জানা যায়, পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের সোনাকুল গ্রামে জিতেন্দ্রনাথ দাসের খরের গাদায় আগুন দেয় জামায়াত-শিবির। আগুনের লেলিহান শিখা বাড়ির ভেতর থেকে দেখতে পেয়ে বাড়ির লোকেরা বাইরে আসে। এ সময় জিতেন্দ্রনাথ দাসের ভাই সুজেন দাস (৫৮) অন্যদের সঙ্গে বাইরে এসে আগুনের লেলিহান শিখা দেখে আতঙ্কে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সুজেন দাসের মৃত্যুতে ওই এলাকার সংখ্যালঘুদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। একই রাতে জয়পুরহাট সদর উপজেলার মোহাম্মদাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব পারুলিয়ার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রামের সুকুমার দাস (৫০) নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে গোটা বাড়ি ভস্মিভূত হয়। পুলিশ সুপার হামিদুল আলম ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ ম-ল গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নেত্রকোনা প্রতিনিধি জানান, নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলা সদরের বটতলা গ্রামের অনিল বিশ্বাসের বাড়ির কালী মন্দিরে আগুন দিয়েছে দুবৃত্তরা। গত মঙ্গলবার রাতে আগুন দিলে বুধবার সকালে অনিল বিশ্বাস মন্দিরে গিয়ে দেখেন আগুনে দুটি প্রতিমার চুল পুড়ে গেছে, একটি প্রতিমার হাত ভাঙা। পরে পুলিশে খবর দিলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নাটোর প্রতিনিধি জানান, নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার ছতরভাগ গ্রামে দুর্বৃত্তের দেয়া আগুনে পুড়ে গেছে পাঁচ আওয়ামী লীগ কর্মীর বাড়ি ও সিংড়া উপজেলার দিঘলগ্রামের সংখ্যালঘু সমপ্রদায়ের ৪টি খড়ের গাদা। মঙ্গলবার গভীর রাতে পৃথক এ ঘটনা ঘটে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনদের খড়ের গাদায় আগুন দেয়ার প্রতিবাদে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদ।
ফায়ার ব্রিগেড, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও এলাকাবাসী জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতের কোন একসময় নলডাঙ্গা উপজেলার ছতরভাগ গ্রামের সোহেল, গিয়াস, সেন্টু, আসাদুল ও বাক্কারের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। আগুন ধরে উঠলে বাড়ির লোকজন টের পান। পরে গ্রামের লোকজন ও ফায়ার ব্রিগেড সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, তাদের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ টাকা। নলডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগ করার অপরাধেই ছতরভাগ গ্রামের ৪ জন কর্মীর বাড়িতে পরিকল্পিতভাবে এ নাশকতা ঘটিয়েছে বিএনপি-জামায়াত জোটের কর্মীরা। অভিযোগ অস্বীকার করে নলডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন জানান, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোন নেতাকর্মী জড়িত নেই।
অপরদিকে একই রাতে সিংড়া উপজেলার দিঘলগ্রামের সংখ্যালঘু সমপ্রদায়ের মুক্তিযোদ্ধা বিনয় কুমার সরকার, শিবেন চন্দ্র সরকার, চঞ্চল কুমার ও গৌড় চন্দ্রের বাড়ির খড়ের গাদায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে বাড়ির লোকজন টের পেয়ে নাটোর ফায়ার ব্রিগেড অফিসে বিষয়টি জানালে ফায়ার ব্রিগেড সদস্যরা এসে আগুন নেভায়। ক্ষতিগ্রস্ত দিঘল গ্রামের চঞ্চল কুমার জানান, গত ৫ জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার কারণে কেউ তাদের বাড়িতে আগুন দিয়েছে বলে তারা ধারণা করছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেফতারের দাবিতে বুধবার দুপুর ২টার দিকে নাটোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ জাফর উল্লাহ ও জেলা পুলিশ সুপার ড. নাহিদ হোসেনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদ।
নাটোরের পুলিশ সুপার ড. নাহিদ হোসেন আগুন ধরার সত্যতা স্বীকার করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও কেউ কোন মামলা করেননি।
রানীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি জানান, নওগাঁর রানীনগরে একই রাতে একটি তুলা বোঝাই গাড়ি ও সংখ্যালঘু পরিবারসহ ১১টি খড়ের পালা পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার পশ্চিম খট্রেশ্বর চকাদিন গ্রামে ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে কতিপয় দুর্বৃত্তর রাতের আঁধারে কুবড়াতলি এলাকার রেজাউলের তুলার মিলের পাশ্র্বে রাখা তুলা বোঝায় একটি ভুটভুটিতে,পশ্চিম খট্রেশ্বরের আলহাজ আবদুর রাজ্জাকের ২টি, তাজিমুদ্দিনের ১টি, আবুলের ১টি, মোসাদ্দেকের ২টি, শ্রী চরণের ১টি, গোপী মোহনের ১টি, প্রাণ চরণের ১টি ও সদাশ্রী চরণের ২টিসহ ১১টি খড়ের পালায় আগুন দিয়ে চলে যায়। এতে সব পালা ও তুলার গাড়ি পুড়ে ছাই হয়। এতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয় বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে ওসি (তদন্ত) ছামছুর রহমান জানান, রাতে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে তুলা বোঝাই ভটভটি ও খড়ের পালাগুলো পুড়িয়ে দিয়েছে। খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে। -
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ পৌষ ১৪২০, ৭ রবিউল আউয়াল ১৪৩৫, ৯ জানুয়ারি ২০১৪ |
চাঁপাতলায় শুধুই কান্না
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও তাণ্ডবের শিকার
যশোর-দিনাজপুরে হিন্দুদের
ওপর হামলা, ঘরে আগুন
ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুরা বলেছেন, ভোট না দিতে তাদের হুমকি দেয়া হচ্ছিল। ভোট দেয়ার পর বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article725920.bdnews
It has been a long 43 years. But the Hindus are still vulnerable to attacks by anti-liberation forces. They are not safe in independent Bangladesh as in East Pakistan before the Liberation War. Nobody can blame them if they feel this way after Sunday night's post-poll attacks by BNP-Jamaat men in Thakurgaon, Dinajpur, Rangpur, Bogra, Lalmonirhat, Rajshahi, Chittagong and Jessore. What will Mayarani feel? Jamaat-Shibir activists looted all her savings, even a...
BNP-Jamaat activists vandalised and looted 130 houses...
BNP, Jamaat attack Hindu village in Jessore
http://www.thedailystar.net/bnp-jamaat-attack-hindu-village-in-jessore-5665
Hindus Intimidated
Majority refrain from voting
http://www.thedailystar.net/majority-refrain-from-voting-5645
__._,_.___