Banner Advertiser

Monday, August 17, 2015

[mukto-mona] বাঙালি ও বাংলা ভাষাভাষীরাই বাংলাদেশের আদিবাসী



বাঙালি ও বাংলা ভাষাভাষীরাই বাংলাদেশের আদিবাসী

অনতিবিলম্বে পার্বত্যচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন করে উপজাতিদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদানের দাবি জানানোর মধ্যদিয়ে ৯ আগস্ট তিন পাবর্ত্য জেলার বিভিন্ন স্থানে তথাকথিত আদিবাসী দিবস পালিত হয়েছে।
চট্টগ্রামের পার্বত্য এলাকা, যা বাংলাদেশের মোট ভূখণ্ডের দশ ভাগের একভাগ। ১৩ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই পার্বত্য এলাকায় বাঙালিসহ বসবাস করছে বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ১৪-১৫ লাখ মানুষ। এ এলাকার জাতিগত বিভেদ সৃষ্টি করে বিচ্ছিন্নতাবাদকে উস্কে দেয়ার জন্য বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল সদা তৎপর রয়েছে। এমনকি একশ্রেণীর প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতা, মানবাধিকার সংস্থা এবং এনজিও কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণীর প্রভাবশালীরা স্বীয় স্বার্থসিদ্ধির জন্য দেশের স্বাধীনতা ও অস্তিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন মিথ্যাচার করছে। 
প্রতি বছরের মতো এবারো ৯ আগস্ট বিশ্বব্যাপী 'বিশ্ব আদিবাসী দিবস' পালিত হয়েছে। 
অন্যান্য বছরের মতো এবারো বাংলাদেশের উপজাতি জনগোষ্ঠী সাড়ম্বরে দিনটি উৎযাপন করেছে। এবছর জাতিসংঘ দিনটির প্রতিপাদ্য ছিল, "চড়ংঃ ২০১৫ অমবহফধ: ঊহংঁৎরহম রহফরমবহড়ঁং ঢ়বড়ঢ়ষবং' যবধষঃয ধহফ বিষষ-নবরহম". কথিত 'বিশ্ব আদিবাসী দিবস'কে সামনে রেখে আবার নতুন করে আলোচিত হয়েছে বাংলাদেশে আদিবাসী বিতর্কটি। বাংলাদেশে আদিবাসী কারা- এই বিতর্কটি খুব প্রাচীন নয়, বড় জোর এক দশকের। ইস্যুটি পুরাতন না হলেও তা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ইতিহাস, অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে নাড়া দিয়েছে। জাতীয় সংহতির প্রশ্নে তাই এ বিতর্কের আশু সমাধান জরুরী।
২০১৪ সালের ৭ আগস্ট জারি করা সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, বাংলাদেশ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী বর্তমানে দেশে আদিবাসীদের কোনো অস্তিত্ব না থাকলেও বিভিন্ন সময় বিশেষ করে জাতিসংঘ ঘোষিত কথিত 'আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস'-এ 'আদিবাসী' শব্দটি বারবার ব্যবহার হয়ে থাকে। পঞ্চদশ সংশোধনীতে বাংলাদেশে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে উল্লেখ করে তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, "আগামী ৯ আগস্ট-২০১৪ আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, আলোচনা ও টকশোতে 'আদিবাসী' শব্দটির ব্যবহার পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে এবং সকল আলোচনা ও টকশোতে অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিশেষজ্ঞ এবং সংবাদপত্রের সম্পাদকসহ সুশীল সমাজের অন্যান্য ব্যক্তিবর্গকে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে 'আদিবাসী' শব্দটির ব্যবহার পরিহারের জন্য পূর্বেই সচেতন থাকতে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।"
কিন্তু ২০১৪ সালে আদিবাসী দিবস উদযাপনে এই তথ্য বিবরণীর তেমন কোনো প্রভাব দেশের মধ্যে দৃশ্যমান হয়নি। বেশিরভাগ গণমাধ্যম ও গণমাধ্যম ব্যক্তিগণকে পূর্ববৎ তাদের সংবাদ, ভাষ্য, মন্তব্য, টকশোতে 'আদিবাসী' শব্দ ব্যবহার করতে দেখা যায়। বিশেষ করে যে সরকার এই পরিপত্র জারি করে সেই সরকারেরই অনেক মন্ত্রী, এমপিসহ ঊর্ধ্বতন পদাধিকারীরা এই পরিপত্র অবজ্ঞা করে কথিত 'আদিবাসী দিবসের' অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে উপজাতি সম্প্রদায়গুলোকে 'আদিবাসী' হিসেবে স্বীকৃতিদানের জন্য জোরালো দাবি জানিয়েছে। একই সাথে তারা সরকারি পরিপত্রের তীব্র সমালোচনা করতেও দ্বিধাবোধ করেনি। বাংলাদেশে কথিত 'আদিবাসী' বিতর্কের পক্ষে-বিপক্ষে জোরালো অবস্থান রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও জাতীয় গণমাধ্যম বিশেষ করে পত্রিকার সম্পাদকীয়/প্রবন্ধ/মন্তব্য ও টিভি চ্যানেলের টকশোতে একপাক্ষিকভাবে অর্থাৎ কথিত আদিবাসীদের পক্ষেই প্রচারণা চালানো হয়। তাদের বেশিরভাগই বর্তমান সরকারের অতীতের বিভিন্ন কর্মকা-, বক্তব্য, অবস্থান ও বাণীর রেফারেন্স দিয়ে সরকারের সমালোচনা করে। এদেশে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর উপজাতীয় জাতিসত্তাগুলো বাংলাদেশের নাগরিক, বাংলাদেশী। এদেশের সম্পদ অর্জনে এবং সমৃদ্ধি, সৌহার্দ্যÑসবকিছুতেই তাদের রয়েছে সমান সুযোগ। কিন্তু তারা কোনোক্রমেই এদেশের 'আদিবাসী' হতে পারে না। কেননা এটা নিতান্ত অযৌক্তিক ও ভুল তথ্য। উপজাতিদের ঐতিহাসিক অভিবাসন, পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের প্রেক্ষাপট, আইএলও কনভেনশন ১০৭ এবং ১৬৯-এর আলোকে বাংলাদেশে বসবাসরত উপজাতি যাদের দাবির যৌক্তিকতা, সরকারের অবস্থান এবং অন্যান্য বিষয়াদির তুলনামূলক বিশ্লেষণের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে 'আদিবাসী' কারা- বাঙালিরা, নাকি উপজাতিরা। আর উপজাতিরা যদি আদিবাসী না হয়, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদযাপনের যৌক্তিকতা বা গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু?
আদিবাসী বলতে ইংরেজিতে অনড়ৎরমরহধষং বা রহফরমবহড়ঁং ঢ়বড়ঢ়ষব-ও বলে। উপজাতি হলো- ঞৎরনব এটা উপনিবেশিক শব্দ। আমাদের দেশে বাঙালি মূলধারার বাইরে যারা আছে তারা 'আদিবাসী' নয়। প্রকৃতপক্ষে তাদের আমরা উপজাতি বলতেও নারাজ। বরং তাদেরকে বলা যেতে পারে ঊঃযহরপ বা নৃ-তাত্ত্বিক ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী ।
নৃ-তাত্ত্বিক সংজ্ঞায় আদিবাসী বা 'এবোরিজিন্যালস'রা হচ্ছে- 'কোনো অঞ্চলের আদি ও অকৃত্রিম ভূমিপুত্র বা ঝড়হ ড়ভ ঃযব ংড়রষ।' প্রখ্যাত নৃ-তত্ত্ববিদ মর্গানের সংজ্ঞানুযায়ী আদিবাসী হচ্ছে- 'কোনো স্থানে স্মরণাতীতকাল থেকে বসবাসকারী আদিমতম জনগোষ্ঠী; যাদের উৎপত্তি, ছড়িয়ে পড়া এবং বসতি স্থাপন সম্পর্কে বিশেষ কোনো ইতিহাস জানা নেই।' মর্গান বলেছে, 'ঞযব অনড়ৎরমরহধষং ধৎব ঃযব মৎড়ঁঢ়ং ড়ভ যঁসধহ ৎধপব যিড় যধাব নববহ ৎবংরফরহম রহ ধ ঢ়ষধপব ভৎড়স ঃরসব রসসবসড়ৎরধষৃ ঃযবু ধৎব ঃযব ঃৎঁব ঝড়হং ড়ভ ঃযব ংড়রষৃ' (গড়ৎমধহ, অহ ওহঃৎড়ফঁপঃরড়হ ঃড় অহঃযৎড়ঢ়ড়ষড়মু, ১৯৭২).
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, খর্বাকৃতির স্ফীত চ্যাপ্টা নাক, কোঁকড়ানো কেশবিশিষ্ট কৃষ্ণবর্ণের 'বুমেরাংম্যান'রা অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী বা যথার্থ এবোরিজিন্যালস। তারা ওখানকার ভূমিপুত্রও বটে। ঠিক একইভাবে মাউরি নামের সংখ্যালঘু পশ্চাৎপদ প্রকৃতিপূজারী নিউজিল্যান্ডের ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী সেখানকার আদিবাসী। আমেরিকার বিভিন্ন নামের মঙ্গোলীয় ধারার প্রাচীন জনগোষ্ঠী যাদেরকে ভুলক্রমে 'রেড ইন্ডিয়ান' (উত্তর আমেরিকা) বলা হয় এবং সেন্ট্রাল আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকায় ইনকা, আজটেক, মায়ান, আমাজানসহ আরো অসংখ্য ক্ষুদ্র বিকল্প কিংবা সঙ্কটাপন্ন জনগোষ্ঠীকে সঠিক 'এবোরিজিন্যালস' বলে চিহ্নিত করা যায়। তথাকথিত সভ্য সাদা, ইউরোপীয় নতুন বসতি স্থাপনকারী অভিবাসীরা (অ ঘবি ঝবঃঃষবৎং ধহফ ওসসবমৎধহঃং) ওইসব মহাদেশের আদিবাসীদের নির্মম বিদ্বেষ, হিংস্র প্রবঞ্চনা, লোভ আর স্বার্থপর আগ্রাসনের দ্বারা আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডসহ অন্যান্য অঞ্চল থেকে ওইসব মহাদেশের আদিবাসীদের বিলুপ্তির পথে ঠেলে দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকোসহ সেন্ট্রাল ও ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে ব্রিটিশ, স্প্যানিশ, ফরাসি, পর্তুগীজ প্রভৃতি উপনিবেশবাদী শক্তি বিগত ৩-৪টি শতক ধরে অত্যন্ত নিষ্ঠুরতার সাথে জাতিগত নির্মূল তৎপরতার মাধ্যমে (ঊঃযহরপধষ ঈষবধহংরহম) এসব মুক্ত স্বাধীন আমেরিকান আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোকে পৃথিবী থেকে প্রায় নির্মূল করে দিয়েছে। আজ ওই শ্বেতাঙ্গ মার্কিন, ব্রিটিশ, অস্ট্রেলীয় এবং ইউরোপীয় তথাকথিত সুশিক্ষিত, ধ্বজাধারী সাবেক উপনিবেশবাদীদের নব্য প্রতিনিধিরা তাদের নব্য উপনিবেশবাদী অর্থাৎ তথাকথিত মুক্ত অর্থনীতিকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বার্থে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর নানা পশ্চাৎপদ রাষ্ট্রসমূহের জন্য 'আদিবাসী সংরক্ষণ'-এর ধুয়া তুলে তাদের অর্থের মদদপুষ্ট এনজিও এবং মিশনারি চক্রের সুনিপুণ প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রে উপজাতিগুলোর জন্য মায়াকান্না শুরু করেছে। আরম্ভ করেছে ভয়ানক সূক্ষ্ম সম্প্রসারণবাদী ষড়যন্ত্র আর আধিপত্যবাদী চাণক্য চাল।
এসব উপজাতি, আদিবাসী কিংবা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর এই মায়াকান্নার পেছনে মূলত ভূ-রাজনৈতিক ও ভূ-অর্থনৈতিক, সামরিক এবং সর্বোপরি আধিপত্যবাদী স্বার্থই প্রবলভাবে কাজ করছে। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় প্রকৃত আদিবাসীদের তারা যেখানে গণহত্যা, জাতিগত নির্মূলসাধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধ্বংস করে দিয়েছে। সেখানে তারা এখন ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন সম্ভাবনাময় স্বাধীনচেতা উঠতি শক্তিÑ বিশেষ করে মুসলিম প্রধান রাষ্ট্রগুলোতে এসব উপজাতি ও ক্ষুদ্র জাতিসত্তার পক্ষে 'মানবাধিকার লঙ্ঘন, জাতিসত্তার বিকাশ, আদিবাসী সংরক্ষণ ইত্যাদির কথা বলে ভাষাগত, বর্ণগত, ধর্মগত, সাংস্কৃতিক বিভাজন ও দাঙ্গা-হাঙ্গামার প্রেক্ষাপট তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। 
সাম্রাজ্যবাদীদের ওই হীন চক্রান্তের ফলশ্রুতিতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড ইত্যাদি এককালীন ঔপনিবেশিক শক্তিদের নিয়ন্ত্রণাধীন ও আজ্ঞাবহ জাতিসংঘের (ইউএনও) সহযোগিতায় বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার যৌক্তিক সার্বভৌম অঞ্চল তিমুর দ্বীপের পূর্বাঞ্চলকে (ইস্ট-তিমুর) বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। ইস্ট-তিমুরের এই বিচ্ছিন্নতার পেছনে আসলে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র কাজ করেছে এবং এখানেও আদিবাসী, উপজাতি ইত্যাদি বিষয়কে সামনে নিয়ে এসেছে সর্বনাশা খ্রিস্টবাদী এনজিও চক্র, মিশনারি গ্রুপ এবং তথাকথিত মানবাধিকার সংরক্ষণ চক্র। এশিয়ার উদীয়মান ব্যাঘ্র (ঊসবৎমরহম ঞরমবৎ ড়ভ অংরধ) ২৫ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত মুসলিম রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার তিমুর দ্বীপের কাছের দক্ষিণেই হালকা জনসংখ্যা অধ্যুষিত শ্বেতাঙ্গ ও খ্রিস্টান অধ্যুষিত অস্ট্রেলিয়াসহ ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান এবং অস্ট্রেলিয়া এই কৌশলগত ও অবস্থানগত দুর্বলতাকে চিরতরে দূর করাতেই খ্রিস্টবাদী পরাশক্তিসমূহ জাতিসংঘকে ব্যবহার করে অত্যন্ত সূক্ষ্মকৌশলে ইন্দোনেশিয়া থেকে পূর্ব-তিমুরকে স্বাধীন করে দেয়। আর ওই একই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাংলাদেশেও একই খ্রিস্টবাদী সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তিসমূহ তাদের আধিপত্যবাদী ভূ-রাজনৈতিক ও কৌশলগত স্বার্থকে সংরক্ষু ও চরিতার্থ করার জন্য তাদের সেই কৌশলকে বাস্তবায়িত করতে চাচ্ছে। এজন্য তারা বেছে নিয়েছে দেশের এক-দশমাংশ অঞ্চল পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী চাকমা, মার্মা, ত্রিপুরা, মগসহ বিভিন্ন বসতি স্থাপনকারী উপজাতীয় ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীগুলোকে। একই সাথে এই সা¤্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী ও তাদের অর্থপুষ্ট এনজিও চক্র বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে যেমন- সিলেটের খাসিয়া, মণিপুরী, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলের গারো, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুরের বনাঞ্চলের কুচ রাজবংশীয় বহিরাগত ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীকে এদেশের আদিবাসী বলে প্রচার-প্রপাগান্ডা চালাতে শুরু করেছে এবং এর মাধ্যমে এদের এসব সংশ্লিষ্ট বৃহদায়তনের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ভূমিপুত্র বলে প্রতিষ্ঠিত করার এক হীন চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও নৃ-তাত্ত্বিক ও জাতিতাত্ত্বিক ইতিহাস বিশ্লেষণে দিবালোকের মতো সুস্পষ্ট ও প্রতিষ্ঠিত যে বাংলাদেশে বসবাসরত কোনো ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী এদেশের আদিবাসী নয়। বরং তারা পার্শ্ববর্তী কিংবা বিভিন্ন দূরবর্তী স্থান থেকে দেশান্তরী হয়ে এদেশের নানা স্থানে অভিবাসিত হয়ে ক্রমে স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে বসবাস করে আসছে; কিন্তু কোনোক্রমেই বাংলাদেশে বসবাসকারী চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো, খাসিয়া কিংবা কুচ রাজবংশীয় সাঁওতালরা এদেশের আদিবাসী হতে পারে না।
বাঙালি ও বাংলা ভাষাভাষীরাই বাংলাদেশের আদিবাসী। কারণ তারাই প্রোটো-অস্ট্রোলয়েড নামের আদি জনধারার অংশ। বাংলাদেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর তারাই একমাত্র আদিবাসী এবং ভূমিপুত্র বলে দাবি করতে পারে।


__._,_.___

Posted by: =?UTF-8?B?4Kao4Ka+4KaI4KauIOCmh+CmuOCmsuCmvuCmrg==?= <sanabahini.rahmat@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___