Banner Advertiser

Friday, November 1, 2013

[mukto-mona] জবরদস্তি সরকারের লালঘণ্টা-১



জবরদস্তি সরকারের লালঘণ্টা-১ : এবার টার্গেট ফরহাদ মজহার

আমীন কাদীর
জুলুমবাজ জবর-জালিম সরকারের লালঘণ্টা বাজতে শুরু করেছে এরই মধ্যে। জনগণ এরই মধ্যে দেখিয়ে দিয়েছে লালকার্ড। প্রতিবেশী এক পরদেশ লোলুপ চানক্য-কূটিল দেশের ইনটেনসিভ কেয়ারে থাকা এই মেয়াদোত্তীর্ণ সরকারের যে বৈধতা নেই, সেটা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এ তো কেবল খালেদা জিয়া বা বিরোধী দলের কথা নয়, এটা আজ ১৬ কোটি মানুষের রায়। সেই রায়কে অগ্রাহ্য পদদলিত করে নির্লজ্জ বেহায়ার মতো মসনদের ঘুণপোকায় খাওয়া পা আঁকড়ে শেষ চেষ্টা করে যাচ্ছে মহাজোট প্রাইভেট লিমিটেড সরকার, কিন্তু আর নয়। সময় শেষ। বিদায় ঘণ্টা বেজেছে সেই কবে। এখন শুধু চিতায় তোলা বাকি। এবার কেবল ক্ষণ গণনা। পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে। যতই পাখা গজাক, যতই তর্জন-গর্জন করুক—কোনো লাভ নাই। এই পাখা জনগণের ক্ষোভের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। তখন পড়ে থাকবে কেবল ক্ষমতা-দম্ভ-অহংকার-জুলুমবাজি-কূট-শয়তানতালির লাশ। এই জবর সরকারের কবর এখন অনিবার্য। জন-দণ্ডাজ্ঞা হয়ে গেছে। এখন শুধু বাস্তবায়ন।
অবশ্য অন্তরাত্মার প্রবল বিশ্বাসে এই যে জবর-জালিম সরকারের কবরের কথা বললাম, তা নিয়ে আবার হতদরিদ্র এই কলামনিস্টের ওপর মামলা-হামলা হয় কিনা—কে বলতে পারে। মামলা-হামলা যে হবে না, তার কোনো গ্যারান্টি নেই।
মজলুম সম্পাদক—বাংলাদেশের সংবাদপত্র তথা বাকস্বাধীনতার একমাত্র প্রাণপাখি আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান আজ মাসের পর মাস জেলে বন্দি। তার একমাত্র দোষ মিথ্যার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি অমোঘ সত্যকে একমাত্র হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছিলেন। তার লেখা ও বলার প্রতিটি উচ্চারণ ছিল অমোঘ সত্য। আর তা-ই তার কণ্ঠকে স্তব্ধ করতে সরকার বেছে নিয়েছে অত্যাচার-নির্যাতনের পথ। কিন্তু ওরা জানে না, সত্য পথের পথিককে কখনও বন্দি করা যায় না। মাহমুদুর রহমান আজ বিবেক। দেশে দেশে সত্যের লড়াইয়ের বিবেক। তাকে কেমন করে বন্দি করে রাখবে তারা। ওরা অকাট মূর্খ। ওরা ইতিহাস পড়েনি। ওরা সত্য ও মিথ্যার লড়াইয়ের ইতিহাস জানে না। আজ যে দম্ভ-অহংকারের পাগলা ঘোড়ায় চড়ে ওদের জুলুমবাজির তুর্কি-নাচন। এই নৃত্য তাদের কেবলি পতনের কবরের কাছে নিয়ে যাচ্ছে।
সত্যসাধক মাহমুদুর রহমানের সঙ্গে সরকারের এই নগ্ন অত্যাচারের ইতিহাস কালো অক্ষরের লেখা থাকবে মহাকালের পাতায়। এই বিশ্ববেহায়া সরকারের কোনো ক্ষমা নেই।
অধিকার-এর বলিষ্ঠ অধিনায়ক অ্যাডভোকেট আদিলুর রহমান খান শুভ্রের সঙ্গে তারা কি নিষ্ঠুর আচরণ করল। মানবাধিকার রক্ষার এই অতন্দ্র জেনারেলকেও তারা বন্দি করে বিশ্ববাসীর কাছে তামাশার পাত্র হয়েছে। বাংলাদেশে এই তথাকথিত গণতান্ত্রিক সরকারের জামানায় যে মানবাধিকার-গণতন্ত্র-বাকস্বাধীনতার ন্যূনতম চর্চা নেই, সেটা দুনিয়াবাসীকে খোলাখুলি নগ্নভাবে দেখাতে এই নির্বোধ সরকার কোনো কসুর করেনি।
সর্বশেষ শীর্ষ দেশচিন্তক-সমাজদার্শনিক ফরহাদ মজহারের ক্ষেত্রে যে নাটক-প্রহসন রচনার পাঁয়তারা করছেন সরকারের মাথামোটা পরামর্শক এবং তল্পিবাহক কিছু মিডিয়া-মালিক ও তথাকথিত মিডিয়ানেতারা, তা এর আগেকার মাহমুদুর রহমান দৃষ্টান্তের মতোই হাস্যকর, দৃষ্টিকটু এবং বালখিল্য। ফাজলামির একটা সীমা আছে।
ইংরাজি ভাষায় রেটরিক বলে একটা কথা আছে। যার অর্থ কথার কথা। কোনো একটি বিষয় বোঝাতে গিয়ে আমরা নানারকম রূপকের আশ্রয় নিই। যেমন আমি লেখার শুরুতে জবরদস্তি সরকারের কবর রচনার কথা বলেছি। স্লোগানে মিছিলে সভা-সমাবেশে দেয়াললিখনে স্বৈরশাহী সরকারের কবর রচনার কথা বলা হয়। কেউ যদি এই কবর দেয়ার মানে আক্ষরিক অর্থে আজিমপুর গোরস্তানে দাফন বুঝে থাকেন—শুধু তাই নয়, তেমনটি ভেবে তিনি যদি থানায় গিয়ে মামলা-জিডিবাজি করেন, তাকে আপনারা কী বলবেন। তিনি কি অকাট মূর্খ ছাড়া অন্য কিছু। কে এই মূর্খদের তখন বোঝাবে—এই কবর মানে বিদায় দেয়া। কথা বলতে গেলে বা লিখতে গেলে আমরা এমন হাজারো রূপকের আশ্রয় নিই। অন্যথায় কথা হয়ে পড়ত রোবোটিক। কিংবা প্রতিটি কথার মানে দাঁড়াত অফিস বা প্রশাসনিক অদেশ।
এ কথা এখন সবারই জানা যে, একুশে টেলিভিশনে গত ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত একটি টকশোয় কবি ফরহাদ মজহার তার স্বভাবসুলভ গভীর পাণ্ডিত্য—অনুসন্ধিত্সু অন্তর্দৃষ্টিতে দেশের বাকস্বাধীনতা-সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে বক্তব্য রাখেন। তিনি একজন মিডিয়াপারসন হিসেবে শক্ত-দৃঢ় ভাষায় আত্মসমালোচনাতেও পিছপা হননি। মিডিয়ার কাপুরুষতা, ভীরুতা, পলায়নপরতা এবং দলীয় লেজুরবৃত্তিকে তার নিজস্ব ঢঙে চাবকে দিতেও কোনো কার্পণ্য দেখাননি। ভয় পাননি। এই চাবুক তিনি মেরেছেন একজন মিডিয়া পর্যবেক্ষক হিসেবেও। তিনি মিডিয়াকে কখনই গণশত্রুর কাতারে দেখতে রাজি নন। তিনি মিডিয়াকে দেখতে চান গণমিত্র—গণবন্ধুর কাতারে। মিডিয়া মানে পদলেহনকারী বা তল্পিবাহক নয়। মিডিয়া হবে সব রকম স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়াকু। ফরহাদ মজহার সেদিন সেই কথাই বলছিলেন।
অতি সম্প্রতি জনগণের একাট্টারা আন্দোলন ও গণবিস্ফোরণের মাঝে কূটকচালি করে কয়েকটি গণমাধ্যম কার্যালয়ের সামনে ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। একুশে টিভির আলোচনার রেটরিক কথার জের টেনে এ প্রসঙ্গে অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে ফরহাদ মজহার বলেন, 'এমন একটি সময় আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি, যখন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কারাগারে এবং দিগন্ত টেলিভিশন, চ্যানেল ওয়ান, ইসলামিক টিভি বন্ধ। কিন্তু এর বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ জানাননি। সে হিসেবে বোমা মারার বদলে ফুটেছে কয়েকটি পটকা। কথাটা বলেছি প্রতীকী অর্থে। আমাকে কেউ ভুল বুঝতে পারেন। প্রকৃতপক্ষে আমি নিজেও গণমাধ্যমের মানুষ। গণমাধ্যমের প্রতি কোনো আঘাত, এমনকি একটি ঢিল কেউ ছুড়ুক, সেটাও আমি মনে করি না। এমন কিছু আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আমি প্রচণ্ডভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। সেটা যদি আমার বিরুদ্ধ মতও হয়। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য আমি সব সময় ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত। তবে সেইসঙ্গে আমি এ কথাটাও বলতে চাই গণমাধ্যমের কাছে মানুষ ন্যায়পরায়ণতা আশা করে।' ফরহাদ মজহারের এই বক্তব্যকে বিকৃতভাবে সম্প্রচার এবং প্রকাশ করা হয়েছে কয়েকটি গণমাধ্যমে।
বিস্ময়ের এবং একই সঙ্গে হাস্যকর বিষয় এই যে ফরহাদ মজহারের এই শানিত আত্মজিজ্ঞাসা ও আত্মসমালোচনাকে হাতিয়ার করে একদল মিডিয়া মালিক ও নেতা তাদের দম্ভ প্রকাশের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। তারা কোথায় আয়নায় নিজেদের কাপুরুষ চেহারা দেখে নিজেদের শোধরাবেন, তা নয়; উল্টো তারা এই রাষ্ট্র-মিডিয়া-দার্শনিকের ওপর যাতে দমন-পীড়ন হয়, তার ওপর যাতে মেয়াদোত্তীর্ণ সরকারের জুলুমবাজির খড়গ নেমে আসে, সেই ওকালতি-দেনদরবারের উপাসনায় নেমেছেন। নিলজ্জপনার একটা সীমা থাকা উচিত। বেহায়াপনা আর কাকে বলে। আজ যারা দেশ ও জনগণের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে গণশত্রুর ভূমিকা পালন করছেন— কোথায় সেজন্য অনুশোচনা করবেন, তওবা করবেন, তা নয়—উল্টো তারাই তলোয়ারবাজিতে নেমে পড়েছেন কবি ফরহাদ মজহারের বিরুদ্ধে। হায়! সত্যিই উদ্ভট উটের পিঠে সওয়ার হয়েছে এই দেশ। তল্পিবাহকরা হারিয়েছে সব রকম হায়া-শরম।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে অত্যন্ত যৌক্তিক ও বিবেকসম্মতভাবে কবি ও বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার বলেছেন, 'বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একটি অংশের বিবৃতি দেখে আমি স্তম্ভিত, বিমূঢ় এবং হতবাক। সারা দেশে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ খুবই দুঃখজনক। গণমাধ্যমের ওপর কেন এই ধরনের হামলা হয়, আমি ২৮ অক্টোবর রাতে 'একুশের রাত' টকশোতে তারই ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ হাজির করেছি। সাংবাদিক নেতারা যেভাবে ব্যাখ্যা করেছেন তা যে সম্পূর্ণ মিথ্যা, তারা নিজেরা তাদের নিজেদের বিবেককে প্রশ্ন করলেই বুঝবেন। তারা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে এই বিষোদ্গার করছেন। গণমাধ্যমের ওপর দুঃখজনক হামলার যে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ আমি করেছি তার সঙ্গে তারা একমত না হলে ভিন্ন ব্যাখ্যা হাজির করতে পারেন। একেই বলে বাক, ব্যক্তি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, একেই বলে গণতন্ত্রচর্চা। কিন্তু সাংবাদিক নেতারা তা না করে আমার মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণের দাবিই শুধু করছেন না, আমার কণ্ঠরোধ করতে চাইছেন। তারা এতই প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়েছেন যে সারা দেশের সাংবাদিকদের ওপর হামলার জন্য আমাকে এককভাবে দায়ী করে আমাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নির্যাতনের জন্য উস্কানি ও হুমকি দিচ্ছেন। এর মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতার যে নজির তারা সৃষ্টি করেছেন তা বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে কলঙ্ক, নিন্দনীয় ও প্রতিহিংসামূলক অধ্যায় হিসাবে চিরকাল চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এই বক্তব্য গণতন্ত্রমনা সাংবাদিক সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে না, এটা পরিষ্কার। গত দু'দিন ধরে টেলিভিশন ও অন্যান্য গণমাধ্যমে এদেরই কেউ কেউ আমার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার, মিথ্যাচার ও বিকৃত ব্যখ্যা করে যাচ্ছে, তাতে নাগরিক হিসেবে আমি উদ্বিগ্ন এবং আমার নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করি।'
তিনি বলেন, 'আমি সুস্পষ্টভাবে সেদিনের টকশোতে বলেছি, 'আমি এর আগে যে বোমার কথা বলেছি, এই অর্থে কথাটা বলেছি যে আমি স্বভাবতই কখনই চাইব না কেউ পটকা, নিন্দা বা ঢিলও যেন গণমাধ্যমের ওপর ছুড়ুক। এটা কথার কথা, রেটরিক। আলোচনা করার জন্য, যাতে আমরা বুদ্ধিজীবীরা গণমাধ্যমের কর্মীরা বুঝতে পারি যে, এই বর্তমান পরিস্থিতির জন্য শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়া একমাত্র দায়ী নয়। আমাদের ভূমিকার কারণে আজকে এই পরিস্থিতি আমরা তৈরি করেছি।'
ফরহাদ মজহার বলেন, 'আমি নিজেকে গণমাধ্যমের একজন সদস্য হিসেবেই কথাগুলো বলেছি। গণমাধ্যমকে অবশ্যই নিজেকে আত্মসমালোচনা করতে হবে। কীভাবে করতে পারে আন্তরিকভাবেই উপলব্ধি করেই কথাগুলো বলেছি। গণতন্ত্রমনা ও মানবাধিকারের বিশ্বাসী যে কোনো সাংবাদিক ও নাগরিক তা উপলব্ধি করবেন। আমার এই সারকথা বাদ দিয়ে খণ্ডিত ও বিকৃতভাবে আমার বক্তব্য হাজির করার আমি তীব্র নিন্দা জানাই।'
তিনি বলেন, 'আমি আরও বলেছি, আমি অত্যন্ত আন্তরিকভাবে গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের ও ব্যক্তিস্বাধীনতার পক্ষে। গণমাধ্যমের ওপর কোনো ধরনের নিয়ন্ত্রণ কারও থাকা উচিত না, যদি না যিনি মত প্রকাশ করছেন, যার বিরুদ্ধে করছেন, ওতে যেন কারও অপমান বা অমর্যাদা না হয়।'
ফরহাদ মজহার বলেন, 'টেলিভিশন টকশোতে আমি কী বলেছিলাম, তা পর্যালোচনা না করে সাংবাদিক নেতারা যে অসহনশীল বক্তব্য দিয়েছেন তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। একজন নাগরিকের শুধু টেলিভিশনের একটি টকশোতে একটি বিশ্লেষণমূলক বক্তব্যকেই বাংলাদেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সব হামলার জন্য দায়ী করা সাংবাদিকের নৈতিকতার মধ্যে পড়ে না। সাংবাদিকের কাজ হচ্ছে, সত্য উদ্ঘাটন করা, কিন্তু তারা নিজেরাই মিথ্যাচার করছেন।'
দার্শনিক ফরহাদ মজহারের এই মর্মছোঁয়া বক্তব্য পড়ার পর সুযোগসন্ধানী চালবাজদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে কিনা জানি না। হওয়ার কথা নয়। কেননা যে বা যারা জেগেও ঘুমিয়ে থাকার ভান করে, তাদের ঘুম কে ভাঙাবে? ফরহাদ মজহার তার রেটরিক কথার তীব্র চাবুক মেরে এই আধমরাদের শেষ বারের মতো মরণ-ঘুম থেকে জাগানোর তাগিদ দিয়েছিলেন। কিন্তু এই ঘাটের মড়ারা তো জাগতে চায় না। তারা জনগণের পক্ষেও নয়, জনদাবির পক্ষেও নয়। তারা মেয়াদোত্তীর্ণ সরকারের শেষ দিনগুলোতেও তল্পিবাহকের ভূমিকা বিশ্বস্ততার সঙ্গে প্রতিপালন করে ক্ষমতার শেষ উচ্ছিষ্টটুকু চেটেপুটে খেতে চায়।
হাজারও সাংবাদিক নির্যাতিত হলেন। মারা গেলেন অনেকে। পঙ্গু হলেন। তাদের কোনো তত্পরতা দেখিনি। নিজেদের সুরক্ষিত বেডরুমে রাষ্ট্র-দস্যুদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে খুন হলেন সাগর-রুনি। তাতে তাদের ঘুম ভাঙেনি। মজলুম সত্যপথিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বিনা বিচারে আজ জেলবন্দি। তাতে তাদের বিবেক কাঁপেনি। মাহমুদুর রহমান আজ সত্য বলার ও প্রকাশের অপরাধে মাসের পর মাস জুলুমবাজির শিকার, তারা টুঁ শব্দ বা তাত্ক্ষণিক প্রতিবাদ করেনি। দেশের সংবাদপত্র ও বাকস্বাধীনতার প্রাণপাখি আজ অবৈধ জবরদখলবাজদের প্রতিহিংসার শিকার, সত্য প্রকাশে নির্ভীক আমার দেশ আজ বন্ধ, লাখো পাঠকের কান্নাও তাদের বিবেককে নাড়া দিতে পারছে না। ফরহাদ মজহার সেই ঘুমন্তদের ঘা মেরে জাগাতে চেয়েছিলেন, আলোর পথের দিশা দেখাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তারা আলোর পথ ভালবাসে না। সত্যের আলো তাদের চোখে অসহ্য। সত্য কথন তাদের কানে সীসার মতো বেঁধে। ফরহাদ মজহার কশাঘাত হেনে তাদের মানুষ করবেন, না সে হয় না। না, ফরহাদ ভাই, আপনি চিনতে ভুল করেছেন এই সত্যনিধনকারীদের।


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___