অমঙ্গল যাত্রা হিন্দুদের ধর্ম ও সংস্কৃতির অংশ
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, 'নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তিকে ক্ষমা করবেন না, যে উনার সাথে কাউকে শরীক করে। এছাড়া যাকে ইচ্ছা তিনি তাকে ক্ষমা করেন। যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে শরীক করে, সে সুদূর গুমরাহীতে পতিত হবে।'
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে বিধর্মীদের পূজা সম্বলিত অমঙ্গল যাত্রা সুস্পষ্ট শিরকী কাজ। অতএব, যারা পূজা সম্বলিত অমঙ্গল যাত্রা পালন করবে অথবা সমর্থন করবে, তারা সম্মানিত শরীয়ত উনার ফতওয়া মুতাবিক মুসলমান থেকে খারিজ হয়ে যাবে। তারা তওবা না করলে তাদের স্ত্রী তালাক হবে, যদি বিবাহ করে থাকে। হজ্জ বাতিল হবে, যদি হজ্জ করে থাকে। ওয়ারিছস¦ত্ব বাতিল হবে। তাদের সমস্ত নেক আমল বরবাদ হবে। তারা মারা গেলে তাদের গোসল, কাফন জানাযা কোনোটাই করা জায়িয হবে না এবং মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করাও জায়িয হবে না। বরং তাদের গর্তে পুতে রাখতে হবে।
কাজেই সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে, ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে সরকারি কর্মকর্তারা পূজা সম্বলিত যে অমঙ্গল যাত্রা পালন করার জন্য আদেশ জারি করেছে, তা অতিসত্বর প্রত্যাহার করা। অন্যথায় সরকারসহ সকলের জন্য সর্তকবাণী হচ্ছে- যা পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, "মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের তরফ থেকে সমস্ত মানুষদের প্রতি হজ্জে আকবর এই সম্মানিত দিন ঘোষণা দেয়া হচ্ছে যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি মুশরিকদের থেকে মুক্ত অর্থাৎ পরিপূর্ণরূপে জুদা এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও। যদি তোমরা তওবা করে মুশরিকদের মুহব্বত ও তাদের পূজা পালন করা থেকে ফিরে আসো, তাহলে তা তোমাদের জন্য উত্তম হবে। আর যদি ফিরে না আসো অর্থাৎ মুখ ফিরিয়ে নেও, তাহলে জেনে রেখো- তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার উপর কখনোই কামিয়াবী হাছিল করতে পারবে না।" পবিত্র সূরা তওবা শরীফ উনার ৩নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে সর্তক করে মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, "কাফিরদেরকে কঠিন শাস্তির সংবাদ দিন অর্থাৎ তোমাদেরকে কঠিন শাস্তির সংবাদ দেয়া হচ্ছে।"
পূজা সম্বলিত অমঙ্গল যাত্রা কাফির-মুশরিকদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান। যা পালন করলে কুফরী শিরকী হয়ে থাকে। আর শিরক সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা নিসা শরীফ উনার ১১৬নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন- "নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তিকে ক্ষমা করবেন না, যে উনার সাথে কাউকে শরীক করে। এছাড়া যাকে ইচ্ছা তিনি তাকে ক্ষমা করেন। যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে শরীক করে, সে সুদূর গুমরাহীতে পতিত হবে।" নাউযুবিল্লাহ! সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে পূজা সম্বলিত অমঙ্গল যাত্রা সুস্পষ্ট শিরকী কাজ অর্থাৎ বিধর্মীদের পূজা। যা হতে বেঁচে থাকা সকল মুসলামনের জন্য ফরযে আইন।
বিজাতীয় ও বেদ্বীনি সংস্কৃতি আসন্ন অমঙ্গল যাত্রা সম্পর্কে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নির্দেশনা আলোচনা মানতে হবে।
অমঙ্গল যাত্রা হিন্দুদের ধর্ম ও সংস্কৃতির অংশ। মূলত, দেব-দেবীকে উদ্দেশ্য করে এসব আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠী কল্যাণ কামনা করে থাকে। হিন্দুদের প্রতিটি দেবতার এক একটি বাহন রয়েছে। সংখ্যালঘু হিন্দু জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় বিশ্বাস মোতাবেক পেঁচা (অ)মঙ্গলের প্রতীক ও লক্ষ্মীর বাহন, ইঁদুর গণেশের বাহন, হনুমান রামের বাহন, হাঁস স্বরসতীর বাহন, গাভী রামের সহযাত্রী, শীষ নাগ, ঈগল বিষ্ণুর বাহন, রাজহাঁস ব্রহ্মার বাহন, সিংহ, বাঘ দুর্গার বাহন, হাতি ইন্দ্রের বাহন, ময়ূর কার্তিকের বাহন, কাক/শকুন দেবী শানীর বাহন, বিড়াল দেব শাস্তির বাহন, গাধা সিতালার বাহন, মহিষ মৃত্যুর দেবীর বাহন, বাঘ শিবের ছেলে আয়াপ্পার বাহন, সূর্য দেবতার প্রতীক ও ময়ূর কার্তিকের বাহন। ষাঁড়, হাতি, সিংহ, ঘোড়া, বাঘ, গরু, ছাগল, বাঁদর, শুয়োর, গাধা, খরগোস, কাক, ঈগল, ব্যাঙ, কাঁকড়া, কচ্ছপ, মাছ ইত্যাদি শিব-এর বাহন। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, অমঙ্গল যাত্রায় যেসব প্রাণীর মুখোশ পরানো হয় এবং মূর্তি বানানো হয়, তা মূলত হিন্দুদের বিভিন্ন দেব-দেবীদের বাহন। এমন কোনো পশু নাই, যা হিন্দুদের দেব-দেবীর বাহন নয়। অমঙ্গল যাত্রার দোহাই দিয়ে সূক্ষ্মভাবে এসব দেব-দেবীর কাছেই (অ)মঙ্গল চাওয়া হচ্ছে, যা একজন মুসলমানের জন্য জঘন্য শিরক। অতএব, এই শেরেকী আমল অর্থাৎ বিধর্মীদের পূজা সম্বলিত অনুষ্ঠান অমঙ্গল যাত্রা মুসলমানদের জন্য করা জায়েজ নেই।
যারা অমঙ্গল যাত্রা পালন করবে অথবা সমর্থন করবে তারা সম্মানিত শরীয়ত উনার ফতওয়া মুতাবিক মুসলমান থেকে খারিজ হয়ে যাবে। তারা তওবা না করলে তাদের স্ত্রী তালাক হবে, যদি বিবাহ করে থাকে। হজ্জ বাতিল হবে, যদি হজ্জ করে থাকে। ওয়ারিছস¦ত্ব বাতিল হবে। তাদের সমস্ত নেক আমল বরবাদ হবে। তারা মারা গেলে তাদের গোসল, কাফন জানাযা কোনোটাই করা জায়িয হবে না এবং মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করাও জায়িয হবে না। বরং তাদের গর্তে পুতে রাখতে হবে।
সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে, যে সমস্ত সরকারি কর্মকর্তারা অমঙ্গল যাত্রা পালন করার জন্য আদেশ জারি করেছে, তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে পূজা সম্বলিত অমঙ্গল যাত্রা পালন করা সংক্রান্ত আদেশ অতিসত্বর প্রত্যাহার করা।
অন্যথায়, সরকারসহ সকলের জন্য সর্তকবাণী হচ্ছে, যা পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, "মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের তরফ থেকে সমস্ত মানুষদের প্রতি হজ্জে আকবর এই সম্মানিত দিন ঘোষণা দেয়া হচ্ছে যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি মুশরিকদের থেকে মুক্ত অর্থাৎ পরিপূর্ণরূপে জুদা এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও। যদি তোমরা তওবা করে মুশরিকদের মুহব্বত ও তাদের পূজা পালন করা থেকে ফিরে আসো, তাহলে তা তোমাদের জন্য উত্তম হবে। আর যদি ফিরে না আসো অর্থাৎ মুখ ফিরিয়ে নেও, তাহলে জেনে রেখো- তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার উপর কখনোই কামিয়াবী হাছিল করতে পারবে না।"
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, "কাফিরদেরকে কঠিন শাস্তির সংবাদ দিন অর্থাৎ তোমাদেরকে কঠিন শাস্তির সংবাদ দেয়া হচ্ছে।" (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩)
__._,_.___