Banner Advertiser

Friday, February 17, 2012

[mukto-mona] Fw: গোলাম আজমকে নিয়ে আল জাজিরার মায়াকান্না ও আমাদের করনীয়


----- Forwarded Message -----
From: SyedAslam <syed.aslam3@gmail.com>
To: Khobor <khabor@yahoogroups.com>; notun Bangladesh <notun_bangladesh@yahoogroups.com>
Sent: Friday, February 17, 2012 1:35 PM
Subject: গোলাম আজমকে নিয়ে আল জাজিরার মায়াকান্না ও আমাদের করনীয়

"আল বদর একটি নাম। একটি বিস্ময়। আলবদর একটি প্রতিজ্ঞা। যেখানেই দুষ্কৃতিকারী আল-বদর সেখানেই। ভারতীয় চর কিংবা দুষ্কৃতিকারীদের কাছে আল-বদর সাক্ষাৎ আজরাইল।" - 
                                                                                                                          ---গোলাম  আযম 


গোলাম আজমকে নিয়ে আল জাজিরার মায়াকান্না ও আমাদের করনীয়

ক্যাটাগরী: 

সম্প্রতি আল জাজিরা গোলাম আযম বিষয়ক একটি প্রতিবেদন সমপ্রচার করে। বাংলাদেশের একটি জাতীয় দৈনিকে তা প্রকাশ পেলে দেশে বিদেশে বসবাসরত অনেক বাঙ্গালীদের মধ্যে বেশ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠাও প্রকাশ করছেন। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি হুবুহু তুলে ধরা হল – 'বাংলাদেশের সাবেক রাজনীতিবিদ গোলাম আযম ৪০ বছরেরও বেশি সময় আগে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচারের মুখোমুখি। ৮৯ বছর বয়সী গোলাম আযম হাঁটতে পারেন না, দেখতে পান না, এমনকি শুনতেও পান না। তা সত্ত্বেও ১০ জন সশস্ত্র পুলিশ কর্মকর্তা সার্বক্ষণিক তাঁকে পাহারা দিচ্ছেন।'
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, 'সম্প্রতি জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ এক শুনানিতে গোলাম আযম ও অন্য অভিযুক্তদের আটক করে রাখার বিষয়টিকে অযৌক্তিক ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী বলে অভিহিত করেছে।'
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, 'যদিও আইনমন্ত্রী এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এই ট্রাইব্যুনাল আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল নয়। এটি দেশীয় ট্রাইব্যুনাল। তাই যাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে, তাদের আটক অবৈধ নয়।'
প্রতিবেদনে শেষে গোলাম আযমের বিচার সম্পর্কে বলা হয়েছে, 'দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। আদালতের সিদ্ধান্ত যা-ই আসুক না কেন, এর পরিণতি হবে নাটকীয়। এটা অনেকের কাছেই সুবিচার বলে মনে হবে। কিন্তু পরিণতিতে দেশ নিপতিত হবে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে।'
প্রকাশিত রিপোর্টটি সম্পর্কে আলোকপাত করার আগে আল জাজিরার দিকে একটু নজর দেই। স্যাটেলাইট এ টিভি চ্যানেলটির জনক হলেন কাতারের যুবরাজ হামাদ বিন খলিফা। একটি বিশেষ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আল জাজিরার আত্মপ্রকাশ ঘটলেও চ্যানেলটি কালক্রমে সখ্য গড়ে তোলে মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ ও টেররিজমের মতো অন্ধকার দুনিয়ার সাথে। হামাদ বিন খলিফা তার বাবাকে তোয়াক্কা না করে ১৯৯৫ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। জন্মলগ্ন থেকেই এ স্যাটেলাইট চ্যনেলটি বিভিন্ন বিতর্কিত, স্পর্শকাতর ও মিথ্যে খবর পরিবেশনে লিপ্ত হয়ে যায়। ফলশ্রুতিতে খোদ আরববিশ্ব সহ পাশ্চাত্যের অনেক দেশও চ্যানেলটির প্রতি ক্ষেপে যায় এবং বিভিন্ন সময়ে তা বয়কট করতে বাধ্য হয়।
এ মিডিয়াটির পিছনের ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায় মিথ্যে ও ভিত্তিহিন সাংবাদিকতার কারণে আলজেরিয়ান সরকার দুহাজার চারে আল জাজিরার এক সংবাদ কর্মীকে প্রতিহত করেন। বাহরাইন একই দোষে দু হাজার দুই থেকে চার সাল পর্যন্ত আল জাজিরার সংবাদ পরিবেশন বা তার দেশে অফিসিয়াল কার্যক্রম চালু রাখার ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। শুধু তাই নয় উগ্রপন্থি সংবাদ পরিবেশনের জন্য আরব নিজেও অসন্তুশ প্রকাশ করেন।
আলকায়দা ও জঙ্গিবাদকে উস্কানি দিয়ে সংবাদ পরিবেশনের দায়ে ১১ নভেম্বর ২০০১ মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী কাবুলে আল জাজিরার অফিস ধংশ করে দেয়। কিছুদিন পর আলজাজিরার কাবুল প্রতিনিধি সামি আলহাজ নামের এক ব্যাক্তি ভুয়া পাসপোর্ট বহন করার অপরাধে পাকিস্তনি কতৃপক্ষ গ্রেফতার করে ও পরিশেষে মার্কিনীদের কাছে সোপর্দ করে। হলুদ সাংবাদিকতায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই মার্কিন বাহিনী ৮ এপ্রিল ২০০৩ বাগদাদে আল জাজিরা অফিসে বোমা নিক্ষেপ করে। ফলে তারেক আইয়ুব নামের এক সাংবাদিককে নিহত হয়।
ইজরাইল অনেক আগে থেকেই আল জাজিরার অসত্য ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদে অসহ্য হয়ে এ মিডিয়াটিকে বর্জন করে এবং ভিত্তিহিন ও উদ্দেশ্যমুলক সংবাদ পরিবেশনের জন্য কতৃপক্ষকে চার্জ করতে বাধ্য হয়।
দুহাজার আটের জানুয়ারিতে ব্রিটেনের বহুল প্রচারিত পত্রিকা দি গার্ডিয়ান একটি রিপোর্ট করে এভাবে, serious stuffing crisis. অর্থাৎ ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী সাংবাদিক বৃন্দকে আল জাজিরার ধ্যান ধারনা বা মতাদর্শের প্রতি খেয়াল রেখে রিপোর্টিং করার তাগিদ দেয়া হতো। এতে করে কর্মরত সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারতেননা ও কোন ঘটনার স্বচ্ছতা বহিপ্রকাশের ক্ষেত্রেও তাদেরকে প্রায়ই বাধাগ্রস্থ হতে হতো। ফলশ্রুতিতে তাদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে নবায়ন করতে রাজি না হওয়া বা নতুন কোন ইংরেজি ভাষাভাষী সাংবাদিক এ চিহ্নিত চ্যানেলটিতে কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করলে সাংবাদিক সঙ্কট দেখা দেয়। যার ফলে গার্ডিয়ান উপরোল্লেখিত শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
এই হল আল জাজিরা। মুরব্বী দেশ গুলো থেকে শুরু করে ছোট খাট সব দেশই আল জাজিরা বা এর ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে কম বেশী ওয়াকিবহাল। ধর্মান্ধতা, মৌলবাদ, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদকে বাঁচিয়ে রাখাই যাদের প্রধান কাজ সে ক্ষেত্রে মিডিয়াটি গোলাম আযমের মতো একজন মৌলবাদ ধর্ম ব্যবসায়ী যুদ্ধাপরাধীর জন্য মিথ্যে সাফাই গাইবে তাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিশ্ববাসী এতো বোকা নয় যে আল জাজিরার মতো অসৎ, মৌলবাদ বা সংশ্লিষ্ট অনুসর্গের দোষে দুষ্ট একটি চ্যানেলের সাফাই শুনে কান ভারী হয়ে উঠবে। তাই যারা আল জাজাজিরায় প্রচারিত প্রতিবেদনের আলোকে বিভিন্ন উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, শঙ্কা বা আশঙ্কার কথা বলছেন কিংবা যুদ্ধাপরধীদের নিকৃষ্টতম চেহারার উন্মোচন ঘটিয়ে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার ব্যর্থ বলে অভিহিত করছেন তাদেরকে সমীহ করেই আমি দ্বিমত প্রকাশ করি। সরকার বহির্বিশ্বে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতা বিরোধীদের স্বরূপ তুলে ধরতে পেরেছে বলেই জামায়াত প্রীত যুদ্ধাপরাধীদের কয়েকটি মিত্র দেশের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে বিচারকার্য চালিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে। তা ছাড়া এ ক্ষেত্রে কেবল সরকারকে এক ছেতিয়া ভাবে দোষ দিয়ে লাভ কি? সাধারন জনগনও তো বিভিন্ন সামাজিক নেটওয়ার্কের আশ্রয় নিয়ে বা ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এ ব্যপারে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখতে পারেন। আর উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা বা শঙ্কা? একেবারে উড়িয়ে দেইনা। প্রতিপক্ষ বা স্বার্থান্বেষী মহল সুযোগের অপেক্ষায় ওঁত পেতে থাকবে তাই স্বাভাবিক। তবে তরুন প্রজন্ম থেকে শুরু করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে যে গনজাগরন, তার সামনে সকল ষড়যন্ত্রই পণ্ড হতে বাধ্য ইনশাল্লাহ।
শেষে আরেকটি কথা না বলেই পারছিনা। আল জাজিরার মতো একটি জঙ্গিবাদ পৃষ্টপোষকতা সম্পন্ন মিডিয়াকে পরিত্যক্ত ঘোষণার মাধ্যমে নিষিদ্ধ করে বাহরাইন বা ইজরাইলের মতো কি বাংলাদেশে একটি উদাহরণ সৃষ্টি করা যায়না?
http://blog.bdnews24.com/frubel/68229

গোলাম আযমকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে

ক্যাটাগরী: 

পাকিস্তানের আজাদি দিবস পালনের উদ্দেশ্যে ৭১ সালের ১৪ আগস্ট কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি কতৃক আয়োজিত এক সভায় ঢাকার কার্জন হলে পাকিস্তান সুহৃদ আযম সাহেব পাকিস্তানের দুশমনদের মহল্লায় মহল্লায় তন্ন তন্ন করে তাদের অস্তিত্বকে বিলোপ করার আদেশ দানের সাথে সাথে এও বলেছিলেন, "আল্লহ না করুন, যদি পকিস্তান না থাকে তাহলে বাঙ্গালী মুসলমানদেরর অপমানে মৃত্যুবরণ করতে হবে" (সুত্রঃ দৈনিক পাকিস্তান, দৈনিক আজাদ, দৈনিক সংগ্রাম আগস্ট, ১৯৭১)। কিন্তু, বাস্তব সত্য এই যে, আল্লাহর ইচ্ছায় বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। পাকিস্তান থাকেনি। কিন্তু অপমানের ঢেকুর তোলে যাদের মৃত্যুবরন করার কথা ছিল, তাঁরা মরেননি। বরং তাদের অনেকেই পালিয়ে বাচতে চেয়েছিলেন। গোলাম আযম তাদের মধ্যে অন্যতম ।
পাকিস্তানকে ঠিকিয়ে রাখার জন্য ভদ্রলোকের চেষ্টার কোন ত্রুটি ছিলোনা। ৭১ সালের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নজর দিলে দেখা যাবে বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দীন, ইন্দিরা ও ভারত সম্পর্কে কিভাবে ব্যাঙ্গাত্মক, অপমানসূচক ও আপত্তিজনক মন্তব্য করে শতাব্দির নিকৃষ্টতম চেহারার উন্মোচন তিনি ঘটিয়েছেন। শুধু তাই নয়, জিন্নাহর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে ১১ সেপটেম্বর "৭১ ঢাকার কার্জন হলে ইসলামি ছাত্র সঙ্ঘ স্মৃতি প্রদর্শনীর আয়োজন করলে সেখানে জামায়াত প্রধান হিসেবে গোলাম আযম তা উদ্বোধন করে মুক্তিপাগল বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানান। এবং স্বাধীনতা কামী বাংলার মানুষকে "দুষ্কৃতিকারী" বলে অভিহিত করেন। তার নেত্রিত্তে গড়ে উঠা আলবদর বাহিনী ওইসব দুষ্কৃতিকারীদের (!) চরম শিক্ষা দিয়ে সমুলে উৎকাথ করে জনজিবনে শান্তি, স্বস্তি ও ন্যায় নীতি কায়েমের যে আপ্রান প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাও তিনি বিষদ ভাবে বিশ্লেষণ করেন। তার বক্তব্যকে প্রাধান্য দিয়ে ওই সময় দৈনিক সংগ্রাম প্রথম পৃষ্ঠায় তিন কলামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের একটি ছবি সম্বলিত বিশেষ গুরুত্ব সহকারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তার একাংশ হুবুহু তুলে ধরলাম। "আল বদর একটি নাম। একটি বিস্ময়। আলবদর একটি প্রতিজ্ঞা। যেখানেই দুষ্কৃতিকারী আল-বদর সেখানেই। ভারতীয় চর কিংবা দুষ্কৃতিকারীদের কাছে আল-বদর সাক্ষাৎ আজরাইল।"
সারাটা জীবন পাকিস্তানের গোলাম হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য মিঃ গোলাম যে শক্তি, যে তাগদ নিয়ে আজরাইল (!) বাহিনীর জন্ম দিয়েছিলেন কালের করাল গ্রাসে সে শক্তি আজ শুকিয়ে গেছে। বয়সের ভারে ন্যুব্জ। কিন্তু জীবনের এ সন্ধ্যা বেলায় অমিত ঘৃণার অসহ্য যন্ত্রনার নিচে দাঁড়িয়েও বেঁচে থেকে গোলাম সাহেব যে নীরব ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছেন তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। কিছুদিন আগে প্রিজন সেলের বাথরুমে পড়ে গিয়ে যে অসহায় জীবনের সাক্ষাৎ তিনি পেয়েছেন কিংবা ভবিষ্যতেও এরকম অনেক দুঃখের পীড়ন সহ্য করে চলতে হবে জেনেও লোকলজ্জার ভয়ে অন্তরের তেজস্ক্রিয়তাকে এখনো ক্ষয় হতে দিচ্ছেননা সে জন্য আমি সাধুবাদ জানাই মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা নব্বই বছরের এ রাজাকার বুড়োকে!
বিভিন্ন পত্রপত্রিকার রিপোর্ট থেকে জানা যায়, প্রিজন সেলে গোলাম আযমের সঠিক তত্তাবধান হচ্ছেনা। দুধ ডিম জাতীয় সুসম খাদ্য পরিবেশন করা হচ্ছেনা। যে আয়েশে খেয়ে পড়ে অভ্যেস সেভাবে চলতে পারছেননা। কারাগারে নিক্ষিপ্ত হওয়ার পর ভদ্র লোকের দু কেজি ওজন হ্রাস পেয়েছে। এসবই বেদনা বিধুর! কবরে এক পা দিয়ে রাখা আত্ম নিগ্রহপূর্ণ ও নিসঙ্গ জীবনযাপন সম্পন্ন বুড়োর জন্য ক্ষনিকের জন্য হলেও কিছুটা মানবিক আবেদন জাগ্রত হয়ে উঠে বটে কিন্তু যখন পিছনের দিকে চেয়ে দেখতে পাই ওই বুড়োই একদিন জল্লাদি কায়দায় নরমাংশ আর রক্ত পানাহার করে উল্লসিত হয়েছেন উলঙ্গ নৃত্যে, তখন তা কেবল মলিনই হয়ে যায়না, প্রতিশোধ স্পৃহায় জেগে উঠে বিবেকের হিরন্ময় চাবুক। যে চাবুকের জ্বালাময়ী আঘাতে রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত করে ফেলতে মন চায় কালের ওই কুখ্যাত মানব নামের নরপিচাশটিকে।
হ্যাঁ নরপিচাশ! ভয়ঙ্কর জানোয়ার। মুক্তিযোদ্ধের শেষ পর্যায়ে অবস্তা বেগতিক দেখে এ জানোয়ার তার পাক ভুমি পাকিস্তানে পালিয়ে যাবার আগে আরেকটি কালো অধ্যায়ের সৃষ্টি করে। পরাজয়ের গ্লানিতে পাগলা কুকুরের মতো কামড় দেয় জাতির অস্তিত্তে। তার নির্দেশে কুখ্যাত কুলাঙ্গার (আলবদর) বাহিনী বাঙ্গালী জাতিকে পঙ্গু করে দেয়ার উদ্দেশ্যে বেছে বেছে হত্যা করে দেশের শ্রেষ্ট সন্তানদের।
প্রকৃতির কি অমোঘ বিধান! চল্লিশ বছর পাড়ি দিয়েও নব্বই বছরের এ বৃদ্ধ শেষমেশ আর পার পায়নি। নিক্ষিপ্ত হতে হয় কারাগারে। চিকিৎসা সুত্রে স্থানান্তরিত হয় হসপিটালের প্রিজন সেলে। খান্দানি আয়েশ পুরনে ব্যাঘাত ঘটছে বলে অনুযোগ অভিযোগ নিয়ে সময় সময় মিডিয়ার সামনে এসে দাঁড়ায় তার বেশরম স্বজন। যদি এসব অভিযোগ সত্যি হয় তবে আমিও ব্যক্তিগত ভাবে তা সমর্থন করিনা। কারণ জেল কতৃপক্ষের কোন অনাদর, অবহেলা বা দায়িত্বহীনতার জন্য যদি কোন অঘটন ঘটে, তা হবে অনেকটা তীরে এসে তরী ডুবানোর মতো। রাজনৈতিক ফায়দা লুঠতে চেষ্টা করবে স্বার্থান্বেষী মহল। ব্যাহত হবে যুদ্ধাপরাধীদের পুরো বিচার প্রক্রিয়া। তা ছাড়া জনতার আদালতে বিচারকার্য সম্পন্ন হওয়ার আগেই কারান্তরালে যদি তার কিছু ঘটে তবে যে সে মরে গিয়েও বেচে যাবে। জন্ম মৃত্যু যদিও আল্লাহর হাতে তার পরো বলবো আমাদের সামান্যতম ত্রুটির খাতিরেও যেন এ ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনার সুত্রপাত না হয়। দিকে দিকে যুদ্ধাপরাধিদের বিচারের দাবিতে মানবতার যে আর্তি, গজাগরনের যে সুর তার প্রতিফলন ঘটাতে হলে শতাব্দির শ্রেষ্টতম মানবতা লুণ্ঠনকারী, রাজাকারের রাজা, বর্বর নিকৃষ্টতম এ মানুষটিকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

 মন্তব্য:

আতাস্বপন বলেছেন:11
1."আল্লহ না করুন, যদি পকিস্তান না থাকে তাহলে বাঙ্গালী মুসলমানদেরর অপমানে মৃত্যুবরণ করতে হবে" (সুত্রঃ দৈনিক পাকিস্তান, দৈনিক আজাদ, দৈনিক সংগ্রাম আগস্ট, ১৯৭১)।
2. তার বক্তব্যকে প্রাধান্য দিয়ে ওই সময় দৈনিক সংগ্রাম প্রথম পৃষ্ঠায় তিন কলামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের একটি ছবি সম্বলিত বিশেষ গুরুত্ব সহকারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তার একাংশ হুবুহু তুলে ধরলাম। "আল বদর একটি নাম। একটি বিস্ময়। আলবদর একটি প্রতিজ্ঞা। যেখানেই দুষ্কৃতিকারী আল-বদর সেখানেই। ভারতীয় চর কিংবা দুষ্কৃতিকারীদের কাছে আল-বদর সাক্ষাৎ আজরাইল।"
আমি 2টি পয়েন্ট নিয়ে একটু জানতে চাচ্ছি সাধীনতার বীরদিতার বিচার বর্তমানে হসসেনা হচ্ছে মানবতা বিরোধী বিচার। আপনার পয়েন্ট গলুটে সাধীনতার বিরোধিতা প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু হত্তা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, রেপ এগুলুর উল্লেখ নেই । সে যে বাহিনীগুলু পরিচালনা বা নেতরিতর দিয়েছে সেগুলুর চিননিত করে পয়েন্ট আকারএ দিলে বুঝা যেত সে মানবতা বিরোধী অভিযোগে অবযুক্ত। এ বিষয়টা বলভাবে ক্লিয়ার করতে না পারলে পূর্বের মতো সে বেছে যাবে। যা তার নাগরিকত্তের বিষয়ে হয়েছিল।