Banner Advertiser

Monday, August 17, 2015

[mukto-mona] বিশ্বব্যাংক-আইএমএফসহ বিভিন্ন ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান ও দেশী-বিদেশী স্বার্থান্বেষী মহল তাদের চক্রান্তের কারণে পাটশিল্পের সঙ্কটাপন্ন অবস্থা



 বিশ্বব্যাংক-আইএমএফসহ বিভিন্ন ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান ও দেশী-বিদেশী স্বার্থান্বেষী মহল তাদের চক্রান্তের কারণে পাটশিল্পের সঙ্কটাপন্ন অবস্থা



২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ পাট খাতকে লাভজনক করার অঙ্গীকার করেছিল। তারপর পাঁচটি বন্ধ পাটকল চালু করে সরকার। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নিজেই উদ্বোধন করেছিলেন খুলনায় খালিশপুর জুট মিলস। এরপর ২০১৪ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ জানায়, পাটশিল্পের পুনরুজ্জীবন ঘটেছে। কিন্তু এর দেড় বছরের মাথায় অর্থমন্ত্রী বললো, বিলুপ্ত পাটকলগুলো পুনরায় চালু করা ছিল সরকারের মারাত্মক ভুল।
সরকারের ভাষ্য, পাটশিল্পের পুনরুজ্জীবন ঘটলেও সরকারি পাটকল নিজের অর্থে চলতে পারছে না। পুনরুজ্জীবনের নামে সরকারি পাটকলে নতুন করে নিয়োগ দেয়া ৩৫ হাজার শ্রমিকের মধ্যে ২২ হাজারই প্রয়োজনের অতিরিক্ত। ফলে বেতন-ভাতা থেকে শুরু করে পাট কেনা পর্যন্ত প্রায় সব কাজেই বাংলাদেশ পাটকল কপোরেশনকে (বিজেএমসি) হাত পাততে হচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে। কিন্তু অর্থমন্ত্রী এখন আর নতুন করে অর্থ দিতে রাজি নয়।
বিজেএমসি'র পক্ষে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে টাকা চেয়ে চিঠি দিয়েছিল পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্থসচিব মাহবুব আহমেদ এ বিষয়ে সারসংক্ষেপ তৈরি করে অর্থমন্ত্রীকে দেয়। ওই সারসংক্ষেপে নিজের হাতে অর্থমন্ত্রী লিখেছে, 'সরকার বিলুপ্ত পাটকলগুলো পুনরায় চালু করে মারাত্মক ভুল করেছে বলে আমার মনে হয়। ব্যক্তিমালিকানা খাতে পাটশিল্প পুনরুজ্জীবিত হয় এবং তারা বেশ ভালোই করছিল। সরকারি মিল চালু করার পর থেকেই পুরো পাট খাতের অবস্থা দিন দিন খারাপই হচ্ছে। সরকারি পরিচালনার দুর্বলতাই এর জন্য দায়ী। এই ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন না করে টাকা প্রদান শুধু লোকসানের বোঝা ভারী করবে। পাট মন্ত্রণালয়কে এভাবেই জানাতে হবে। প্রয়োজনে চিঠি আমিই লিখতে পারি।'
অপরদিকে বিজেএমসি বলছে, ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সময়ে সরকারি পাটকলে নতুন করে ৩৫ হাজার শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়। এর ২২ হাজারই প্রয়োজনের অতিরিক্ত। এই শ্রমিকদের জন্য বিজেএমসি'র বছরে খরচ হচ্ছে ২৫০ কোটি টাকা। আবার কাঁচা পাটের অভাবে উৎপাদন মারাত্মকভাবে কমেছে। বছরের অধিকাংশ সময়ই মাত্র ৩৫ থেকে ৫০ শতাংশ তাঁত চালানো সম্ভব হয়েছে। কারণ অর্থসঙ্কটের কারণে গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার ৩৩ শতাংশ পাট কিনতে পেরেছে সংস্থাটি।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে এবং পরে পাটশিল্পকে পুনরায় ব্যাপকহারে উৎপাদনমুখী ও লাভজনক করে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বিশ্বব্যাংকের চাপে বিগত বিএনপি সরকার বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম আদমজি পাটকল বন্ধ করে দেয়ার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সরকার তা পুনরায় চালুর কথাও বলেছিল। কিন্তু সরকারের প্রথম মেয়াদ শেষে দ্বিতীয় মেয়াদের এক বছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরও রাষ্ট্রায়ত্ত পাটশিল্পে তেমন কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। উপরন্তু এতদিন চালু থাকা অবশিষ্ট রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোও এখন চরম হুমকির মধ্যে পড়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর বেশিরভাগই পাকিস্তান আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। একেকটি পাটকল শত শত বিঘা জমি নিয়ে বিশাল বিশাল স্থাপনা ও হাজার হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান, পাটক্রয়, পাটের বেলিং, ইয়ার্ন ও পাটজাতপণ্য উৎপাদন ও রফতানী বাণিজ্যে সারাবছর সরগরম থাকতো। নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদীতে শীতলক্ষ্যা পাড়ের পাটকলগুলোর অধিকাংশই ইতোমধ্যে বন্ধ অথবা স্থবির হয়ে গেছে। এর বাইরে খুলনা ও যশোরের পাটকলগুলো আমাদের রফতানীমুখী পাটপণ্যের বড় যোগানদার। খুলনার খালিশপুরে কয়েককটি বৃহদাকার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সেখানকার শ্রমিক পল্লীর দুর্দশার চিত্র বিভিন্ন সময় মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। এখন অবশিষ্ট পাটকলগুলোর দৈন্যদশার চিত্র বেরিয়ে আসছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে এসব পাটকল হয়তো অচিরেই লোকসানের অজুহাতে বন্ধ করে দিতে হবে। খুলনা-যশোর অঞ্চলে রাষ্ট্রায়ত্ত ৭টি পাটকলে পাটের পর্যাপ্ত মজুদ না থাকা এবং যন্ত্রপাতি অকেজো হয়ে পড়ার কারণে অর্ধেকের বেশি তাঁত (লুম) বন্ধ থাকছে। এসব মিলে কর্মরত ২০ হাজার শ্রমিকের অর্ধেকই এখন বেকার হয়ে পড়েছে। বিদ্যমান অবকাঠামোতে মিলগুলো যে পরিমাণ উৎপাদন করতে সক্ষম, তার অর্ধেকেরও কম উৎপাদন করছে। এভাবেই সম্ভাবনাময় একটি রফতানীমুখী খাত লোকসানী খাতে পরিণত হয়েছে। 
অথচ বিশ্বজুড়ে পরিবেশগত সচেতনতা বৃদ্ধির সাথে সাথে কৃত্রিম তন্তু তথা পলিথিন ও পলিয়েস্টার পণ্য ও মোড়কের স্থলে পাটজাত পণ্যের কদর ও চাহিদা বেড়ে চলেছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে প্রতিবেশী দেশ ভারত যখন নতুন নতুন পাটকল তৈরি করছে এবং পাটজাত পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার দখল ও বিস্তৃত করে চলেছে, তখন আমাদের পাটকলগুলো একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সরকার দেশকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করার নানামুখী স্বপ্ন দেখালেও পাটশিল্প ও পাটকলগুলো রক্ষার কোন কার্যকর উদ্যোগই নিতে পারছে না। 
অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণেই সম্ভাবনাময় পাটশিল্প দিন দিন করুণ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফসহ বিভিন্ন ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান ও দেশী-বিদেশী স্বার্থান্বেষী মহল এই অপকর্মের সাথে জড়িত। তাদের চক্রান্তের কারণে এক সময়ে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান খাত কৃষিভিক্তিক পাটশিল্পের সঙ্কটাপন্ন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আর সঙ্কট উত্তরণের কথা বলে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে সেগুলোও এ শিল্পের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমাদের তিন হাজার বছরের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ পাটখাত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণেই এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট ৩ কোটির বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাটশিল্পকে বাঁচাতে অবিলম্বে সরকারকে সব ধরনের সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।


__._,_.___

Posted by: =?UTF-8?B?4Kau4Ka+4KaT4Kay4Ka+4Kao4Ka+IOCmhuCmueCmruCmpiDgprbgpqvgp4A=?= <sipahi13@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___