নববধূকে বরণে প্রস্তুত রংপুরবাসী
31 Jul, 2013
নগরবাসী ঐহিত্যবাহী ঘোড়াগাড়ি, গরুগাড়ি ও রিকশার বহর নিয়ে নববধূ রূপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের স্ত্রী ক্রিস্টিনা ওভারমায়ারকে বরণ করতে প্রস্তুত রয়েছেন।
বিয়ের পর এই প্রথম স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে নিজগ্রামে ফিরছেন জয়। সবাই অপেক্ষা করছেন, রংপুরের বধূ ক্রিস্টিনাকে দেখার জন্য।
জয়ের স্ত্রীকে নববধূ রূপে ঘোড়ার গাড়িতে করে নিজ ঘরে তোলার জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করে আছেন রংপুরবাসী। তারা শুধু নববধূকেই বরণ করবেন তা নয়, পরিচিত হবেন নাতী সোফির সঙ্গেও। এনিয়ে রংপুরবাসীর মধ্যেদেখা গেছে উৎসাহ-উদ্দীপনা।
বুধবার সকাল ১১টা ১০ মিনিটে ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে রংপুরের পীরগঞ্জের উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, জয়ের স্ত্রী ক্রিস্টিনা ওভারমায়ার ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সূত্র।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সূত্র আরও জানায়, দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর হেলিপ্যাডে নেমে প্রয়াত স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার ফতেহপুর বাসভবনে পারিবারিক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। এ জন্য গ্রামের বাড়ির পাশে নির্মাণ করা হয়েছে হেলিপ্যাড।
প্রধানমন্ত্রীর পরিবার সূত্র জানায়, হেলিকপ্টার থেকে নামার পর জয়ের স্ত্রীকে নববধূ রূপে ঘোড়ার গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হবে। এর পেছনে থাকবে গরুর গাড়ি ও রিকশার বহর। এ জন্য বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার দু'পাশে নির্মাণ করা হয়েছে রংবেরঙের তোরণ।
বাড়ির গেটে পৌঁছানোর পর ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে অতিথিদের বরণ করে নেওয়া হবে। এরপর সবার সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে জয়ের স্ত্রী ক্রিস্টিনা ওভারমায়ার ও সন্তান সোফিকে।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব আসিফ কবির বাংলামেইলকে বলেন, 'রংপুরবাসী সজীব ওয়াজেদ জয়ের স্ত্রীকে বরণ করবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর স্বামী মরহুম ড. ওয়াজেদ মিয়াসহ শ্বশুর পরিবারের মরহুম সদস্যদের কবর জিয়ারত করা হবে।'
এরপর দুপুর পৌনে ২টার দিকে ফতেহপুর বাসভবন থেকে পরবর্তী কর্মসূচি পালনের উদ্দেশে বের হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে জানান তিনি।
রংপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফরিদ আহমেদ বাংলামেইলকে জানান, দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ড. এম.এ. ওয়াজেদ মিয়া সেতুর উদ্বোধন, পীরগঞ্জ উপজেলায় নবনির্মিত জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর উদ্বোধন, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ও অফিসার্স ডরমেটরি ভবন উদ্বোধন, সার্কিট হাউজ এনেক্স ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, বিভাগীয় কমিশনার কমপ্লেক্স ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, পীরগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, মেরিন একাডেমি ও টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও পীরগঞ্জ পৌরসভা কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
এছাড়াও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য দুটি বাসের চাবি হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর বিকেল ৩টায় তিনি পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন। এ ছাড়া সজীব ওয়াজেদ জয়েরও বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে সেখানে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের সফর উপলক্ষে রংপুরের পীরগঞ্জ নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে আট জেলার আড়াই হাজার পুলিশ সদস্যসহ র্যাব, পিজিআর, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স।
প্রসঙ্গত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান সরকারের আমলে তৃতীয়বারের মতো রংপুর সফরে আসছেন। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জয় জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সদস্যপদ নিলেও এবারই প্রথম কোনো জনসভায় অংশ নিচ্ছেন তিনি।
বিয়ের পর এই প্রথম স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে নিজগ্রামে ফিরছেন জয়। সবাই অপেক্ষা করছেন, রংপুরের বধূ ক্রিস্টিনাকে দেখার জন্য।
জয়ের স্ত্রীকে নববধূ রূপে ঘোড়ার গাড়িতে করে নিজ ঘরে তোলার জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করে আছেন রংপুরবাসী। তারা শুধু নববধূকেই বরণ করবেন তা নয়, পরিচিত হবেন নাতী সোফির সঙ্গেও। এনিয়ে রংপুরবাসীর মধ্যেদেখা গেছে উৎসাহ-উদ্দীপনা।
বুধবার সকাল ১১টা ১০ মিনিটে ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে রংপুরের পীরগঞ্জের উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, জয়ের স্ত্রী ক্রিস্টিনা ওভারমায়ার ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সূত্র।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সূত্র আরও জানায়, দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর হেলিপ্যাডে নেমে প্রয়াত স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার ফতেহপুর বাসভবনে পারিবারিক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। এ জন্য গ্রামের বাড়ির পাশে নির্মাণ করা হয়েছে হেলিপ্যাড।
প্রধানমন্ত্রীর পরিবার সূত্র জানায়, হেলিকপ্টার থেকে নামার পর জয়ের স্ত্রীকে নববধূ রূপে ঘোড়ার গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হবে। এর পেছনে থাকবে গরুর গাড়ি ও রিকশার বহর। এ জন্য বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার দু'পাশে নির্মাণ করা হয়েছে রংবেরঙের তোরণ।
বাড়ির গেটে পৌঁছানোর পর ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে অতিথিদের বরণ করে নেওয়া হবে। এরপর সবার সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে জয়ের স্ত্রী ক্রিস্টিনা ওভারমায়ার ও সন্তান সোফিকে।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব আসিফ কবির বাংলামেইলকে বলেন, 'রংপুরবাসী সজীব ওয়াজেদ জয়ের স্ত্রীকে বরণ করবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর স্বামী মরহুম ড. ওয়াজেদ মিয়াসহ শ্বশুর পরিবারের মরহুম সদস্যদের কবর জিয়ারত করা হবে।'
এরপর দুপুর পৌনে ২টার দিকে ফতেহপুর বাসভবন থেকে পরবর্তী কর্মসূচি পালনের উদ্দেশে বের হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে জানান তিনি।
রংপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফরিদ আহমেদ বাংলামেইলকে জানান, দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ড. এম.এ. ওয়াজেদ মিয়া সেতুর উদ্বোধন, পীরগঞ্জ উপজেলায় নবনির্মিত জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর উদ্বোধন, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ও অফিসার্স ডরমেটরি ভবন উদ্বোধন, সার্কিট হাউজ এনেক্স ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, বিভাগীয় কমিশনার কমপ্লেক্স ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, পীরগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, মেরিন একাডেমি ও টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও পীরগঞ্জ পৌরসভা কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
এছাড়াও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য দুটি বাসের চাবি হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর বিকেল ৩টায় তিনি পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন। এ ছাড়া সজীব ওয়াজেদ জয়েরও বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে সেখানে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের সফর উপলক্ষে রংপুরের পীরগঞ্জ নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে আট জেলার আড়াই হাজার পুলিশ সদস্যসহ র্যাব, পিজিআর, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স।
প্রসঙ্গত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান সরকারের আমলে তৃতীয়বারের মতো রংপুর সফরে আসছেন। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জয় জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সদস্যপদ নিলেও এবারই প্রথম কোনো জনসভায় অংশ নিচ্ছেন তিনি।
উৎসঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
__._,_.___