Banner Advertiser

Sunday, March 31, 2013

[mukto-mona] শিবিরের আমলনামা ৩ : ইতিহাসের ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড



শিবিরের আমলনামা ৩

ইতিহাসের ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড


মাহমুদ মেনন ও আদিত্য আরাফাত
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ইতিহাসের ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড শিবিরের আমলনামা ৩

[ইসলামের নাম ভাঙিয়ে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে কত ধরনের নৃশংসতা, অধার্মিকতা, কূটকৌশল আর স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী কার্যকলাপ যে করে চলেছে জামায়াতের অঙ্গসংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির, তা অনেকেই জানেন না।

গত প্রায় সাড়ে তিন দশক ধরে শিবির যে ধরনের তৎপরতা চালাচ্ছে, তার কিছু চিত্র তুলে ধরার জন্য এ আয়োজন 'ছাত্র শিবিরের আমলনামা'।
[আজ পড়ুন এর তৃতীয় কিস্তি]


স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মধ্যে অন্যতম চট্টগ্রামের 'বহদ্দারহাট ট্রাজেডি'। শিবির দেশের সবচেয়ে আলোচিত ও ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড ঘটায় চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে। 

২০০০ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে শিবির চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট মোড়ে একটি মাইক্রোবাসে থাকা ছাত্রলীগের আটজন নেতা-কর্মীকে ব্রাশফায়ারে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ড দেখে দেশের মানুষ আবার তাদের বর্বরোচিত নারকীয়তার সাথে নতুন করে পরিচিত হয়। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে শিবিরের অবস্থান যখন হুমকির মুখে পড়ে গিয়েছিল, তখনই তারা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। এরই ধারাবাহিকতায় একেবারে পরিকল্পিতভাবে শিবির ক্যাডাররা গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে ছাত্রলীগের আট নেতাকর্মীকে। 

এরপর ২০০১ সালে ২৯ ডিসেম্বর ফতেয়াবাদের ছড়ারকুল এলাকায় শিবির ক্যাডাররা ব্রাশফায়ারে হত্যা করে ছাত্রলীগ নেতা আলী মর্তুজাকে।

২০১০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশনে কুপিয়ে হত্যা করে রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র এ এম মহিউদ্দিনকে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। মহিউদ্দিন খুন হওয়ার পর শিবির মহিউদ্দিনকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করে!

এছাড়া চট্টগ্রামের ইতিহাসে আরেকটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যাকাণ্ড। ২০০১ সালের ১৬ নভেম্বর শিবির ক্যাডাররা গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীকে নির্মমভাবে হত্যা করে। দুর্গম এলাকা ফটিকছড়িতে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে তারা পর্যায়ক্রমে ছাত্রলীগের বেশ কজন নেতা-কর্মীকে হত্যা করে। তাদের এই হত্যা ও রগকাটা রাজনীতি, সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী কার্যকলাপের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ ইসলামী ছাত্র শিবিরকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। 

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অধিভুক্ত ন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম ফর স্টাডি অব টেরোরিজম অ্যান্ড রেসপন্স টু টেরোরিজমের তৈরি ফাইলে ছাত্র শিবিরের ব্যাপারে বলা হয়, ভয়ংকর জঙ্গি সংগঠন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জঙ্গি তৎপরতা চালানো ছাড়াও শিবির আন্তর্জাতিক পর্যায়ের জঙ্গি সংগঠনগুলোর সাথে নিজেদের একটা নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে।

রাজশাহী শিবিরের ক্যান্টনমেন্ট?

রাজশাহীতে শিবির বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে। গ্রাম থেকে শহরে বিস্তৃত রয়েছে তাদের নেটওয়ার্ক। শিক্ষাঙ্গন দখলের রাজনীতি শুরু করে শিবির তার ধারাবাহিকতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও তাদের কার্যক্রম শুরু করে। 

১৯৭৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা চত্বরে এক জনসভার মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র শিবির প্রকাশ্যে রাজনীতি শুরু করে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরুতেই তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ছাত্র সংগঠন ছাত্রমৈত্রী আর জাসদ ছাত্রলীগের বাধার মুখে পড়ে। কিন্তু হত্যা আর রগকাটার রাজনীতি শুরু করে শিবির সেই বাধাকেও তুচ্ছ করে ফেলে। একপর্যায়ে শিবির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে শিবির চট্টগ্রামের মতো একই কায়দায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্রে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশে তাদের শক্তিমত্তা বাড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোকে তারা বানিয়েছে তাদের মিনি ক্যান্টনমেন্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী গ্রাম বিনোদপুর, বুধপাড়া, মেহেরচন্ডী গ্রামে শিবিরের অনেক কর্মী ও ক্যাডার স্থানীয় মেয়েদের বিয়ে করে এসব গ্রামে নিজেদের শক্তি বাড়িয়েছে। এছাড়া আত্মীয়তা সূত্রে আবদ্ধ হওয়ার কারণে শিবিরের এসব কর্মী ও ক্যাডারদের কথায় স্থানীয় অনেকেই জামায়াত শিবিরের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। একে একে শিবির বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার পুরোটাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। 

অন্যদিকে গোটা রাজশাহী মহানগরজুড়ে প্রগতিশীল ও বাম সংগঠনগুলোর ব্যর্থতা, অদক্ষতা, কর্মক্ষমহীনতা, অসততা যত বেড়েছে শিবির বিপুল উদ্যোগে সেই ফাঁকা জায়গায় তাদের বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। মহানগরীজুড়ে কোচিং সেন্টার, মেস, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ নানারকম ক্ষুদ্র ব্যবসায় তারা লগ্নি করেছে। এই অর্থলগ্নির একটা বড় অংশ শিবির সংগঠনের পেছনে খরচ করা হয়েছে। এই আর্থিক প্রণোদনা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা গ্রামের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনেক সমস্যা লাঘব করেছে। টিউশনি, লজিং ইত্যাদি জুগিয়ে ছাত্রজীবনে আর্থিক সহায়তার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষাজীবন শেষে কর্মজীবনে জামায়াত নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরির নিশ্চয়তার ধারাবাহিক পথ তৈরি করে জামায়াত তাদের ছাত্র সংগঠনকে মজবুত করার কাজে লাগিয়েছে। 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে যে আর্থিক কর্মকাণ্ড তার অনেকটাই এখনও শিবিরের নিয়ন্ত্রণে। শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন দোকান, বাজার, পার্শ্ববর্তী গ্রামে দীর্ঘদিনের শ্রমে শিবির সমর্থকদের জুটিয়ে জামায়াত তাদের একটি শক্ত ঘাঁটিতে পরিণত করেছে। 

রাজশাহীতে শিবিরের তাণ্ডব ও হত্যার খতিয়ান

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে শিবির নৃশংসতার পথ বেছে নেয়। প্রতিষ্ঠার পর রাজধানী ঢাকায় বাধা পেয়ে শিবির মফস্বল, গ্রাম আর শিক্ষাঙ্গন টার্গেট করে যে রাজনীতির পরিকল্পনা করে চট্টগ্রামের পর তারা এই হিংস্র ও খুনের রাজনীতির সফল প্রয়োগ করে রাজশাহীতে। 

১৯৮২ সালের ১১ মার্চ প্রথমবারের মতো শিবির ক্যাডাররা চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বাসভর্তি বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে এসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়। এই সহিংস ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ১৯৮৮ সালের ৩ মে রাজশাহী  মেডিকেল কলেজ মেইন হোস্টেলের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে শিক্ষার্থীদের সামনে ছাত্রমৈত্রী নেতা ডাক্তার জামিল আক্তার রতনকে কুপিয়ে ও হাত পায়ের রগ কেটে হত্যা করে শিবিরের ক্যাডাররা। 

১৯৮৮ সালে রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জাসদ নেতা জালালকে তার নিজ বাড়ির সামনে কুপিয়ে হত্যা করে শিবির ক্যাডাররা। ১৯৮৮ সালের ১৭ জুলাই ভোররাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্ররা যখন ঘুমিয়ে, ঠিক সে সময়ে, বহিরাগত শিবির ক্যাডাররা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালিয়ে জাসদ ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি ও সিনেট সদস্য আইয়ুব আলী খান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সিনেট সদস্য আহসানুল কবির বাদল এবং হল সংসদের ভিপি নওশাদের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। 

একই বছরের আগস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মো. ইউনুসের বাসভবনে শিবির বোমা হামলা করে। 

১৯৯২ সালের ১৭ মার্চ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির সন্ত্রাসীদের হাতে জাসদ ছাত্রলীগ নেতা ইয়াসির আরাফাত খুন হন। এ দিন তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ছাত্র হল আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। ১৯৯২ সালের ১৯ জুন শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে রাজাকারদের অন্যতম প্রধান গোলাম আযমের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনে হরতাল কর্মসূচি  সফল করার লক্ষ্যে জাসদের মিছিলে শিবিরের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। শিবিরের হামলায় ওই দিন সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে জাসদ নেতা মুকিম মারাত্মক আহত হন এবং ২৪ জুন তিনি মারা যান। একই বছরের আগস্ট মাসে শিবিরনিয়ন্ত্রিত বিশ্ববিদ্যালয়-পার্শ্ববর্তী নতুন বুধপাড়া গ্রামে শিবির ক্যাডার মোজাম্মেলের বাড়িতে বোমা বানানোর সময় শিবির ক্যাডার আজিবরসহ অজ্ঞাতনামা অন্তত আরও তিনজন নিহত হয়। 

১৯৯৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে শিবির সবচেয়ে বড় তাণ্ডবলীলা চালায় শিবিরের ক্যাডাররা। শিবিরের সন্ত্রাসীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। ছাত্রদল ও সাবেক ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ মিলে গঠিত সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের ওপর শিবিরের হামলায় ছাত্রদল নেতা বিশ্বজিৎ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নতুন এবং ছাত্র ইউনিয়নের তপনসহ ৫ জন ছাত্র নিহত হন। একই বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর বহিরাগত সশস্ত্র শিবিরকর্মীরা শেরেবাংলা হলে হামলা চালিয়ে ছাত্রমৈত্রী নেতা বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেটার জুবায়েদ চৌধুরী রিমুকে হাত-পায়ের রগ কেটে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। ১৯৯৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি শিবিরকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী চৌদ্দপাই নামক স্থানে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী একটি বাসে হামলা চালিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী নেতা দেবাশীষ ভট্টাচার্য রূপমকে বাসের যাত্রীদের সামনে কুপিয়ে হত্যা করে। ১৯৯৬ সালে জাসাস বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আমানউল্লাহ আমানকে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করে শিবির ক্যাডাররা। ২০০১ সালে রাবি অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহাকে শিবিরকর্মীরা হাত-পা বেঁধে জবাই করে হত্যার চেষ্টা চালায়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের হস্তক্ষেপে ওইদিন তিনি প্রাণে বেঁচে যান। 

২০০৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মো. ইউনুসকে ফজরের নামাজ পড়তে যাবার সময় কুপিয়ে হত্যা করে শিবির ক্যাডাররা। এর আগে ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালে দুই দফায় ছাত্র শিবির অধ্যাপক ইউনুসকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।
২০০৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জামায়াতপন্থী শিক্ষক মহিউদ্দিন এবং ছাত্র শিবির সভাপতি মাহবুব আলম সালেহীসহ আরও দুজন শিবির ক্যাডার একযোগে হামলা চালিয়ে রাবির ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবু তাহেরকে হত্যা করে। ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতের আঁধারে বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করে তার লাশ ম্যানহোলে ফেলে রাখে শিবিরের ক্যাডাররা। 


আগামী কিস্তিতে পড়ুন : চাঁদাবাজির অপর নাম বায়তুল মাল!

বাংলাদেশ সময় ১৭২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১১



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___