Banner Advertiser

Sunday, May 4, 2008

[ALOCHONA] Don't be puppet of Moeen, Mr. Hasan masud chowdhury

কি আজব জগতে আমরা বসবাস করি ভাবুন একবার। ব্যক্তি স্বাধীনতার চরম উৎকর্ষ দেশ আমেরিকার জনগণ বিচিত্র মামলার ভয়ে অস্থির হয়ে স্বাভাবিক জীবন হারিয়ে ফেলছে, উল্টোদিকে একটি অনুন্নত গরিব দেশ বাংলাদেশ তারাও মামলা আর হামলার ভয়ে অস্থির। কাকে কখন কিভাবে মামলায় জড়াবে দেবদূতরা তা কেউ জানে না। এই মুহূর্তে এ দেশের জনজীবনও ভয়ে-শঙ্কায় অস্থির, স্বাভাবিক জীবন হারিয়ে ফেলেছে। ভয়টা একই কিন্তু কারণটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। ওখানে পাবলিকের ভয়ে সরকারি-বেসরকারি প্রশাসন সর্বদাই তটস্থ। এদেশে সরকারের ভয়ে পাবলিক-প্রশাসন সবাই থরহরিকম্প। বর্তমান সরকারকে মামলাবাজ সরকার বললেও কম বলা হয়। ১/১১-এর ফসল এ সরকারের ধারণা, তারা 'এগারজন' এবং বিশেষ বাহিনী ছাড়া দেশের সব মানুষ দুর্নীতিবাজ। সুতরাং আদাজল খেয়ে তারা আসরে নেমেছেন 'চোর চাই, যে করেই হোক চোর চাই/হোক না যে কোন লোক'। ফলে জেলখানাগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। এসব দুর্নীতিবাজের বিচারের জন্য জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে বিশেষ জজ আদালত। দেশের দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বৃহৎ দু'টি রাজনৈতিক দলের প্রধান দু'জনকে বন্দি করে রাখার জন্য সংসদ ভবনেই সাব-জেল তৈরি করা হয়েছে। কি দুর্ভাগ্য আমাদের, যে সংসদ ভবন জাতির আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক তা এখন আদালত। তা এখন বন্দি নিবাস। সেখানে বিচার হচ্ছে রাজনীতিবিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক মন্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য, ব্যবসায়ী, আমলা, সরকারি কর্মকর্তাদের। সংসদ ভবনের ১০টি আদালতে ৬০ জনের বিচার চলছে। গত এক বছরে অর্ধশতের বেশি সাজা হয়ে গেছে। ৬০টির বেশি মামলা চলছে। হাইকোর্টের জামিন দেয়ার ক্ষমতাও রোধ করে দেয়া হয়েছে। সুতরাং আদালতের রায়ে সাজাপ্রাপ্তরা আপিল করারও সুযোগ পাচ্ছে না। অর্থাৎ সোজা কথায় মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে।
 
 
 
বিনা বিচারে এক বছর ধরে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া জেলবন্দি, আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একটি মামলার শুনানি শুরু হলেও তা কেবলই পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে।
 
পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য হচ্ছে, এই দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারপর তাদের বিরুদ্ধে খুঁজে খুঁজে অপরাধ বের করা হচ্ছে পৃথিবীতে কোথাও এমনটি হয়? মানবাধিকারের চূড়ান্ত অবমাননা এই দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে হচ্ছে। জার্মানির গেস্টাপোরা কি এর চেয়ে খারাপ ছিল?
 
অথচ জঘন্য পক্ষপাতিত্ব হচ্ছে ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকার প্রতি। দেশের চার শহরের চার মেয়রের মধ্যে রাজধানী ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকা হচ্ছে আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত এক মেয়র। মি. টুয়েন্টি পার্সেন্ট নামেই খ্যাত। ঢাকা শহরের প্রতিটি নাগরিক, গোয়েন্দা সংস্থা, প্রশাসন সবাই জানে তার ব্যক্তিগত দুর্নীতি ও তার প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির কথা। দুদকের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে এ ব্যক্তিটিকে সযতেœ বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে এবং বর্তমান সরকারের সঙ্গে তার দহরম-মহরম কথা বহুল আলোচিত। কিন্তু তার প্রতি বড়ই নমনীয় আজও প্রশাসন। জানতে ইচ্ছে হয়, কেন মেয়র সাদেক হোসেন আজও জেলের বাইরে? খালেদা-হাসিনার সম্পত্তির পরিমাণ তো মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সম্পত্তির এক শ' ভাগের পাঁচ ভাগ বা তারও কম। তারপরও কেন বিনা তদন্তে তাদের গ্রেপ্তার করে জেলে ঢোকানো হলো? আজ আমেরিকা হলে এমনটি হতে পারতো? বিনা বিচারে এভাবে মাসের পর মাস কাউকে বন্দি করে রাখা যায়? এটি একটি বর্বর অসভ্য দেশেই সম্ভব। যে বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী মাসে কোটি টাকা রোজগার করে। তাদের সম্বন্ধে দুদক নির্বিকার-উদাসীন। এক দেশে দুই অদ্ভুত আইন চলছে। অনেক 'দামি' দুর্নীতিবাজ সম্বন্ধে আশ্চর্য রকমের সদয় দুদক এবং বিশেষ মহল। সাধারণ জনগণ একথা নিশ্চিত যে, স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবী আইনজীবীরা নিজেদের বিক্রি করে দিয়েছে নিজেদের মেরুদণ্ডটির বিনিময়ে। খুঁজলে দেখবেন, এরা সব সরকারের পোষ্য এককোষি প্রাণী। এই কোষি প্রাণীদের দলে আছে আইনজীবী, বুদ্ধিজীবী, তথাকথিত রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, শিক্ষক।

সেদিন টেলিভিশনে সন্ধ্যার খবরে দেখছিলাম সাবেক অর্থমন্ত্রী, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বয়োবৃদ্ধ নেতা সাইফুর রহমানের দুর্গতির চিত্রটি। যে কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ যার সামান্যতম বিবেক অবশিষ্ট আছে তিনিই বলবেন ধিক্ এই রাজনীতিকে। ধিক্ ওইসব তথাকথিত সংস্কারবাদীদের। যারা এই অসুস্থ বৃদ্ধ মানুষটিকে টেনেহিঁচড়ে টিভি ক্যামেরার সামনে বক্তব্য দেয়ার জন্য হাজির করেছিল। মনে পড়লো আলবেয়ার কামুর সেই উক্তিটিÑ 'আমি রাজনীতি করি না, কারণ আমি আমার বন্ধুকে খুন করতে পারব না'। যে দলে, যে মানুষের মধ্যে সামান্যতম মনুষ্যত্ব অবশিষ্ট নেই তারা কিসের রাজনীতি করবে? ডা. ফাউস্ট শয়তানের কাছে তার আত্মা বন্ধক রেখেছিল একজন সুন্দরী রমণীর জন্য। আর এসব রাজনীতিবিদ (এরা নিজেদের তাই বলে বটে) কিসের বিনিময়ে বন্ধক রেখেছেন শয়তানের কাছে নিজেদের আত্মা, যে দলের সঙ্গে, নেতার সঙ্গে, কর্মীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে? এ ধরনের বিশ্বাসঘাতক নেতা অবশ্য আওয়ামী লীগ-বিএনপি দু'দলেই আছে। না হলে কি করে শেখ হাসিনার সঙ্গে অমার্জনীয় আচরণগুলো করে চলেছে। অনেকে বলেন এমন যে, রাজনৈতিক দলগুলোর অনেক শিক্ষা হয়েছে। হয়েছে কি? একথা আজ দেশের মানুষের কাছে পরিষ্কার যে, আওয়ামী লীগের একটি অংশ বিশেষ মহলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। তাদের ইচ্ছা নয় যে, শেখ হাসিনা মুক্তি পাক। শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে বিশেষ মহলের সহায়তায় ওইসব আওয়ামী লীগ নেতা দলের নেতৃত্বে আসতে চাইছে এবং এরা দিনে তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীদের ধোঁকা দেয়ার জন্য হাসিনার মুক্তি দাবি করে আর রাতে নিজেরা ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য বিশেষ মহলের ছায়ায় আশ্রয় নেয়। আওয়ামী লীগের ঐ নেতাদের ক্ষমতার লোভ এতটাই যে, নিজেদের আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে কতিপয় সরকারি মোড়লের একটা এসএমএস পেয়েই ছুটে গেছে প্রাক-সংলাপ করতে? এই কৃপা ভিক্ষা কেন?
 
কিসের সংলাপ? সংলাপ-বক্তব্য একটাই হওয়া উচিত নির্বাচন এবং নির্বাচন। নির্বাচনের তারিখ চাই।
 
 
 
মাওলানা ভাসানি-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আওয়ামীলীগ কি এই নতজানু দলটি? ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগের প্রতি সরকারি মহলের 'সস্নেহ', 'সহৃদয়' দৃষ্টিপাত সবারই চোখে পড়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনার প্রতি কঠোর আচরণও তারা আড়াল করতে পারেনি। ইতিমধ্যেই সর্বমহলে একথা প্রচার পেয়েছে যে, হাসিনাকে ছাড়া আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য একটি পক্ষ মরিয়া। একটু পেছনে তাকালে মনে পড়বে, সাবেক জেনারেল এরশাদও তার শাসন আমলের পুরোটা আওয়ামী লীগের সাহায্য-সহায়তা ভালভাবেই ব্যবহার করেছেন। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানোর জন্যই বিএনপিকে দুই টুকরো করে রাখা খুবই জরুরি। বিএনপি'র সংস্কারপন্থিরা বিক্রি হয়ে গেছে অনেক আগেই। খালেদাপন্থিরা হালে পানি পাচ্ছে না। সংস্কারপন্থিরা সেদিন যেভাবে সাইফুর রহমানকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে এসে শোডাউন করলো তাতে পৃথিবীর শেষতম বোকা লোকটিও বোঝে যে সংস্কারপন্থিরা মরিয়া। নিজেদের পিঠের চামড়া বাঁচাতে এইসব গোডাউনের পঁচা মালগুলো দিয়ে জাতির কোন উপকারই হবে না। এরা রাজনীতিতে আবর্জনা ছাড়া কিছুই নয়। বিএনপি নেতাদের আচার-আচরণ-হীনমন্যতা দেখলে কেউ বলবে না ১/১১ তাদের কোন শিক্ষা দিয়েছে। সে কথা অবশ্য আওয়ামী লীগকে দেখলেও বোঝার উপায় নেই। সরকার রাজনৈতিক দলের সংস্কারের যে ধুয়া তুলেছিল তা অনেক আগেই রসাতলে গেছে। কোন বিশেষ মহল সংস্কারের নীলনকশা তৈরি করে দেবে আর দলীয় দালালরা সেটা বাস্তবায়ন করবে সেটা হয় নাকি? সংস্কার তো রাজনৈতিক দলগুলোর অবিরাম প্রক্রিয়া। তা দলের ভেতর থেকেই হবে। তার জন্য দালাল পয়দা করতে হবে কেন? আর যাদের হাসিনা-খালেদার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে তারা কি সৎ মানুষ নাকি? এদের দিয়ে রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ করা সম্ভব? এসব রদ্দি ভূষিমাল দিয়ে নতুন ইমারত গড়ার স্বপ্ন যারা দেখছে তাদের আসল উদ্দেশ্য অন্যখানে। এরা কি বোঝে এদের ঘাড়ে সওয়ার হয়ে যথাসময়ে আসরে অন্য কারও আবির্ভাব হবে? আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি দু'দলেই এমন কোন যোগ্য নেতা নেই যিনি জাতীয় নেতৃত্বে আসতে পারেন, দলীয় নেতৃত্ব গ্রহণ করতে পারেন? ভাঁড় দিয়ে আসর গরম করা যায় কিন্তু সিংহাসন দখল করতে পারে না। রাজনৈতিক নেতারা যদি ১/১১ পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ থেকে শিক্ষাই নিতো তাহলে বিএনপি আজ অন্যের হাতে কাঠের পুতুল হয়ে নেচে যেতো না। ১/১১-এ যারা ক্ষমতা দখল করেছিল তারা যে সুযোগ সন্ধানে ছিল তা আজ স্পষ্ট। তাদের সুযোগ এনে দিয়েছিল এসব তথাকথিত রাজনৈতিক নেতাই। আজ মনে হয় রাজনীতি ধ্বংস করাই এদের উদ্দেশ্য, সংস্কার নয়। সংস্কার কখনও পচা মাল দিয়ে হয় না। উদ্দেশ্য একটাইÑ এই দুই দলের দুর্নীতিবাজ 'নেতা'দের কাঁধে চেপে ক্ষমতা দখল করার জন্যই এতসব নাটক। ঘোড়ার পেটের ভেতর চালান হয়েই তো ট্রয়নগরীতে ঢুকেছিল শত্রুপক্ষ মনে আছে?
 
 



তত্ববধায়কদের তাবেদারদের জুতা দিয়ে পিটাও, জেলে যাও, তিনবেলা নিশ্চিন্তে খাও


Be a better friend, newshound, and know-it-all with Yahoo! Mobile. Try it now. __._,_.___

[Disclaimer: ALOCHONA Management is not liable for information contained in this message. The author takes full responsibility.]
To unsubscribe/subscribe, send request to alochona-owner@egroups.com




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___