হত্যার পর খুনিরা বৈঠক করেছিল রেডিসনে, একবছর আগেই খুনিদের প্রোফাইল তৈরি করেন গোয়েন্দারা
তিনি বলেন, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের খবর তাৎক্ষণিকভাবে তাদের জঙ্গি সংগঠনের তাত্ত্বিক নেতাদের জানানো হয়। খুনিদের যিনি নেতা তিনি একটি বিজ্ঞান বিষয়ক লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদক। নামটা বলতে পারেননি। তবে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে তারা জড়িত। ওই সম্পাদক আইটি বিষয়ে অভিজ্ঞ।জঙ্গিবিরোধী বিশেষ অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে অজয় রায় বলেন, চোখের সামনে একের পর এক ব্লগার, মুক্ত চিন্তার ধারক,স্বাধীন মনের মানুষ ও বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হচ্ছে। সরকার এতে আন্তর্জাতিকভাবে একটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে। যার ফলে এক লাখ আলেমকে দিয়ে একটি বিবৃতি বা ফতোয়া দিতে হয়েছে জঙ্গিবাদ ও গুপ্তহত্যা ইসলাম বিরুদ্ধ। সেইদিক থেকেই বুঝা যায় সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে।
এসব কারণে যারা সরকার পরিচালনা করেন বা উপদেশ দেন তারা বলেছেন যে, জঙ্গিদের মূলোৎপাটন করার সময় এসে গেছে। তারা অনেক বেশি বাড়াবাড়ি করেছে। সরকারের নীতি নির্ধারকরা নিশ্চয়ই বলেছেন, এতে যদি কিছু নির্দোষ মানুষও মারা যায় তারপরও জঙ্গিদের দমন করতে হবে। সরকার এটা মেনে নিয়েই এ অভিযানটা চালিয়েছে। যেকোনও অভিযানেই নির্দোষ মানুষ ভুক্তভোগী হয়,এ অভিযানেও হয়েছে।
অজয় রায় বলেন, আপনাদের মনে আছে ২০০২ সালে 'ক্লীন হার্ট' নামে একটা অপারেশন হয়েছিল। ওই অপারেশনেও অনেক নির্দোষ মানুষ মারা গিয়েছিল। আমরাও এর বিরুদ্ধে কথা বলেছি। কিছু নির্দোষ লোক মারা যাবে ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের বাড়ি-ঘর ধ্বংস হবে। আমি বিবেকবান মানুষ হিসেবে হয়তো এটা সমর্থন করতে পারি না।
বর্তমান জঙ্গিবিরোধী অভিযানটি সরকার অনোন্যপায় হয়ে চালিয়েছে জানিয়ে অজয় রায় বলেন, বাংলাদেশে এখন জঙ্গিদের অভয়ারণ্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ থেকে বাংলাদেশকে বেরিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশ মুক্ত চিন্তা ও স্বাধীন মতামতের জন্য বিখ্যাত ছিল। এই আদর্শ বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনতে হবে।এছাড়া ইউএস ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক মহলেরও চাপ রয়েছে সরকারের ওপর।
সরকারকে বড় যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্য থেকে অনেক দেশ ইসলামি ব্যাংকগুলোতে টাকা পাচার করছে। এরা অনেকগুলো এনজিও খুলেছে। এই এনজিওতে অনেক মাদ্রাসা সংযুক্ত হয়েছে। তাদেরকে নানান জায়গায় গোপনে অস্ত্র শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ডার এলাকায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এসব আস্তানায় হানা দিয়ে সেগুলো বন্ধ করতে হবে। এটা যদি করা না যায় তাহলে নতুন নতুন জঙ্গির সৃষ্টি হবে। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া।
অজয় রায় বলেন, সরকারের একক প্রচেষ্টায় জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করা যাবে না। এজন্য প্রয়োজন একটি গণআন্দোলন। এক্ষেত্রে সিভিল সোসাইটির গণজাগরণ লাগবে। এজন্য জনসাধারণকে সচেতন করতে হবে। সেই দায়িত্বটা প্রগতিশীল রাজনীতিবিদদের নিতে হবে। সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে এবং প্রতিরোধে দাঁড়াতে হবে। তাদের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগটাইতো মৌলবাদীরা নিচ্ছে। আমরা যদি নিজেরা সচেতন না হই, আমরা যদি আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারি, তাহলে আমাদের এই নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ জঙ্গিরা নেবেই। একটা পর একটা খুন হতে থাকবে। তাদের রক্ষা করা খুবই জটিল হবে।
তিনি বলেন, ৬২, ৬৯, ৭০ ও ৭১ সালে যা আমরা করেছিলাম সেই ধরনের একটি গণআন্দোলন প্রয়োজন। বুদ্ধিজীবী ও প্রগতিশীল ছাত্র সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকে এ জাগরণ আসতে হবে। সারাদেশের প্রগতিশীল যেসব সংগঠন আছে সেগুলোকে সম্মিলিতভাবে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে হবে। তিনি বলেন,আন্দোলনের বিকল্প নেই। সেই সময় আমরা যেভাবে তখনকার জঙ্গিদের উৎখাত করতে পেরেছি, আমরা যদি সেই আন্দোলন গড়ে তুলতে পারি, তাহলে এই জঙ্গিরাও উৎখাত হয়ে যাবে।
শরীফ নিহত হওয়ার ঘটনায় তিনি সন্তুষ্ট কিনা জানতে চাইলে অধ্যাপক অজয় রায় বলেন, আমি সেইদিন হবো শান্ত, যেদিন অভিজিতের হত্যাকারীরা আদালতের হাতে সোপর্দ হবে। আদালত তাদের অপরাধ অনুযায়ী শাস্তি ঘোষণা করবে। আমি শুধু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটাই অনুরোধ করবো, আপনারা যদি শতভাগ নিশ্চিত হন যে, এরা অভিজিতের হত্যাকারী, তাহলে তাদের অনুপস্থিতিতেও বিচার হবে। তার আগে তারা যে হত্যাকারী তার শতভাগ প্রমাণ পুলিশের কাছে থাকতে হবে। আমি চাই না কোনও নির্দোষ লোককে হত্যার দায়ে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হোক।
উল্লেখ্য, একুশের বই মেলা থেকে স্ত্রীসহ ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে ব্লগার ও বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। একই ঘটনায় তার স্ত্রী বন্যা আহমেদও গুরুতর আহত হন।AwfwRZ nZ¨v
এসব কারণে যারা সরকার পরিচালনা করেন বা উপদেশ দেন তারা বলেছেন যে, জঙ্গিদের মূলোৎপাটন করার সময় এসে গেছে। তারা অনেক বেশি বাড়াবাড়ি করেছে। সরকারের নীতি নির্ধারকরা নিশ্চয়ই বলেছেন, এতে যদি কিছু নির্দোষ মানুষও মারা যায় তারপরও জঙ্গিদের দমন করতে হবে। সরকার এটা মেনে নিয়েই এ অভিযানটা চালিয়েছে। যেকোনও অভিযানেই নির্দোষ মানুষ ভুক্তভোগী হয়,এ অভিযানেও হয়েছে।
অজয় রায় বলেন, আপনাদের মনে আছে ২০০২ সালে 'ক্লীন হার্ট' নামে একটা অপারেশন হয়েছিল। ওই অপারেশনেও অনেক নির্দোষ মানুষ মারা গিয়েছিল। আমরাও এর বিরুদ্ধে কথা বলেছি। কিছু নির্দোষ লোক মারা যাবে ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের বাড়ি-ঘর ধ্বংস হবে। আমি বিবেকবান মানুষ হিসেবে হয়তো এটা সমর্থন করতে পারি না।
বর্তমান জঙ্গিবিরোধী অভিযানটি সরকার অনোন্যপায় হয়ে চালিয়েছে জানিয়ে অজয় রায় বলেন, বাংলাদেশে এখন জঙ্গিদের অভয়ারণ্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ থেকে বাংলাদেশকে বেরিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশ মুক্ত চিন্তা ও স্বাধীন মতামতের জন্য বিখ্যাত ছিল। এই আদর্শ বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনতে হবে।এছাড়া ইউএস ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক মহলেরও চাপ রয়েছে সরকারের ওপর।
সরকারকে বড় যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্য থেকে অনেক দেশ ইসলামি ব্যাংকগুলোতে টাকা পাচার করছে। এরা অনেকগুলো এনজিও খুলেছে। এই এনজিওতে অনেক মাদ্রাসা সংযুক্ত হয়েছে। তাদেরকে নানান জায়গায় গোপনে অস্ত্র শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ডার এলাকায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এসব আস্তানায় হানা দিয়ে সেগুলো বন্ধ করতে হবে। এটা যদি করা না যায় তাহলে নতুন নতুন জঙ্গির সৃষ্টি হবে। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া।
অজয় রায় বলেন, সরকারের একক প্রচেষ্টায় জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করা যাবে না। এজন্য প্রয়োজন একটি গণআন্দোলন। এক্ষেত্রে সিভিল সোসাইটির গণজাগরণ লাগবে। এজন্য জনসাধারণকে সচেতন করতে হবে। সেই দায়িত্বটা প্রগতিশীল রাজনীতিবিদদের নিতে হবে। সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে এবং প্রতিরোধে দাঁড়াতে হবে। তাদের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগটাইতো মৌলবাদীরা নিচ্ছে। আমরা যদি নিজেরা সচেতন না হই, আমরা যদি আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারি, তাহলে আমাদের এই নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ জঙ্গিরা নেবেই। একটা পর একটা খুন হতে থাকবে। তাদের রক্ষা করা খুবই জটিল হবে।
তিনি বলেন, ৬২, ৬৯, ৭০ ও ৭১ সালে যা আমরা করেছিলাম সেই ধরনের একটি গণআন্দোলন প্রয়োজন। বুদ্ধিজীবী ও প্রগতিশীল ছাত্র সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকে এ জাগরণ আসতে হবে। সারাদেশের প্রগতিশীল যেসব সংগঠন আছে সেগুলোকে সম্মিলিতভাবে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে হবে। তিনি বলেন,আন্দোলনের বিকল্প নেই। সেই সময় আমরা যেভাবে তখনকার জঙ্গিদের উৎখাত করতে পেরেছি, আমরা যদি সেই আন্দোলন গড়ে তুলতে পারি, তাহলে এই জঙ্গিরাও উৎখাত হয়ে যাবে।
শরীফ নিহত হওয়ার ঘটনায় তিনি সন্তুষ্ট কিনা জানতে চাইলে অধ্যাপক অজয় রায় বলেন, আমি সেইদিন হবো শান্ত, যেদিন অভিজিতের হত্যাকারীরা আদালতের হাতে সোপর্দ হবে। আদালত তাদের অপরাধ অনুযায়ী শাস্তি ঘোষণা করবে। আমি শুধু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটাই অনুরোধ করবো, আপনারা যদি শতভাগ নিশ্চিত হন যে, এরা অভিজিতের হত্যাকারী, তাহলে তাদের অনুপস্থিতিতেও বিচার হবে। তার আগে তারা যে হত্যাকারী তার শতভাগ প্রমাণ পুলিশের কাছে থাকতে হবে। আমি চাই না কোনও নির্দোষ লোককে হত্যার দায়ে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হোক।
উল্লেখ্য, একুশের বই মেলা থেকে স্ত্রীসহ ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে ব্লগার ও বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। একই ঘটনায় তার স্ত্রী বন্যা আহমেদও গুরুতর আহত হন।
AwfwRZ nZ¨v
Lywb‡`i Qwe I wWGbG †cªvdvBj GKeQi Av‡M cywjk ˆZwi K‡ib: ARq ivq
__._,_.___