ভাই ফারুক,
আপনার লেখার মাঝে নিশ্চই আন্তরিকতা আছে কিন্তু একটু বাস্তবতার অভাব আছে।
ডা; ইউনুস কাজ করেছেন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অথচ পেলেন শান্তিতে। যদি কিছু মনে
না করেন সেই সময়ের অনেক অনেক বিদেশী পত্রিকায় এসেছিলো ক্লিন্টনের লবিং নাকি
নাটের গুরু। ফারুক ভাই আমি কতকগুলি কথা বলছি এর মাঝে কোনো রাজনৈতিক
দুরভিসন্ধি নেই। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে তার কোনো প্রকার অবদান নেই, তখন তিনি
আমেরিকায় ছিলেন। যে রাষ্ট্র তখন আমাদের মুক্তি যুদ্ধের বিপরীতে কাজ করেছে। স্বাধীনতার
পর দেশের কোনো বিষয়ই তার কোনোই ভুমিকা নেই। ইউনুস সাহেবের বাড়ী চট্টগ্রামে। দীর্ঘ
দিন শান্তি বাহিনীর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে অস্ত্রসহ যে আন্দোলন শুরু করেছিল যেখানে
আমাদের সৈনিক বাহিনীর বহু জওয়ান মারা গেছে। এই দীর্ঘ দিনের সমস্যা কোনো বক্তব্য
দেন নি। আশ্চর্যের বিষয় এ বিষয়ে ইউনুস সাহেবের কোনোপ্রকার উদ্যোগতো নেই বরং
উনি মুখে কুলুপ দিয়ে চুপ ছিলেন। বাংলাদেশের দক্ষিণাঅঞ্চলের যে নকশালদের উপদ্রপ ছিল
কোনদিন তিনি এ ব্যাপারে টু শব্দ করেন নি। জাতির জনকের হত্যার সময়েও তাকে আমরা
নীরব পেয়েছি। দেশে দুই দুই বার সামরিক অভুধান হলো কত লোক আন্দোলনে প্রাণ হারালো
দেশে-বিদেশে কত সমালোচনা হলো কিন্তু এই শান্তির দূত একেবারেই নিশ্চুপ। Long story in
short এই নোবেল লরেট যখন ফকুরুদ্দিন মইনুদ্দিন হটাথ করে শরব হয়ে উঠলেন। মাইনাস
টু ফর্মুলার তিনিই প্রবর্তক। সে সময়ে যখন কোনো প্রকার রাজনৈতিক সভা নিষিদ্ধ কিন্তু তিনি
নির্ভিগ্নে যাবতীয় কর্মকান্ড শুরু করেন এমন কি একটি পার্টিও করেন। যখন দেখলেন এতে মুনাফা
হবে না তখন নিজ মুখে ঘোষণা দিলেন 'মুনাফা হবে না তাই আমি আর politics করবনা' / এই হলো
আমদের নোবেল বিজয়ীর সংগ্কিপ্ত বয়ান। নুহবাচ্চু।
__._,_.___