Banner Advertiser

Monday, November 7, 2016

[mukto-mona] যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, নাকি সারা বিশ্বের!



যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, নাকি সারা বিশ্বের!
অনলাইন ডেস্ক
Published : Monday, 7 November, 2016 at 10:19 PM
  
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, নাকি সারা বিশ্বের!যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন এবার সারা বিশ্বের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অভিবাসী ইস্যু তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে আরো যুক্ত হয়েছে আরেক পরাশক্তি রাশিয়া ইস্যু। ডেমোক্র্যাটদের অভিযোগ এবারের নির্বাচনকে রাশিয়া বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করছে। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের ক্ষমতায় আসা নিয়ে হিসাব নিকাশ যুক্তরাষ্ট্রের গণ্ডি ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। সেই হিসেবে এবারের মার্কিন নির্বাচন অন্যান্য যে কোনো বারের চাইতে বেশি সারা বিশ্বের নির্বাচন। 
রাশিয়া, চীন, ইরান, ইসরাইল, ব্রিটেন, জার্মানি, মেক্সিকো, উত্তর কোরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে অন্তহীন কৌতূহল রয়েছে। হিলারি না ট্রাম্প, এ নিয়ে বিশ্বের নানা প্রান্তে হিসাব নিকাশ চলছে। প্রভাবশালী ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের রিপোর্টাররা ১৫টি দেশের সরকার ও জনগণের মনোভাব জানার চেষ্টা করেছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যতই ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকে ঝোঁক দেখান না কেন অধিকাংশ রুশ জনগণ মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ব্যক্তিত্ব নয়, ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ দ্বারাই পরিচালিত হয়। তবে রাশিয়ায় ট্রাম্পকে নিয়ে এক ধরনের উন্মাদনা রয়েছে। এক দলীয় শাসনের দেশ চীনেও যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই। তবে কোনো জনমত জরিপ হয়নি। কিন্তু গত মাসে প্রকাশিত পিউ গবেষণা সেন্টারের এক সমীক্ষায় হিলারির প্রতি সমর্থন বেশি দেখানো হয়েছে। ইরান বলছে, যিনি নির্বাচিত হন না কেন তাদের কঠোর সময়ের মুখোমুখি হতে হবে। ইসরাইল মনে করে, ওবামার চেয়ে হিলারি ইসরাইলের পক্ষে বেশি অনুরাগী। কিন্তু তারা ট্রাম্পকে ভিন্নভাবে দেখে। 
আটলান্টিকের এপারেও রয়েছে মার্কিন নির্বাচন নিয়ে দারুণ কৌতূহল আর উত্তেজনা। ব্রিটিশ মিডিয়া জুড়েই থাকছে নির্বাচনের তরতাজা খবর। নানা বিশ্লেষণ তো রয়েছেই। ব্রেকিং নিউজে কখনো হিলারি এগিয়ে। কখনো কিঞ্চিত ট্রাম্প। তবে প্রধান সব গণমাধ্যমের চোখ হিলারির দিকেই। সর্বশেষ ই-মেইল বিতর্ক কিছুটা হলেও শঙ্কা তৈরি করেছিল। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মেঘ কেটে গেছে বলেই মন্তব্য করছে ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলো। প্রায় ছয় লাখ ব্রিটিশ বাংলাদেশি এই নির্বাচন প্রত্যক্ষ করছেন অত্যন্ত কাছে থেকে। রাজনীতির টেবিলে, সামাজিক আড্ডায়, স্যোশাল মিডিয়ায়, কিংবা কফি বারে—কি হতে যাচ্ছে মার্কিন মুল্লুকে? ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লন্ডনের কুইনমেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র লেকচারার হাসান শহীদের মতে এই নির্বাচন বিশ্ব রাজনীতির এক টার্নিং পয়েন্ট। ব্রিটিশ বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরাও এই নির্বাচনের ওপর নজর রাখছেন। ব্রিটিশ বাংলাদেশি চেম্বার অব কমার্সের ডিরেক্টর মাহতাব মিয়া মনে করেন, গ্লোবাল বিশ্বে এই নির্বাচন সবাইকেই কাছে টানছে। শুধু ব্রিটেন নয়, ইউরোপ জুড়েই রয়েছে এক ধরনের উন্মাদনা। জার্মানিতে ইউগভ পরিচালিত এক জনমত জরিপে বলা হয়েছে, ট্রাম্প নির্বাচিত হলে বেশিরভাগ জার্মান নাগরিকই শঙ্কিত, হতাশ বা ক্ষুব্ধ হবেন। 
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রকে যদি সত্যিই বলতে হয় যে এটি ইমিগ্র্যান্টদের দেশ, তাহলে ডেভন এভিনিউকে বলতে হবে এটাই আসল যুক্তরাষ্ট্র। শিকাগো শহরের উত্তর দিকে পূর্ব-পশ্চিমে লম্বা এই রাস্তায় পাশাপাশি বাস করছে সিরিয়া, ইরাক, তুরস্ক থেকে আসা অ্যাসিরিয়ান খ্রিস্টানরা, রাশিয়া থেকে আসা ইহুদিরা আর ভারতীয়, বাংলাদেশি ও পাকিস্তানিরা। পাশাপাশি তাদের সঙ্গে সেখানে রয়েছে আধুনিক ক্রিস্টিয়ানিটির নানা গোষ্ঠী। কালো-ধলো মিলে একাকার।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সেখানকার অধিকাংশ অভিবাসীরা মনে করেন ইমিগ্র্যান্ট ইস্যু আসল সমস্যা নয়। মূল সমস্যা হচ্ছে শিক্ষার অভাবের জন্য নিম্ন বর্গের এক শ্রেণীর আমেরিকান এখনো প্রাচীন ধ্যান-ধারণাকেই জাপটে ধরে রাখতে চাইছে। কিন্তু মার্কিন জনগণের চিন্তা তো তাদের নিজের রুটিরুজি, পরিবার, স্বাস্থ্য, শিক্ষা নিয়ে। আর তার বাইরে, তথাকথিত ইসলামী সন্ত্রাস নিয়ে। যে সব ব্যাপারে ট্রাম্প অতি-জাতীয়তাবাদীদের মতোই কথা বলেছেন। বলির পাঁঠা খাড়া করেছেন এক দিকে মুসলিমদের, আর অন্য দিকে গরিব অভিবাসীদের। জনরোষকে ঘুরিয়ে দিয়েছেন সমস্যার আসল কারণ থেকে। কিন্তু এই কৃষ্ণাঙ্গ আর গরিব অভিবাসীরাই কিন্তু ওবামাকে বিশাল ভোটে জয়ী করেছিলেন। শ্রমিক ইউনিয়নের একটা বিরাট অংশের ভোট চিরকাল ডেমোক্র্যাট প্রার্থীদের দিকে গেছে। এবারো তারা যদি বিপুল সংখ্যায় রাস্তায় বেরিয়ে এসে ভোট দেন, তাহলে হিলারির জয়লাভ অনেকটাই নিশ্চিত। যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম নাগরিকরা, একেবারে হাতেগোনা কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া, কেউ ট্রাম্পকে ভোট দেবেন না এমন কথা শোনা গেছে সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশি ও পাকিস্তানিদের কাছ থেকে। এ ছাড়া ব্রুকলিনে বাস করা সেনেগাল, নাইজেরিয়া, সুদান আর ইথিয়োপিয়ার মুসলিমদের মনোভাবও একই রকম। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মুসলিমদের মধ্যে মার্কিন নাগরিকের, বিশেষ করে রেজিস্টার্ড ভোটারের সংখ্যা নগণ্য। অভিবাসীদের মধ্যে মেক্সিকান এবং ল্যাটিনোরা সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি। ট্রাম্পের অভিবাসী-বিদ্বেষী অবস্থানের কারণে তাদের ভোটও হিলারির দিকে যেতে পারে। তাহলে কি আড়াইশ' বছরের ইতিহাসে শেষ পর্যন্ত এক নারীকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করবে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ? 
লেবার ইউনিয়নের নব্বই শতাংশ চিরকাল ডেমোক্র্যাটদেরই ভোট দিয়ে এসেছেন। রোনাল্ড রিগ্যানের সময় থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ ও উপার্জনে বৈষম্য খুবই বেড়ে গেছে। সেটা শ্রমজীবী পুরুষ, নারী ও শিশুদের স্পর্শ করেছে সবচেয়ে বেশি। রিগ্যান ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছেন এবং অতিধনিক ব্যক্তি ও কর্পোরেশনগুলোর ক্ষমতা সীমাহীন হয়ে পড়েছে। আজ যুক্তরাষ্ট্রে বিশাল বিশাল বহুজাতিক কর্পোরেশনের সিইওরা যা উপার্জন করেন, এখান থেকে তিরিশ বছর আগে তা দেশটিতে অকল্পনীয় ছিল। উত্পাদনের বেশির ভাগটাই চলে যাচ্ছে চীন, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, কোরিয়া, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, আফ্রিকা বা দক্ষিণ আমেরিকায়। যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমজীবী মানুষ তাই ভয়ঙ্কর হতাশাগ্রস্ত। সেই হতাশা থেকে জন্ম নিচ্ছে ক্রোধ। সেই ক্রোধ যে ব্যালট বাক্সে ট্রাম্পের দিকে যাবে না, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে না। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট, দুই পার্টিই এই অর্থনৈতিক হতাশা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

মানবকণ্ঠ/এনএস
- See more at: http://www.manobkantha.com/2016/11/07/168159.php#sthash.9y3dqXpP.dpuf




__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___