বেত মেরে, ফেলের ভয় দেখিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রদের আনা হয়
হেফাজতের তাণ্ডব
আজাদ সুলায়মান ॥ কতই বা বয়স হবে ওদের? বড়জোর ১৪ থেকে ১৫। নির্দ্বিধায় বলা যায়- ওরা কিশোর। পূর্ণ যুবক হয়ে ওঠেনি। এ বয়সে তারা কেউ অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। কেউ নবম থেকে দশম শ্রেণীর।
কিন্তু তাতে কী? বয়স, জ্ঞান, বুদ্বি- কোন কিছুরই বিচার-বিশ্লেষণ করা হয়নি। আমলে নেয়া হয়নি ওদের আকুতি-মিনতি। মাদ্রাসার বড় হুজুরের নির্দেশ- যেতে হবে শাপলা চত্বরে। না গেলে উপায় নেই। দুনিয়া ও আখেরাতের শাস্তি ভোগ করতে হবে। আখেরাতের শাস্তি জাহান্নামের আগুনে পোড়ানো। সাপের কামড়ে কবরে আজাব হবে। পুলসিরাতের পুল পার হওয়া যাবে না। এমন ভয়ানক শাস্তির কথা শুনেও যাত্রাবাড়ীর একটি কওমি মাদ্রাসার কোমলমতি ছাত্ররা শাপলা চত্বরে যেতে রাজি হয়নি। তারপর শুরু হয় দুনিয়ার শাস্তি। অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র মারুফ, আব্বাস, ফজলুল হক ও জাফরকে নেয়া হয় ক্লাসের বাইরে। কড়া রোদের মধ্যে চিৎ করে সূর্যের দিকে মুখ ফিরিয়ে শুইয়ে দেয়া হয়। এভাবে প্রায় এক ঘণ্টা রাখা হয়। ওরা যখন সহ্য করতে না পেরে চিৎকার করছিল তখন ক্লাসের অন্যদেরও ডেকে এনে শাস্তির নমুনা সস্পর্কে অভিজ্ঞতা নেয়ার জন্য বলা হয়। অন্যরা তাতে রাজি হয় শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে যেতে। এমন শাস্তির মুখেই সে মাদ্রাসা থেকে ৬ শতাধিক ছাত্র যোগ দিতে বাধ্য হয়। যাদের একজন মারুফ তার মায়ের কাছে মাদ্রাসার বড় হুজুরের কঠোর নির্দেশের কথা জানিয়েছে। ছেলের অভিযোগের সত্যতা জানতে মা মাদ্রাসায় যেতে রওনা হন। তাতে বাদ সাধে মারুফ। মারুফ মাকে বলে, এটা জানতে গেলে বিপদ আরও বাড়বে। সামনে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেবে।
কিন্তু তাতে কী? বয়স, জ্ঞান, বুদ্বি- কোন কিছুরই বিচার-বিশ্লেষণ করা হয়নি। আমলে নেয়া হয়নি ওদের আকুতি-মিনতি। মাদ্রাসার বড় হুজুরের নির্দেশ- যেতে হবে শাপলা চত্বরে। না গেলে উপায় নেই। দুনিয়া ও আখেরাতের শাস্তি ভোগ করতে হবে। আখেরাতের শাস্তি জাহান্নামের আগুনে পোড়ানো। সাপের কামড়ে কবরে আজাব হবে। পুলসিরাতের পুল পার হওয়া যাবে না। এমন ভয়ানক শাস্তির কথা শুনেও যাত্রাবাড়ীর একটি কওমি মাদ্রাসার কোমলমতি ছাত্ররা শাপলা চত্বরে যেতে রাজি হয়নি। তারপর শুরু হয় দুনিয়ার শাস্তি। অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র মারুফ, আব্বাস, ফজলুল হক ও জাফরকে নেয়া হয় ক্লাসের বাইরে। কড়া রোদের মধ্যে চিৎ করে সূর্যের দিকে মুখ ফিরিয়ে শুইয়ে দেয়া হয়। এভাবে প্রায় এক ঘণ্টা রাখা হয়। ওরা যখন সহ্য করতে না পেরে চিৎকার করছিল তখন ক্লাসের অন্যদেরও ডেকে এনে শাস্তির নমুনা সস্পর্কে অভিজ্ঞতা নেয়ার জন্য বলা হয়। অন্যরা তাতে রাজি হয় শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে যেতে। এমন শাস্তির মুখেই সে মাদ্রাসা থেকে ৬ শতাধিক ছাত্র যোগ দিতে বাধ্য হয়। যাদের একজন মারুফ তার মায়ের কাছে মাদ্রাসার বড় হুজুরের কঠোর নির্দেশের কথা জানিয়েছে। ছেলের অভিযোগের সত্যতা জানতে মা মাদ্রাসায় যেতে রওনা হন। তাতে বাদ সাধে মারুফ। মারুফ মাকে বলে, এটা জানতে গেলে বিপদ আরও বাড়বে। সামনে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেবে।
__._,_.___