সাকার পক্ষে ডিজিটাল জালিয়াতি
রায় ঘোষণার আগেই সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর রায়ের কপি হিসেবে ওয়েবসাইটে প্রকাশ হওয়া কথিত কপিটি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি বড় ডিজিটাল জালিয়াতি। প্রযুক্তিগত অনুসন্ধানে এক্ষেত্রে সাকার পক্ষে জালিয়াতির চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, আপলোড করা ফাইলটি আইন মন্ত্রণালয়ের কম্পিউটারে নয়, 'অ্যারাবিয়ান হর্স' নামক একটি কোম্পানির নামে নিবন্ধিত (অভ্যন্তরীণ অপারেটিং সিস্টেমে) কম্পিউটার থেকে আপলোড করা হয়েছে। ফাইলটি লেখা শুরু হয় ২৩ মে থেকে। অথচ সাকা চৌধুরীর মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণই রাখা হয় চলতি বছরের ১৪ আগস্ট থেকে। এর আগে মে মাস থেকে শুনানি এবং জুলাই থেকে এ মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হয়। দেখা যায়, আপলোড করা কথিত রায়ের কপিতে শুধুমাত্র শুনানি এবং যুক্তিতর্কের বিবরণ দেওয়া হয়েছে, রায়ের বিচারিক বিবরণটি (জাজমেন্ট) নেই। এ থেকে বোঝা যায়, আগের রায়গুলোর অনুসরণে এক্ষেত্রে সুচতুরভাবে সাকা চৌধুরীর শুনানি ও যুক্তিতর্কের অংশটি বসানো হয়েছে। শুনানি ও যুক্তিতর্কের অংশ সব সময়ই প্রায় সঙ্গে সঙ্গে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের দেওয়া হয়। এই শুনানি ও যুক্তিতর্কের পূর্বপ্রকাশিত অংশ ব্যবহার করেই ফাইলটি তৈরি হয়েছে। যেহেতু আগের রায়গুলোর অভিজ্ঞতায় শুনানি ও যুক্তিতর্কের অংশটি রায়ের বিবরণীতে হুবহু লেখা থাকে, সে কারণে মনে হয়েছে, সাকার রায়ের বিবরণের সঙ্গে মিলেছে। প্রকৃতপক্ষে রায়ের মূল অংশটি বা মূল রায়টিই আপলোড করা ফাইলে নেই। অনুসন্ধানে পুরো ঘটনাটি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা হিসেবেই প্রমাণিত হয়।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, যে কম্পিউটার থেকে ফাইলটি আপলোড করা হয় তার ধরন ম্যাকবুক প্রো। অ্যাপলের এ ধরনের কোনো কম্পিউটার আইন মন্ত্রণালয়ে ব্যবহার হয় না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। তিনি জানান, আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে রায়ের কোনো সম্পর্ক নেই এবং মন্ত্রণালয়ের কম্পিউটারে রায়ের কপি আসার কোনো সুযোগ নেই। আইন মন্ত্রণালয়ের কম্পিউটারে রায়ের ফাইল লেখার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানান আইনমন্ত্রী।
রায়ের কপি হিসেবে আপলোড করা ফাইলটি গত ২৩ মে প্রথম লেখা হয়েছে। চলতি বছরের ২২ সেপ্টেম্বর ফাইলটি সর্বশেষ প্রিন্ট করা হয়। ম্যাকবুক প্রো সিস্টেমের কম্পিউটারে ১৬৪ পৃষ্ঠার এ ফাইলটি সর্বশেষ সম্পাদনা হয়। সম্পাদনা করতে ব্যয় হওয়া মোট সময় দেখা যায় ২ হাজার ৫৮৮ মিনিট (অর্থাৎ ৪৩ ঘণ্টা ১৩ মিনিট)। ২৩ মে রাত ১২টা থেকে ফাইলটি প্রথম লেখা শুরু হয়। রাত ১২টায় দেশের কোনো সরকারি অফিস খোলা থাকে কি-না, তা নিয়েও গুঞ্জন উঠেছে বিভিন্ন সামাজিক সাইটে। এ ফাইল ডায়ানোসিসের তথ্যে ফাইল সম্পাদনাকারী বা ফাইলের প্রকাশক হিসেবে নাম লেখা রয়েছে 'আদি (ইংরেজি বানান এডিআই)। কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমে কোম্পানির নাম হিসেবে লেখা রয়েছে 'অ্যারাবিয়ান হর্স'। পরে এ অ্যারাবিয়ান হর্স শব্দটি গুগল অনুসন্ধানে দিলে বাংলাদেশে পিএইচপি গ্রুপ নামে একটি কোম্পানির পণ্যের ব্র্যান্ড নাম 'অ্যারবিয়ান হর্স' দেখা যায় এবং কোম্পানির মূল ঠিকানা চট্টগ্রামে দেখানো হয়। নির্দিষ্ট করে 'অ্যারাবিয়ান হর্স' নামে নিবন্ধিত অপারেটিং সিস্টেমের কম্পিউটারে ফাইলটি তৈরি হওয়ার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেলেও এ কম্পিউটার বাংলাদেশের ওই কোম্পানির কি-না তা প্রযুক্তিগত অনুসন্ধানে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অন্যদিকে দেখা যায়, ৩০ সেপ্টেম্বর 'জাস্টিস কনসার্ন.ওআরজি' নামে যে ওয়েবসাইটে 'মিনিস্ট্রি প্রিপিয়ার্ড জাজমেন্ট ফর দ্য ট্রাইবুনাল' নামে যে রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে সেখানে আইন মন্ত্রণালয়ের একটি কম্পিউটারে আলম নামে এটি সম্পাদনার কথা বলা হয়েছে। অথচ ওই সাইটে কথিত রায়ের কপি হিসেবে যে ফাইলটি ডাউনলোডের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে, সে ফাইলটির প্রযুক্তিগত ব্যবচ্ছেদে 'অ্যারাবিয়ান হর্স' নামে নিবন্ধিত কম্পিউটারে আদি নামে একজন ফাইল সম্পাদনার তথ্য পাওয়া যায়। দেখা যায়, গতকাল পহেলা অক্টোবর বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা পর্যন্ত ফাইলটি মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ডকুমেন্ট ফরম্যাটে এ ওয়েবসাইটে সচল ফাইল হিসেবে পাওয়া যায়; কিন্তু দুপুর ২টার পর থেকে ফাইলটি 'করাপ্ট' বা অকেজো ফাইল হিসেবে পাওয়া যায়। জাস্টিস কনসার্ন ডট ওআরজি সাইটটির প্রযুক্তি অনুসন্ধানে দেখা যায়, চলতি বছর ১৩ মার্চ ওয়েবসাইটটি খোলা হয় যুক্তরাজ্য থেকে। নিবন্ধিত রয়েছে অর্ণব সেনের নামে। নিবন্ধন ই-মেইল হচ্ছে 'ধৎহধনংহ২৮@মসধরষ.পড়স. যে ফোন নম্বর দেওয়া হয় সেটিও লন্ডনের। তবে ডোমেইন নেওয়া হয় ডেনমার্কের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে। সাইটির হোস্ট সার্ভারও ডেনমার্কে। ওয়েবসাইটটি ১৩ মার্চ খোলা হলেও এটি আপডেট করে মূল কার্যক্রম চালু করা হয় ১৩ মে থেকে। এক বছরের জন্য ডোমেইন ভাড়া নেওয়া হয়েছে (মেয়াদ ১৩ মার্চ, ২০১৪ পর্যন্ত)। সাইটটিতে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে এবং আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের পক্ষে প্রতিবেদন রয়েছে, অন্য কোনো বিষয়ে প্রতিবেদন নেই।
এ ছাড়া এ ফাইলটির প্রথম আপলোডার ওয়েবসাইট হিসেবে দেখা যায় ট্রাইব্যুনাল লিকস.বিই নামে একটি ওয়েবসাইট। সাইটির প্রযুক্তিগত অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১২ সালের ৮ ডিসেম্বর সেটি খোলা হয়েছে। এর সার্ভারের অবস্থান এবং হোস্টিং যুক্তরাষ্ট্রে। সাইটের ডোমেইন ঠিকানায় নিবন্ধন-সংক্রান্ত তথ্য গোপন রাখা হলেও সাইটটির শেষে 'বিই' শব্দ আছে, যা বেলজিয়ামের কান্ট্রি ডোমেইন। এ সাইটে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ফাইলে কথিত রায়ের কপি ডাউনলোডের জন্য উন্মুক্ত রাখা হলেও ৩টার পর ফাইলটি পিডিএফ ফরম্যাটে রূপান্তর করা হয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, পিডিএফ ফাইলে অন্যসব তথ্য মুছে দেওয়া হলেও ফাইল সম্পাদকের নাম হিসেবে সেই 'আদি' নামটি দেখা যায়। অর্থাৎ প্রমাণিত হয়, ট্রাইব্যুনাল লিকস ডট বিই এবং জাস্টিস কনসার্ন ডট ওআরজি ওয়েসবসাইট দুটির ফাইল একই এবং এর পরিচালনার সঙ্গে যুক্তরাও একই গোষ্ঠীর। পরে ওয়েবসাইট অনুসন্ধানে ট্রাইব্যুনাল লিকস নামে একটি ব্লগেরও সন্ধান পাওয়া যায় এবং এ ব্লগটিতেও যথারীতি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার ছাড়া আর কোনো তথ্য বা ব্লগ পোস্ট নেই।
এম.আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
রাশেদ মেহেদী/একরামুল হক শামীম
রায় ঘোষণার আগেই সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর রায়ের কপি হিসেবে ওয়েবসাইটে প্রকাশ হওয়া কথিত কপিটি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি বড় ডিজিটাল জালিয়াতি। প্রযুক্তিগত অনুসন্ধানে এক্ষেত্রে সাকার পক্ষে জালিয়াতির চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, আপলোড করা ফাইলটি আইন মন্ত্রণালয়ের কম্পিউটারে নয়, 'অ্যারাবিয়ান হর্স' নামক একটি কোম্পানির নামে নিবন্ধিত (অভ্যন্তরীণ অপারেটিং সিস্টেমে) কম্পিউটার থেকে আপলোড করা হয়েছে। ফাইলটি লেখা শুরু হয় ২৩ মে থেকে। অথচ সাকা চৌধুরীর মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণই রাখা হয় চলতি বছরের ১৪ আগস্ট থেকে। এর আগে মে মাস থেকে শুনানি এবং জুলাই থেকে এ মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হয়। দেখা যায়, আপলোড করা কথিত রায়ের কপিতে শুধুমাত্র শুনানি এবং যুক্তিতর্কের বিবরণ দেওয়া হয়েছে, রায়ের বিচারিক বিবরণটি (জাজমেন্ট) নেই। এ থেকে বোঝা যায়, আগের রায়গুলোর অনুসরণে এক্ষেত্রে সুচতুরভাবে সাকা চৌধুরীর শুনানি ও যুক্তিতর্কের অংশটি বসানো হয়েছে। শুনানি ও যুক্তিতর্কের অংশ সব সময়ই প্রায় সঙ্গে সঙ্গে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের দেওয়া হয়। এই শুনানি ও যুক্তিতর্কের পূর্বপ্রকাশিত অংশ ব্যবহার করেই ফাইলটি তৈরি হয়েছে। যেহেতু আগের রায়গুলোর অভিজ্ঞতায় শুনানি ও যুক্তিতর্কের অংশটি রায়ের বিবরণীতে হুবহু লেখা থাকে, সে কারণে মনে হয়েছে, সাকার রায়ের বিবরণের সঙ্গে মিলেছে। প্রকৃতপক্ষে রায়ের মূল অংশটি বা মূল রায়টিই আপলোড করা ফাইলে নেই। অনুসন্ধানে পুরো ঘটনাটি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা হিসেবেই প্রমাণিত হয়।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, যে কম্পিউটার থেকে ফাইলটি আপলোড করা হয় তার ধরন ম্যাকবুক প্রো। অ্যাপলের এ ধরনের কোনো কম্পিউটার আইন মন্ত্রণালয়ে ব্যবহার হয় না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। তিনি জানান, আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে রায়ের কোনো সম্পর্ক নেই এবং মন্ত্রণালয়ের কম্পিউটারে রায়ের কপি আসার কোনো সুযোগ নেই। আইন মন্ত্রণালয়ের কম্পিউটারে রায়ের ফাইল লেখার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানান আইনমন্ত্রী।
রায়ের কপি হিসেবে আপলোড করা ফাইলটি গত ২৩ মে প্রথম লেখা হয়েছে। চলতি বছরের ২২ সেপ্টেম্বর ফাইলটি সর্বশেষ প্রিন্ট করা হয়। ম্যাকবুক প্রো সিস্টেমের কম্পিউটারে ১৬৪ পৃষ্ঠার এ ফাইলটি সর্বশেষ সম্পাদনা হয়। সম্পাদনা করতে ব্যয় হওয়া মোট সময় দেখা যায় ২ হাজার ৫৮৮ মিনিট (অর্থাৎ ৪৩ ঘণ্টা ১৩ মিনিট)। ২৩ মে রাত ১২টা থেকে ফাইলটি প্রথম লেখা শুরু হয়। রাত ১২টায় দেশের কোনো সরকারি অফিস খোলা থাকে কি-না, তা নিয়েও গুঞ্জন উঠেছে বিভিন্ন সামাজিক সাইটে। এ ফাইল ডায়ানোসিসের তথ্যে ফাইল সম্পাদনাকারী বা ফাইলের প্রকাশক হিসেবে নাম লেখা রয়েছে 'আদি (ইংরেজি বানান এডিআই)। কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমে কোম্পানির নাম হিসেবে লেখা রয়েছে 'অ্যারাবিয়ান হর্স'। পরে এ অ্যারাবিয়ান হর্স শব্দটি গুগল অনুসন্ধানে দিলে বাংলাদেশে পিএইচপি গ্রুপ নামে একটি কোম্পানির পণ্যের ব্র্যান্ড নাম 'অ্যারবিয়ান হর্স' দেখা যায় এবং কোম্পানির মূল ঠিকানা চট্টগ্রামে দেখানো হয়। নির্দিষ্ট করে 'অ্যারাবিয়ান হর্স' নামে নিবন্ধিত অপারেটিং সিস্টেমের কম্পিউটারে ফাইলটি তৈরি হওয়ার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেলেও এ কম্পিউটার বাংলাদেশের ওই কোম্পানির কি-না তা প্রযুক্তিগত অনুসন্ধানে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অন্যদিকে দেখা যায়, ৩০ সেপ্টেম্বর 'জাস্টিস কনসার্ন.ওআরজি' নামে যে ওয়েবসাইটে 'মিনিস্ট্রি প্রিপিয়ার্ড জাজমেন্ট ফর দ্য ট্রাইবুনাল' নামে যে রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে সেখানে আইন মন্ত্রণালয়ের একটি কম্পিউটারে আলম নামে এটি সম্পাদনার কথা বলা হয়েছে। অথচ ওই সাইটে কথিত রায়ের কপি হিসেবে যে ফাইলটি ডাউনলোডের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে, সে ফাইলটির প্রযুক্তিগত ব্যবচ্ছেদে 'অ্যারাবিয়ান হর্স' নামে নিবন্ধিত কম্পিউটারে আদি নামে একজন ফাইল সম্পাদনার তথ্য পাওয়া যায়। দেখা যায়, গতকাল পহেলা অক্টোবর বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা পর্যন্ত ফাইলটি মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ডকুমেন্ট ফরম্যাটে এ ওয়েবসাইটে সচল ফাইল হিসেবে পাওয়া যায়; কিন্তু দুপুর ২টার পর থেকে ফাইলটি 'করাপ্ট' বা অকেজো ফাইল হিসেবে পাওয়া যায়। জাস্টিস কনসার্ন ডট ওআরজি সাইটটির প্রযুক্তি অনুসন্ধানে দেখা যায়, চলতি বছর ১৩ মার্চ ওয়েবসাইটটি খোলা হয় যুক্তরাজ্য থেকে। নিবন্ধিত রয়েছে অর্ণব সেনের নামে। নিবন্ধন ই-মেইল হচ্ছে 'ধৎহধনংহ২৮@মসধরষ.পড়স. যে ফোন নম্বর দেওয়া হয় সেটিও লন্ডনের। তবে ডোমেইন নেওয়া হয় ডেনমার্কের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে। সাইটির হোস্ট সার্ভারও ডেনমার্কে। ওয়েবসাইটটি ১৩ মার্চ খোলা হলেও এটি আপডেট করে মূল কার্যক্রম চালু করা হয় ১৩ মে থেকে। এক বছরের জন্য ডোমেইন ভাড়া নেওয়া হয়েছে (মেয়াদ ১৩ মার্চ, ২০১৪ পর্যন্ত)। সাইটটিতে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে এবং আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের পক্ষে প্রতিবেদন রয়েছে, অন্য কোনো বিষয়ে প্রতিবেদন নেই।
এ ছাড়া এ ফাইলটির প্রথম আপলোডার ওয়েবসাইট হিসেবে দেখা যায় ট্রাইব্যুনাল লিকস.বিই নামে একটি ওয়েবসাইট। সাইটির প্রযুক্তিগত অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১২ সালের ৮ ডিসেম্বর সেটি খোলা হয়েছে। এর সার্ভারের অবস্থান এবং হোস্টিং যুক্তরাষ্ট্রে। সাইটের ডোমেইন ঠিকানায় নিবন্ধন-সংক্রান্ত তথ্য গোপন রাখা হলেও সাইটটির শেষে 'বিই' শব্দ আছে, যা বেলজিয়ামের কান্ট্রি ডোমেইন। এ সাইটে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ফাইলে কথিত রায়ের কপি ডাউনলোডের জন্য উন্মুক্ত রাখা হলেও ৩টার পর ফাইলটি পিডিএফ ফরম্যাটে রূপান্তর করা হয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, পিডিএফ ফাইলে অন্যসব তথ্য মুছে দেওয়া হলেও ফাইল সম্পাদকের নাম হিসেবে সেই 'আদি' নামটি দেখা যায়। অর্থাৎ প্রমাণিত হয়, ট্রাইব্যুনাল লিকস ডট বিই এবং জাস্টিস কনসার্ন ডট ওআরজি ওয়েসবসাইট দুটির ফাইল একই এবং এর পরিচালনার সঙ্গে যুক্তরাও একই গোষ্ঠীর। পরে ওয়েবসাইট অনুসন্ধানে ট্রাইব্যুনাল লিকস নামে একটি ব্লগেরও সন্ধান পাওয়া যায় এবং এ ব্লগটিতেও যথারীতি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার ছাড়া আর কোনো তথ্য বা ব্লগ পোস্ট নেই।
ইত্তেফাক রিপোর্ট
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী এমপির বিরুদ্ধে ঘোষিত রায়ের সঙ্গে আগের রাতে ফাঁস হওয়া রায়ের মিল রয়েছে বলে... বিস্তারিত
সাকার মামলার রায় ॥ খসড়ার সাদৃশ্য কিছু অংশ ফাঁস, ষড়যন্ত্র কিনা তদন্তে জিডি
সাকার পরিবারের বক্তব্য বাস্তবসম্মত নয়
এম.আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
__._,_.___