Banner Advertiser

Friday, May 10, 2013

[mukto-mona] রাজাকার, রাজাকারপন ্থী, রাজাকারের বাচ্চাদ ের কর্তৃত্ব এ দেশে আর হ বে না :জামায়াত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের পক্ষে ছিল,



জামায়াত বলে '৭১-এ আমরা ভুল করিনি !!!


'৭১ এ জামায়াত যে পাকিস্তানি সামরিক জান্তার অধীনে আলবদর বাহিনী গঠন করেছিল তার উদ্দেশ্য কী ছিল?


জামায়াতে আলবদর বাহিনী কি হালাল ছিল ?

এখন রাঘব-বোয়ালদের ঢাকতে চুনোপুটির উপস্থাপন ... !


তালিকার কোনটাই কি রাজাকার, আল বদর, আল শামসের চিহ্নিত যেইসব রাঘব-বোয়াল এখন জামাত আর বিএনপিতে আছে তাদের হালাল করে? 

Note:

 )একাত্তরের পাক হানাদার বাহিনীর দোসর, শীর্ষ রাজাকার জামায়াতের শীর্ষ নেতা কামারুজ্জামানের মৃত্যুদন্ড ঘোষনা করেছেন ট্রাইব্যুনাল- এর বিচারকেরা। তার বিরুদ্ধে আনা টি অভিযোগের মধ্যে আল-বদর বাহিনী গঠন, বদিউজ্জামানকে হত্যা, সোহাগপুরে ১২০ জনকে হত্যা নারীদের ধর্ষণ গোলাম মোস্তফা তালুকদারকে ধরে নিয়ে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে

) '৭১-এর যুদ্ধাপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে জামায়াতের মিথ্যাচার  মোনাফেকি open secret. '৭১ – জামায়াতের  আমীর মতিউর রহমান পাকিস্তানকে 'আল্লাহর ঘরহিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। 

৭১ -এর মুক্তিযুদ্ধে জামায়াত কীভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যাযুদ্ধাপরাধ  মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের পক্ষে ছিলকীভাবে এসব নৃশংস অপরাধে তাদের প্ররোচিত করেছে এবং কীভাবে নিজেরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পাকিস্তান  ইসলাম রক্ষার কথা বলে রাজাকার-আলবদর ইত্যাদি ঘাতক বাহিনী গঠন করে হত্যা-ধর্ষণ-নির্যাতন লুণ্ঠনে অংশগ্রহণ করেছে তার তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যাবে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের এলাকার ভুক্তভোগী  প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান থেকে

লিখিত প্রমাণ পাওয়া যাবে জামায়াতের দলীয় মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম-এর তখনকার ফাইল এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা বিভাগের দলিলপত্র থেকে। জামায়াতের শীর্ষ নেতারা কীভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর যাবতীয় দুষ্কর্ম সমর্থন করেছেমুক্তিযোদ্ধাদের কী কুৎসিত ভাষায় গালিগালাজ করেছে তার শত শত বিবরণ পাওয়া যাবে '৭১-এর দৈনিক সংগ্রাম-

৭১-এ পাকিস্তানী আর্মি ও জামায়াত রাজাকার আলবদর বাহিনী ধর্মকে পূঁজি করে বাঙলার মানুষদের "বিধর্মী" আখ্যা দিয়ে গণহত্যা চালিয়েছে। 


2013/5/10 ahmed saleh <ahmed_saleh326@yahoo.com>
আওয়ামী লীগে থাকা ২৩ রাজাকারের তালিকা দিলাম-তাদের বিচার করবে কে?
৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান বাহিনীর সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে, এমন অভিযোগে বিরোধীজোট বিএনপি জামায়াতরে এক ডজন নেতার বিচার করছে
আওয়ামী লীগ সরকার। তারা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের কথিত স্বপক্ষ শক্তি দাবি করে বিচার করলেও তাদের দলে থাকা রাজাকারদের ব্যাপারে একেবারে নিরব।
দলটিতেও রয়েছে, কুখ্যাত রাজাকার, আল বদর, আল শামস, গণহত্যকারী, গণধর্ষণকারী, অগ্নিসংযোগাকরীস অসংখ্য স্বাধীনতাবিরোধী কিন্তু তারা রয়েছেন ধরা ছোয়ার বাইরে। তবে আওয়ামী লীগের নেতারা বিভিন্ন সময় বক্তৃতায় বলেছেন, আওয়ামী লীগে রাজাকার থাকলে দেখিয়ে দেন-আমরা তাদের বিচার করব। আমাদের অনুসন্ধানে নিচে ২৩ আওয়ামী রাজাকারের তালিকা তুলে ধরা হলো।
আওয়ামী লীগের এই ২৩ জন যুদ্ধাপরাধী বা তাদের পরিবার কোন না কোনভাবে ৭১ সালে পাকিস্তান সরকার যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন। মক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের এসব নেতা ঘৃণিত ভূমিকা পালন করেছেন পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতেতে সক্রিয় থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বনে গিয়েছে। ১৯৭১ সালে মক্তিযোদ্বাদের হত্যাসহ নানা ধরনের মানবতবিরোধী অপরাধের সঙ্গে তারা যুক্ত ছিলেন তারা।
নিচে আওয়ামী লীগের এসব যুদ্বাপরাধীর নাম তাদের কর্মকাণ্ডের কিছু তথ্য দেয়া হলো:

. অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম: ঢাকা- আসনের সংসদ সদস্য আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম রাজাকার পরিবারের সদস্য। তার বড় ভাই হাকিম হাফেজ আজিজুল ইসলাম নেজামে ইসলামি পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ছিলেন। পাক হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতা মুক্তিযোদ্ধাদের শায়েস্তা করার জন্য তার নেতৃত্বেই ঢাকায় প্রথম শান্তি কমিটি গঠন হয়। একই সঙ্গে তিনি রাজাকার, আল বদর আল শাসম বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসই স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ড চালানোর পাশাপাশি মু্ক্তিযোদ্ধাদে কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বড় ভাইকে সার্বিক সহযোগিতা করেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় তার রাজাকার ভাইয়ের মালিকাধীন প্রিন্টিং প্রেসে তিনি ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। ১৯৬৯ সালে দেশে পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলন জোরদার হলে নেজামের ইসলাম পার্টির পক্ষ থেকে পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষার প্রচারণা চালানোর জন্য 'নেজামে ইসলাম' নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। হাকিম অজিজুল ইসলাম পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। শেখ মজিবুর রহামনসহ পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনকারীদের নিয়ে তিনি পত্রিকায় 'ইবলিশের দিনলিপি' নামে প্রতি সপ্তাহে বিশেষ সম্পাদকীয় লিখেন। অ্যাডভোকেট কামরুল ১৯৯৪ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতেতে সক্রিয় হন। এর মধ্যে দিয়ে রাজাকার

পরিবারের গন্ধ হতে মুক্ত হতে চান তিনি। তার ব্যাপারে ‌‌'মুক্তিযুদ্ধে ইসলামী দল'শীর্ষক বইয়ে বিস্তারিত উল্লেখ আছে।

. লে.কর্ণেল (অব) ফারুক খান: পর্যটন মন্ত্রী আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানীদের পক্ষে দিনাজপুরে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি পাকিস্তানী সেনাবাহীনীর পক্ষে প্রথম অপারেশন চালান এবং কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা নিরীহ বাঙালিকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। সুত্র: "দিনাজপুরের মক্তিযুদ্ধ" বই।

. ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন: ফরিদপুর আসনের সংসদ সদস্য, মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। তিনি শান্তি বাহিনী গঠন করে মুক্তিযোদ্বাদের হত্যার জন্য হানাদার বাহিনীদের প্ররোচিত করেন। " দৃশ্যপট একাত্তর: একুশ শতকের রাজনীতি আওয়ামী লীগ" বইয়ের ৪৫ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন শান্তি কমিটির জাদরেল নেতা ছিলেন। তার পিতা নুরুল ইসলাম নুরু মিয়া ফরিদপুরের কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন।

. অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন: ময়মনসিংহ আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার

শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন বলে গত বছরের এপ্রিল ট্রাইবুনাল ওয়ার ক্রাইম ফাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির আহবায়ক ডা, এম হাসানের দেয়া যুদ্ধাপরাধের তালিকায় (ক্রমিক নং-৭৩) উল্লেখ করা হয়েছে। যা গত ২২ এপ্রিল দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। দিকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে তার বিরুদ্বে গত এপ্রিল ফুলবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক জোড়বাড়িয়া গ্রামের ওয়াহেদ আলী মণ্ডলের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে ময়মনসিংয়ের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।

. সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী: আওয়মী লীগের সেকেন্ড ইন কমান্ড সংসদ উপনেতা ফরিদপুর- আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর কাছে একজন আস্থাভাজন নেত্রী ছিলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচিতদের মধ্যে থেকে ৮৮ জনকে পাকিস্তানের সামরিক সরকার আস্থাভাজন এন এন মেম্বার অব ন্যাশনাল

এজেন্সী হিসেবে ঘোষণা করে ১৯৭১ সালে আগষ্ট পাকিস্তানের তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত ওই তালিকায় সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নাম ছিল ৮৪ নম্বরে।

জেনারেল রোয়াদেদ খান ওই দিন ইসলামাবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তালিকা প্রকাশ করেন। পাকিস্তানের পক্ষে সমর্থন জানানো এবং মুক্তিযোদ্ধাদের

বিরুদ্ধে ভূমিকা পালন করার সুবাদে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন বলে জানা গেছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত গেজেটে তথ্য উল্লেখ আছে।

. সৈয়দ জাফরউল্লাহ: আওয়ামী লীগের প্রেসেডিয়াম সদস্য সৈয়দ জাফরউল্লাহ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষ হয়ে কাজ করেছেন। মাসিক "সহজকথা" আয়োজিত যুদ্ধাপরাধের বিচার:বর্তমান প্রেক্ষাপট শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য

দিতে গিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আওয়ামী লীগের বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ জাফরঊল্লাহ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন। জাফর উল্লাহ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানীদের পূর্ণ সমর্থন দেন। "মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান " বইয়ে বিস্তারিত উল্লেখ আছে।

. মুসা বিন শমসের: গত বছরের ২১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষোভ প্রকাশ করে ফরিদপুরের নেতাদের কাছে প্রশ্ন করেন, শেখ সেলিম যে তার ছেলেকে ফরিদপুরের রাজাকার মুসা বিন শমসেরর মেয়ে বিয়ে করিয়েছেন তার কথা কেউ

বলছেন না কেন? খবর ২২ এপ্রিল আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখ্য, মুসা বিন শমসের গোপালগঞ্জ- আসনের সংসদ সদস্য। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছেলের বেয়াই। ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইডিং কমিটির আহবায়ক ডা: এম হাসান যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ৩০৭ জনের নাম উল্লেখ করেছেন। সেখানে ফরিদপুর জেলায় গণহত্যাকারী হিসেবে মুসা বিন শমসের নাম রয়েছে। তিনি নিরীহ বাঙ্গালীদের গণহত্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং মুক্তিযোদ্দ্ধাদ ের হত্যাসহ নির্মম নির্যাতন করেছেন বলে জানা গেছে।

. মির্জা গোলাম কাশেম: জামালপুর আসনের সংসদ সদস্য, যুবলীগের লীগের সাধারণ সম্পাদক সরকার দলীয় হুইপ মির্জা গোলাম আযমের বাবা। ১৯৭১ সালে মির্জা কাশেম জামালপুরের মাদারগঞ্জে শান্তি কমিটির জাদরেল নেতা ছিলেন। তিনি রাজাকার, আল-বদরদের গঠন করে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেন। তার বিরুদ্ধে

নারী ধর্ষণ লুটপাটের একাধিক অভিযোগ আছে। যা "জামালপুরের মুক্তিযুদ্ধ ( "১৯৮১ সালের সংস্বকরণ" বইয়ে উল্লেখ আছে। মির্জা কাশেম জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন। প্রিয় নেতার নামানুসারে ছেলের নাম রাখেন মির্জা গোলাম আযাম।

. এইচ এন আশিকুর রহমান: রংপুর আসনের সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক এইচ এন আশিকুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ হতে ১৬

ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তার সরকারের অধীনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে টাঙ্গাইলে কর্মরত ছিলেন। সময় তিনি পাকিস্তান সরকারকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করেন। এস এস এম শামছুল আরেফিন রচিত '

মুক্তিযুদ্বের প্রেক্ষাপট ব্যক্তির অবস্থান' বইয়ের ৩৫০ পৃষ্টায় পূর্ব

পাকিস্তানে কর্মরত বাঙালি অফিসারদের তালিকায় তার নাম প্রকাশিত হয়েছে। জানুয়ারি রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে বলেন, রাজাকার আশিকুর রহমান আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ বলে তার বিচার করবেন না তা হয় না। আমরা সব রাজাকারের বিচার চাই। মন্ত্রীসভায় রাজাকার রেখে রাজাকারের বিচার করা যায় না।

১০. মহিউদ্দিন খান আলমগীর: চাদপুর- আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্ রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ হতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ময়মনসিংহে অতিরিক্তি জেলা প্রশারক পদে কর্মরত ছিলেন।

তিনি পাকিস্তান সরকারের অধীনে চাকরি করে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানকে সহযোগিতা করেছেন। তার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে। সময় আরেফিন রচিত "মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান বইয়ের ৩৫০ পৃষ্ঠার মুক্তিযুদ্ধের সময় পূর্ব পাকিস্তানের কর্মরত বাঙালি অফিসারদের তালিকা সূত্রে তথ্য জানা গেছে। তাকে চিহ্নিত রাজাকার হিসেবে আখ্যা দিয়ে গত ফেব্রুয়ারি তার বিচার দাবি করেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

১১. মাওলানা নুরুল ইসলাম: জামালপুরের সাবেক সংসদ সদস্য সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মাওলানা নুরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে জামালপুর সরিষা বাড়ী এলাকার রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। তার নেতৃত্বে রাজাকাররা এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। " দৃশ্যপট এক্ত্তার: একুশ শতকের রাজনীতি আওয়ামী লীগ" গ্রন্থের ৪৫ পৃষ্ঠায় এর বিবরণ দেয়া আছে। ছাড়া গত ২৮ এগ্রিল দৈনিক আমাদের সময় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে মাওলানা নুরুল ইসলামকে সরিষাবাড়ি এলাকার রাজাকার কমান্ডার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

১২. মজিবর রহামান হাওলাদার: কুটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান হাওলাদার সশস্ত্র রাজাকার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন এলাকায়

বসতবাড়ীতে অগ্নিকাণ্ড ঘটানোসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলেন তিনি। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জের যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় তার নাম নম্বরে তালিকা প্রকাশ করা হয় ২০০৮ সালের আগষ্ট। দ্বিতীয় বার গত এপ্রিল যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সে তালিকায়ও যুদ্বাপরাধী হিসেব তার নাম আছে।

১৩. আবদুল বারেক হাওলাদার: গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রাফেজা বেগমের পিতা আবদুল বারেক হাওলাদার ৭১ দালাল

ছিলেন। গোপালগঞ্জের কোটলীপাড়া ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জের যুদ্বপরাধীর তালিকায় তার নাম ৪১ নম্বরে। তালিকা প্রকাশ করা হয় ২০০৮ সালের আগষ্ট দ্বিতীয় বার গত এপ্রিল যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সে তালিকাতেও তার নাম আছে। বারেক হাওলাদার মুক্তিযুদ্ধের সময় নারী নির্যাতনের সাথে জড়িত ছিলেন।

১৪. আজিজুল হক: গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রাফেজা বেগমের ভাই আজিজুল হক কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। গোপালগঞ্জের

কোটলীপাড়া ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জের যুদ্বপরাধীর তালিকায় তার নাম ৪৯ নম্বরে। তালিকা প্রকাশ করা হয় ২০০৮ সালের আগষ্ট। দ্বিতীয় বার গত এপ্রিল যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানেও তার নাম রয়েছে।

১৫. মালেক দাড়িয়া: আওয়ামী লীগ নেতা গোপালগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবুল কালাম দাড়িয়ার বাবা মালেক দাড়িয়া কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। তিনি ছিলেন আল বদরের একনিষ্ঠ সহযোগী। গণহত্যায় নেতৃত্ব দেন তিনি। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বক্ষরিত গোপালগঞ্জের যুদ্বাপরাধীর তালিকায় তার নাম ১৪০ নম্বরে। তালিকা প্রকাশ করা হয় ২০০৮ সালের আগষ্ট।

১৬. মোহন মিয়া: গোপালগঞ্জ কোটারিপাড়া উপজেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি আমির হোসেনের পিতা মোহন মিয়া মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের দালাল রাজাকার

ছিলেন। স্থানীয় মু্ক্তিযোদ্ধাদে বাড়ি লুটপাট করে অগ্নিসংযোগ করেছেন। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জের যুদ্ধাপরাধীদের তালিকায় তার নাম ছিল ১৫৭ নম্বরে।

১৭. মুন্সি রজ্জব আলী দাড়িয়া: উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া দাড়িয়ার বাবা মুন্সি রজ্জব আলী দাড়িয়া রাজাকার ছিলেন। যুদ্বাপরাধীর তালিকায় তার নাম আছে। তিনি পাকিস্তানীদের গুপ্তচর হিসেবে কাজ

করতেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কর্মকাণ্ডের গোপন খবর পাকবাহিনীকে পৌঁছে দিতেন।

১৮. রেজাউল হাওলাদারঃ কোটালিপাড়া পৌর মেয়র স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এইচ এম অহেদুল ইসলামের ভগ্নিপতি রেজাউল হাওলাদের নাম ২০৩ জন রাজাকার, আল বদর, আলশামসসহ গত এপ্রিল প্রকাশিত কোটালিপাড়ার যুদ্বাপরাধীর তালিকায় রয়েছে। তিনি আল বদর সদস্য হিসেব স্থানীয় মু্ক্তিযোদ্ধাদে বিরুদ্ধে নানা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন।

১৯. বাহাদুর হাজরাঃ কোটালিপাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা পৌর মেয়র এইচ এম অহেদুল ইসলামের পিতা বাহাদুর হাজরার নাম গত এপ্রিল প্রকাশিত কোটালিপাড়ার যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় রয়েছে। তিনি একজন সক্রিয় রাজাকার ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাসহ নানা অপকর্মে জড়িত ছিলেন।

২০. আ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদারঃ গোপালগঞ্জের পি পি আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদারের নাম গত এপ্রিল প্রকাশিত কোটালিপাড়ার যুদ্বাপরাধীর তালিকায় রয়েছে। তিনি পাকিস্তানীদের দোসর আল বদর বাহিনীর সহযোগী ছিলেন। আল বদর বাহিনীর সকল ধরনের কর্মকাণ্ডে অংশ গ্রহণ করতেন তিনি।

২১. হাসেম সরদার: অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদারের পিতা হাসেম সরদারের নাম কোটালীপাড়ার যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় রয়েছে। তিনি একজন রাজাকার ছিলেন। ৭১ সালে তার নেতৃত্বে অনেক সাধারণ বাঙালির বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল।

২২. আবদুল কাইয়ুম মুন্সি: জামালপুর বকশিগঞ্জ আওয়ামী লীগ সভাপতি অবুল কালাম আজাদের পিতা আবদুল কাইয়ুম মুন্সীর বিরুদ্বে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী বাহিনীকে সহয়তা মুক্তিযোদ্বাদের হত্যাসহ অগ্নিসংযোগের অভিযোগে গত এপ্রিল জামালপুর আমলি আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মালিচর নয়াপাড়া গ্রামের সিদ্দিক আলী মামলা দায়ের করেন। আবদুল কাউয়ুম মুন্সী পাকিস্তানী বংশোদ্ভুত বলে জানা গেছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে আবদুল কাউয়ুম মুন্সী পাক হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য বকশিগঞ্জে আল বদর বাহিনী গড়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। পাক বাহিনীর

সাথে থেকে অনেক মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেন।

২৩. নুরুল ইসলাম-নুরু মিয়া: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পিতা নুরুল ইসলাম নূরু মিয়া ফরিদপুরের কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। গত ২১ এপ্রিল ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন। সময় তারা মন্ত্রী তার ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, তার বাবা নূরু মিয়া মু্ক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকর ছিলেন। এর উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফরিদপুরের রাজাকারের তালিকায় ১৪ নম্বরে নুরু মিয়ার নাম থাকলেও তিনি যুদ্বাপরাধী ছিলেন না। পরের দিন ২২ এপ্রিল আমার দেশ পত্রিকায় খবরটি প্রকাশিত হয়। নুরু মিয়ার অপকর্মের বিষয়ে 'মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির

অবস্থান' বইয়ে বিস্তারিত বলা আছে। জানা যায়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জন প্রতিনিধি হয়েও আওয়ামী লীগের ২৭ নেতা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছিলেন। তারা কেউ ছিলেন (এম এন ) জাতীয় পরিষদ সদস্য, আবার কেউ ছিলেন (এম

পি ) প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত সদস্য। মুক্তিযুদ্ধে তারা হানাদার বাহিনীকে সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন। দেশের মুক্তিযোদ্বাদের হত্যা, নারী ধর্ষণ, লুটতরাজ এবং বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ সহ নানা ধনের মানবতা বিরোধী অপরাধের সাথেও তারা যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুজিবনগরের সরকারের মন্ত্রী পরিষদ, যুদ্ধাপরাধের সংক্রান্ত কিছু বই থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সব নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। এবার দেখা যাক মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গাহীন-চেতনা বাস্তবায়নে ব্যস্ত আমাদের বাআল সরকার কি ব্যবস্থা নেয়! নিশ্চয়ই নিজের ঘর আওয়ামী লীগকে রাজাকার মুক্ত করতে বাআলের মধ্যে থাকা রাজাকারগুলোর বিচার করবে তারা। তো আর দেরি কেন-প্রধানমন্ত্ রীর বেয়াই মোশাররফকে দিয়েই শুরু হোক



From: SyedAslam <syed.aslam3@gmail.com>
To: chottala@yahoogroups.com; notun Bangladesh <notun_bangladesh@yahoogroups.com>; Khobor <khabor@yahoogroups.com>
Sent: Friday, May 10, 2013 12:37 AM
Subject: রাজাকার, রাজাকারপন্থী, রাজাকারের বাচ্চাদের কর্তৃত্ব এ দেশে আর হবে না ॥ দ্বিতীয় কিস্তি ॥

শুক্রবার, ১০ মে ২০১৩, ২৭ বৈশাখ ১৪২০
রাজাকার, রাজাকারপন্থী, রাজাকারের বাচ্চাদের কর্তৃত্ব এ দেশে আর হবে না
মুনতাসীর মামুন
৫ মে সকাল থেকে অধিকাংশ ঢাকাবাসী ছিলেন টেলিভিশনের সামনে। বিদ্যুতায়িত মাধ্যম এখন অতি শক্তিশালী। প্রায়ই আমি এ তত্ত্বটি উল্লেখ করি তা'হলো, বাঙালীরা জেনেটিক্যালি গ-গোলে জাতি এবং তাদের ঝোঁক ডানপন্থার দিকে। আওয়ামী লীগকে ধরা হয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। আসলে তা' নয়। সম্মিলিতভাবে আওয়ামী লীগবিরোধী ভোটের সংখ্যা বেশি। সে জন্য আওয়ামী লীগ নেতারা সবসময় ভোটার নিয়ে চিন্তিত থাকেন বেশি। আওয়ামী লীগেও ডানপন্থার ঝোঁক প্রবল, হেফাজতী ইস্যুতে যা ফুটে উঠেছে। শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বের দু'টি দিক আছে। তার বর্তমান আমলে, সবচেয়ে বেশি নাশকতামূলক ঘটনা ঘটেছে এবং এর পিছে কোন না কোনভাবে বিরোধীদের চক্রান্ত ছিল। এত চক্রান্ত দমন করে টিকে থাকা দুষ্কর। সে কারণে তিনি মানসিকভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন গুটিকতক নেতা-আমলা ও সেনাবাহিনীর ওপর। তার পৃষ্ঠপোষকতায় যারা নেতা বা ক্ষমতাবান তারা সবাই যোগ্য ও বিশ্বস্ত এমন কথা শেখ হাসিনার একান্ত শুভার্থীরা তার সামনে বললেও, অপ্রকাশ্যে বলেন না। পৃষ্ঠপোষকতায় যারা নেতা হয়েছেন তারা 'ইয়েস মিনিস্টার' ছাড়া কোন পরামর্শ দেয়ার সাহস রাখেন না বা নেতা সেই সুযোগও দেন না। শুধু তাই নয়, মধ্যবিত্ত সিভিল সমাজের সঙ্গে তার সম্পর্কও বিচ্ছিন্ন। এ কারণে, তার অবস্থান এখন দুর্বল, যদিও তিনি ভাবেন সবল। এর প্রতিফলন দেখি, আওয়ামী লীগের মিছিলে যেখানে ৫০ জনের বেশি হয় না বা সমাবেশে যেখানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কতজন আসে সন্দেহ। এ দুর্বলতাগুলো তার মতো রাজনীতিবিদ একেবারে অনুভব করেন না তা নয়, কিন্তু উপেক্ষা করেন। তার আমল শেষ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু গ্রেনেড হামলা, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা, মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলা এখনও শেষ করা গেল না বা রায় কার্যকর হয়ত করা যাবে না। একদিন এজন্য তিনি আফসোস করবেন। 
এ দুর্বলতাগুলো পরিস্ফুট হয়েছিল দেখেই বিএনপি-জামায়াত এমনভাবে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছিল। সব গুরুত্বপূর্ণ পদে নারী দেয়াতে চমক থাকতে পারে কিন্তু তা নারীর ক্ষমতায়ন নয়, ভোট আকর্ষণও নয়। মাদ্রাসা আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক নয়। তাদের তোষামোদ করলেও নয়। এ কথা নীতি নির্ধারকরা বিশ্বাস করেন না- এমন এক কল্পনার জগতে তারা বাস করেন। আওয়ামী লীগ আমলে দু'টি প্রতিষ্ঠান লাভবান হয়- এক. মিলিটারি, দুই. ধর্ম (মাদ্রাসা ইত্যাদি)। আওয়ামী নেতৃত্বের ধারণা এদের সন্তুষ্ট রাখলেই মোক্ষ হাসিল হবে। দু'টি ধারণাই ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তুলনামূলকভাবে মাদ্রাসা শিক্ষা যত লাভবান হয়েছে এ আমলে, অন্য কোন আমলে তা হয়নি। শুধু তাই নয়, শিক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের ইতিহাস (১৯৪৭-১৯৭৫) বাধ্যতামূলক না করে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ধর্ম শিক্ষা যা দেশকে আরও মৌলবাদী করবে। এ আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল আহমাদ শফীর কারণে। তিনি প্রতিদান কী দিলেন?
জামায়াতের বিরোধী আরও 'ইসলামী' দল আছে যারা একটা পর্যায় পর্যন্ত আওয়ামী লীগ বা ১৪ দলকে সমর্থন দেয়। ইসলামী দল মানেই ইসলামের ব্যবহার। আমাদের এখানে ইসলামী চিন্তার ক্ষেত্রে ধারা দুটি- দেওবন্দী ও বারলেভি। দু'টিই হানাফি ফিকাহ্্ অনুসরণকারী এবং দুটিই বিশ্বাসী তকলিফে ইজতেহাদে নয়। দেওবন্দীরা নবী (স.) অতীন্দ্রয়বাদীতায় বিশ্বাসী নয়। মাজার, মিলাদ পীর প্রভৃতি দেওবন্দী ধারায় বিদ'আ। তারা পছন্দ করে না বারলেভি, আহমদিয়া, আহলে হাদিস ও শিয়াদের। দেওবন্দীদের প্রতিক্রিয়ায় বারলেভির আহমেদ রেজা খান (১৮৪৪-১৯২১) গড়ে তোলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআ'ত। তারাও তকলিফে বিশ্বাসী, কিন্তু নবী (স)-এর অতীন্দ্রয়বাদ, মাজার, পীর তারা মানেন। তারাও বিরোধী তবলিগ, আহমদিয়া, আহলে হাদিস, শিয়া ও দেওবন্দীদের। সুতরাং তফাত সামান্য। মওদুদীবাদের সঙ্গে দেওবন্দীদের কী খুব একটা বিরোধ আছে তাত্ত্বিক দিক থেকে? ওই রকম বিরোধ থাকলে কিন্তু হেফাজতীরা জামায়াতী হতো না। আহমাদ শফী অনেক লিখেছেন জামায়াতীদের বিরুদ্ধে, কিন্তু অন্তিমে মওদুদীবাদকেই গ্রহণ করেছেন- এটি মনে রাখা বাঞ্ছনীয়। বরং এখন দেখা যাচ্ছে বারলেভিদের সঙ্গে বরং তাদের বিরোধটা তীব্র। শাসকদের অধিকাংশ বারলেভিপন্থী; তাই তাদের উচিত ছিল দেওবন্দীদের তোষণ করা নয়, কৌশলগত কারণে বারলেভিদের পৃষ্ঠপোষকতা করা- একথা মনে রেখে যে, অন্তিমে এরা কেউ ১৯৭২ সালের সংবিধান বা সেক্যুলার সমাজে রাজি নয়। কিন্তু, তা না করে দেওবন্দীদের অতি তোষণের ফলে আজ এরকম হযবরল অবস্থা। শোনা যায়, মিথ্যাও হতে পারে- সরকার ও বিরোধী দল দুতরফ থেকেই টাকা খেয়েছে হেফাজতীরা। 
ইসলামের ইতিহাসে ইয়াজীদ যে ভূমিকা পালন করেছেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসে সে ভূমিকা পালন করেছেন। বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় তখন মাদ্রাসা থেকে সেক্যুলার ইস্কুলের সংখ্যা ছিল বেশি। জিয়াউর রহমান ইয়াজীদের মতো ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য ইসলাম ব্যবহার শুরু করলেনআসলে নবী (স)-এর পর থেকেই ক্ষমতায় থাকার জন্য ধর্মের ব্যবহার শুরু, ইয়াজীদ তার একটি পর্যায় মাত্র। সেই থেকে এখন পর্যন্ত সে ধারায়ই চলছে। তবে, জিয়ার কাছে জাতি কৃতজ্ঞ যে, পাকিস্তানীদের মতো তিনি সবার লুঙ্গি পরীক্ষা করে মুসলমানি করাননি। পাকিস্তানীরা আমাদের মুসলমানত্ব দেখার জন্য ওই পর্যন্তও যেত। ভিকারুননিসা নূন যখন গবর্নর পতœী তখন তার নামাঙ্কিত স্কুলের নামকরণ করতে এসে বলেছিলেন, বাঙালীরা খতনাও করে না, সুতরাং তারা মুসলমান না। পরের দিন পোস্টার পড়েছিল তার সাহসের প্রশংসা করে যে, তার মতো একমাত্র পাঞ্জাবি মহিলাই পারে এতজনের মুসলমানত্ব পরীক্ষা করতে। এরপর থেকে মুসলমানত্ব সম্পর্কে তার যাবতীয় বাতচিত বন্ধ হয়ে যায় এবং এর কিছুদিন পরই ওই দম্পতি ঢাকা ত্যাগ করেন। আসলে এই স্কুলের নামটি বদল হওয়া উচিত। যিনি বাঙালীর খতনায় বিশ্বাসী নন তার নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। 
যাহোক, জিয়া-এরশাদ ইসলামের নামে খুন-জখম-লুট-ব্যভিচার কিছুই বাদ রাখেননি। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ এতে রক্ষণাত্মক ভূমিকা গ্রহণ করে। তারা যে মুসলমান এটি বিএনপি ও জাতীয় পার্টি বা জামায়াতের কাছে পরীক্ষা দেয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠে। এভাবে ব্যবহারকারী ও যারা ধর্মকে ব্যবহার করতে চায় না, দু'পক্ষই ধর্মকে স্পেস ছেড়ে দিতে লাগল, সঙ্কুচিত হয়ে গেল ধর্ম-সহিষ্ণুতা বা ধর্মনিরপেক্ষতার জায়গাটা। আমরা কখনও চ্যালেঞ্জ করে বলিনি, যারা আমাদের ধর্ম সম্পর্কে প্রশ্ন তোলে তারাই ধর্মবিরুদ্ধ, তারাই ধর্মদ্রোহী।
এই স্পেস ছেড়ে দেয়ার ফলে চারদিকে শুধু ধর্ম শিক্ষা নিয়ে আলোচনা। পাকিস্তান আমলে যা ছিল না বাংলাদেশ আমলে তা দেখা গেল। বিদ্যুতায়িত মাধ্যমে প্রতিদিন ধর্ম শিক্ষা, রোজার দিন পারলে সারাদিন, কাগজে ধর্ম শিক্ষা, স্কুলে বাধ্যতামূলক ধর্ম শিক্ষাÑ এসব কিছু আমাদের অজান্তে আমাদের মানসিকতায় মৌলবাদের স্পেস করে দিচ্ছে। একটি উদাহরণ দেই। সাংবাদিকরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক সাহসী ভূমিকা রেখেছেন, ইতিবাচকও, কিন্তু বিরাট সংখ্যক সাংবাদিক জেনে না জেনে যা করেছেন গত ফেব্রুয়ারি থেকে, তা হেফাজতীকেই তুলে ধরেছে বা মৌল জঙ্গীবাদকে উজ্জীবিত করছে। হেফাজতের দু'টি সমাবেশই লাইভ ব্রডকাস্ট করা হয়েছে। আহলে সুন্নতের নয়, যদিও তাদের সমাবেশও কম বড় ছিল না। মহিলাদের বড় সমাবেশ হয়েছে মফস্বলে হেফাজতীদের বিরুদ্ধে, সেটিও গুরুত্ব পায়নি। বিভিন্ন টকশোতে হেফাজতীদের এনে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেয়ানো হয়েছে। ভারসাম্যের নামে মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধাপরাধীদের সম্পর্কে মিথ্যা তথ্যের বয়ান করা হয়েছে। ৫ মে, ঢাকার উপকণ্ঠ থেকে এক সাংবাদিক আবেগাপ্লুত কণ্ঠে জানালেন, দলে দলে তৌহিদী জনতার সমাবেশ ঘটছে। মনে হচ্ছিল পারলে তিনিও সেখানে যোগ দেন। ওই সাংবাদিক 'তৌহিদে'র মানে জানেন কী না সন্দেহ। আরেক সাংবাদিক জানালেন, 'লাখো কোটি' মানুষের সমাবেশ হচ্ছে উপকণ্ঠে। বিশ্বাসযোগ্য? '৭১-এর মতো টিভি, সবার মতে যা '৭১-এ বিশ্বাসী, তাদের সাংবাদিক জানালেন, ঝাঁকে ঝাঁকে বুলেট ছোড়া হয়েছে। ঝাঁকে ঝাঁকে বুলেট ছুড়লে মৃতের সংখ্যা হতো কতো? একই দিনে বিএনপির এক পাতি নেতা, যাকে প্রায় বিভিন্ন টকশোতে আনা হয়, তিনি বিজ্ঞের মতো জানালেন ১ কোটি মানুষের সমাবেশ হয়েছে। তিন মিটারে আটে দুজন। যদি আয়তন এক লাখ মিটারও হয় আটে কয়জন? এদের সঙ্গে বাহাস করতে যান আওয়ামী লীগ নেতারা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষজন। লজ্জার ব্যাপার আমাদের জন্য যে, ৪২ বছর পর মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল কিনা, যুদ্ধাপরাধী আছে কিনা তা নিয়ে আমাদের বাহাস করতে হবে। এ ভাবে, আমরা সবাই মিলে বিএনপি-জামায়াত হেফাজতী ও অন্য ধর্ম ব্যবসায়ীদের জায়গা ছেড়ে দিয়েছি এবং এ কাজগুলো করছে সমাজে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের হিসেবে পরিচিত টিভি চ্যানেলগুলো। বিরোধীরা এ ভাবে জায়গা ছেড়ে দেয় না। এখন কে যে জামায়াতী পয়সা খাচ্ছে না, আর কে খাচ্ছে, বলা দুষ্কর।
হেফাজতী যখন আমাকে, শাহরিয়ার বা জাফর ইকবালকে মুরতাদ বলে তখন আমাদেরও বলা উচিত তারা মুসলমান কিনা সেটা আমাদের ভেবে দেখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কাউকে নাস্তিক বললে, যে বলে তাকেও নাস্তিকই বলতে হবে। আহমাদ শফী বা তার দলের নেতারা যখন শেখ হাসিনার মতো ধর্মপ্রাণ মহিলাকে নাস্তিক বলেন এবং বলেন, কেবিনেটের ১৩ জন নাস্তিক তখন তাদের ধরে এনে বলা উচিত, তুমি যে আস্তিক প্রমাণ দাও। খালেদা জিয়ার মধ্যে এসব বদমায়েশগুলো আস্তিকতার চিহ্ন খুঁজে পায়, তাকে বোরখা না পরিয়ে এমনি অবলোকন করতে চায়, আর অন্য পক্ষের হলে নাস্তিক। এ চক্র থেকে আমাদের বেরুতে হবে। 
যখন জামায়াত ও হেফাজত খালেদা জিয়ার মধ্যে ইসলাম খুঁজে পায় আর শেখ হাসিনার মধ্যে হিন্দুত্ব খুঁজে পায় তখন প্রকাশ্যে বলার সময় এসেছে, এরা ইসলাম দূরের কথা ধর্মপ্রাণও নয়। মতলবি লোকজন শ্বাপদের মতো শিকারের খোঁজে বেরিয়েছে। হেফাজতের প্রত্যেক নেতাকে সাংবাদিকদের জিজ্ঞেস করা উচিত ছিল, তারা মক্কার হারাম শরীফ মানেন কিনা? সেখানে নামাজ পড়া সওয়াব কিনা? সেখানে মেয়ে- পুরুষ গাদাগাদি করে নামাজ পড়ে সেটি জায়েজ কিনা? আমি সেখানে সোমালীয় ও ইন্দোনেশীয় মহিলাদের ধাক্কায় কয়েকবার ভূপাতিত হয়েছি। আল্লাহর ঘরে মহিলা-পুরুষ এক সঙ্গে নামাজ পড়লে গুনাহ্্ হয় না আর বাংলাদেশী আহমাদ শফী নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষক বললেন, নারী পুরুষ এক সঙ্গে কাজ করতে পারবে না- সেটি কী ভাবে ঠিক? এই লোক কি আল্লার ওপর খোদকারি করতে চায় (নাউজিবিল্লাহ)? 
আমরা এসব প্রশ্ন না করে হুজুর হুজুর করি। আমাদের লজ্জা হওয়া উচিত। সাংবাদিকরা হেফাজতীকে অনেক বড় করে দেখিয়ে, তাদের এসব বিষয় না তুলে এনে এক ধরনের অন্যায় করেছেন। হেফাজতীদের মার খেয়েও শিক্ষা হয়নি প্রথমবার। লক্ষ্য করবেন, তারা যেসব চ্যানেলের সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে তারা অধিকাংশ সময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ হয়ে কাজ করেÑ মালিকানা একেবারে জামায়াত-বিএনপি ঘেঁষা নয়। সৎ সাহস থাকলে সাংবাদিকদের বলা উচিত হেফাজতকে আর মিডিয়া প্রচার দেয়া যাবে না। হ্যাঁ, যাবে যদি তাদের অপকর্মগুলো প্রচার করা হয়।
এখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তির বলা উচিত আমরা আর এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ব না। প্রয়োজনে সবাই মিলে যৌথ ফ্রন্ট করা উচিত এবং সে আহ্বান আসা উচিত এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে শেখ হাসিনার কাছ থেকে। শেখ হাসিনা যেমন একলা নিরাপদ নন- অন্যরাও একা নিরাপদ নন। একথা আর কেউ না বুঝুক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম নিশ্চয় বুঝছেন।

বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০১৩, ২৬ বৈশাখ ১৪২০
রাজাকার, রাজাকারপন্থী, রাজাকারের বাচ্চাদের কর্তৃত্ব এ দেশে আর হবে না
মুনতাসীর মামুন
॥ প্রথম কিস্তি ॥
বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০১৩, ২৬ বৈশাখ ১৪২০

Also Read:
ويقترح رجل الله يتصرف
†f‡¯Í †Mj †eMg wRqvi Ôeøy wcÖ›UÕ

হেফাজতের পাশে থাকার আহবান খালেদার
স্পেশাল করেসপন্ডেন্টবাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___