Banner Advertiser

Thursday, July 24, 2014

[mukto-mona] হিলারি ক্লিনটন : যুদ্ধে এমন একটু আধটু হয়েই থাকে



যুদ্ধে এমন একটু আধটু হয়েই থাকে -


অজয় দাশগুপ্ত : 

ঢাকা, ২৪ জুলাই: বড়লোকের বখাটে ছেলের দোষ চাপা দিতে কত জনেই না ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে! তারা মদ্যপ হলে দোষ ধরতে নেই। মেয়েদের উত্ত্যক্ত করলেও সেটা নিয়ে অযথা গোল বাধানোর দরকার নেই। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড উপেক্ষা করার জন্যও উমেদারি হয়। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল নামের রাষ্ট্রটি হচ্ছে সামরিক ও বিষয়-সম্পদে পরাক্রমশালী যুক্তরাষ্ট্রের তেমনই এক বখাটে সন্তান। হিলারি ক্লিনটন গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিক্রিয়ায় তেমনটিই বলেছেনথ 'যুদ্ধে এমন একটু-আধটু হয়েই থাকে।'
তিনি চার বছর বারাক ওবামার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তার আগে আট বছর ছিলেন স্বামী বিল ক্লিনটনের প্রেসিডেন্ট পদের বদৌলতে ফার্স্ট লেডি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ঢাকায় সফরকালে তিনি বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের একজন শ্রমিক নেতার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করায় আমরা তার দরদি ভূমিকায় আপ্লুত হই। বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত একটি দেশের স্বল্প পরিচিত একজন শ্রমিক নেতার নামও তিনি মনে রেখেছেনথ তার প্রতি শ্রদ্ধায় নত হওয়ার এই একটি ঘটনাই কি যথেষ্ট নয়?
কিন্তু এখন আমরা কোন হিলারি ক্লিনটনের কথা শুনছি? গাজায় ইসরায়েলের হামলা প্রসঙ্গে তার মন্তব্য একেবারেই সোজাসাপটা 'হামাসই এর উস্কানিদাতা।' যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে এটা ছিল তার কঠোরতম একটি বিবৃতি। ইসরায়েলের স্থল ও বিমান হামলার প্রতিক্রিয়ায় ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদ পেতে আগ্রহী হিলারি ক্লিনটনের মন্তব্য 'হামাসই ইসরায়েলকে আত্মরক্ষায় কিছু পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে। অন্য কেউ আক্রমণ করলে যে কোনো দেশই এটা করবে। আর এ ধরনের পরিস্থিতিতে নিরীহ লোকদের ক্রসফায়ারে পড়াকে আমরা দুর্ভাগ্যজনক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া আর কী বা বলতে পারি!'
হিলারি ক্লিনটন যাকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বলছেন, তার মাত্রা কেমন? দি ওয়াশিংটন রিপোর্টের সাংবাদিক মোহাম্মদ ওমর লিখেছেন 'গাজায় আঁধার নামছে' শীর্ষক প্রতিবেদন। তিনি বলেন, রমজান মাসে সন্ধ্যা নেমে আসা মানেই আনন্দের সময়। পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের নিয়ে রোজার শেষে ইফতারের সময়। কিন্তু এবারে এমন পরিস্থিতি নেই। রাত নামার অর্থ হচ্ছে আরও ভয়ঙ্কর সময়ের মুখোমুখি হওয়া। এ সময় আকাশ থেকে বোমা হামলা তীব্রতর হয়। কোনো স্থানই নিরাপদ নয়। না মসজিদ, না গির্জা। না স্কুলঘর। এমনকি হাসপাতালও নয়। ইসরায়েলের আক্রমণের তালিকায় সবকিছুই রয়েছে।
২১ জুলাই আল আকসা হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করছিলেন ডা. খলিল। এ সময় বোমা হামলা হলে তিনি নিচে নেমে দেখতে পানথ ডাক্তার, নার্স, হাসপাতালের স্টাফথ হতাহতের তালিকায় সবাই। যারা রোগীর জন্য নিবেদিত, তারাই রোগী এবং এ জন্য দায়ী ইসরায়েলি বাহিনী।
মাত্র ১৮ লাখ লোকের বসতি গাজায়। প্রতি বর্গকিলোমিটারে দুই হাজার লোকের বসবাস। বাংলাদেশের তুলনায় ঘনবসতিপূর্ণ গাজা এলাকা। আয়তনে নিউইয়র্ক শহরের অর্ধেকেরও কম। কিন্তু এই গাজা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। ইসরায়েল ও মিসর ২০০৭ সাল থেকে এ ছোট্ট ভূখণ্ডকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। কী দুর্ভাগ্য, সেই অবরুদ্ধ ভূমিই বারবার বর্বরতার শিকার হচ্ছে!
এখন গাজায় বিদ্যুৎ নেই। পানির সরবরাহ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত। খাদ্য পাওয়া দুর্লভ। পচা-দুর্গন্ধযুক্ত খাবার বিক্রি হচ্ছে। অপরিহার্য নাগরিক সেবার জন্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে অর্থ নেই। ইতিমধ্যে ৬ শতাধিক নারী-পুরুষ-শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আহত এর কয়েক গুণ। যুদ্ধের কারণে নিজ দেশে উদ্বাস্তুর জীবনযাপন করছেন এক লাখ ২০ হাজারেও বেশি লোক। এ সংখ্যা বাড়ছেই। ইসরায়েল প্রকৃতপক্ষে ফিলিস্তিনিদের উগ্রপন্থি গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত হামাসকে (গাজায় তারাই বেশি জনসমর্থন পাচ্ছে) ধ্বংস করতে চায় না, কিন্তু বারবার হামলায় দুর্বল রাখতে চায়থ এমন মত রয়েছে। যুদ্ধের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। জাতিসংঘ বলছে, নিহতদের ৭৫ শতাংশই সিভিলিয়ান।
হামাস কৌশলগত ভুল করেছেথ তাতে সন্দেহ নেই। তারা সিরিয়ার হাফেজ আল বাশারের বিরোধী শক্তির পাশে দাঁড়িয়েছিল। এ শক্তি এখন মধ্যপ্রাচ্যে খিলাফত কায়েম করতে চায়। কিন্তু বিদ্রোহীরা সফল হবেথ এমন নিশ্চয়তা নেই। শিয়াবিরোধী শক্তির সঙ্গে হাত মেলানোর কারণে ইরানও হামাসের প্রতি ক্ষুব্ধ। মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুড হামাসের বড় মদদদাতা ছিল। কিন্তু এখন তারা ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত। নতুন সামরিক সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলে। এই বিচ্ছিন্নতা কাটাতেই হামাস ইয়াসির আরাফাতের সমর্থক ফাতাহ গোষ্ঠীর সঙ্গে জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনে উদ্যোগী হয়। ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের এ ঐক্যকে ভয় পায়। তারা ফাতাহ গোষ্ঠীকে হুমকি দেয়থ শান্তি চাইলে হামাসের সঙ্গে জোট বাঁধা চলবে না।
গাজা ভূখণ্ডের জনগণের দুর্ভোগের যেন অন্ত নেই। সেখানে বেকারত্বের হার ৪০ শতাংশ। কাজ মিলবে কীভাবেথ তারা যে অবরুদ্ধ! পণ্য বাইরে পাঠানো যাচ্ছে না। মিসর গাজার সঙ্গে সীমান্ত পথে ব্যারিকেড সৃষ্টি করায় জ্বালানি সমস্যা প্রকট। সুড়ঙ্গ পথ বন্ধ। এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ময়লা নিষ্কাশন ব্যবস্থায়। হামাসের ভেতরেও সমস্যা রয়েছে। উগ্রপন্থিদের মধ্যেও আছে চরম ও নরমপন্থি। নরমপন্থিদের বলা হচ্ছে, ইসরায়েলের দালাল। চরমপন্থিরা ইসরায়েলে রকেট হামলা জোরদার করেছে। কিন্তু তাদের সামরিক সরঞ্জাম ইসরায়েলের তুলনায় যথেষ্ট কমজোরি। তারা শত শত রকেট নিক্ষেপ করছে ইসরায়েলে। কিন্তু তাতে মাসাধিককালে মাত্র একজন ইসরায়েলি বেসামরিক লোকের মৃত্যু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সেনাবাহিনীকে সর্বাধুনিক অস্ত্র দেয়। আর সরকারকে দেয় বিপুল আর্থিক সহায়তা। জাতিসংঘে যখন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব ওঠে এবং তাদের দখলকৃত আরব ভূখণ্ড ছেড়ে চলে যাওয়ার আহ্বান জানায়, তখন সাধারণ পরিষদে এর বিরুদ্ধে মাত্র দুটি ভোট পড়েছে অনেকবারথ একটি দেয় ইসরায়েল, অন্যটি যুক্তরাষ্ট্র। বিল ক্লিনটন, জর্জ বুশ, বারাক ওবামাথ সব প্রেসিডেন্টের আমলেই নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলকে রক্ষায় ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
২৩ জুলাই আনন্দবাজার পত্রিকায় সঞ্চারী মুখোপাধ্যায় লিখেছেন মর্মস্পর্শী কলাম। যার শিরেনামথ 'যাও, মারো, কবর এখনও ভর্তি হয়নি।' তিনি লিখেছেন, পিশাচদের মানবতায় ফেরানোর চেষ্টা করে কোনো লাভ নেই। সেই ভাবনাটাই নেহাত বাড়াবাড়ি। তার চেয়ে আমরা বরং গাজার ইসরায়েল আবু মোসাল্লেনের পাশে থাকি, যিনি হাসপাতালের দেয়ালে হেলান দিয়ে কাঁপছিলেন। কারণ এবার তাকে তিন সন্তানের কবরের ব্যবস্থা করতে হবে।
দুঃসাহসী সাংবাদিকরা আমাদের জানান, গাজায় তিনটি শিশু কবুতরকে দানা দিচ্ছিল। ইসরায়েলি মিসাইল তাদের নিঃশেষ করেছে। আরেক স্থানে চারটি শিশু খেলছিল। ইসরায়েলি হামলার মুখে প্রথমবার তারা বেঁচে যায়। কিন্তু দ্বিতীয় হামলা অব্যর্থ। দুরন্ত এসব শিশুর মায়েরা তখন হয়তো খাবার নিয়ে অপেক্ষা করছেন, আর যুদ্ধের সময় খেলতে যেতে নেইথ এ কাণ্ডজ্ঞান না থাকার কারণে বকাঝকা করে চলেছেন। কিন্তু এসব শিশুর মায়েদের সারাজীবন কাঁদতে হবে ফুঁপিয়ে। তারা বুক চাপড়িয়ে বলবেনথ বাবা বুকে আয়। টিভিতে কার্টুন ছবি দেখবি, কিচ্ছু বলব না। কম্পিউটারে দিনভর ভিডিও গেম খেললেও বকব না। খাবার নিয়ে পিছে পিছে ঘুরব। কাছে আয় সোনা মানিক আমার, বুকে আয়।
এই মায়েদের কোনো সান্ত্বনা নেই। তাদের শিশুসন্তানদের ইসরায়েলি সৈন্যরা শত্রু হিসেবে গণ্য করছে। অনেকে বলছেন, ভবিষ্যতে যাতে এসব ফিলিস্তিনি শিশু তাদের মাতৃভূমিকে দখলমুক্ত করার লড়াইয়ে শামিল হতে না পারে, সে জন্যই এদের টার্গেট করে হত্যা করা হচ্ছে। রুয়ান্ডার গণহত্যার কথা আমরা জানি। তুতসি শিশুদের মেরে ফেলার জন্য বলা হলোথ 'বড় ইঁদুরদের মারতে হলে আগে ছোট ইঁদুরদের মারতে হবে।' এর জের ধরে প্রায় তিন লাখ তুতসি শিশুকে কুপিয়ে, গুলি করে বা আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সব নাগরিকের যে তথ্য জানা উচিতথ এই শিরোনামে একটি লেখা পোস্ট করেছেন রবার্ট বারসোচিনি। তিনি জানান, ২০০০ সাল থেকে ইসরায়েল বর্তমান যুদ্ধ শুরুর আগ পর্যন্ত ১৫০০ ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালের গাজা গণহত্যায় ইসরায়েল ৪৫০ জন ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করে। এ গণহত্যার শিকার প্রায় সবাই ছিল বেসামরিক নাগরিক। অন্যদিকে, ইসরায়েলের পক্ষে নিহতের সংখ্যা মাত্র ১৩, যাদের কয়েকজন মারা যায় নিজেদের লোকের গুলিতেই।
ফিলিস্তিনিদের নিজেদের ভূখণ্ডে বসবাসের পূর্ণ অধিকার রয়েছে। ইসরায়েলের জবরদখলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম পরিচালনার পূর্ণ অধিকারও তারা রাখে। আন্তর্জাতিক আইন তাদের পক্ষে, যেমন ছিল ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ইসরায়েলের মতোই আমাদের ভূখণ্ডে গণহত্যা পরিচালনা করেছিল। ইসরায়েলের হাতে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধুনিক অস্ত্র। এর সরবরাহ বন্ধ হলে তারা ফিলিস্তিনিদের ওপর ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর ক্ষমতা রাখবে না। কিন্তু এ অব্যাহত যুদ্ধ মানব সভ্যতার কাঙ্ক্ষিত নয়। তবে এ যুদ্ধ পরিহারের একটিই উপায়, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলিদের সরে যাওয়া। ১৯৪৮ সালে ইহুদিরা ব্যাপক সন্ত্রাস চালিয়ে লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের ভূখণ্ড থেকে বিতাড়িত করে। এদের বেশিরভাগ আশ্রয় নিয়েছিল গাজা ও পশ্চিম তীরের ক্ষুদ্র ভূখণ্ড এবং মিসর, জর্ডান, লেবানন প্রভৃতি দেশে। তখন ইসরায়েলিরা উর্বর ভূমিগুলো দখল করে নেয়। বিশেষভাবে তাদের দখলে আসে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় সম্পদ, পানির উৎস।
লন্ডনের গার্ডিয়ানে ২০ জুলাই হেরিয়েট শেরউড একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। এর সঙ্গে যে ছবিটি ছাপানো হয়েছে তার ক্যাপশন ছিল এরূপথ ইসরায়েলিরা একটি পাহাড়ের ওপর বসে গাজায় বিমান হামলা উপভোগ করছে। কয়েক মাইল দূরে বিস্ফোরণ ভালোভাবে দেখার জন্য তারা দুরবিন ব্যবহার করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, খাবার, বিয়ার ও হালকা পানীয় সঙ্গে নিয়ে সোফায় বসে নিষ্ঠুর ধ্বংসযজ্ঞ দেখার জন্য প্রতিদিন ইসরায়েলিরা সমবেত হয়। ভূমধ্যসাগরে যখন সূর্য অস্তাচলে যাচ্ছিল, ইসরায়েলি সেনাদের মিসাইল বিস্ফোরণে তখন গাজা আলো ঝলমলে হয়ে ওঠে। জ্বলতে থাকে ফিলিস্তিনি বাড়িঘর। হতাহত হয় নারী-পুরুষ-শিশু। আর ঠিক সেই সময়েই বিকৃত রুচির একদল লোক বলে ওঠেথ বাহ, কী সুন্দর!
এ নিষ্ঠুরতা কে থামাবে? শুভবুদ্ধির জয়ধ্বনি কবে শোনা যাবে? 
Political Bestiality

The Israeli Pogrom of Gaza


'যাও, মারো, কবর এখনো ভর্তি হয়নি'

২৩ জুলাই,২০১৪


নিউজ ডেস্ক
আরটিএনএন







lead



__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___