Banner Advertiser

Sunday, March 31, 2013

Re: [mukto-mona] Columnist Farhad Mazhar is now a Communist by his own admission ....!



I do not agree with Farhad Mazhar on many of his points and arguments. I certainly do not accept his claim that he is a communist.
However, I do feel that Bangalee nationalism has been an ill-conceived idea in Bangladesh. When we say "we are all Bangalees", who are these "we"? Certainly not all people of Bangladesh. I think "Bangalee nationalism" should be outside of any state recognition. "Nationalism" as one of the pillars of the constitution would be good only if it is dissociated from the word "Bangalee." The country is called "Bangladesh"; that is more than enough recognition that the majority of the people are Bangalees.
Sukhamaya Bain
============================
From: Jiten Roy <jnrsr53@yahoo.com>
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Sent: Sunday, March 31, 2013 3:10 PM
Subject: Re: [mukto-mona] Columnist Farhad Mazhar is now a Communist by his own admission ....!
 
"মনে রাখবেন গৃহযুদ্ধ আওয়ামী লীগ লাগাতে জানে। আওয়ামী লীগ মনে করে তারাই দেশের একমাত্র মালিক। ফলে সব ক্ষমতারও মালিক। এখন তারা দ্বিতীয় গৃহযুদ্ধ শুরু করেছে। নতুন যে পরিস্থিতি তারা তৈরি করেছে তাতে সমাজকে দুই ভাগে ভাগ করে ফেলেছে। একদিকে আছে বাঙালি জাতীয়তাবাদীরা আর অন্যদিকে আছে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ। যারা অবশ্যই ভাষা ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে বাঙালি, কিন্তু একই সঙ্গে ধর্মও তাদের সংস্কৃতির অংশ। ধর্ম তাদের আত্দপরিচয়ের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কিন্তু যদি আপনি নিরন্তর আর বার বার দাবি করেন ভাষা ও সংস্কৃতিই আপনার মূল পরিচয়, ধর্ম নয়; তখন নতুন এক বিরোধ আপনি তৈরি করেন।"

How could a columnist, who earns his living by selling opinions in the media, be so confused about Bangalee Jatiotabad and Religion? Is it so difficult for a columnist to understand the fact that we are all Bangalee, irrespective of being Muslim, Hindu, Buddhist, and Christian? There is no conflict between Jatiotabad and religion. The answers to this question will tell you who is Farhad Mazher. 
 
I do not believe he is confused at all about Bangalee Jatiotabad. He understands the concept, but - he is against it, because he does not believe in nationalism, meaning he is a diehard Islamist. That's the reason for all these crooked arguments you see in his commentaries. 
 
He is trying to sell the idea that Awami League started a civil war. Can you see a shred of evidence in that argument? Not at all. In fact, you see evidences to the contrary. Who are calling for Hortals? Who are burning buses, cars, houses, temples, etc.? Who are hurling cocktails at Police?  Mostly the opposition parties, not Awami League, do all these carnages. Yet, he is blaming the government for starting a civil war. 
 
Actually, he can't say explicitly what he means by  - Awami League started a civil war. He means Awami League started a civil war by initiating the War Crime Tribunal. He wants everybody, including Awami League, to forget that war crimes ever happened in Bangladesh. 

These are reasons for all those twisted arguments in his commentaries.

Jiten Roy

 


--- On Sun, 3/31/13, subimal chakrabarty <subimal@yahoo.com> wrote:

From: subimal chakrabarty <subimal@yahoo.com>
Subject: [mukto-mona] Columnist Farhad Mazhar is now a Communist by his own admission ....!
To: "mukto-mona@yahoogroups.com" <mukto-mona@yahoogroups.com>
Date: Sunday, March 31, 2013, 11:57 AM

 
  • ইতিহাসে ভূরি ভূরি উদাহরণ আছে যখন ধর্ম জালিম শাসক ও তাদের রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।
That's right. But in this case Jamat-Shibir and their supporters are trying to save the lives of the criminals accused of killing, raping, arson, and collaboration with the Pakistani occupation army. 
  • শেখ হাসিনার বাদশাহি টিকিয়ে রাখার গর্হিত কাজে, তাদের 'প্রগতিশীল' বলে মানার কোনো যুক্তি নেই।
The truth has been twisted. The Shahbag movement began as a protest against an alleged collusion between AL and Jamat. BNP could have supported the movement and put AL in an uneasy situation. Instead of doing that it sided with Jamat-Shibir. 
  •  'তারুণ্য' আর 'প্রজন্ম' নামক শাহবাগী ধারণার মধ্যেই যে এ দেশের গরিব, অত্যাচারিত, নির্যাতিত শ্রমিক ও খেটে খাওয়া জনগণকে অস্বীকার করার তত্ত্ব নিহিত রয়েছে তা বোঝার জন্য কাণ্ডজ্ঞানই যথেষ্ট।
The statement is not based on facts. There is no reason to believe that the "Shahbagis" deny the plight of the common people. Rather the contary is mostly true.  
  • মনে রাখবেন গৃহযুদ্ধ আওয়ামী লীগ লাগাতে জানে।
Can the Chittagong Hill Tracts insurgency be called a civil war? Was 1971 liberation war a civil war? In response to both these questions my answer is NO. The government waged war against the people of CHT. Zia's army officer in charge of handling CHT insurgency General Manzur once said to the people of CHT,"We need your land, we do not care about you." We all know the actual arms insurgency was started and intensified following Zia's policy of forced settlement of Bengalis in CHT. The grievance of the CHT people has a long history. It was rooted in 1947 partition. They wanted to go with India. Then Ayub Khan flooded a vast area to build the Kaptai project. On the question of participating in the 1971 liberation struggle, CHT was divided. The 1972 constitution failed to include a clause specifically acknowledging their rights. Then came the insulting remark to Manabendra Narayan Larma by Mujib; Mujib failed to act as the Father of the Nation. BNP has always opposed any peace accord. So it is unjustified to exclusively accuse AL of waging a "civil" war. In the final analysis BNP is mostly to blame.  
  • একদিকে আছে বাঙালি জাতীয়তাবাদীরা আর অন্যদিকে আছে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ।
It is a sectarian political statement. The Bengali nationalists are not fighting against the religious people. There is a big overlap (my guess more than 99%) between these two groups. The fight is clearly between those who are in favor of trial and those who are not.
  • ধর্ম তাদের আত্দপরিচয়ের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কিন্তু যদি আপনি নিরন্তর আর বার বার দাবি করেন ভাষা ও সংস্কৃতিই আপনার মূল পরিচয়, ধর্ম নয়; তখন নতুন এক বিরোধ আপনি তৈরি করেন
Another wrong statement in the context of Bangladesh. There has always been a debate between "First Bengali, then Muslim" vs "First Muslim, then Bengali", but religion has never been defied by AL or it's allies.   
  • নাস্তিকদের সঙ্গে মোমিন মুসলমানের সামাজিক কোনো ঝগড়া নেই। ফলে কাউকে যখন তখন মুরতাদ বলা বা তার বিশ্বাসের জন্য শারীরিকভাবে ক্ষতি করা মোমিনের কাজ হতে পারে না।
This is a great statement. I salute you Farhad Bhai. I hope BNP leaders will appreciate this great statement.
  • ব্লগে নবী করিম (সা.)-এর বিরুদ্ধে যে কদর্য ভাষায় লেখালিখি হয়েছে তা কোনো বিবেকবান মানুষের পক্ষে সহ্য করা অসম্ভব। এটা কিন্তু নতুন নয়। সব সময়ই সেক্যুলারিজমের নামে, বাঙালি জাতীয়তাবাদের নামে বাংলাদেশে এসবকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এসব চিন্তার স্বাধীনতা।
Farhad Bhai, first let me tell you that I am dead against making dirty comments against any religious prophet. But the life and work of any historical figure deseve critical analysis. That is how we progress. As the editor of a great magazine named "Chinta", I hope, you will agree with me. Criticizing Islam and it's prophet has got momentum after 9/11 and the insurgency of al-Quaida. But this is limited to a limited number of bloggers. No government including AL government has officially supported this kind of acts. At least I don't have any proofs.
  • আমি আজ সকালে এক তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে কথা বলি, যে তরুণ প্রজন্ম শাহবাগে যান। আমি তাকে প্রশ্ন করি_ আপনারা 'তরুণ' কিন্তু যে তরুণকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করল সে কি তরুণ নয়? সে তাহলে কোন প্রজন্ম? তাহলে কি তারা জন্তু জানোয়ার?
This is a dangerous generalization. We have to distinguish between the young man who took arms and fought against the Pakistan occupation army and the youn man who being the member of Al-Badr killed Munier Chowdhury or Shahidullah Kaiser. Both the young man has own politics and ideology. Whom should be with?
Farhad Bhai, I have been always against extrajudicial killings. For example, I have always expressed my disapproval of "cross fire" killings by RAB. I believe the ruling party has always the responsibility to show restraints. If it does not, it can be called a fascist party. All the recent killings by police need to be investigated to find out in what conditions police had to shoot and these investigations should be transparent.   
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা
 
ফরহাদ মজহার
বাংলাদেশের রাজনৈতিক মেরুকরণ যে চরিত্র গ্রহণ করেছে তাতে শাহবাগের রাজনীতি ও আচরণের বিপরীতে বিপুল মানুষের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। মাহমুদুর রহমান আমার বন্ধু। তিনি স্বাধীনচেতা মানুষ। তার নিজস্ব চিন্তা আছে, তিনি আমার মতো কমিউনিস্ট নন, কিন্তু আমি আবার বামপন্থি নই। অতএব নাস্তিকও নই। খেয়ে না খেয়ে ধর্মের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণার সঙ্গে কমিউনিজমের কোনোই সম্পর্ক নেই। মনে রাখতে হবে, আস্তিক/নাস্তিক ভাগ শুরু হয়েছিল স্নায়ুযুদ্ধের সময় থেকে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীনের বিরুদ্ধে বেসামরিক যুদ্ধ পরিচালনার কৌশল হিসেবে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীরা প্রচার করেছিল কমিউনিজম নাস্তিকের ধর্ম। তার বিরুদ্ধে জিহাদ ইমানি কর্তব্য। তারা আমাদের ধর্মপ্রাণ মানুষ আলেম-ওলামাদের বিভ্রান্ত করতে পেরেছিল, কারণ কমিউনিস্টদের একাংশ নিজেদের নাস্তিক বলে জাহির করত। এর ফল তাদের জন্য ভালো হয়নি, ইতিহাস তার প্রমাণ। এতে ধারণা তৈরি হয়েছে নাস্তিকতাই প্রগতিশীলতা। কিন্তু কমিউনিজমের যারা গুরু মার্কস বা লেনিন, তারা কখনোই ধর্মের বিপরীতে নাস্তিকতাবাদ প্রচার করেননি।
কিন্তু ধর্মের নামে জালিমের ওপর শোষণ-নিপীড়নের বিরোধিতা করেছেন। গণমানুষের দরদি যে কোনো মোমিন মুসলমান যে কাজটি সব সময়ই করে থাকেন। একই সঙ্গে বার বার বলেছেন, ইতিহাসে ভূরি ভূরি উদাহরণ আছে যখন ধর্ম জালিম শাসক ও তাদের রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। বাংলাদেশে আজ আমরা সেই পরিস্থিতির মধ্যে প্রবেশ করেছি কি না তার বিচার আমি আপনাদের ওপর ছেড়ে দেব। ফলে 'বামপন্থি' হলেই ওদের প্রগতিশীল ভাববেন না। যাদের মওলানা ভাসানীর মতো আমরা মজলুম, নিপীড়িত, শোষিত মানুষের পাশে দেখি না, দেখি শেখ হাসিনার বাদশাহি টিকিয়ে রাখার গর্হিত কাজে, তাদের 'প্রগতিশীল' বলে মানার কোনো যুক্তি নেই। তারা সারা দেশের গরিব, শোষিত, নিপীড়িত তরুণদের 'তরুণ' বলে স্বীকার করে না। স্বীকার করে না কলকারখানায় যারা এ দেশের অর্থনীতি টিকিয়ে রাখার জন্য দিনের পর দিন তাদের রক্ত ক্ষয় করে যায়, যারা পুড়ে মরে, কারখানা ভেঙে চাপা পড়ে, জ্যান্ত কবর হয় তাদের। বাংলাদেশের যেসব 'তরুণ' দেশে দেশে শ্রমিক হয়ে বুকের জল পানি করে এ দেশে অর্থ পাঠায়, বাংলাদেশের অর্থনীতি টিকিয়ে রাখে তারা 'প্রজন্ম' নয়। প্রজন্ম হলো তারাই যারা 'জয় বাংলা' স্লোগান দেয়! দিনরাত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের পাহারায় ও পুলিশি নিরাপত্তার বেষ্টনীর মধ্যে বিচার মানি না শুধু 'ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই' বলে উৎসব করে। ভেবে দেখুন আমরা গণমাধ্যমের বদৌলতে কী পরিমাণ মিথ্যা ও অবাস্তব জগতে বাস করছি। প্রপাগান্ডা ও মিথ্যাচারেরও একটা সীমা থাকে। রাজনীতির বোঝাবুঝি থাক, কেউ কমিউনিস্ট হোক বা না হোক, 'তারুণ্য' আর 'প্রজন্ম' নামক শাহবাগী ধারণার মধ্যেই যে এ দেশের গরিব, অত্যাচারিত, নির্যাতিত শ্রমিক ও খেটে খাওয়া জনগণকে অস্বীকার করার তত্ত্ব নিহিত রয়েছে তা বোঝার জন্য কাণ্ডজ্ঞানই যথেষ্ট। গণমাধ্যমের মিথ্যাচারের কারণে আমরা যেন সংগ্রামে বিভিন্ন পক্ষের শ্রেণীচরিত্র বুঝতে ভুল না করি। আমাদের বুঝতে হবে বাংলাদেশকে যে জায়গায় আজ নিয়ে যাওয়া হয়েছে, আমরা যারা রাজনীতি একটু একটু বুঝি, আমাদের মধ্যে যারা বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থা সম্পর্কে একটু-আধটু ধারণা রাখেন তাদের এটা বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয় যে রাজনৈতিক পরিস্থিতির একটা গুণগত পরিবর্তন ঘটে গেছে। আর আগের জায়গায় ফিরে যাওয়া যাবে না। শফিক রেহমান ভাই শান্তির কথা বলেছেন, আমাদের এখানে হাজির এমন কেউ নেই যারা শান্তি চান না। আমরা সবাই এখানে শান্তি চাই। কিন্তু অনেকে বলছেন গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ ঘটিয়ে দেওয়ার ইতিহাস কিন্তু আওয়ামী লীগের আছে। বাংলাদেশ যদি সেই বিপর্যয়ের মধ্যে নিপতিত হয় তাহলে সেটা প্রথম ঘটনা হবে না। গৃহযুদ্ধ এর আগেও বাংলাদেশে হয়েছে। আপনারা ভুলে যাবেন না সেই কথা। কীভাবে সেটা হয়েছিল? যখনই আপনি আপনার ভাষা বা সংস্কৃতিকে আপনার ভাষিক ও সাংস্কৃতিক পরিচয়, সামাজিক পরিচয়ের মধ্যে ও সামাজিক পরিমণ্ডলে সীমাবদ্ধ না রেখে তার 'রাজনীতিকীকরণ' করেন, তাকে পলিটিসাইজ করেন, তখনই আপনি দেশে একটি সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি তৈরি করেন। যারা পলিটিক্যাল সায়েন্সে একটু পড়াশোনা করেছেন তারা জানেন 'রাজনীতিকীকরণ' কথাটার মানে কী। নৃতাত্তি্বক বা ভাষাভিত্তিক কোনো একটা সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য ও পরিচয়ের ভিত্তিতে রাষ্ট্রের আকার দেবেন, একটা রাজনীতি দাঁড় করাবেন, মনে রাখবেন তখন এই রাষ্ট্র দুর্বল হবে, একটি পরিচয়ের বিপরীতে আরেকটি পরিচয় এসে দাঁড়াবে, নতুন সংঘাতের ভিত্তি হবে। যেটা শেষ পরিণতিতে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি জন্মানোর উৎস হবে। আমাদের দেশে বাঙালি আছে, চাকমা আছে, মান্দিরা আছে, আরও অনেক জাতি, ভাষা ও সংস্কৃতি আছে। তাদের মধ্যে সামাজিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং পরস্পরের মধ্যে আদান-প্রদানের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলা সহজেই সম্ভব। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং পরস্পরের ভাষা, সংস্কৃতি ও জীবন যাপনে সামাজিক স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে সেটা খুবই সম্ভব। কিন্তু যদি 'বাঙালি'রা বলে তাদের সংস্কৃতিই রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে একমাত্র জাতীয় পরিচয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি হিসেবে সবাইকে এই 'বাঙালিত্ব' স্বীকার করতে হবে, তখনই সেটা অন্য ভাষা, সংস্কৃতি ও জাতিসত্তাকে রাজনৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জ করে। অথচ বাঙালি আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠের আত্দপরিচয় এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই এবং সেই পরিচয় স্বীকার বা ত্যাগ করারও কোনো প্রশ্ন ওঠে না। কিন্তু আপনি 'বাঙালি' বলে যদি দাবি করেন যে 'বাঙালি জাতীয়তাবাদ'ই আমাদের রাজনৈতিক আদর্শ, একে সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রনীতির অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, তাহলে আপনি চাকমাসহ পাহাড়ি ও সমতলের অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিসত্তাকে রাজনৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন। পাহাড়িরা তা মানবে না, মানেনি, মানার কথাও নয়। তাদের আর্জি, আকুতি কিছুই আপনি শুনলেন না। বাঙালি জাতীয়তাবাদকেই রাজনৈতিক, রাষ্ট্রনৈতিক ও সাংবিধানিক ভাবে প্রতিষ্ঠা করলেন। তখন কী হবে? প্রথমে তারা প্রতিবাদ করবে। মানবেন্দ্রনাথ লারমা প্রতিবাদ করলেন, আপনি শুনলেন না। তখন তারা আন্দোলনে নামলেন, আপনি তার পরেও শুনলেন না। এরপর তারা তাদের দাবি প্রতিষ্ঠার জন্য অস্ত্র ধারণ করলেন। আপনি যেমন পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির রাজনৈতিক সত্তা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ভারত থেকে সহায়তা পেয়েছিলেন তারাও ভারত থেকে সহযোগিতা পেলেন। বাঙালি জাতীয়তাবাদের রণধ্বনি বাংলাদেশকে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিল, যার ক্ষত আমরা এখনো শুকিয়ে উঠতে পারিনি। নতুন করে পঞ্চদশ সংশোধনীতে বাঙালি জাতীয়তাবাদকে এখন আবার নতুন বিষফোঁড়া হিসেবে গাড়া হয়েছে। সামাজিক, ভাষিক ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের 'রাজনীতিকীকরণ' বলতে কী বোঝায় তা আশা করি পরিষ্কার। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জায়গা থেকে না বুঝলেও অভিজ্ঞতা থেকেই আপনারা জানেন ভাষা, সংস্কৃতি ইত্যাদির রাজনীতিকীকরণের অর্থ কী। এমনকি সেক্যুলার বনাম ইসলাম এভাবে রাষ্ট্রের ভিত্তির তর্ক তুলেও এই আকাম আপনি করতে পারেন। যদি বলেন বাঙালি জাতীয়তাবাদই বাংলাদেশের সবার একমাত্র রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় পরিচয়, বাঙালি ছাড়া আমরা আর কোনো জাতিসত্তাকে রাজনৈতিক বা রাষ্ট্রীয় ভাবে স্বীকার করি না, তাহলে অন্যদের আপনি দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত করলেন। তারা তখন প্রতিবাদ জানাবে, শক্তি থাকলে অস্ত্র হাতে আপনার মতোই নিজেদের আত্দমর্যাদা ও আত্দপরিচয় রক্ষার জন্য আপনার বিরুদ্ধে লড়বে। আপনার রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়বে। পারলে রাষ্ট্রকে দুই ভাগ করে ফেলবে। তাই বলছিলাম বাংলাদেশের প্রথম গৃহযুদ্ধের কথা ভাবুন। বাঙালি জাতীয়তাবাদ কি বাংলাদেশের প্রথম গৃহযুদ্ধে উসকানিদাতা হিসেবে হাজির হয়নি? বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে কি রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়নি? কিন্তু এরাই আবার ধর্মকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা যাবে না সেই দাবি তোলে, ইসলামপন্থিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। মনে রাখবেন গৃহযুদ্ধ আওয়ামী লীগ লাগাতে জানে। আওয়ামী লীগ মনে করে তারাই দেশের একমাত্র মালিক। ফলে সব ক্ষমতারও মালিক। এখন তারা দ্বিতীয় গৃহযুদ্ধ শুরু করেছে। নতুন যে পরিস্থিতি তারা তৈরি করেছে তাতে সমাজকে দুই ভাগে ভাগ করে ফেলেছে। একদিকে আছে বাঙালি জাতীয়তাবাদীরা আর অন্যদিকে আছে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ। যারা অবশ্যই ভাষা ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে বাঙালি, কিন্তু একই সঙ্গে ধর্মও তাদের সংস্কৃতির অংশ। ধর্ম তাদের আত্দপরিচয়ের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কিন্তু যদি আপনি নিরন্তর আর বার বার দাবি করেন ভাষা ও সংস্কৃতিই আপনার মূল পরিচয়, ধর্ম নয়; তখন নতুন এক বিরোধ আপনি তৈরি করেন সমাজ ও সংস্কৃতির ক্ষেত্র অতিক্রম করে ভাষা ও সংস্কৃতিকে যদি রাজনৈতিকতা ও রাষ্ট্রের স্তরে উন্নীত করে আপনি দাবি করেন, এই স্তরে অর্থাৎ আপনার রাজনৈতিক পরিচয়ে শুধু 'বাঙালিত্বই' স্বীকার করা হবে, ইসলামকে স্বীকার করবেন না; তখন আপনি যেমন ভাষা ও সংস্কৃতিকে রাজনৈতিক ঝাণ্ডা বানিয়ে সামনে দাঁড়ান, তখন আপনি চান বা না চান প্রতিপক্ষ হিসেবে ইসলামও তার ধর্মের ঝাণ্ডা নিয়ে সামনে দাঁড়ায়। দাঁড়াতে বাধ্য। দাঁড়ানোর শর্ত তৈরি হয়ে যায়। বাঙালিকে আপনি বিভক্ত করেন। একদিকে থাকে বাঙালি জাতীয়তাবাদীরা আর অন্যদিকে ইসলাম ও ধর্মের মর্যাদা রক্ষার জন্য ধর্মপ্রাণ মানুষ। আপনি তখন তাদের ধর্মান্ধ, গোঁড়া, পশ্চাৎপদ এবং খুব অপছন্দ হলে 'রাজাকার' গালি দিয়ে থাকেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্য বিশ্বের সহযোগিতায় তাকে 'সন্ত্রাসী' আখ্যা দিয়ে তার বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে নেমে পড়েন। আজ শেখ হাসিনার সরকার সেই দ্বিতীয় গৃহযুদ্ধ শুরু করেছে। বাঙালি জাতীয়তাবাদী রাজনীতি বাংলাদেশের মানুষকে 'বাঙালি' ও 'মুসলমান'_ এ দুই ভাগে ভাগ করে গৃহযুদ্ধ লাগিয়ে দিয়েছে। মানুষের ধর্মানুভূতিকে আহত করা হয়েছে। যারা ইসলামে বিশ্বাসী তারা নিঃসন্দেহে নাস্তিকতার বিরোধী, এটা তার ইমান-আকিদার অংশ। কিন্তু কেউ যদি নাস্তিক থাকতে চায়, সেটা তার নিজের বিশ্বাস। সেই বিশ্বাসের দায়-দায়িত্ব তার নিজের। নাস্তিকদের সঙ্গে মোমিন মুসলমানের সামাজিক কোনো ঝগড়া নেই। ফলে কাউকে যখন তখন মুরতাদ বলা বা তার বিশ্বাসের জন্য শারীরিকভাবে ক্ষতি করা মোমিনের কাজ হতে পারে না। সমাজে নাস্তিক আছে, থাকবে। সামাজিক কোনো ঝগড়া নেই। আপনার ছেলেও নাস্তিক হতে পারে। আপনি তাকে বোঝান, ঘরের মধ্যে বোঝান। নাস্তিকতাও একটা আদর্শ, হতেই পারে। অসুবিধা নেই। কিন্তু আপনি যখন নবী-রাসূলদের বিরুদ্ধে এমনসব কুৎসিত ও কদর্য ভাষায় লেখেন, লেখালিখি করেন, তখন কী হবে? একে দিনের পর দিন যখন প্রশ্রয় দেওয়া হয়, তখন বোঝা যায় পরিকল্পিতভাবে আপনি বাংলাদেশকে হিংসার পথে নিয়ে যেতে চান। ব্লগে নবী করিম (সা.)-এর বিরুদ্ধে যে কদর্য ভাষায় লেখালিখি হয়েছে তা কোনো বিবেকবান মানুষের পক্ষে সহ্য করা অসম্ভব। এটা কিন্তু নতুন নয়। সব সময়ই সেক্যুলারিজমের নামে, বাঙালি জাতীয়তাবাদের নামে বাংলাদেশে এসবকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এসব চিন্তার স্বাধীনতা। এখন শাহবাগের কিছু ব্লগারের কীর্তিকাহিনী প্রকাশ হয়েছে বলে নয়। শেখ হাসিনা তো এ ধরনের ব্লগারদেরই প্রশ্রয় দিয়েছেন। দীর্ঘ দিন ধরে তাদের প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এর আগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কেউ দু-একটি মন্দ কথা লিখেছে বলে তাদের জেলে ঢুকিয়েছেন তিনি। কিন্তু কুৎসিত ভাষায় লেখা এই ব্লগগুলো এর আগে রাষ্ট্রের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ গণ্য করা হয়নি। এটাকে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে উসকানি দেওয়ার জন্যই প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানে রয়েছে পাবলিক অর্ডার নষ্ট করতে পারে এমন কাজ করা যাবে না। আমাদের বিচার বিভাগের নজরে আনার পর তারা সুনির্দিষ্টভাবে এসব ব্লগ ও ব্লগারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনার সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। রাষ্ট্র কোনো কিছুই করেনি। তার পরও ব্লগার রাজীবের হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করতে হবে আমাদের। কিন্তু যিনি তার ছেলেকে হারিয়েছেন সেই ছেলের মায়ের যেমন ব্যথা, তার বাবার যেমন ব্যথা, মনে রাখতে হবে ঠিক একই ভাবে একটা ছেলে যদি ইসলামী রাজনীতি করে, আপনি তাকে পছন্দ না করতে পারেন, সমর্থন করতে না পারেন, কিন্তু সে যখন মারা যায়, তাকে যখন গুলি করে মারা হয়, তার বাপের ব্যথা মায়ের বেদনাও আপনাকে বুঝতে হবে। কিন্তু বাঙালি জাতীয়তাবাদীরা সেটা শুনতে পায় না। শেখ হাসিনা শুনতে পান না। আপনি শুনতে পারেন না, আপনি তার মায়ের ব্যথা বুঝতে কিন্তু রাজি নন। কারণ সে নাকি ইসলামী রাজনীতি করে। সে বাঙালি জাতীয়তাবাদী নয়। এরই মধ্যে যারা প্রাণ হারিয়েছে এমনকি তাদের নিয়েও আমরা কথা বলি না। তাদের নিয়ে মিডিয়াতে কথা বলি না। মানবাধিকার কর্মীরাও কথা বলি না। আপনি দাবি করছেন আপনি তরুণ প্রজন্ম। আমি আজ সকালে এক তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে কথা বলি, যে তরুণ প্রজন্ম শাহবাগে যান। আমি তাকে প্রশ্ন করি_ আপনারা 'তরুণ' কিন্তু যে তরুণকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করল সে কি তরুণ নয়? সে তাহলে কোন প্রজন্ম? তাহলে কি তারা জন্তু জানোয়ার? আপনি যদি ইসলামের কথা বলেন তাহলে আপনি 'তরুণ' হবেন না, নিজেকে বাঙালি জাতীয়তাবাদী না ভাবলে আপনি তরুণ প্রজন্মের লোক নন? এটা কী করে হতে পারে? তাহলে এই যে বিভক্তিটা টানা হচ্ছে তার ভিত্তিটা কী? যে গণমাধ্যমগুলো প্রজন্ম প্রজন্ম করছে, লাখ লাখ মানুষ, কোটি কোটি মানুষ, শত কোটি কণ্ঠস্বরের কথা বলছে; তারা কাদের কথা বলছে? তারা কারা? যে গণমাধ্যম এগুলো বলছে তারাও দেশকে আজ দুই ভাগে ভাগ করে ফেলেছে। প্রতিটি গণমাধ্যম উসকানির জন্য দায়ী। এ ধরনের প্রতিটি গণমাধ্যমকে প্রমাণ করতে হবে, আগামী দিনে যে বিশৃঙ্খলা হবে তার শর্ত তারা তৈরি করেছে দিনের পর দিন, তারা সাংবাদিকতার নামে পলিটিক্যাল অ্যাকটিভিস্টের ভূমিকা পালন করেছে, তাদের একদিন নিশ্চয়ই জবাবদিহি করতে হবে। সাংবাদিকতার ভূমিকা এরা কেউ পালন করেনি।
_এ লেখাটি একটি অভিভাষণের অংশবিশেষ।

অনুলিখন : শাহাদাৎ তৈয়ব
ফরহাদ মজহার
 


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___