শফিউল আলম প্রধান এই লোকটার বিস্তারিত কেউ কি জানেন ?
--From: Zoglul Husain (zoglul@hotmail.co.uk)
সংবাদে প্রকাশ, হাসিনা ৭ এপ্রিল ২০১৭ ভারত সফরে যাচ্ছেন। ৮ এপ্রিল দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হবে। দেশবাসীর আশংকাঃ 'নিরাপত্তা চুক্তি'র নামে ফের ভারতের সাথে ২৫ বছরের গোলামী চুক্তি হবে কিনা! বিএনপি বলেছেন, এ চুক্তি করলে আমরা স্বাধীনতা হারাবো (ভারতের ইচ্ছা অনুযায়ী প্রতিরক্ষা নীতি গ্রহণ করলে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, সংবাদ, ৮ মার্চ ২০১৭)।
গতকাল ২০ দলীয় জোটের শরিক জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, দেশবিরোধী যেকোনো সামরিক চুক্তির পরিণাম হবে ভয়াবহ। তার পুরো বক্তব্য নীচে দেখুনঃ
দেশবিরোধী যেকোনো চুক্তির পরিণাম হবে ভয়াবহ
প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০১৭, ২০:০০
শীর্ষ খবর:
জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, দেশবিরোধী যেকোনো সামরিক চুক্তির পরিণাম হবে ভয়াবহ। জন্মলগ্ন থেকেই ভারত আমাদের সাথে বেনিয়ার মত আচরণ করছে। দিল্লী কখনো চাইনি বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াক।
সোমবার পঞ্চগড় জেলায় ৩ দিনব্যাপী সফরের দ্বিতীয় দিনে এসব কথা বলেন তিনি। দ্বিতীয় দিনে বাংলাবান্ধা, তীর্ণই হাট, তেঁতুলিয়া, ভজনপুর, শালবাহান, ভাওয়ালগঞ্জে জনসংযোগ ও পথসভা করেছেন তিনি।
প্রধান বলেন, ৭ দফা, ২৫ শালা গোলামি চুক্তি ও রক্ষী বাহিনী গঠনের ইতিহাস আজো দেশবাসী ভুলে নাই। মরণবাঁধ ফারাক্কাসহ উজানের সকল নদীতে বাঁধ দিয়ে ওরা আমাদের ভাতে মারছে-পানিতে মারছে। কী অপরাধ আমরা করেছিলাম? সীমান্তে প্রতিদিন আমাদের মানুষদের পাখির মত হত্যা করা হয়। যে গণতন্ত্রের জন্য আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম সেই গণতন্ত্রকে বুটের তলায় পিষে দিয়ে ভোটারবিহীন এক সেবাদাস সরকারকে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। স্বাধীনতা প্রিয় মানুষকে গোলাম বানানো হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এখন শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতারা প্রয়াত জিয়া ও খালেদা জিয়া সম্পর্কে যাই বলুন না কেন আওয়ামী লীগের ইতিহাস ষড়যন্ত্রের ইতিহাস, চক্রান্তের ইতিহাস, দেশ বিক্রির ইতিহাস। দিল্লীর ইশারায় ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক-বাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ওরা মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ওসমানিকে আসতে দেয় নাই। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে পঙ্গু বানিয়ে ভারতীয় পরিকল্পনায় রক্ষী বাহিনী গঠন করা হয়। শহীদ কমরেড সিরাজ শিকদারসহ ৩০ হাজার দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়। সাত রাজ্যের স্বাধীনতাকে দমন করতে ট্রানজিট-করিডরের নামে বাংলাদেশের ভূখণ্ডকে দিল্লীর হাতে তুলে দেয়া হয়। ৫ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনে দিল্লীর সুজাতা সিংরা কিভাবে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেশবাসী ও তাবত দুনিয়া তা জানে। পেয়ারে হিন্দুস্থানের খায়েশ মেটাতে এখন আমাদের পতাকা আছে স্বাধীনতা নাই। ভূখণ্ড আছে সার্বভৌমত্ব নাই। নির্বাচন আছে ভোট দেয়ার অধিকার নাই। কথিত বন্ধুত্ব ও চুক্তির নামে এভাবেই সিকিম, ভুটান ও নেপালকে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়েছে।
২০ দলীয় জোটের শীর্ষ এ নেতা আরো বলেন, কথাবার্তা পরিষ্কার গদির লোভে দেশ কেনা-বেচার রাজনীতি চলবে না চলতে দেয়া হবে না। এটা কোনো দলীয় ইস্যু হতে পারে না। দেশের মালিক জনগণ। পেয়ারে হিন্দুস্থানের দালালদের কিভাবে জবাব দিতে হয় ৭৫'র পটপরিবর্তন ও ৭ নভেম্বরের মহান গণসিপাহী জাগরণের ইতিহাস জাতিকে তা শিখিয়েছে। জেল-জুলুম-ফাঁসি কিংবা একদলীয় শাসন যে ক্ষমতার গ্যারান্টি ক্লজ নয় সকল নেতাদের তা বোঝা উচিত। কারণ, ভারত চায় চুক্তি বাংলাদেশ চায় মুক্তি। নিয়তির খেলা বড়ই ভয়ংকর। বুজোই সুজন যে জানো সন্ধান।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাগপার সহ সভাপতি অধ্যাপিকা রেহেনা প্রধান, সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, সহ সভাপতি ও রংপুর জেলা সভাপতি খন্দকার আবিদুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক দেওয়ান নাসিরউদ্দিন, যুব জাগপার সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদউদ্দিন, পঞ্চগড় জেলা জাগপার আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলী, সদস্য সচিব মফিদুল ইসলাম মফি, তেঁতুলিয়া উপজেলা সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল খালেক, পঞ্চগড় সদর উপজেলা সভাপতি এমদাদউল্লাহ ভূঁইয়া, বোদা উপজেলা সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মাস্টার, কেন্দ্রীয় জাগপা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক আবু নাঈম প্রমুখ।
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com .
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout .
__._,_.___