলেন্স সেখানে পৌঁছায় এবং মালালাকে নিয়ে যায়। এরপর পশ্চিমা মিডিয়াগুলো সারাবিশ্বে প্রচার করে মালালাকে তালেবান জঙ্গি গুলি করেছে।উৎসঃ পরিবর্তনডটকম
--
Disclaimer: All content provided on this discussion forum is for informational purposes only. The owner of this forum makes no representations as to the accuracy or completeness of any information on this site or found by following any link on this site. The owner will not be liable for any errors or omissions in this information nor for the availability of this information. The owner will not be liable for any losses, injuries, or damages from the display or use of this information.
This policy is subject to change at anytime.
---
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "Bangladesh Progressives" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to bangladesh-progressives+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/groups/opt_out.
--
"I speak for the trees, for the trees have no tongues." - Dr. Seuss
__._,_.___