Banner Advertiser

Wednesday, January 1, 2014

[mukto-mona] এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ॥ যার ভিত মজবুত তিনিই পারেন স্বপ্ন দেখাতে



বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০১৪, ১৯ পৌষ ১৪২০                                                                                                                    
এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ॥ যার ভিত মজবুত তিনিই পারেন স্বপ্ন দেখাতে
মুহম্মদ শফিকুর রহমান
যিনি জাতির উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখতে জানেন, স্বপ্ন দেখাতে জানেন, উন্নত-সমৃদ্ধ জীবনের দিকে জাতিকে নিয়ে যেতে পারেন তিনিই তাঁর জাতির নেতৃত্ব দেবার অধিকার রাখেন। তিনিই যোগ্য নেতৃত্ব দিতে সক্ষম। আর তা সম্ভব হয় যাঁর ভিত্তি মজবুত অর্থাৎ জনগণের কাজ করে যিনি জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নিজের রচিত মজবুত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে সেই উন্নত-সমৃদ্ধ জীবনের স্বপ্ন দেখালেন। শনিবার (২৮/১২/২০১৩) শেরেবাংলা নগর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, কূটনীতিকদের উপস্থিতিতে আগামী ১০তম জাতীয় সংসদের নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৪ ঘোষণা করলেন। আগামী ৫ জানুয়ারি ২০১৪ এই নির্বাচন হতে যাচ্ছে। বিগত সংসদ (২০০৮ ৯ম সংসদ)-এর নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত রূপকল্প ২০২১-এর লক্ষ্য অর্জন শেষে (যার অনেক কিছু এরইমধ্যে অর্জিত হয়েছে) পরবর্তী রূপকল্প ২০৪১ ঘোষণা করেন। উচ্চাভিলাষী ঘোষণা অবশ্যই। তবে কারো কারো জন্য হলেও শেখ হাসিনার জন্য মোটেই উচ্চাভিলাষী নয়, ইতোমধ্যেই তিনি তা প্রমাণ করেছেন, যা বলেন তা বাস্তবায়ন করেন। এবার তাঁর ঘোষণা এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। 
বিস্তারিত বলার আগে কি পরিবেশে, কোন্ অবস্থায় শেখ হাসিনা ইশতেহার ঘোষণা করলেন তার একটা বর্ণনা দেয়া দরকার। অন্তত ২টি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের খানিক আলোচনা দরকার :
ক. এমন এক সময় শেখ হাসিনা তাঁর নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করলেন যখন ১/১১-এর কুশীলবরা আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। গত শুক্রবার (২৭/১২/২০১৩) গুলশানের একটি বৈঠকে তাঁরা একত্রিত হয়েছিলেন। তাঁদের কেউ কেউ বর্তমান সরকারকে খালেদা জিয়ার মতো 'সরাসরি স্বৈরাচার' না বলে 'গণতান্ত্রিক স্বৈরাচার' বললেন (টিভিতে দেখেছি)। চক্ষু লজ্জা তাহলে অবশিষ্ট আছে বলতে হবে। তাঁরা নিজেদের 'নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি' 'সুশীল সমাজের প্রতিনিধি' 'বিশিষ্টজন' 'বিশিষ্ট নাগরিক' বলে দাবি করেন। এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন থেকেই যায়? তারা কোন্ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি? কোন্ সুশীল সমাজের প্রতিনিধি? আমি নিজেও তো নাগরিক সমাজের একজন। কই আমি তো গুলশান বৈঠকের একজনকেও আমার প্রতিনিধি করে পাঠাইনি। সুশীল সমাজের সিলটাই বা তাদের গায়ে কে মারল? তবে কি কেউ 'মিলিটারির দালাল' বলছে বলে ওটা চাপা দেবার জন্য 'নাগরিক' 'সুশীল' যত ভাল ভাল শব্দ নিজেই নিজের গায়ে লাগিয়ে নিয়েছেন। কেউ যদি মিলিটারির দালাল বলেনও তাতেও গোসসা হবেন না। কেউ কেউ ছিলেন তো ১/১১-এর মিলিটারির দালাল। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মতো এক বিশিষ্ট (অভদ্র) জনও ছিলেন। আসিফ-পেঁয়াজদের মতো পদাধিকারবলে বিশিষ্ট টাউটও ছিলেন। তবে অবাক হয়েছি প্রফেসর রেহমান সোবহান, প্রফেসর আবদুল্লা আবু সাঈদ, রাশেদ খান মেননের মতো সত্যিকার অর্থেই নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের ঐ বৈঠকে দেখে! ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম যে কথাটি বৈঠকে বললেন তা তো তিনি তাঁর কাগজে 'মন্তব্য প্রতিবেদন' হিসেবে ছেপেছেনই, বাই লাইন, যার শিরোনাম ছিল - অহ ধঢ়ঢ়বধষ ঃড় ঃযব ঊঈ ধহফ ঃযব চগ – চষবধংব ফড় হড়ঃ যড়ষফ ঔধহ ৫ বষবপঃরড়হং.(২৭/১২/২০১৩)।
তবে আলোচনায় বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন মইনুল হোসেনের মতো বিশিষ্ট (অভদ্র) জন। এই লোককে পাঁচ বছর পর আবার জনসমক্ষে দেখা গেল। দেশবাসীর ভাববার বিষয়। 
দুই-তিন জনকে বাদ দিলে বাকিরা যে কি চান তা বুঝতে খুব একটা কষ্ট হয় না। আবারও মঈনুদ্দিনের মতো কোন অ-সুশীল ক্ষমতায় এলে তার তো কিছু সুশীল নামের দালাল দরকার হবে তখন যদি ভাগ্যটা খুলে? তা-ই তো দেখা গেল তাঁরা সমস্ত দায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর চাপালেন। মিলিটারির আঁতুড়ঘরে জন্ম নেয়া বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া তাদের কাছে মিলিটারি না হলেও মন্দের ভাল। 'শেখ হাসিনা দেশ ধ্বংস করছেন' এ বলে তাঁরা কত উদ্বিগ্ন অথচ খালেদা জিয়া যে জামায়াত-শিবিরের নেতৃত্ব গ্রহণ করে আন্দোলনের নামে প্রতিদিন মানুষ হত্যা করছেন, পিটিয়ে আগুনে পুড়িয়ে মারছেন, হিন্দুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে তাদের হত্যা, ধর্ষণ এবং গৃহহারা করছেন, দেশত্যাগে বাধ্য করছেন, দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করছেন, মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন; এসবও তো মানবতাবিরোধী অপরাধ? কই এই সুশীল বাবুরা লম্বা লম্বা কথা বলেন অথচ ক'জন নির্যাতিত এলাকায় গেছেন? পেট্রোলবোমায় অগ্নিদগ্ধ মরণ যন্ত্রণায় কাতর মানুষকে দেখতে কি হাসপাতালে গেছেন? তাহলে তাদের গুলশানের বৈঠকের উদ্দেশ্য কি? 
খ. বেগম খালেদা জিয়া আন্দোলনের নামে যা করছেন তা হলো মানুষ হত্যা, দেশ ধ্বংস করা, হত্যা, ধর্ষণ, দখল, হামলা, নির্যাতন চালিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের দেশ থেকে তাড়ানো এবং বাংলাদেশকে পাকিস্তানের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া। তার এই আন্দোলনের পেছনে রয়েছে পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ও তাদের এদেশীয় এজেন্ট জামায়াতের অর্থ ও পেশীশক্তি। বাদ সেঁধেছেন শেখ হাসিনা ও দেশের সর্বোচ্চ আদালত। শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করলেন যাদের ৯৯% জামায়াত-শিবিরের। এরইমধ্যে জামায়াতের কাদের মোল্লার ফাঁসিও হয়ে গেল। উচ্চ আদালতের রায় এবং নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন বাতিলের কারণে জামায়াত-শিবির নির্বাচন করতে পারছে না- এখানেই খালেদা জিয়ার যত ক্ষোভ। কারণ নির্বাচনে জিততে হলে তার জামায়াত-শিবিরকে লাগবে। আগেই বলেছি জামায়াত-শিবিরই তাকে অর্থ এবং পেশীশক্তির যোগান দেয়। তারাই ২০০৬ সালে এক কোটি ২৪ লাখ ভুয়া ভোট বানিয়ে খালেদাকে জেতাতে চেয়েছিল; আওয়ামী লীগের আন্দোলনের কারণে পারেনি। ২০০১-এও এভাবেই জিতেছিল। এবারও তাই আশা করেছিল। জামায়াত-শিবিরকে রেখে নির্বাচনে গেলে ২০০৮-এর মতো এবারও শতকরা ১০ ভাগ আসনই পেতে হবে। রবিবার তথাকথিত 'মার্চ ফর ডেমোক্রেসি' এর নামে 'মার্চ ফর ডেস্ট্রাকশন'-এর ঘোষণা দিয়ে সারাদেশ থেকে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের ঢাকায় এনে এক অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কোন সরকার কি তা হতে দিতে পারে? পারে না। শেখ হাসিনা তো সবচে জনপ্রিয়, দক্ষ, সাহসী প্রধানমন্ত্রী, তিনি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে দেবেন কেন? যে কারণে খালেদাকে নাশকতার নেতৃত্ব দিতে বাড়ি থেকে বের হতে দেয়া হয়নি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তার সন্ত্রাসীদেরও রাস্তায় নামতে দেয়নি। খালেদা জিয়া ক্ষুব্ধ হলেন, যা পুলিশকে লক্ষ্য করে তার ধমকের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে :
১. (মহিলা পুলিশকে) এই মেয়েরা এত কথা বল ক্যানো? চুপ, বেআদব। বাড়ি কোথায়? গোপালী? গোপালগঞ্জের নামই পাল্টে যাবে। গোপালগঞ্জ বলে কিছুই থাকবে না।
২. 'উবসড়পৎধপু ভড়ৎ ৎড়ধফ সধৎপয' রেগে গিয়ে এভাবেই বললেন (টিভিতে) (আমাদের পার্লামেন্টে এমনি একটি হাসির উদাহরণ রয়েছে। এক 'গৃহপালিত বিরোধীদলীয় নেতা' বলেছিলেন 'ঐড়ঁংব ড়ভ ঃযব ষবধফবৎ'।
৩. (মহিলা পুলিশকে) কি বোঝোনি? এটা তো বাংলা ভাষা। না-কি অন্য কোন ভাষায় বলতে হবে? (শুনেছি খালেদা জিয়া পাকিস্তানের ভাষা উর্দুটা কিছু কিছু জানেন)।
এ কলামে এসব বলা উদ্দেশ্য ছিল না। পরিস্থিতির প্রয়োজনে কিছু চিত্র তুলে ধরা হলো। এমনি পরিস্থিতিতেই শেখ হাসিনা তাঁর নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৪ ঘোষণা করলেন এবং এর মাধ্যমে তাঁর পরবর্তী রূপকল্প ২০৪১ দিলেন। ভিত্তি হিসেবে দেখিয়েছেন খালেদা জিয়ার প্রধানমন্ত্রিত্বের (জামায়াতকে নিয়ে) সর্বশেষ ২০০৫-০৬ অর্থবছরের তুলনায় শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বের (১৪ দল নিয়ে) ২০১২-১৩ অর্থবছরের চিত্র হলো : জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার ২০০৫-০৬ তে ৫ পয়েন্ট ৭ শতাংশ-এর আয় ছিল (২০০৮ সালে) ৬২৫ মার্কিন ডলার আর এখন ১০৪৪ মার্কিন ডলার; বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০০৫-০৬ এ ৩ পয়েন্ট ৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, এর তুলনায় ২০১২-১৩ এ ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার; বিদ্যুত উৎপাদন ২০০৫-০৬ এ ৩,৭৮২ মেগাওয়াট, এর তুলনায় এখন ১০,০০০ মেগাওয়াট; খাদ্য উৎপাদন ২৭৮ মিলিয়ন টন থেকে বেড়ে বর্তমানে ৩৭৫ মিলিয়ন টনে দাঁড়িয়েছে; দারিদ্র্যের হার ৪১ পয়েন্ট ৫১ শতাংশ থেকে ২৬ পয়েন্ট ২০ শতাংশে এবং অতিদরিদ্র হার ২৫ পয়েন্ট ১ শতাংশ থেকে নেমে ১১ পয়েন্ট ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে; ন্যূনতম মজুরি এক হাজার ৬৬২ টাকা থেকে বেড়ে পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা; ক্ষেত মজুরদের মজুরি চালের দামের ভিত্তিতে দৈনিক ৩ পয়েন্ট ৫ কেজি থেকে বেড়ে ১০-১২ কেজি ক্রয়ের সক্ষমতা। এ ছাড়া গত ৫ বছরে শেখ হাসিনার সরকার এক কোটি চাকরি দিয়েছেন, প্রচুর অবকাঠামো উন্নয়ন করেছেন। রাজধানী ঢাকার দিকে তাকালে দৃষ্টিনন্দন হানিফ ফ্লাইওভার, হাতিরঝিল প্রকল্প ছাড়াও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে যেভাবে হাত-পা ছড়িয়ে ফ্লাইওভারগুলো মূল শহরের দিকে চলেছে সেদিকে তাকালে মনে হবে বহির্বিশ্বের কোন উন্নত নগরের পথে চলেছি। শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন ৫ জানুয়ারির পর সরকার গঠন করতে পারলে আগামী পাঁচ বছরে রাজধানীর যানজট নিরসন করে সুন্দরভাবে গড়ে তোলা হবে, বাংলার ঘরে ঘরে বিদ্যুত দেয়া হবে। সে লক্ষ্যে ২০২১ সালে বিদ্যুত উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে দাঁড়াবে ২৪ হাজার মেগাওয়াট। 
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৪ ঘোষণাকালে তাঁর ভবিষ্যত লক্ষ্য এবং কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরে বলেছেন, ২০০৮ সালে যে সব অঙ্গীকার করেছিলেন তা পালন করেছেন। সঙ্কট মোচন করে দেশকে এগিয়ে নেয়ার যে কর্মসূচী দেয়া হয়েছিল তা সততা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে বাস্তবায়িত হয়েছে। কোনো ক্ষেত্রে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অনেক বেশি সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এমনকি গএউ (মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল) কয়েকটি ক্ষেত্রে ২০১৫ সাল নির্ধারিত থাকলেও ২০১৩-তেই অর্জিত হয়েছে। আর তা সম্ভব হয়েছে বিগত ৫ বছর দেশবাসীর অকুণ্ঠ সমর্থন, তাদের অক্লান্ত শ্রম, ঘাম, মেধা এবং দেশ গঠনে আমাদের তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণের ফলেই। শেখ হাসিনা তাদের সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে বললেন, আমরা সবাই আজ 'আলোর পথের যাত্রী।'
শেখ হাসিনা ঘোষণা করলেন, রাজনীতি থেকে হিংসা, হানাহানি, সংঘাতের অবসান হবে, দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়নের ধারা থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে আসবে, গড়ে উঠবে একটি সহিষ্ণু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে উন্নয়ন-অগ্রগতির যে পরিবেশ রচিত হয়েছে, সে পথ থেকে কোন অপশক্তি তাকে বিচ্যুত করতে পারবে না। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে জাতিকে উপহার দেবেন নতুন ভিশন নতুন প্রেক্ষিত পরিকল্পনা 'রূপকল্প ২০৪১।" ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের পর্যায় পেরিয়ে এক শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ, উন্নত ও সুখী জনপদ। দেশমাতৃকার ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে নতুন প্রজন্ম। আমরা তাদের হাতে তুলে দিচ্ছি শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের নেতৃত্ব 'এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।'
কারও কারও কাছে মনে হতে পারে এমন উচ্চাভিলাষী কর্মপরিকল্পনা কতখানি বাস্তবসম্মত? আদৌ সম্ভব হবে কি? যাঁরা শেখ হাসিনাকে জানেন না তাঁদের পক্ষে এমনটি ভাবা স্বাভাবিক। যাঁরা জানেন, চেনেন তাঁদের মনে এতটুকু সন্দেহের উদ্রেক হবে না। যে নারী বাবা-মা, ভাই-ভ্রাতৃবধূ সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলেন, দীর্ঘদিন দেশেও ফিরতে দেয়া হয়নি সেই মানুষটিই নিজের মেধা, যোগ্যতা, দূরদর্শিতা, যোগ্য-সাহসী নেতৃত্ব দিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছেন। দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে তিনি বলতে পারেন- এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এখানে কোরান-সুন্নাহ বিরোধী যেমন কোন আইন হবে না তেমনি একটি একটি করে সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার হবে, বিচারের রায় এক এক করে কার্যকর হবে; এই তো শেখ হাসিনা, এই তো বঙ্গবন্ধু কন্যা, এই তো উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা। 

লেখক : ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক
বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০১৪, ১৯ পৌষ ১৪২

উন্নয়নের বিস্ময় বাংলাদেশ

শওকত হোসেন | আপডেট: ০৩:১৫, জানুয়ারী ০১, ২০১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

http://www.prothom-alo.com/economy/article/112795/উন্নয়নের_বিস্ময়_বাংলাদেশ

আপডেট: ০৩:১৫, জানুয়ারী ০১, ২০১৪ 





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___