ধর্মের কথা বলে, অর্থের লোভ দেখিয়ে সদস্য সংগ্রহ করে জেএমবি (ভিডিও)
আমাদের সময়.কম
আরিফুর রহমান : সদস্য সংগ্রহে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণী থেকেই তরুণদের প্রথম টার্গেট করে জেএমবি। উত্তরাঞ্চলের ছয় জেলায় সংগঠনটির স্থানীয় নেটওয়ার্কের সদস্যরা তাদেরকে দীর্ঘ পর্যবেক্ষণেও রাখে। ধর্মের কথা বলে গড়ে তোলে সু-সম্পর্ক। ধর্মের কথায় যারা আকৃষ্ট হয়না তাদের দলে নিতে দেখানো হয় অর্থের প্রলোভন। এছাড়া ছাত্র শিবির নিয়ন্ত্রিত মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়েও সদস্য সংগ্রহের অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ।
জাপানি নাগরিক কুনিও হোসি হত্যা মামলার আসামী আহসানউল্লাহ আনছারী রংপুর শহরেই মেডিকেলে ভর্তির জন্য কোচিং করত। আহসানউল্লাহ আনছারীর বাবা বলেন, 'ইন্টারমেডিয়েট পাস করার পরে মেডিকেলে ভর্তির জন্য কোচিং করেছে। মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় ভাল করেনি। তারপর থেকে তার পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।'
আহসানউল্লাহ আনছারীর বদলে যাওয়া শুরু হয় মেডিকেল কোচিংয়ে ভর্তির পর থেকেই। আহসানউল্লাহ আনছারীর মতো ছাত্র শিবির পরিচালিত রেটিনা কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়েছিল কল্যাণপুরের আস্তানা থেকে আটক জেএমবি সদস্য হাসান ওরফে রিগ্যান। কোচিং থেকে একদিন উধাও হয়ে যায় হাসান। রিগ্যানের মা বলেন, 'বাসা থেকে কোচিংয়ে যাওয়ার পরে আর বাসায় ফেরত আসেনি। তখনই আমরা অনেক জায়গায় খোজ করেছি। কোচিং সেন্টার থেকে বলে তাবলীগে গেছে। তখন আমরা অনেক মসজিদে খুঁজেছি পাইনি।'
এই দু'টি ঘটনাই খুব গভীরভাবে ক্ষতিয়ে দেখছে পুলিশ। তাদের সন্দেহ, রেটিনাসহ উত্তরাঞ্চলে ছাত্র শিবির পরিচালিত কোচিং সেন্টারগুলোতে জঙ্গিরা সদস্য সংগ্রহের কাজে লাগাচ্ছে। রংপুর পুলিশ রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, 'শিবির একটা সংগঠন আর জেএমবি আরেকটি সংগঠন। সরাসরি একটার সাথে আরেকটা সম্পর্ক না থাকলেও পরোক্ষভাবে একটা যোগসূত্র আছে।'
গত এক বছরে গ্রেফতারকৃত ১৯ জন জেএমবি সদস্য তাদের জবানবন্দিতে জানিয়েছে চারটি স্তরে বিভক্ত হয়ে তারা তৎপরতা চালায়। এর মধ্যে আনসার পর্যায়ে সদস্যরা নিজের এলাকায় অবস্থান করে নিজের পরিচিতি কিংবা বন্ধুত্ব কাজে লাগিয়ে সদস্য সংগ্রহ করে।
এরপর থেকে একেকটা ধাপ অতিক্রম করার সময় জেএমবি সদস্যদের নতুন নতুন নাম দেওয়ার পালা শুরু হয়।
সূত্র: যমুনা টিভি
ভিডিও:
জেএমবির সদস্য সংগ্রহের কৌশল
https://www.youtube.com/watch?v=-ALOvqyeyYU&feature=youtu.be
__._,_.___