Could some religionists explain to me why most of the religious preachers die such horrible deaths. Is this God's will also or what?
Jiten Roy
From: Mano Kinwan <mkinwan@gmail.com>
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Cc: mukto-mona-owner@yahoogroups.com
Sent: Sunday, January 22, 2012 10:48 AM
Subject: কারা চৈতন্যদেব কে হত্যা করেছিল?
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Cc: mukto-mona-owner@yahoogroups.com
Sent: Sunday, January 22, 2012 10:48 AM
Subject: কারা চৈতন্যদেব কে হত্যা করেছিল?
কারা চৈতন্যদেব কে হত্যা করেছিল?
জন্মিলে মরিতে হইবে। মর্ত্যে আগমনকারী সকল জীবের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
কিন্তু এই মহাপরাক্রমশালী মৃত্যুকে কাচঁকলা দেখিয়ে যিনি জগন্নাথ দেব বা
টোটা গোপীনাথের বিগ্রহে লীন হয়েছিলেন, তিনি হলেন হরে কৃষ্ণ, হরে রাম- নাম
সংকীর্তনের প্রচারক শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু।
কেন এই অদ্ভুত প্রস্থান? তিনি ভগবান কৃষ্ণের একজন অবতার ছিলেন, কৃষ্ণ নাম
প্রচার করতেন, কৃষ্ণ ভাবে বিভোর ছিলেন ; এজন্যই কি তিনি একটি বিগ্রহে লীন
হয়েছিলেন? নাকি পাথরের আঘাতে (মতান্তরে শ্বাসরোধে) তাঁর ক্ষতবিক্ষত
মৃতদেহ দেখলে সাধারন মানুষ যে ক্ষোভে ফেটে পড়বে সেটা অনুমান করতে পেরেই
আগেভাগে রটিয়ে দেওয়া হল যে তিনি বিগ্রহে লীন হয়ে গেছেন, তারপর পুরীর
জগন্নাথ মন্দিরের গোপন সুড়ঙ্গপথে তাঁর মৃতদেহ বের করে ভাসিয়ে দেওয়া হল
সমুদ্রের জলে (মতান্তরে জগন্নাথ মন্দিরে তাঁকে পুতেঁ ফেলা হয়)?
কিন্তু কেন তাঁকে মারা হল?
১৪৮৬ সালে জন্মগ্রহণকারী চৈতন্যদেব জীবনের প্রথম অবস্হায় ছিলেন একজন
ব্যাকরণবিদ। ২৩ বছর বয়সে তিনি আধ্যাত্মজগতের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং ২৪ বছর
বয়সে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন। উক্ত সময়ে অবিভক্ত ভারতবর্ষের রাজনৈতিক পট
পরিবর্তিত হয়ে চলছিল মুসলিম শাসন। অপরদিকে হিন্দু সমাজে ছিল উচ্চ বর্ণের
ব্রাহ্মণদের আধিপত্য। নিচু বর্ণের হিন্দুর ঘরের মেয়ের ১০ বছরের নিচে বিয়ে
না হলে কিংবা যবন মুসলমান কাউকে স্পর্শ করলে কিংবা ব্রাহ্মণদের দাবী না
মেটালে, ছোঁয়াছুঁয়ি নিয়মের ব্যতিক্রম - ইত্যাদি তুচ্ছ কারণে জাতিচ্যুত,
একঘরে হোত নিচু বর্ণের হিন্দুরা। অন্য পথ না পেয়ে তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ
করত আবার তাদের মন টাও পড়ে থাকত আত্মীয় স্বজনের কাছে। আরব- ইরান- তুরানের
অভিজাত মুসলমানদের কাছে যেমন তাঁরা সন্মান পেলনা ঠিক তদ্রুপ হিন্দুসমাজেও
আশ্রয় পেলনা। এই গুমোট দমবন্ধ সময়ে শ্রীচৈতন্য এগিয়ে আসেন।
পূর্বে তিনি ব্রাহ্মণদের পরাজিত করতেন ব্যাকরণের পান্ডিত্য দিয়ে আর এ সময়
তিনি ব্রাহ্মণদের পরাজিত করলেন তাঁর উদার মনোভাব দিয়ে। তিনি জাতিচ্যুত,
ধর্মচ্যুত হিন্দুরা স্বধর্মে ফিরে আসতে পারবে বলে ঘোষণা দিলেন। জাতিভেদ
প্রথাকে বাতিল করলেন। মন্দিরে অস্পৃশ্যদের প্রবেশাধিকার দিলেন। হিন্দু
নারীদেরকে কীর্তনে অংশ নেওয়ার অনুমতি দিলেন। তিনি দেবদাসী প্রথা রহিত
করার জন্য প্রথম সোচ্চার হন। মুসলমানদের কে তিনি ভ্রাতৃজ্ঞানে দেখার জন্য
বলেন (সূত্র:বাঙ্গালার ইতিহাস, ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত)
না, উগ্র ব্রাহ্মণরা খুশি হয়নি। হিন্দুধর্মের এইরূপ অধঃপতনে তারা ব্যাপক
রুষ্ট। চৈতন্যদেব যে তাঁদের ধর্মব্যাবসায় বাধা দিয়েছেন, শান্তি
স্বস্তায়ন, প্রায়শ্চিত্ত, পূজা পার্বন, শ্রাদ্ধের নামে মানুষকে শোষণ করে
আয় রোজগার করার পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। তাই শুরু হল ষড়যন্ত্র। বয়ে গেল
রক্তগঙ্গা।
জগন্নাথ মন্দিরে জগন্নাথ দেবকে পূজা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হোল
চৈতন্যদেবকে। কিন্তু এই মন্দিরে তখন কোন বিগ্রহ ছিলনা, বিগ্রহগুলো
সংস্কারের জন্য গুন্ডিচাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চৈতন্যদেব মন্দিরে ঢোকার
পর পিছন থেকে মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে (মতান্তরে শ্বাসরোধ করে) তাঁকে
হত্যা করা হল।
কিন্তু কেন এই মিথ্যা প্রচার?
এমনটা হতে পারে যে উগ্র ব্রাহ্মণ দের ভয়ে প্রথমে এটা চেপে যাওয়া হয়েছিল।
আর পরবতীঁকালে তাঁর এই লীন হয়ে যাওয়ার কাহিনী কে পুঁজি বানিয়ে তাঁকে
কৃষ্ণ অবতার বানিয়ে ধর্ম ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করেছে।
প্রকৃতপক্ষে ব্রাহ্মণরা লাভবান হয়েছে চৈতন্যদেব না থাকায়, তাদের সাপও
মরেছে, লাঠিও ভাঙ্গেনি। অপরদিকে বিগ্রহে লীন হওয়ার কাহিনীকে পুঁজি বানিয়ে
ব্যাবসা করেছে অন্যান্যরা। সবাই হয়েছে উপকৃত!
ডঃ নীহাররন্জন রায় ৫/৮/১৯৭৬ সালে পুরীর আনন্দময়ী আশ্রমের ডঃ জয়দেব
মুখোপাধ্যায় কে চিঠিতে লিখেছিলেন, "শ্রীচৈতন্যের গুমখুনের সমস্ত
ব্যাপারটাই একটা বহুদিনের চিহ্নিত, বহুজন সমর্থিত চক্রান্তের ফল।"
ডঃ দীনেশচন্দ্র সেন এর ধারণা পান্ডারাই চৈতন্যকে পিটিয়ে মেরেছে।
চৈতন্যের মৃত্যু নিয়ে যারাই সত্যসন্ধানে গবেষণামূলক কাজ করেছেন,
ভক্তিবিলাসীরা সে সব সহজভাবে মেনে নিতে পারেন নি। তাদের মধ্যে
অমূল্যচন্দ্র সেন ব্যাক্তিগত লান্হনার শিকার হন, ১৭/৪/১৯৯৫ তে জয়দেব
মুখোপাধ্যায়ের শোচনীয় মৃত্যু হয়।
দুর্গাপদ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "নীলাচলে থাকাকালীন চৈতন্যকে হত্যার
ষড়যন্ত্র হয়েছিল। গোবিন্দ বিদ্যাধর চৈতন্যের অপসারণ চেয়েছিলেন। জগন্নাথ
মন্দিরের দ্বাররক্ষক দীনবন্ধু প্রতিহারী চৈতন্যকে হত্যা করেছিলেন।"
একটি পুরানো চিঠি রাজমহেন্দ্রী মহাফেজখানার বাইরে এসে ডঃ জয়দেব
মুখোপাধ্যায়ের হাতে পৌঁছায় । চিঠিটি লিখেছেন রায় রামানন্দ। চিঠিটি লেখা
হয়েছিল চৈতন্যদেবকে । রায় রামানন্দ লিখেছিলেন যে মহাপ্রভুর এক শিষ্য
বিরোধীদের সাথে হাত মিলিয়েছে। নীলাচলে প্রভুর জীবন সংশয় হতে পারে।
মহাপ্রভুর শবদেহ কোথায় গেল: ডঃ জয়দেব মুখোপাধ্যায়ের মতে, কইলি বৈকুন্ঠ
অথবা টোটা গোপীনাথের মন্দিরে তাঁকে সমাধি দেওয়া হয়েছে। পুরীর ভারত
সেবাশ্রম সঙ্ঘের সচিব স্বামী অভিনবান্দজি বলেন, শ্রীচৈতন্যের দেহকে
মনিকোঠার রত্নবেদীর নিচে সমাধি দেওয়া হয়। ডঃ দীনেশচন্দ্র সেনের ধারণাও
এটাই। চৈতন্য বিশেষজ্ঞ পদ্মশ্রী সদাশিব রথশর্মার মতে, টোটা গোপীনাথের
বাঁধানো উঠানের বাম পাশ ঘেষেঁ যে দুটি ছোট তুলশী মন্দির আছে তার
অপেক্ষাকৃত পুরনোটি হল চৈতন্যের সমাধি মন্দির। অন্যান্যদের মতে তাঁর
মৃতদেহ সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
__._,_.___