সংখ্যালঘু প্রশ্ন নতুন নয়, যদিও ব্রিটিশ-পূর্ব ভারতে এ প্রশ্ন ছিল না। ভারতে শব্দটির প্রচলন করেছিল ইংরেজরা। তারা ভারতীয়দের শিখিয়েছিল সংখ্যালঘুর অর্থ হল, ধর্মীয় বিশ্বাসের দিক থেকে কোনো দেশে যাদের সংখ্যা কম। সংখ্যাগুরু তারা যাদের সংখ্যা বেশি। উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে বিশ শতকে ভারত ত্যাগের আগ পর্যন্ত তাদের এ তালিম শিরোধার্য করেই ভারতে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু বলতে সব সময়েই এ বিভাজনের ভিত্তি হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে ধর্মকে। রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহারও হয়েছে এভাবে। রাজনীতির সাম্প্রদায়িকীকরণও ঘটেছে এরই সূত্র ধরে। ইংরেজের দেয়া শিক্ষা যে ১৯৪৭ সালের এতদিন পরও ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের শিক্ষিত লোকদের- বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ, লেখক, সাহিত্যিক, সংস্কৃতিকর্মী ইত্যাদির- মস্তিষ্ক শাসন করছে তার প্রমাণ এখনও পর্যন্ত সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু বলতে তারা বোঝেন, বা প্রধানত বোঝেন, ধর্মীয় সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু। যারা নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ বা ধর্মবিযুক্ত (Secular) বলেন, তারাও চিন্তার এই বৃত্তের মধ্যেই ঘুরপাক খান! ইংরেজের ধর্ম শিক্ষার হাত থেকে তাদেরও নিস্তার নেই!! >>>>
__._,_.___