ভারতের আসল দালাল বি এন পি – পর্ব - ২
"ভারতের দালালি"">>>গোপাল ভাঁড়ের একটি গল্পটি ছিল " একদিন গোপালের গরু হারিয়ে গেছে, গরু খুঁজতে খুঁজতে হয়রান। গরু খুঁজে না পেয়ে, ক্লান্ত দেহ-মনে বাড়ি ফিরে বারান্দায় বসা ছেলেকে দেখে বলে উঠল 'একটু পানি দিবে ভাই'। ঘরের দরজায় দাঁড়ানো গোপালের স্ত্রী খেঁকিয়ে উঠে বলল, 'কি বলছ মিনসে ওতো তোমার ছেলে'। গোপাল নিরুত্তাপ গলায় বলল, 'গরু হারালে এমনই হয়, "মা"। বিএনপি ও গোপাল ভাঁড়ের গল্পের মত বউকে মা আর ছেলেকে ভাই ডাকা শুরু করছে। বিএনপি এখন বলছে তারা কোনদিন ভারত বিরোধিতা করেনি, এখনও করছে না, ভবিষ্যতেও করবে না।
সবকিছুর জন্মই সব , জন্ম অবৈধ হলে কর্মেও অবৈধতা থাকে , বিম্পির জন্ম অবৈধ ,তাই তার কর্মও অবৈধ ! যথাতথা জন্ম নয় ,বরং বৈধ জন্মই জীবনে বৈধ কর্মের যোগান দেয় !!
ম্যাডাম ইন্ডিয়াতে গেলেন পানি চুক্তির ব্যপারে । সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলেন ম্যাডাম কতদুর অগ্রগতি হয়েছে ? ম্যাডাম হেসে বললেন আরে আমি তো পানি চুক্তির বিষয়টা ভুলেই গেছি । হা হা হা হা .......
এনশাআল্লাহ আগামীতে ক্ষমতায় গিয়ে এই গোলামির চুক্তি বাতিল করে বাংলাদেশের মানচিত্রকে আবার আগের জায়গায় নিয়ে আসবো। বাকশালী সরকারের মানচিত্র পরিবর্তনের জন্য দুই চার দিন হরতাল হবে না কি?
সন্ধ্যাবেলার কৌতুক-
"আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় গেলে দ্যাশ ভারতের কাছে বেইচ্চা দিবো। "
বিএনপি ক্ষমতার জন্য কি করবে বুঝতে পারছে না। বিএনপি ভুলে গেলে ও বাঙালি জাতি ভুলে নাই বিএনপির বাংলাদেশ বিরোধী রাজনীতি, ওয়াশিংটন পোস্টে জিএসপি সুবিধা বাতিলের জন্য বিশাল রচনা কে লিখেছিল ? জাতিসংঘে শান্তি মিশনে বাংলাদেশ থেকে সেনাবাহীনি, পুলিশ নিয়োগ বাতিলের জন্য বান কি মুনের কাছে কারা অনুরোধ জানিয়েছিল ? বিনামুল্যে পাওয়া সাবমেরিন ক্যাবেলের সুযোগ কারা বন্ধ করে দিয়েছিল ? জাতিসংঘের অর্থায়নে রংপুরে পায়রাবন্ধে বেগম রোকেয়া আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় কারা প্রত্যাখান করেছিল ? জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটসের অর্থায়নে আন্তর্জাতিক আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব কারা ফিরিয়ে দিয়েছিল ? পার্বত্য শান্তি চুক্তি হলে ফেনী পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে কারা বলেছিল ? আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে মসজিদে আজানের পরিবর্তে উলু ধ্বনি হবে কারা বলেছিল ? মেয়েরা শাঁখা-সিঁদুর পরতে হবে কারা বলেছিল ? মুজিব-ইন্দিরা চুক্তিকে কারা গোলামির চুক্তি বলেছিল ? আবার এই চুক্তির আলোকে যখন ভারত সীমান্ত চুক্তি বিল পাস করলো তখন কারা ভারতকে অভিনন্দন জানিয়েছিল ? ফারাক্কা থেকে কি বিএনপি এক ছটাক পানি আনতে পেরেছিল ? বিএনপি কি এক ইঞ্চি মাটি আনতে পেরেছিল ? কিংবা সাগরের এক ফুট সীমানা ? আসলে বিএনপি মানে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি না হয়ে বাংলাদেশ নির্লজ্জ পার্টি হওয়া উচিত ছিল ।
কিন্তু শেখ হাসিনা কিছু ভুলে যাননি। যেটা কূটনীতিকভাবে সমাধান করা দরকার সেটা কূটনীতিক ভাবেই করেছেন, আবার যেটা কূটনীতিকভাবে সম্ভব হয়নি সেটা সমাধানে আন্তর্জাতিক আদালত পর্যন্ত গিয়েছেন । এই রকম সাহসী ও বলিষ্ঠ সরকার আরও ৫০ বছর থাকলেও অসুবিধা নাই । এতে ভোটাধিকার থাকল না গেল সেটা পরে দেখলেও চলবে । আগে দেশের উন্নয়ন তারপর ভোটাধিকার ।
মোদি এমনই কূটনৈতিক শিষ্টাচার দেখিয়েছেন যে, দিল্লীতে বসে অর্থাৎ তার নিজ বাড়িতে বসে সমাধান না করে আমাদের বাড়িতে আতিথ্য গ্রহণ করে সমাধান করতে এসেছেন। পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা ব্যানার্জীও এসেছেন।
"বিএনপি এখন বলছে তারা কোনদিন ভারত বিরোধিতা করেনি, এখনও করছে না, ভবিষ্যতেও করবে না।"" বিএনপি তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা মনে করছেন বিএনপির নীতিতে পরিবর্তন এসেছে। আমি মনে করি ঠেলায় পড়ে বাধ্য হচ্ছে। প্রথমত মোদির নির্বাচনের রেজাল্ট চূড়ান্তভাবে প্রকাশ হওয়ার আগে কেউ মালা হাতে দিল্লী দৌড়ে, কেউ ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের গেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফুল হাতে অপেক্ষা করেও ভগ্ন মন নিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। দ্বিতীয়ত দেশাভ্যন্তরের রাজনীতিতে পেট্রোলবোমা ছুড়েও যখন শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কাছে ব্যর্থ হতে হলো, তখন মোদির দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া উপায়ইবা কি? বিএনপির এ অবস্থানেরই নাম ভারতের দালালি।
আওয়ামী লীগ তথা মুক্তিকামী বাংলাদেশের জনগণ ভারতের কাছে কৃতজ্ঞ এ জন্য যে, ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধে আশ্রয়, অস্ত্র, প্রশিক্ষণ দিয়ে বিশেষ করে শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ এ জন্যে যে, তিনি আমাদের সঙ্কটে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন হৃদয়ের সবটুকু উষ্ণতা নিয়ে। এরই নাম কৃতজ্ঞতা। আর বিএনপি যা করেছে তার নাম দালালি।
বেগম জিয়ার মুখে ভারত-বিরোধিতায় অনবরত খই ফোটে। কিন্তু জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বক্তৃতা দিতে গিয়ে গঙ্গা নদীর পানির হিস্যা নিয়ে কথা বলেননি। পরে বলেছেন, কথাটি বলতে ভুলে গিয়েছিলেন। অথচ ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রণব মুখার্জী বাংলাদেশ সফরে এলে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতে অশালীনভাবে অসম্মতি জানিয়ে দুই দেশের সম্পর্কে চিড় ধরাবার চেষ্টা করেছেন।
তিনি শেখ হাসিনার সরকারকে ভারতের তাঁবেদার সরকার বলেন। অথচ তিনি নিজে পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা চক্র বাংলাদেশ-বিরোধী আইএসআইয়ের নির্দেশে ওঠাবসা করেন। ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে আওয়ামী লীগ সরকার গঙ্গার পানির হিস্যা আদায় করেছে, পার্বত্য শান্তিচুক্তি করেছে, বিপুল অর্থ সাহায্য আদায় করেছে এবং বহুমুখী উন্নয়ন পরিকল্পনার জন্য অর্থনৈতিক চুক্তি করতে পেরেছে। আশা করা যায়, সীমান্ত সমস্যা, তিস্তা, টিপাইমুখ বাঁধ সমস্যা ইত্যাদিও শীঘ্রই এবং হাসিনা সরকারের আমলেই মীমাংসিত হবে।
এর পাশাপাশি পাকিস্তানের স্বৈরাচারী ও সামরিক শাসকদের উস্কানিতে এবং স্বার্থে, এমনকি তাদের স্বার্থে ভারতের পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তা দিতে গিয়ে খালেদা জিয়া কেবল ভারত-বিদ্বেষ প্রচার দ্বারা কোন্ দাবিটা আদায় করতে পেরেছেন? বরং ভারতের অসন্তোষ ও অসহযোগিতার ফলে বাংলাদেশে বন্যা ও খরা নিয়ন্ত্রণ ব্যাহত হয়েছে; সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা অব্যাহত রয়েছে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। আমার সন্দেহ নেই, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার শাসনামল সম্পর্কে কোন গবেষক যদি কোন বই লেখেন, তাহলে এই আমলকে তিনি বাংলাদেশের জন্য এক অভিশপ্ত যুগ বলে উল্লেখ করতে বাধ্য হবেন।
[পরবর্তী পোষ্ট দেখুন পর্ব - ৩ ]
collected
Sent: Monday, April 10, 2017 3:41 AM
To: pfc; LA Discussion
Subject: {PFC-Friends} ভারতের সাথে চুক্তিঃ সর্বত্র ক্ষোভ প্রতিবাদ
From: Zoglul Husain (zoglul@hotmail.co.uk)
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.
__._,_.___