Banner Advertiser

Monday, December 30, 2013

[mukto-mona] ‘ডেমোক্রেসি ফর মার্চের’ নেত্রী এবার দয়া করে ক্ষ্যামা দিন!!




মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০

'ডেমোক্রেসি ফর মার্চের' নেত্রী এবার দয়া করে ক্ষ্যামা দিন!!
মাসুদা ভাট্টি
এ দেশে রাজ-নীতি করাটা যে কত সহজ এবং সে জন্য কোন প্রকার সৌজন্যবোধ থাকার যে কোনই প্রয়োজন নেই সে কথা বেগম খালেদা জিয়া আবারও প্রমাণ করে দিয়েছেন। এর আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে যে ভাষায় কথা বলেছিলেন তাতে বোঝা গিয়েছিল যে, তিনি আসলে ক্ষমতার জন্য এতটাই লালায়িত হয়ে পড়েছেন, সামান্য বাচনভঙ্গিতেও ভদ্রতা বজায় রাখতে পারছেন না। তিনি যে ভাষায় পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন এবং গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তন করার হুমকি দিলেন তাতে কেউ যদি মনে করেন যে, এই ভদ্র মহিলার আসলে দেশের মানুষকে দেয়ার কিছুই অবশিষ্ট নেই, তাহলে তাকে আমরা দোষ দিতে পারব না। তাকে এখন ক্ষমতায় বসিয়ে দিলেও তিনি সত্যিই দেশকে এবং দেশের মানুষকে কিছুই দিতে পারবেন না, কেবল তার দলের ক্ষমতা-বুভুক্ষ কিছু নেতাকর্মীকে সুযোগ করে দেয়া ছাড়া। হ্যাঁ, অবশ্যই এদেশে জামায়াতী রাজনীতিকে আবারও কেবল জায়গা করে দেয়া নয়, বরং বিএনপিকে কোরবানি দিয়ে জামায়াতকে তার জায়গা করে দেয়াও বেগম জিয়ার প্রাথমিক দায়িত্ব হবে ক্ষমতা পেলে। জামায়াত যদি সত্যি সত্যিই একটি রাজনৈতিক দল হতো তাহলে তারা নিঃসন্দেহে বেগম জিয়া ও তার দল বিএনপির জন্য একটি মনুমেন্ট তৈরি করত এবং সেখানে দিনের মধ্যে তিনবার ফুল চড়াত, বেগম জিয়া ও তার দলের এই ত্যাগের জন্য। কিন্তু সেটা তো বিএনপি এবং জামায়াতের ভেতর সম্পর্কের ব্যাপার, এদেশের মানুষ বিগত পাঁচ বছরে বেগম জিয়ার কাছ থেকে কী পেল আর ভবিষ্যতেই বা বেগম জিয়া এদেশকে কী দিতে পারবেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হওয়াটা জরুরী মনে করছি। 
আমার এই কলামের পাঠকদের অনেকেই হয়ত মনে করতে পারেন যে, বেগম জিয়া আসলে রাজনীতিতে এসেছিলেন আওয়ামী লীগ প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা দায়িত্ব নেয়ার পর। আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব যদি সে সময় অন্য কেউ নিত তাহলে আমরা বেগম জিয়াকে রাজনীতিতে দেখতাম না। তিনি সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তার স্ত্রী হিসেবে তার আয়েশী জীবন কাটাতে পারতেন। মানুষের সঙ্গে চাকর-বাকরের মতো ব্যবহার তিনি কোত্থেকে অর্জন করেছেন সে প্রশ্ন করা যেতেই পারে কিন্তু সে জন্য আমি ঢালাওভাবে সেনা কর্মকর্র্তাদের স্ত্রীদের ওপর দায়ভার চাপাতে আগ্রহী নই। কিন্তু উচ্চ শিক্ষিত না হয়েও তীব্র সৌজন্যবোধ মানুষ অর্জন করতে পারে, এরকম ভূরি ভূরি প্রমাণ দেয়া সম্ভব। বেগম জিয়া সে পথ মাড়াননি বোঝাই যায়। তার দলের অনেক নেতাকর্মীই বলেছেন, তিনি মানুষের সঙ্গে কতটা দুর্ব্যবহার করেন। মানবিকবোধের কতটা অভাব হলে তিনি মহিলা পুুলিশের প্রতি ছুড়ে দেন এরকম ভয়ঙ্কর বাক্য। তিনি রাগ করতে পারেন, তাকে তার বাড়ি থেকে না বেরুতে দেয়ার বিষয়টি নিয়ে তিনি তর্ক করতে পারেন কিন্তু তাতে তার মানবিক চরিত্রের এই কলঙ্কময় দিকটি উন্মোচিত হবে কেন? তিনি সেগুলো তার শয়নকক্ষে রেখে এসে স্বাভাবিক সৌজন্যবোধের পরিচয় দিতে পারতেন মানুষের সঙ্গে আচরণে, কিন্তু তিনি সেটি করেননি। তিনি কথা বলেছেন, কলতলার ভাষায়। যে ভাষায় কোন সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষ কথা বলা তো দূরের কথা, এরকম কথা শুনতে পর্যন্ত চাইতে পারেন বলে বিশ্বাস করা দায়। 
আচ্ছা না হয় বাদ দিচ্ছি ভাষা ব্যবহার কিংবা দুর্ব্যবহারের কথা। বেগম জিয়ার রাজনীতিরই বা হাল-হকিকত কি? তিনি বার বার দেশের জনগণকে ডাকছেন, তার পক্ষে দাঁড়াতে। জনগণের ভেতর তার সমর্থক অংশও চাইছে সুষ্ঠু রাজনৈতিক প্রোগ্রামে অংশ নিতে। কিন্তু বিএনপির প্রোগ্রামে অংশ নিতে আসা মানুষগুলোকে দায় নিতে হচ্ছে জামায়াত-শিবিরের সৃষ্ট সহিংসতার। তারা হয়ত এসেছে পল্টনে কিংবা সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে বেগম জিয়ার বক্তৃতা শুনতে কিন্তু সে রাতেই জামায়াত-শিবির পুলিশ পুড়িয়ে মারছে কিংবা রেললাইন উপড়ে ফেলছে অথবা দেদারছে গাছ কাটছে আর মানুষ জনবিদ্বেষী হিসেবে চিহ্নিত করতে বিএনপি-কর্মীদের, যারা শুধুই বেগম জিয়ার নির্দেশে ঢাকায় এসেছিল। দিনের পর দিন এভাবে অভিযুক্ত হওয়ার ফলে তারা এখন আর সে দায় নিতে চাইছে না। যে কারণে বেগম জিয়ার ২৯ তারিখের ডাকে কেউ সাড়া দেয়নি। অনেকে হয়ত বলবেন যে, সরকার বাধা দিয়েছে বলে সারাদেশ থেকে কেউ ঢাকায় আসতে পারেনি। মেনে নিচ্ছি সে কথা, সরকার বাধা কোন্কালে দেয়নি? কোন্ রাজনৈতিক প্রোগ্রামটি এদেশে সুষ্ঠু ও স্বাভাবিকভাবে পালিত হতে পেরেছে? আমরা স্মরণ করতে পারি ২০০৬ সালের অবরোধের কথা, যখন এক দিনেই গ্রেফতার করা হয়েছিল আট হাজার নেতাকর্মীকে। কিন্তু তারপরও ঢাকায় অবরোধ হয়েছিল, সমাবেশ করেছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অন্য রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু বিএনপি নেত্রীর ডাকে গতকাল ঢাকায় একটা চিল-কাকও এল না, এটা একটা ভয়ঙ্কর ঘটনা। হ্যাঁ, প্রেসক্লাব আর হাইকোর্টের ঘটনা দিয়ে কেউ যদি কালকের রাজনীতিকে বিশ্লেষণ করতে চান তাহলে তিনি দুটো বড় ভুল করবেন। এক. প্রেসক্লাব রাজনীতির জায়গা নয়, কিন্তু তাই বলে সেখানে কেউ হামলা করবে সেটাও মেনে নেয়া যায় না, তা সে যতই ন্যায্য দাবি নিয়ে রাস্তায় নামুন না কেন; দুই. একই কথা হাইকোর্টের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, নারী আইনজীবীকে রাস্তায় ফেলে পেটানোয় কোন বীরত্ব নেই, নেই কোন রাজনীতিও। কিন্তু এই দুই জায়গাই যে ঢাকা নয়, আর বেগম জিয়া এখানেই কেবল সমাবেশ ডাকেননি, ডেকেছিলেন নয়াপল্টনে তার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। কিন্তু সেখানে কাউকে উপস্থিত না পেয়ে কুমিল্লা থেকে আসা এক ছাত্রদল কর্মীর 'গ্যাংনাম স্টাইলের নাচ' জাতিকে স্তম্ভিতই করেছে শুধু, কার্যত কোন রাজনৈতিক ফলাফল তাতে আসেনি। 
২৯ তারিখ সকাল থেকেই বেগম জিয়া এই নামছেন, সেই নামছেন বলে মিডিয়াতে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছিল। কিন্তু সকাল থেকে তিনটে অবধি জাতিকে অপেক্ষা করিয়ে বেগম জিয়া বাগানে নামলেন এবং সামনেই পুলিশের সঙ্গে ঝগড়া করে আবার বাড়ি ফিরে গেলেন। যাওয়ার আগে বলে গেলেন যে, 'ডেমোক্রেসি ফর মার্চ' চলবে, তিনি আজকেও অর্থাৎ সোমবারেও তার সমাবেশের ডাক অব্যাহত রাখলেন। তার আগের দিন অবশ্য তিনি ভিডিও-বার্তায় বলেছিলেন, তিনি উপস্থিত না থাকলেও যেন সমাবেশ চলে। কই তার দলের নেতাকর্মীরা তো সে কথা শোনেনি। এমনকি তার ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকেও কাল কোথাও কেউ দেখেনি। আর তার সঙ্গী জামায়াত কী করেছে? তার হয়ে মালিবাগে পুলিশের সঙ্গে লড়েছে এবং সেখানে লাশ পড়েছে, যা হয়ত সংখ্যায় আরও বেশি বিএনপি নেত্রীর কাম্য ছিল। এখন আর দু'একটি লাশ দিয়ে রাজনীতি হয় না। কমপক্ষে দশাধিক লাশ লাগে। কিন্তু কাল সেটি সম্ভব হয়নি সরকার তথা শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে। আমি জানি না, কাল যদি বিএনপি নেত্রীকে এবং বিরোধী দলকে ঢাকায় আসার অবাধ সুযোগ দেয়া হতো তাহলে কী হতো? আমাদের সামনে তো উদাহরণ রয়েছে ৫ মে'র। হেফাজত মতিঝিলের কী অবস্থা করেছিল? কালকে হয়ত তার চেয়েও খারাপ অবস্থা হতো এবং তারপর কল্পিত লাশের সংখ্যা গুনতে গুনতে জাতির নাভিশ্বাস উঠত। জাতিকে এই ভয়ঙ্কর অবস্থা থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য পুলিশ বাহিনীকে অবশ্যই একটি ধন্যবাদ দিতে হবে। জনগণের জানমাল রক্ষাই যদি তাদের প্রাথমিক দায়িত্ব হয়ে থাকে তাহলে তারা গতকাল তা পালনে সার্বিক সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে এবং আমি নিশ্চিত যে, অতীতের চেয়ে অনেক বেশি তারা জনসমর্থনও পেয়েছে কাল। কালকে অপর যে সত্যটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জনগণের সামনে তা হলো, বিএনপির প্রত্যক্ষ মদদ না পেলে জামায়াত-শিবির বড় কোন নাশকতা ঘটাতে পারে না। কালকে যেহেতু রাজধানীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিল না সেহেতু জামায়াত-শিবির কোন নাশকতা ঘটাতে পারেনি। 
কিন্তু যে প্রশ্নটি শুরুতেই তুলেছিলাম তা হলো, বাংলাদেশের এই মুহূর্তের বাস্তবতায়, বিএনপি নামক রাজনৈতিক দল কিংবা তার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভূমিকাটি আসলেই কি? সরকারের ব্যর্থতা দিয়ে বিরোধী দলের জনপ্রিয়তা যাচাই হয় এবং এদেশে একবার এ-দল, আরেকবার ও-দল, এই চিন্তাভাবনার বাইরে দাঁড়িয়ে যদি কেউ বিশ্লেষণ করতে চান বিএনপি ও বেগম জিয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে তাহলে কতটা আশাবাদী হতে পারেন? কালকে 'ডেমোক্রেসি ফর মার্চ' যেভাবে ব্যর্থ হলো এবং একে যারা আসলেই রাজনৈতিক-সার্কাস মনে করছেন তাদের সকলেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন, সেটা ভাববার কোন কারণ নেই। সুতরাং, বিএনপি এবং বেগম জিয়াকে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে যে, শুধু গণমাধ্যমের শিরোনামে থাকলেই বিরোধী দল হিসেবে দায়িত্ব পালন হয় না, জনগণের কাতারে না দাঁড়াতে পারলে তাকে বিরোধী দল হিসেবে মানুষ মানবে কেন? সংসদে পারেননি, রাজপথেও পারেনি- এখন বেগম জিয়া বেছে নিয়েছেন ভিডিও-বার্তাকে, তাও সেই গণমাধ্যম নির্ভরতা এবং আরও বিশেষভাবে বললে কেবল টেলিভিশনকেই বেগম জিয়া রাজনীতির জায়গা মনে করছেন। কিন্তু কালকে টেলিভিশনের কল্যাণেই মানুষের প্রতি বেগম জিয়ার তীব্র অপমানকর ভূমিকাটি প্রত্যক্ষ করেছে মানুষ। আর ওদিকে গোটা দেশ পরিণত হয়েছে জামায়াত-শিবিরের কল্যাণে বার্ন ইউনিটে। দুঃখজনক সত্য হলো, এদেশে বুদ্ধিজীবীরা সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে নর্তন-কুর্দন করেন ঠিকই কিন্তু বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি তথা বেগম জিয়া এই ব্যর্থতা নিয়ে কোন বিশ্লেষণের দিকে যান না। গণমাধ্যমও কেবল সংবাদ প্রকাশ এবং টকশোর নামে এক ধরনের আপাতত দায় মিটিয়ে দায়িত্ব শেষ করছে। অথচ আজকে বিএনপি যে, নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে জামায়াতের জন্য রাজনৈতিক ভবিষ্যত তৈরি করে দিচ্ছে এবং তা যে কোনভাবেই বাংলাদেশের জন্য শুভ ফল বয়ে আনবে না সে বিষয়ে আমাদের কমই নজর পড়ছে। অথচ এই মুহূর্তে এটিই প্রধানতম প্রশ্ন হিসেবে উচ্চারিত হওয়া প্রয়োজন যে, বিএনপি এবং বেগম জিয়ার এই রাজনীতি এদেশে আর প্রয়োজন আছে কিনা? এখানে কেউ বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার ধূয়া তুললে তাকে বলব তিনি প্রশ্নটিই বোঝেননি। কারণ, বিএনপি চিরদিন বিরোধী দলে ছিল না, চিরদিন হয়ত থাকবে না। কিন্তু আগামীতে যদি এই দলটি সরকার গঠনের সুযোগও পায় তাহলেও দেশ তাদের কিংবা বেগম জিয়ার কাছ থেকে কী পেতে পারে, তা নিয়ে কথা না বললে, আমাদের ভবিষ্যতকেই নাশকতার ভেতর ফেলা হবে। 
সবার আগে যে কথাটি আমাদের দলমতনির্বিশেষে সকলেরই দৃঢ়ভাবে উচ্চারণ করা প্রয়োজন, তা হলো, বেগম জিয়া এবার ক্ষান্ত দিন। অনেক তো হলো। রাজনীতির নামে, অবরোধের নামে, হরতালের নামে আমাদের তো কম দেখালেন না। মার্চ ফর ডেমোক্রেসি হয়ে গেল 'ডেমোক্রেসি ফর মার্চ।' এবার একটু থামেন। আপনিও বিশ্রাম নিন। জনগণও একটু নিঃশ্বাস ফেলুক। গোটা বছরটাই তো জনগণ আপনার জন্য বলি দিল, বছরের শেষটা এবং আগামী বছরের শুরুটা এবার আপনি জনগণকে দিন দয়া করে। আর এর মাঝে আপনিও না হয় চিন্তা করে দেখুন, আগামী বছরে কী নতুন রাজনীতি আপনি ও আপনার দল জনগণকে দিতে পারবেন। জনগণ শ্বাস নিতে ভুলে গেছে, দোহাই আপনার, এবার তাদের শ্বাস নেয়ার ব্যবস্থা করে দিন। 

ঢাকা ॥ ৩০ ডিসেম্বর, সোমবার ॥ ২০১৩ ॥
masuda.bhatti@gmail.com

RbKÉ


Ô†W‡gv‡µwm di gv‡P©iÕ †bÎx Gevi `qv K‡i ¶¨vgv w`b!! :gvmy`v fvwÆ





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___