বুধবার, ৮ মে ২০১৩, ২৫ বৈশাখ ১৪২০
মুক্তিযুদ্ধের শেষ তিন মাস আলবদরের প্রধান ছিলেন মুজাহিদ
যুদ্ধাপরাধী বিচার
স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে বাদী যুক্তিতর্ক শুরু করেছেন। পরবর্তী যুক্তিতর্কের জন্য ১২ মে দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। যুক্তিতর্কে বাদী পক্ষ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের শেষ তিন মাস আলবদর বাহিনীর প্রধান ছিলেন মুজাহিদ। পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের দিন ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করতে চাননি তিনি। আলবদর বাহিনীকে আত্মসমর্পণ না করে 'জিহাদ' চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশদানসহ পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে অস্ত্রও চান মুজাহিদ। চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীনের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ আদেশ প্রদান করেছেন। ট্রাইব্যুনালে অপর দু'সদস্য ছিলেন বিচারপতি মোঃ মজিবুর রহমান মিয়া ও জেলা জজ মোঃ শাহিনুর ইসলাম। এদিকে একই ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিএনপি নেতা আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ১৮তম সাক্ষী মোস্তাফিজুর রহমানকে জেরা শেষ করেছে আসামিপক্ষ। পরবর্তী সাক্ষীর জন্য আজ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
মুজাহিদ ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে বাদী পক্ষের যুক্তিতর্ক শুরু হয়েছে। পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ মে। চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীনের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ আদেশ দিয়েছেন।
যুক্তিতর্ক শেষে প্রসিকিউশন পক্ষের প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল সাংবাদিকদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শেষ তিন মাস আলবদর বাহিনীর প্রধান ছিলেন আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ। পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের দিন ১৬ ডিসেম্বরও আত্মসমর্পণ করতে চাননি তিনি। আলবদর বাহিনীকে আত্মসমর্পণ না করে 'জিহাদ' চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশদানসহ পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে অস্ত্রও চান মুজাহিদ।
প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল আরও জানান, ১৯৭১ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাসের ১ম সপ্তাহ পর্যন্ত ইসলামী ছাত্রসংঘের ঢাকা জেলার শাখার সভাপতি হিসেবে, এরপর জুলাই মাসের ১ম সপ্তাহের পর থেকে পূর্ব পাকিস্তান (অবরুদ্ধ বাংলাদেশ) শাখার সেক্রেটারি হিসেবে এবং পরবর্তীতে এই সংগঠনের প্রাদেশিক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ। ইসলামী ছাত্রসংঘের সদস্যদের নিয়ে গঠিত আলবদর বাহিনীর ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধান ছিলেন ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি মতিউর রহমান নিজামী এবং অক্টোবর থেকে সে বাহিনীর প্রধান হন মুজাহিদ।
তিনি আরও জানান, এমনকি একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পণের প্রস্তুতির সময়ও তার আলবদর বাহিনী নিয়ে আত্মসমর্পণ না করার সিদ্ধান্ত নেন মুজাহিদ। তিনি আলবদর বাহিনীর সদস্যদের আত্মসমর্পণ না করে 'জিহাদ' চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। ঢাকার আলবদর বাহিনীর হেডকোয়ার্টার থেকে তিনি এ নির্দেশ দেন। এমনকি সেদিন মুজাহিদসহ আলবদর বাহিনীর শীর্ষ ৩ নেতা পাকিস্তানী বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে অস্ত্র দিয়ে সহায়তার আবেদন জানান। সেদিন মুজাহিদ পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, 'আপনারা যেসব অস্ত্রসহ ভারতীয় আগ্রাসনকারীদের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন, সেগুলো আমাদের দিন।'
প্রসিকিউটর জানান, যে ৩ আলবদর সেদিন পাকিস্তানী বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে অস্ত্র চেয়েছিলেন, তাদেরই একজন আশরাফুজ্জামান খানের (বুদ্ধিজীবীদের প্রধান খুনী) লেখা 'সানসেট এ্যাট মিডডে' বইয়ে এ তথ্য দেয়া রয়েছে। গত ৫ মে মুজাহিদের পক্ষে একমাত্র সাক্ষী হিসেবে সাফাই সাক্ষ্য দেন তার ছোট ছেলে আলী আহমাদ মাবরুর। ট্রাইব্যুনাল সাফাই সাক্ষীর সংখ্যা ৩ জন নির্ধারণ করে দিলেও আর কোন সাক্ষী হাজির করতে পারেননি আসামিপক্ষ।
আব্দুল আলীম ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ১৮তম সাক্ষী মোস্তাফিজুর রহমানকে জেরা শেষ করেছে আসামীপক্ষ। চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীনের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ আদেশ দিয়েছে।
জেরা শেষে আলীমের বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য মামলার কার্যক্রম আগামীকাল পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। জবানবন্দিতে সাক্ষী তার বাবা ও চাচাদের ধরে নেয়া এবং তাদের হত্যায় আলীমের সম্পৃক্ততার বর্ণনা দেন। জবানবন্দি পেশ শেষে গতকাল তাকে জেরা শুরু করে আসামিপক্ষের আরেক আইনজীবী এএইচএম এহসানুল হক হেনা।
মুজাহিদ ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে বাদী পক্ষের যুক্তিতর্ক শুরু হয়েছে। পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ মে। চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীনের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ আদেশ দিয়েছেন।
যুক্তিতর্ক শেষে প্রসিকিউশন পক্ষের প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল সাংবাদিকদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শেষ তিন মাস আলবদর বাহিনীর প্রধান ছিলেন আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ। পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের দিন ১৬ ডিসেম্বরও আত্মসমর্পণ করতে চাননি তিনি। আলবদর বাহিনীকে আত্মসমর্পণ না করে 'জিহাদ' চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশদানসহ পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে অস্ত্রও চান মুজাহিদ।
প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল আরও জানান, ১৯৭১ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাসের ১ম সপ্তাহ পর্যন্ত ইসলামী ছাত্রসংঘের ঢাকা জেলার শাখার সভাপতি হিসেবে, এরপর জুলাই মাসের ১ম সপ্তাহের পর থেকে পূর্ব পাকিস্তান (অবরুদ্ধ বাংলাদেশ) শাখার সেক্রেটারি হিসেবে এবং পরবর্তীতে এই সংগঠনের প্রাদেশিক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ। ইসলামী ছাত্রসংঘের সদস্যদের নিয়ে গঠিত আলবদর বাহিনীর ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধান ছিলেন ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি মতিউর রহমান নিজামী এবং অক্টোবর থেকে সে বাহিনীর প্রধান হন মুজাহিদ।
তিনি আরও জানান, এমনকি একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পণের প্রস্তুতির সময়ও তার আলবদর বাহিনী নিয়ে আত্মসমর্পণ না করার সিদ্ধান্ত নেন মুজাহিদ। তিনি আলবদর বাহিনীর সদস্যদের আত্মসমর্পণ না করে 'জিহাদ' চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। ঢাকার আলবদর বাহিনীর হেডকোয়ার্টার থেকে তিনি এ নির্দেশ দেন। এমনকি সেদিন মুজাহিদসহ আলবদর বাহিনীর শীর্ষ ৩ নেতা পাকিস্তানী বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে অস্ত্র দিয়ে সহায়তার আবেদন জানান। সেদিন মুজাহিদ পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, 'আপনারা যেসব অস্ত্রসহ ভারতীয় আগ্রাসনকারীদের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন, সেগুলো আমাদের দিন।'
প্রসিকিউটর জানান, যে ৩ আলবদর সেদিন পাকিস্তানী বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে অস্ত্র চেয়েছিলেন, তাদেরই একজন আশরাফুজ্জামান খানের (বুদ্ধিজীবীদের প্রধান খুনী) লেখা 'সানসেট এ্যাট মিডডে' বইয়ে এ তথ্য দেয়া রয়েছে। গত ৫ মে মুজাহিদের পক্ষে একমাত্র সাক্ষী হিসেবে সাফাই সাক্ষ্য দেন তার ছোট ছেলে আলী আহমাদ মাবরুর। ট্রাইব্যুনাল সাফাই সাক্ষীর সংখ্যা ৩ জন নির্ধারণ করে দিলেও আর কোন সাক্ষী হাজির করতে পারেননি আসামিপক্ষ।
আব্দুল আলীম ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ১৮তম সাক্ষী মোস্তাফিজুর রহমানকে জেরা শেষ করেছে আসামীপক্ষ। চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীনের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ আদেশ দিয়েছে।
জেরা শেষে আলীমের বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য মামলার কার্যক্রম আগামীকাল পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। জবানবন্দিতে সাক্ষী তার বাবা ও চাচাদের ধরে নেয়া এবং তাদের হত্যায় আলীমের সম্পৃক্ততার বর্ণনা দেন। জবানবন্দি পেশ শেষে গতকাল তাকে জেরা শুরু করে আসামিপক্ষের আরেক আইনজীবী এএইচএম এহসানুল হক হেনা।
বুধবার, ৮ মে ২০১৩, ২৫ বৈশাখ ১৪২০
আর কোনো দাবি নাই, কামারুজ্জামানের ফাঁসি চাই'
ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
__._,_.___